নেপথ্য থেকে ডা. সাবরিনা সহযোগিতা পেয়েছেন: ডিবি

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন বলেছেন, নেপথ্য থেকে ডা. সাবরিনা চৌধুরী সহযোগিতা পেয়েছেন, তা না হলে তো এ কাজগুলো করার কথা না। তবে তদন্তের জন্য যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সবাইকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।
শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। জেকেজি কোভিড-১৯ পরীক্ষা জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ডা. সাবরিনার পেছনে কারা রয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার আবদুল বাতেন এসব কথা বলেন।
আবদুল বাতেন বলেন, ‘তদন্তের এ পর্যায়ে ডা. সাবরিনা আগে যে তথ্যগুলো দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসলে ডা. সাবরিনা যে বিষয়টি মূলত ব্যবহার করেছে তা হলো ফেসভ্যালু ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন জায়গায় তার পরিচিত। স্বামী আরিফুলও তার সঙ্গে মূলত সে বিষয়টি ক্যাপিটালাইজড করে বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। যেমন প্রাথমিকভাবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি প্রজেক্ট তৈরি করেছিল যেখানে স্যাম্পল সংগ্রহ ও কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা করার কথা ছিল তা তারা করেনি। আসলে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পাওয়া গেলে তা আমরা আমলে নেব। এছাড়া অনিয়ম পাওয়া গেলে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা জানানো হবে।’
উল্লেখ্য, করোনা পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আরিফুল চৌধুরী ও তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে। তাদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

1 টি মন্তব্য: