advice লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
advice লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বিল গেটস আমেরিকার নাগরিকত্ব ছেড়ে দিচ্ছে, শেষবারের মতো মাইক্রোসফটের অফিস ঘুরতে গিয়ে সে হু হু করে কেঁদে ফেলল।

বিল গেটস আমেরিকার নাগরিকত্ব ছেড়ে দিচ্ছে, শেষবারের মতো মাইক্রোসফটের অফিস ঘুরতে গিয়ে সে হু হু করে কেঁদে ফেলল। নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যেতে খারাপ লাগারই কথা। বিল গেটসেও খারাপ লাগছে। সে কান্না থামাতে পারছে না। চোখের পানিতে সার্জিকাল মাস্ক ভিজে মুখের সাথে লেগে গেছে। কাঁদলে কি হবে, মনে মনে কিন্তু বিল গেটস খুবই খুশি। তার লাফাতে ইচ্ছে করছে। এতদিন পর সে তার স্বপ্নের চাকুরী খুঁজে পেয়েছে। এতগুলো বছর সে এমন একটা চাকুরীর চেষ্টাই করছিল। মাঝে মাইক্রোসফট গড়েছে, সেরা ধনী হয়েছে কিন্তু তলে তলে সে সবসময় এই ড্রিম জবের সন্ধান করছে। ভাগ্য ভালো ফেসবুকে এক বন্ধুর কল্যাণে আগেভাগে চাকুরীর সার্কুলারটি তার নজরে এসেছিল। সঙ্গে সঙ্গে সিভি জমা দিয়ে সে প্রার্থনা বসে যায় -- হে ঈশ্বর, আমাকে এই চাকুরীটা দাও। তোমার কাছে আমি আর কিচ্ছু চাই না। আমার জীবন সার্থক হবে যদি এই চাকুরীটা আমি পাই। আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিও না প্রভু। দোয়ার জোরেই কি না কে জানে বিল গেটসের কাছে ফিরতি মেইল আসল - তাকে শর্ট লিস্টেট করা হয়েছে। জুম ভিডিও কলে ইন্টার্ভিউ দিতে হবে। ইন্টার্ভিউ এর কথা শুনে বিল গেটসের হাত পা কাপাকাপি শুরু হয়ে গেল। তার এতো বছরের প্রোগ্রামিং এর অভিজ্ঞতা, টেক লাইনে সে বস, তবুও তার টেনশন হচ্ছিল করছিল, যদি ইন্টার্ভিউ খারাপ হয়, যদি চাকুরী তার মিস হয়ে যায়! এই চাকুরী না হলে বিল গেটসের জীবন বৃথা। দুনিয়ার প্রতিটা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, সফটওয়্যার ডেভলোপারদের কাছে এই চাকুরী সোনার হরিণ। আলাদীনের চেরাগ। জুকারবার্গকে নিয়েই সমস্যা, সেও নাকি সিভি জমা দিয়েছে। কি যে হয় ভাবতে ভাবতে বিল গেটস ইন্টার্ভিউ দিল। প্রথমেই তাকে প্রশ্ন করলো চর্যাপদের রচয়িতা কে? বিল গেটস জানত এমন প্রশ্নই আসবে, রবীন্দ্রনাথের বিয়ের তারিখ, সুফিয়া কামালের পছন্দের তরকারী এইসব প্রশ্নের উত্তর সে গত এক মাস রাত জেগে মুখস্ত করেছে। সে জানত তাকে এই প্রশ্নগুলোই করা হবে। বিল উত্তর চটপট দিতে পারল, জুকার পারেনি। সে ভেবেছিল তাকে ওপিপি, এলগোরিদম, ডাটা স্ট্রাকচার এইসব নিয়ে প্রশ্ন করা হবে! শালা একটা পিউর বলদ। বিল গেটসের চাকুরী হয়ে গেল। আজ সে নতুন চাকুরী উদ্দেশ্যে আমেরিকা ছাড়ছে। বিলের বউ আকুল নয়নে কাঁদছে, ওগো, আমায় ভুলে যেও না। স্কাইপেতে কল দিও। বিল গেটস হাসল। টাইম পাইলে দিমুনি। বলেই সে সুটকেস টানতে টানতে সোজা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে হাঁটা ধরল। কিছুক্ষন পর সে খেয়াল করল বিল গেটস দৌড়াচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভাব সে প্লেনে উঠতে চায়। চাকুরীতে জয়েন করতে চায়। এই চাকুরীর জন্য সে আমেরিকা ছাড়ছে, মাইক্রসফট ছাড়ছে, সংসার ছেড়েছে। এই চাকুরী তার সবে ধন নীলমনি। এয়ারপোর্টে এসে বিল গেটস দেখল সাংবাদিকরা ভিড় করে আছে! সবাই কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইছে -- ভাই, সব ছেড়ে ছুঁড়ে আপনি কই যান? বিল গেটস দাঁত কেলাতে কেলাতে উত্তর দিল - বাংলাদেশে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট মেইন্টেনেন্সের দায়িত্ব পেয়েছি। 😀 --------- সম্পূরক খবরঃ চারটি ওয়েবসাইট উন্নয়ন করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খরচ ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা! পাঁচটি ডাটাবেইস তৈরিতে খরচ হয়েছে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা!
পাঁচটি কম্পিউটার সফটওয়্যার কেনায় খরচ ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা! রচনা:রাফিউজ্জামান সিফাত

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা মনে করে তারাই দেশের সেরা পাবলিক

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা মনে করে তারাই দেশের সেরা পাবলিক। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা মনে করে তারাই দেশের সেরা পাবলিক। আবার এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা মনে করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝি গরু-গাধাই!!! এসব দেখে আমি মোটেও আশ্চর্যিত হইনা আর!! . কিন্তু সবচাইতে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, এর কোনোটাতেই পা না রাখা কিছু পাবলিক অর্থ্যাৎ ভার্সিটির পড়ালেখা বা সার্টিফিকেট সম্পর্কে কোনোরকমেরই ধারণা না থাকা পাবলিকরা এই তিন ভার্সিটির পাবলিকদেরই মনে করে জাতীয় গরু-গাধা…. তাদের মতে এগুলা সব বালপাকনা পোলাপান!!! . বাংলাদেশের প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কি পরিমাণ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী আছে তা এরা কল্পনাও করতে পারেনা!!! . পৃথিবীর সেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশী কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই তার মানে তো এই নয় এইসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো মেধাবী সূর্যসন্তানরা নেই!! আপনি নিজেই তা আপনার চারপাশে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পাচ্ছেন, ভাই! তবুও এত হিপোক্রেসী কি জন্যে বলেন তো??? . আপনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থার তুলনা করলে কেবল বোকামীই করবেন। বাংলাদেশের মত একটা রাজনৈতিক অস্থিতিশীল ও সকল ক্ষেত্রেই দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের শিক্ষাব্যবস্থাও ত্রুটিপূর্ণ এটা না বুঝলে চলে? এখানকার বিশ্বদ্যিালয়গুলো মুলতঃ সেশন জট, নোংরা ছাত্ররাজনীতি, মেধাবীদের সুযোগ-সুবিধার অভাব, বাস্তব জীবনমুখী শিক্ষার অভাবে পৃথিবীর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় পিছিয়ে আছে। . আপনি ডিগ্রী কলেজে পড়েই যদি নিজেকে এত জ্ঞানী ও মেধাবী ভাবতে পারেন তাহলে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়াশুনা করা ছাত্র-ছাত্রীরা কেনো নিজেদের উচ্চশিক্ষিত বা মেধাবী ভাবতে পারবে না, বলুন??? . বাংলাদেশী কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কেনো পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় নেই সেই চিন্তায় নিজের ঘুম হারাম না করে নিজে এমন কিছু করে দেখান যেটা শুধু বাংলাদেশেই নয় পুরো পৃথিবীতে রোল মডেল হয়ে থাকবে….. . কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী!!! দয়া করে অযথাই কেউ এটা নিয়ে আমার সাথে বা অন্য কারো সাথেই কখনো তর্ক করবেন না। যে যেই বিশ্ববিদ্যালয়েই লেখাপড়া করুক না কেনো সবার আগে মানুষের মত মানুষ হওয়া প্রয়োজন সবারই……. গাদাগাদা, মোটা মোটা বইগুলো মুখস্ত করে আপনি হয়তো উচ্চশিক্ষিত এবং বড় কোনো পদের চাকুরে হতে পারবেন…. . কিন্তু, মানুষের মত মানুষ এবং একজন বড় মাপের মানুষ ও বড় মনের মানুষ হতে হলে অবশ্যই অবশ্যই আপনার মধ্যে মানবিকতা, উদারতা, নিরঅহংকারীতা , মানুষকে সম্মান করতে জানা, মানুষের সাথে আন্তরিক ব্যবহার করা, কারও অনুভূতিকে অসম্মান না করা, নিজের চেয়ে কম যোগ্যতার মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করা এসব মানবিক গুণাবলীও থাকতে হবে…… . আর আপনি এগুলো শিখবেন আপনার পরিবার, পরিবেশ ও সমাজ থেকে… কিছু জিনিস থাকে যেগুলো পরিবার থেকে না শিখলেও মানুষ নিজের বিবেকের দ্বারা করে . আপনি একজন উচ্চ ডিগ্রীধারী উচ্চশিক্ষিত এবং অনেক বড় পেশার মানুষ হয়েও আপনার মধ্যে যদি এসব গুণাবলীর অভাব থাকে তাহলে ধরে নেবেন, আপনার পারিবারিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-নৈতিক-ধর্মীয় শিক্ষা এগুলোর অভাব আছে…. সেইসাথে এটাও ধরে নেবেন আপনি ভাই উচ্চশিক্ষিত হতে পারেন, কিন্তু মানুষ হিসেবে আপনি খুবই অহংকারী, অযোগ্য, অসভ্য, খুব স্বার্থপর এবং খুবই নিচু মনের মানুষ!!!!! . আর আপনি যদি সত্যিই এমন খবিশ টাইপের মানুষ হয়েই থাকেন তবে আমি আশা করবো পৃথিবীর এই ভয়ংকরতম সংকটময় দিনে আপনি নিজেকে সংশোধন করবেন…. আদারওয়াইজ গো টু দ্যা হেল!!! . ছেলে, মেয়ে উভয়কেই বলা... একজন উচ্চশিক্ষিত ও বড় পেশার পরিচিত মানুষের কাছ থেকে এমন ব্যবহার পেয়ে খুবই মনোক্ষুণ্ণ হলাম...... :)

প্লিজ জানুয়ারি থেকেই স্কুল খুলে দিন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন। বাচ্চাগুলো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গেল!

জানুয়ারি থেকেই স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়ে আমি একটি স্ট্যাটাস দিয়েছি। বন্ধুরা অনেকেই আমার সাথে একমত হতে পারেন নি। তাদের উদ্বিগ্নতার জবাবে আমি একটি মন্তব্য করেছি। মন্তব্যটি দীর্ঘ হওয়ায় এখানে পোস্ট করা হলো। “আমি পরিবারসহ কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়েছিলাম। প্রথমে আমি আক্রান্ত হই। আমার জ্বর ঠান্ডা বা খারাপ লাগা যে করোনার কারণে, সেটি আমি বুঝতে পারি জ্বর শুরুর পাঁচ দিন পরে, যখন জ্বর আর নেই, কিন্তু খারাপ লাগা ও দুর্বলতা আছে। এটি বোঝার আগেই পরিবারের অন্যরা আক্রান্ত হয়ে গেছে। তারমানে, বাহক ছিলাম আামি। আমার থেকে আক্রান্ত আমার স্ত্রী এবং দুই বাচ্চা। এখন আপনি বলেন, বাচ্চাদের ঘরে রেখে কি তাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে বাাঁচাতে পেরেছি? (এখানে আরো বলে রাখি, আমি এবং আমার স্ত্রী করোনার জন্য যে অসুবিধাগুলো ভোগ করেছি, বাচ্চারা কিন্তু তা করে নি। তাদের সবকিছুই ছিল স্বাভাবিক, উপসর্গুলোও দ্রুত নিরাময় হয়ে গেছে- বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি একটি লক্ষণীয় দিক।) সেদিন মিরপুর ১১ নম্বরে দুইটি বুফে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম খোঁজ নিতে। গিয়ে দেখি প্রচণ্ড ভীড়। (এটিই এখন সব রেস্টুরেন্টে স্বাভাবিক চিত্র)। নারী-পুরুষের সাথে অসংখ্য শিশু। বুঝতেই পারছেন, সেখানে সাবধানতা দূরের কথা, কারো মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। নেই, ন্যুনতম দূরত্ব। যেই ভীড় দেখেছি, কাঙালি ভোজেও এরকম ভীড় হয় না। যদি শিশুদের, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্যই স্কুল বন্ধ থাকবে, তাহলে শুধু স্কুল কেন? সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, গণপরিবহনে ঠাসাঠাসি যাত্রী বহন করা, হাট-বাজার - এই সব কিছুই বন্ধ করতে হবে, কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এসবের শৃঙ্খলা। কোথাও তো তা নেই। সব ক্ষেত্রেই তো নিয়ম উধাও বা শিথিল। চারদিকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণহীনভাবে খুলে দিয়ে, শুধু স্কুল বন্ধের ফলাফলটা কী - বলেন আমাকে? স্কুল বন্ধের ভালো দিক যদি করোনার বিস্তৃতি রোধ করা হয়, তাহলে বলব, সেটি করতে অনেক আগেই বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো স্কুল কলেজ বন্ধ রেখে এদেশের লক্ষ লক্ষ শিশুর শিক্ষা জীবন শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ শুধু শহরের মায়েদের তুলতুলে ননী খাওয়া বাচ্চাদের না। সবাই টাকাওয়ালা ধনী আভিভাবকের বাচ্চা না। শহরের অনেক বাচ্চাই অনলাইনের সুযোগ পেলেও গ্রামের দরিদ্র শ্রেণীর শিশুরা তা ভাবতেই পারে নি। গ্রামের শতকরা আশি ভাগ বাচ্চা গত মার্চের পরে বই হাতেও ধরে নি। স্কুল খোলা নেই মানেই গ্রামের বাচ্চাদের পড়াশোনা নেই। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর যে ক্ষতিটা হয়ে গেল, তার ভার কীভাবে বইবে ভবিষ্যৎ? স্কুল বন্ধ না রেখে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সীমিতভাবে তা চালানো যায়, সেই ব্যবস্থা করা যেত। প্রয়োজনে একেক শ্রেণীর সপ্তাহে দুই দিন করে ক্লাস হতো, পরীক্ষাগুলো হতো, তবুও চর্চাটা নষ্ট হতো না। আমিও চাইব না বাচ্চারা ক্ষতিগ্রস্থ হোক, কারো মায়ের বুক খালি হোক। কিন্তু সাবধানতা অবলম্বন করেই স্কুল-ক্লাস চালু রাখা যেত। পরীক্ষা নেওয়া যেত। আমাদের সরকার যেহেতু প্রকৃতপক্ষে করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে। করোনা-বাণিজ্য, লুটপাট ঠেকাতে পারে নি। প্রকৃতপক্ষে জনগণের জন্য করোনার চিকিৎসা সুলভ করতে পারে নি, তখন উচিৎ ছিল, শিক্ষার পরিবেশটা কীভাবে ঠিক রাখা যায় সেটি চিন্তা করা। আমাদের একটি কার্যকর সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। নিশ্চয়ই অনিশ্চিত সময়ের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা কোনও সুফল বয়ে আনবে না। একটি মানব সন্তান, তার মানুষিক দিয়ে সবচেয়ে স্পর্শকাতর মুহুর্তটি পার করে বয়:সন্ধি কালে/টীনএজ বয়সে । হাইস্কুলের ছাত্র/ছাত্রী । আমাদের দেশে, নিজ ঘর থেকে- সংসদ ভবন পর্যন্ত, কোথাও কেও ভাবে না । স্টাডিও নাই । এই নতুন প্রজন্মকে কোরোনা আতঙ্কে- আতঙ্কিত ভীতু না বানিয়ে, মানে- ঘরে আটকে না রেখে, প্রয়োজনীয় সতর্কতার নির্দেশ আর ডিসিপ্লিনের সাথে স্কুল খুলে দিক । কোরোনা যোদ্ধা হিসেবে আগামি দিনে- সাহসী প্রজন্মের কাঁধে থাকবে দেশ । ভীতু ভেরার কাঁধে না । মানবসন্তান দুর্যোগ ভয় না পেয়ে ভয়কে জয় করেছে বলেই এতদূর এসেছে। ভয়কে জয় না করতে পারলে, দুর্যোগে গর্তে লুকালে মানব ইতিহাস এমন হতো না। অনেক আগেই মানব প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটত। দুর্যোগ ভয় পাওয়া মানবজাতির ধর্ম না। অথচ করোনার প্রতিরোধ ব্যবস্থার নামে আমরা সেই ভয়ের বীজটাই শিশুদের মনে গেঁথে দিলাম। বিপদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা শেখানোর একটি চমৎকার সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছি।

ধার করা গল্প তবে শিক্ষনীয় অনেক

. #একজন ডাক্তার বাংলাদেশে প্রাইভেট হাসপাতালের চাকরি ছেড়ে, কানাডায় গিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে সেলসম্যান হিসাবে যোগ দিলেন। স্টোরের মালিক জিজ্ঞেস করলেন- তোমার কোনো অভিজ্ঞতা আছে ? তিনি জানালেন- আমি দেশে একজন ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিলাম। চাকরির প্রথম দিনে তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করলেন। সন্ধ্যে ছ’টায় ছুটির সময় বস তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন----- আজ তুমি ক’জন ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করেছো ? তিনি উত্তর দিলেন----- আমি আজ সারাদিনে একজন ক্রেতার কাছে বিক্রি করেছি। মালিক আশ্চর্য হয়ে বললেন- মাত্র একজন? এখানকার প্রত্যেক সেলসম্যান দিনে ২০ থেকে ৩০ জন ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করে। তা তুমি কত ডলারের পণ্য বিক্রি করেছো ? তিনি বললেন---- ৯৮,৭৬,৫৪৩ ডলার । বস অবাক হয়ে বললেন- "কী! এটা তুমি কিভাবে করলে" ? তিনি বললেন- ওই ক্রেতার কাছে প্রথমে মাছ ধরার একটি ছোট্ট বড়শি বিক্রি করেছি । তারপর একটি বড় ও একটি মাঝারি বড়শি বিক্রি করলাম। এরপর একটি বড় ফিসিং রড আর কয়েকটি ফিসিং গিয়ার বিক্রি করলাম। তারপর আমি তাকে প্রশ্ন করলাম- আপনি কোথায় মাছ ধরবেন? তিনি বললেন----- তিনি সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় মাছ ধরবেন। তখন আমি তাকে বললাম----- তাহলে তো আপনার একটি নৌকার প্রয়োজন হবে। আমি তাকে নিচতলায় নৌকার ডিপার্টমেন্টে নিয়ে গেলাম। ভদ্রলোক সেখান থেকে কুড়ি ফুট দীর্ঘ দুই ইঞ্জিন-বিশিষ্ট নৌকা কিনলেন। এরপর আমি তাকে বললাম---- এই নৌকাটি তো আপনার ভক্সওয়াগন গাড়িতে ধরবে না, একটা বড় গাড়ির প্রয়োজন ! আমি ভদ্রলোককে অটোমোবাইল ডিপার্টমেন্টে নিয়ে গেলাম। আমার পরামর্শে তিনি নৌকাটি বহন করার উপযোগী একটি গাড়ি বুকিং দিলেন। তারপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম---- মাছ ধরার সময় কোথায় থাকবেন? তিনি জানালেন- এ বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা করেননি। আমি তাকে ক্যাম্পিং ডিপার্টমেন্টে নিয়ে গেলাম। তিনি আমার পরামর্শ মতো ছ’জন লোক ঘুমানোর উপযুক্ত একটি ক্যাম্প তাঁবু কিনলেন। সবশেষে আমি তাঁকে বোঝালাম---- আপনি যখন এতোকিছু কিনেছেন, এখন কিছু খাবার ও পানীয় কিনে নেওয়া উচিত। ভদ্রলোক দু’শ’ ডলার দিয়ে কিছু মুদি-দ্রব্য ও দু’ কেইস বিয়ার কিনলেন !! এবারে স্টোরের মালিক একটু দমে গিয়ে বিস্ময়ের সঙ্গে বলে উঠলেন----- "যে লোকটা একটি বড়শি কিনতে এসেছিলো, তুমি তাকে দিয়ে এতোকিছু কেনালে" !! ডাক্তার ভদ্রলোক বললেন---- " না স্যার, ওই ভদ্রলোক শুধুমাত্র মাথাব্যথার ওষুধ কিনতে এসেছিলেন। আমি তাঁকে বোঝালাম---- মাছ ধরলে মাথাব্যথার উপশম হবে" ...... 😜 স্টোরের মালিক এবারে জানতে চাইলেন- এর আগে তুমি কী কাজ করতে ? তিনি বললেন----- "আমি বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তার ছিলাম। দরকার না হলেও তখন রোগীদেরকে নানা ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, ইকো, ইসিজি, সিটি স্ক্যান, এক্সরে, এম.আর.আই ইত্যাদি পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিতাম" । স্টোরের মালিক বললেন- তুমিএখন থেকে আমার চেয়ারেই বসবে। আর আমি তোমার দেশে গিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে ট্রেনিং নিয়ে আসবো ...!! *******ধার করা গল্প, তবে শিক্ষনীয়******

একটি শিক্ষনীয় পোস্ট-

- 🎓১। তিন সময়ে ঘুমানো থেকে বিরত থাকুনঃ ক ) ফজরের_পর_থেকে_সূর্যোদয় পর্যন্ত, খ ) আছর_থেকে_মাগরিব এবং গ ) মাগরিব_থেকে_ এশা পর্যন্ত । 🎓২। দুর্গন্ধময় লোকের সাথে বসবেন না । 🎓৩। এমন লোকের কাছে ঘুমাবেন না যারা ঘুমানোর পূর্বে মন্দ কথা বলে । 🎓৪। বাম হাতে খাওয়া এবং পান করা থেকে বিরত থাকুন । 🎓৫। দাঁতে আটকে থাকা খাবার বের করে খাওয়া পরিহার করুন । 🎓৬। হাতে পায়ের আঙ্গুল ফোটানো পরিহার করুন । 🎓৭। জুতা পরিধানের পূর্বে দেখে নিন । 🎓৮। নামাজে থাকা অবস্থায় আকাশের দিকে তাকাবেন না । 🎓৯। টয়লেটে থুথু ফেলবেন না । 🎓১০। কয়লা দিয়ে দাঁত মাঝবেন না । 🎓১১। প্যান্ট বা ট্রাউজার পা পায়জামা বসে ডান পা আগে পরিধান করুন । 🎓১২। ফুঁক দিয়ে খাবার ঠাণ্ডা করবেন না । প্রয়োজনে বাতাস করতে পারেন । 🎓১৩। দাঁত দিয়ে শক্ত কিছু ভাঙতে যাবেন না । 🎓১৫। ইকামাহ এবং নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে কথা বলবেন না । 🎓১৬। টয়লেটে থাকা অবস্থায় কথা বলবেন না । 🎓১৭। বন্ধুদের সম্পর্কে গল্প করবেন না । ভালো কিছুও নয়। ভালো বলতে বলতে মুখ দিয়ে শয়তান খারাপ কিছু বের করে দেবে । 🎓১৮। বন্ধুদের জন্য প্রতিকুলতা সৃষ্টি করবেন না । 🎓১৯। চলার সময় বার বার পেছনে ফিরে তাকাবেন না. 🎓২০। হাঁটার সময় দম্ভভরে মাটিতে পা ঠুকবেন_না । 🎓২১। বন্ধুদের সন্দেহ করবেন না । 🎓২২। কখনো মিথ্যা বলবেন না । ঠাট্টা করেও নয় । 🎓২৩। নাকের কাছে নিয়ে খাবারের গন্ধ শুকবেন না । 🎓২৪। স্পষ্ট করে কথা বলুন যাতে লোকজন সহজে বুঝতে পারে । 🎓২৫। একা ভ্রমণ করবেন না । দুইয়ের অধিক বা সম্ভব হলে দলবেঁধে ভ্রমণ করুন। 🎓২৬। একা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিবেন না, বুদ্ধিসম্পন্ন কারো সাথে পরামর্শ করুন । তবে সিদ্ধান্ত হবে আপনার। 🎓২৭। নিজেকে নিয়ে কখনো গর্ব করবেন না । 🎓২৮। খাবার নিয়ে কখনো মন খারাপ করবেন না যা পেয়েছেন তাতেই আল্লাহ্ পাকের শুকরিয়া আদায় করুন । 🎓২৯। অহংকার করবেন না । অহংকার একমাত্র আল্লাহ্ পাকের সাজে । 🎓৩০। ভিক্ষুকদের পরিহাস করবেন না । 🎓৩১। মেহমানদের মন থেকে যথাসাধ্য ভালো মতো আপ্যায়ন করুন । 🎓৩২। ভালো কিছু তে সহযোগিতা করুন । 🎓৩৩। দারিদ্র্যের সময়ও ধৈর্যধারণ করুন । 🎓৩৪। নিজের ভুল নিয়ে ভাবুন এবং অনুসূচনা করুন । 🎓৩৫। যারা আপনার প্রতি খারাপ কিছু করে, তাদের সাথেও ভালো আচরণ করুন । 🎓৩৬। যা কিছু আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন । আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্ যা দিয়েছেন তার জন্য শুকরিয়া আদায় করুন । 🎓৩৭। বেশি ঘুমাবেন না, এতে স্মৃতি শক্তি লোপ পাবে । 🎓৩৮। নিজের ভুলের জন্য দিনে অন্তত ১০০ বার আল্লাহ্ পাকের কাছে অনুতপ্ত হন আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ুন । 🎓৩৯। অন্ধকারে কিছু খাবেন না । 🎓৪০। মুখ ভর্তি করে খাবেন না । বাচ্চাদের কেও মুখ ভর্তি করে খেতে দিবেন না

ভাইরাস নিয়ে চীন কাজ শুরু করেছে ১৯৮০ সালেরও আগে

। অনেকের গবেষণা মতে চীন ক্ষমতার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য এই bioweapons নিয়ে কাজ করছিলো। হয়ত এক্সিডেন্টলি অথবা পরিকল্পনামাফিক ভাইরাস নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। আমেরিকা যখন nuclear weapons নিয়ে কাজ করছে তখন চায়না করছে bioweapons নিয়ে কাজ। নাকের ডগায় বসে থেকে ভারত তিলে তিলে গড়ে তুলেছে তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। একটা বাটনে চাপলে ধুলায় মিশে যাবে অর্ধেক দুনিয়া। ইজরাইলের মত রিফিউজি দেশ তারাও গড়ে তুলেছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃছিদ্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আর বাংলাদেশ?? এই যুদ্ধে বাংলাদেশ কোথায়??? জাপানে ডিফেন্স ফোর্স তৈরীতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ছিলো। জাপান প্রতিরক্ষা খাতের পুরো অর্থই ট্রান্সফার করে দিলেন শিক্ষা খাতে। যেখানে স্কুল লেভেলেই সহবৎ শেখানোর পাশাপাশি জাপান সামরিক কৌশলও শেখালো তার বাচ্চাদের। এলিট ফোর্স নেই কিন্তু পুরো দেশের ১০০% নাগরিক যুদ্ধকৌশল শিখে বসে আছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ, সরকারি তরফ থেকে তিলে তিলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে৷ বই থেকে মোরাল এডুকেশন তুলে দিয়েছে। কোচিং সেন্টারের ব্যবসা চাঙ্গা করতে গিয়ে পুরো জেনারেশনকে খেলাধুলা থেকে বিরত রেখেছে। খাবারে ফরমালিন বিষ মিশিয়ে শারীরিক ভাবে দূর্বল জাতি তৈরি করেছে। টাকার লোভে ডাক্তাররা মায়ের পেট কেটে সিজারের নামে লাখে লাখে প্রি ম্যাচিউর বেবি বের করে এনেছে। টেলিযোগাযোগ কোম্পানি গুলো পরিকল্পনা করে ইয়াং জেনারেশনকে ফেসবুক আড্ডায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। জোর করে ছাত্রদের সরল রৈখিক রাজনীতিতে যুক্ত করা হয়েছে। একটা দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার জন্য যা যা করা সম্ভব তার সব কিছুই এপ্লাই করা হয়েছে৷ দেশের কোন স্ট্রং পররাষ্ট্র নীতি তৈরি হয়নি। বিজ্ঞান গবেষণায় কোন বরাদ্দ নেই, কারো কোন আগ্রহ নেই। সবাইকে বিসিএস গাইড ধরিয়ে দিয়ে সরকারের অনুগত করা হয়েছে। বেস্ট সেলিং এর দৌড়ে টিকে থাকতে কেউ এখন আর বুদ্ধিবৃত্তিক লেখাঝুকা করতে আগ্রহী নয়। রাজনৈতিক দল গুলো মনের মাধুরী মিশিয়ে ইতিহাস বিকৃত করে চলেছে। মোদ্দা কথা শিক্ষা, স্বাস্থ, পররাষ্ট্র নীতি, বিজ্ঞান, ইতিহাস, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, অর্থনীতি, পরিবেশ যে কোন সূচকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভয়াবহ অন্ধকার। এখানে ফ্লাইওভার নির্মাণকে উন্নতি বলা হয়, অথচ এই ফ্লাইওভার হাজারে হাজারে পরে আছে চায়নায়। একটা নিন্ম মানের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে বিজয় ধরা হয়, অথচ নাসা ছুটে চলেছে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে। একটা দেশ যার নিজেস্বতা বলে কিচ্ছু নেই। নিজস্ব ট্রেডমার্ক নেই, নিজস্ব আবিষ্কার নেই, নিজস্ব পলিসি নেই, নিজস্ব পন্য নেই। এই দেশ নিয়ে গর্ব করার মত কিছুই অবশিষ্ট রইলো না!!! হাওয়ায় দেশ চলছে। ব্যাংকে টাকা রাখবেন, টাকা হাওয়া হয়ে যাবে, বুঝতেই পারবেন না৷ বিশ্ববিদ্যালয় বাচ্চাদের চাকুরীর জন্য তৈরি করবে কিন্তু নতুন কোন আইডিয়া নিয়ে আলাপ হবে না। আচ্ছা এই যে চীন আরো ৪০ বছর আগে থেকে ভাইরাস নিয়ে কাজ করছে এই তথ্য কেন বাংলাদেশের কাছে থাকবে না? যেদেশের সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বানিজ্যিক সম্পর্ক৷ হাগু করতে গেলেও চাইনিজ কমড লাগে, সেই দেশ কেন আগে থেকেই চায়নাকে অবজার্ভ করবে না? কেন তারা জানবে না যে আগামীকাল চায়না কেমন রিয়াক্ট করতে পারে? কেন আগে থেকেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে না? পুরোদস্তুর একটা খাদক (ভোক্তা) দেশ তৈরি হয়েছে। যাকে বলে বাজার! ভারতের বাজার, চায়নার বাজার, পাকিস্তানের বাজার, কোরিয়ার বাজার। শুধু বাজারই না, ৩য় শ্রেণীর পন্য বিক্রি করার জন্য ২০ কোটি ক্রেতার এক বাজার। যাকে স্লেভ বললেও ভুল হবে না। স্বাধীনতার তকমা জড়িয়ে থাকবে, কিন্তু আদতে দেশ, মন, মস্তিষ্ক বেচে বসে আছে অন্য দেশের কাছে। যাদের নিজেস্য কোন ক্ষমতা নেই। পুরোটাই পরগাছা। একটা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য পর্যন্ত অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে আছে। যদি কাল এই ভ্যাকসিন না দেয় কেউ, পুরো জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে৷ হুদাই বড় বড় ডায়লগ, বাঙ্গালী বীরের জাতি। চায়না যখন আগামী ১০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর ক্ষমতা দখল করতে ব্যস্ত, X. আমেরিকা যখন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে রকেট ছুটিয়ে চলেছে, ভারত যখন একটার পর একটা নিউক্লিয়ার টেস্ট করছে তখন আমরা ব্যস্ত এই গবেষণায় যে স্বাধীনতার ভাষণ কে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু না জিয়াউর রহমান? দুনিয়া যখন স্পেস ট্রাভেল করছে তখন আমরা একটা মেট্রোরেল তৈরি করেই নিজেদের উন্নত জাতি বলে নিজেরাই নিজেদের পীঠ চুলকাচ্ছি। আহা বাঙ্গালী!! কথায় আছে মূর্খের রাজা হওয়া থেকে জ্ঞানীর চাকর হওয়া উত্তম...

জীবন সবসময় দ্বিতীয় সুযোগ দেয় ||

জীবন সবসময় দ্বিতীয় সুযোগ দেয় সুযোগ পেয়েও হারিয়ে ফেলার মতো বড় বোকামি আর কিছু নয়।আমরা অতি কাবিল ব্যাক্তি তো সব কিছুতে একটু কাবলামি না করলে কেমনে কি😒😒 আমি একটা মুভি দেখছিলাম অনেক আগে নাম ভুলে গেচি🙄🙄 আচ্ছা যাক মুভিতে নায়িকা অনেক কষ্ট করে খাবার জুটায়।অনেক কাজের সন্ধানে তিনি যান কিন্তু পান না।একটা সময় একটা খারাপ মুভিতে কাজের সুযোগ পান।এবং তিনি করেনও। কারণ অনেক চেষ্টা করেও ভালো কাজ তিনি পাননি। ধীরে ধীরে এগিয়ে যান একটা সময় তার অবস্থান খুব ভালো হয়ে যায়। এর কিছুদিন পর থেকে তিনি তার সুযোগকে অবহেলা করেন। এবং একটা পর্যায়ে তিনি তার প্রথম অবস্থা থেকেও খারাপ পর্যায়ে চলে যান। হতাশায় নিমজ্জিত তিনি একদিন সুইসাইড করেন। এরপর থেকে যে ব্যাপারে মন টানে আমার সেই ব্যাপার জড়িত সকল সুযোগ আমি নিয়ে নেই। এতে অনেক সময় হিতে বিপরীত হয়েছে তবু্ও😋😋 হাসিতো ফাসি মুভিটাতে হতাশ নায়ককে নায়িকা বলেছিলেন যার বাংলা হলো 'শেষ সুযোগ বলে কিছু নেই। চেষ্টার পরও যে সুযোগ চলে যায় তা শেষ নয়। আরও একটা সুযোগ আছে। ' অনেক আগে দেখেছি কিছু ভুলও হতে পারে তবে সারমর্ম এটাই ছিল। ভালো লেগেছিল মুভিটা আমার। জীবন আমাদের অনেক অনেক সুযোগ দেয়। যিনি সময়মতো আকড়ে ধরেন তিনি সুযোগকে দোষ দেন না। চেষ্টা করে আরও অনেক সুযোগ তৈরি করেন। আর যাদের দরজায় ঠকঠক করে কড়া নাড়তে নাড়তে ক্লান্ত সুযোগ ফিরে যায় তাদের জন্য চেষ্টার পরিমাণ বাড়াতে হবে অনেক। লাভ-লোকসান ➡আমরা বাঙ্গালি কোনো কাজ করার আগে তার লাভ ক্ষতি নিয়ে হিসাব কষতে শুরু করে দেই,,যদিও এটা খুব খারাপ দিক নয় কিন্তু সব ক্ষেত্রে লাভ লোকসানের হিসাব চলে না। ➡আমরা যখন ফোনে গেইমস খেলি অথবা ইউটিউব বা ফেইসবুকে কোনো ফানি ভিডিও দেখি অথবা নিউজফিডে অযথাই স্ক্রল করি তখন সময় কোন দিক দিয়ে চলে যায় তার হিসাবই থাকেনা। অথচ ১০ মিনিট রাইটিং পোস্ট লিখতে গেলেই আমাদের মুল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যায়। যারা এই মনোভাব পোষণ করেন তাদের জন্য আসলেই১০ মিনিটেই রাইটিং পোস্ট একটা বিরাট লসের জায়গা। ➡অন্য দিকে সাথে সাথে আনন্দ বা ফল না পেলেও কিন্তু এই ১০ মিনিট রাইটিং পোস্ট আমাদের জন্য হোমিওপ্যাথির ন্যায় কাজ করে অর্থাৎ দেরিতে হলেও কাজ করে। যা দীর্ঘমেয়াদী বিষয়। সারা জীবন আমাদের উপকারে আসবে। ? ▶১০মিনিট রাইটিং পোস্ট ২ মিনিটে পড়ে, ৮ মিনিটে কমেন্ট করতে হয়। এতে আমাদের বাংলায় দ্রুত পড়ার এবং লিখার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়৷। আর নিয়মিত লিখার ফলে আমাদের লিখার মানও ভালো হয়, আর চর্চা এমন একটা মন্ত্র যা আমাদের যেকোনো কাজকে সহজ ও সফল করে দেয়। ➡ এ ক্ষেত্রে আমাদের মস্তিষ্কের একটা চর্চা হয়ে যায় ফলে আমরা খুব সহজেই আর দ্রুত কোনো কিছু পড়ে বুঝে ফেলতে পারি এবং সে বিষয়ে একটা মন্তব্য ও লিখতে পারি।

বেশ কিছু শিশু হত্যার শিকার হয়েছে নিজের বাবা-মা অথবা পরিবারের সদস্য দ্বারা

সাম্প্রতিক সময়ে আপনারা লক্ষ্য করে থাকবেন, বেশ কিছু শিশু হত্যার শিকার হয়েছে নিজের বাবা-মা অথবা পরিবারের সদস্যর দ্বারা। কোভিডের কারণে দরিদ্র মানুষগুলোর কেউ কেউ অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে আচরণগতভাবে হিংস্র হয়ে উঠেছে যার ফল ভোগ করছে শিশুরা। হত্যার খবরগুলোয় শুধু পত্রিকাতে আসে। কিন্তু শিশুরা নিজেরই পরিবারে নির্যাতনের শিকার হয় সেগুলোর খবর আমরা কতজন জানি? যেহেতু স্কুল বন্ধ, ঘরে বসে বসে বাচ্চাদের মানসিকতায় একটা বিরুপ প্রভাব পড়ছে, ফলে অনেক বাবা-মা এমন পরিস্থিতিকে সন্তানের সাথে হিংস্র আচরণ করেন। একটি শিশু যদি নিজের পরিবারেই নির্যাতনের শিকার হয় এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু নেই। বাচ্চারা ভুল করে, কোনটি ভুল কোনটি সঠিক সম্পর্কে তাদের জ্ঞান নেই। এমন সময় উত্তেজিত না হয়ে, বাচ্চাদের সাথে সুন্দর আচরণ করে বুঝিয়ে বলুন। আমরা অনেকেই মনে করি, মারলেই মনে হয় বাচ্চা সঠিকভাবে মানুষ হয়। কিন্তু এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। মার না, ভালবাসা দিয়ে বাচ্চাদের কাছে টেনে নিন। অতিরিক্ত শাসন কিংবা অতিরিক্ত আদর কোনোটাই কল্যাণকর নয়।একটা ব্যালেন্স থাকা প্রয়োজন।

মজা সহ্য করার ক্ষমতা না থাকলে অন্যর সাথে মজা করতে যেও না

ভারতে “ইশ্ক” নামে একটি সিনেমা রয়েছে যেখানে একটি অংশে জুহি চাওলা বেশ ভয়ংকর রকম একটি মজা করে আমির খানের সঙ্গে। আমির খানও তার প্রতিশোধ হিসেবে জুহি চাওলাকে ভুত সেজে ভয় দেখায়। জুহি চাওলা বেশ মারাত্মক ভয় পেয়ে যায় এবং যখন বুঝতে পারে ভুতটি আমির খান, তখন আমির খানকে থাপ্পড় মেরে বসে। এই দৃশ্যে কাজল তখন চমৎকার একটি কথা বলে। “মজা সহ্য করার ক্ষমতা না থাকলে কখনও অন্যর সাথে মজা করতে যেওনা” আমরা এই মজা করার মাত্রাটি অনেক সময়ই বুঝতে পারিনা। বুঝতে পারিনা, কোথায় আমাকে থামতে হবে। আর মজার বিষয়টি যদি অনলাইনে হয়, তখনতো সব রকম মাত্রাকে অতিক্রম করে ফেলি। বন্ধু বান্ধবের মধ্য মজা থাকবেই, কম বেশি একজন আরেকজনকে পঁচাবে। এই টুকু মজা করার অধিকারের জন্যইতো সে বন্ধু। কিন্তু অনেক সময় হয় কি, আমরা মজার লাইনটি ক্রস করে ফেলি। যেখানে সেখানে, যার তার সামনে পঁচায়। ঘন্টার পর ঘন্টা পঁচায়। এবং পঁচিয়ে মনে করি যে, আমি বেশ স্মার্ট, আমার সাথে কথায় কেউ পারেনা। কিন্তু এটা ভাবিনা যে, আরেকজনকে পঁচিয়ে স্মার্ট হওয়া যায়না। বরং আরেকজনের প্রতি আমার ভালবাসা, সম্মানই আমাকে স্মার্ট করে তোলে। একবার দেখেছি, এমন একজন যে সব সময় পঁচিয়ে বেড়ায়, তার সাথে কথায় কেউ পারেনা সেও যখন দল বেঁধে অন্যর পঁচানোর শিকার হয় তখন আর সে নিতে পারেনা। তখন সে বন্ধুদের সাথে গন্ডগোল করে বসে, দুরত্ব তৈরি হয়। তাই মাত্রাটি বোঝা উচিত। বোঝা উচিত কোথায় গিয়ে থামতে হবে। বুলিং একজন মানুষকে মারাত্মক রকম ভাবে আঘাত করে। শরীরের আঘাত একটি সময় সেরে যায়। কিন্তু মনের আঘাত সহজে যায়না। সকলের সহ্য শক্তি এক রকম না। আমাদের এখানে অনলাইনে মারাত্মকভাবে বুলিং করা হয়। বুলিং এর একটু সুযোগ পেলে দলবেঁধে নেমে পড়ি। কারো কাজ হাস্যকর বা সমালোচনার মত, আমি সুন্দরভাবে সেটার সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু নোংরা ভাবে বুলিং করা কেন? ফেসবুক, ইউটিউব বা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সকলের একই স্বাধীনতা। কিন্তু সকলের একই শিক্ষা না। ঢাকার একজন ছাত্রর শিক্ষা বা সমাজের সাথে, কোন চরাঞ্চলের শিক্ষা বা সমাজের বিস্তর ফারাক রয়েছে। অথচ চরাঞ্চলের মানুষটির কাছেও রয়েছে আপনার মত ফেসবুক। তার হয়ত সেই বোধগম্যটুকুই নেই যে, সামাজিক সাইটটি কিভাবে ব্যবহার করবে। তাই বুলিং করার চেয়ে, ভালভাবে ভুলটুকু ধরিয়ে দেয়া শ্রেয়। আবার শহরের মানুষও দেখি, দিনের পর দিন বুলিং করে। বিশেষ করে কোন সেলিব্রিটিকে দলবেঁধে বুলিং করে, এবং এই বলে যে, সেলিব্রিটিদের বুলিং করা জায়েজ। আমিও একমত সেলিব্রিটিরা একটু বেশিই সমালোচনার শিকার হবেন, তাদের সহ্য ক্ষমতাও বেশি থাকবে। কিন্তু সমালোচনার নামে এখানে নোংরা ভাবে বুলিং করা হয়। আমরা গঠনমুলক সমালোচনা ও বুলিং এর পার্থক্যই বুঝে উঠতে পারিনা অনেক সময়। আমি যথেষ্ট পরিণত মানুষ, এত বছর পেইজ চালিয়ে মানুষের নোংরা গালাগালি পেয়ে এখন সহ্য শক্তি হয়েছে। এখন কিছু মনে হয়না। এক চোখ দিয়ে দেখে আরেক চোখ দিয়ে বের করে দিই। কেউ নোংরা গালাগালি করলে ভাবি, আমাজন থেকে এসেছে, বানর থেকে এখনও পরিপুর্ণ মানুষে রুপান্তরিত হতে পারেনি। তাই তখন কিছু মনে হয়না। এত সহ্য শক্তি থাকার পরেও, কালে ভদ্রে একটু মন খারাপ হয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষেরই এত সহ্য শক্তি নেই। আমি যে গালাগালি পেয়েছি অনেকে তার সিকিভাগ পেলেও, এই পেইজ চালানোর মত মানসিকতা থাকতো না। একটা বিষয় প‌রিস্কার হওয়া উচিত, আমি এমন কথা কেন বলব, যে কথায় মানুষ আঘাত পাবে? চেষ্টা থাকা উচিত মানুষ যেন আমার কথায় আনন্দ পায়। আর সুন্দর কথা বলাওতো একটি শিল্প। আমি কেন শিল্পের চর্চা করবো না? আসুন সহনশীল হই। সমালোচনা করি, কিন্তু বুলিং এর পথ না ধরি। বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে, একটি বাচ্চা মেয়ে বুলিং এর দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। বিজ্ঞাপনে এটি বোঝানো হচ্ছে, বুলিং শারিরীক আঘাতের চেয়ে কম কিছু না। আসুন এক সাথে বুলিং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।

কাজে লজ্জা নাই অন্যের দয়াতে চলা লজ্জার

এইযে উচ্চ শিক্ষিত মেয়েগুলি অনলাইনে কাপড় বিক্রি করছে তার পেছনে কারন কি ?  ভালো চাকুরী করার যোগ্যতা থাকার পরেও মেয়েরা নিজের হাতের রকমারি রান্নার খাবার নিয়ে কাজ করে ইনকাম করছে তার কারন কি? সেই রকম হ্যান্ডসাম ও শিক্ষিত ছেলেটা খামারি হচ্ছে, বা ডেলিভারি বয়ের কাজ করে রোজগার করছে তার কারন কি? কারন তারা উপলব্ধি করতে শিখেছে যে অন্যের দয়ায় বাঁচা স্মার্ট ব্যক্তিত্বের লক্ষন নয়। কাজে লজ্জা নাই অন্যের দয়াতে চলা লজ্জার। গলার জোরে ভ্যালু ক্রিয়েট করা সম্ভব না। মামা চাচা চাকরি দিবে সেই আশায় বসে না থেকে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করুন, চেষ্টা করুন আপনি ও পারবেন, কাজ করেই ভ্যালু বাড়াতে হয়।

আপনার একটা ভুল সিদ্ধান্ত আপনার ব্যবসার অনেক বড় ক্ষতি করে

আধুনিক মোবাইল ফোন জগৎ এর আরেক নাম ছিলো নোকিয়া ৷বৃহও আকৃতির ফোনের যুগের পর থেকেই শুরু হয় নোকিয়া কোম্পানির রাজত্য ৷ নোকিয়া ১১০০ ,৩৩১০ এর মতো ফোনগুলো তখন হাতে থাকাটাই একটা ট্রেন্ড হয়ে পরে ৷ প্রয়োজন না বরং নোকিয়া ফোনটি মানুষের বিলাসীতার বস্তু হয়ে উঠে ৷ কোম্পানির প্রতিটা ফোন রিলিজ করার পরে ধুম লেগে যেতো তা সংগ্রহের ৷ এমনকি অন্য দেশ থেকেও মানুষ চলে আসতো নোকিয়ার নতুন মডেলের ফোনটা কিনার জন্য ৷ কিন্তু এই এক চেটিয়া রাজ্যত্বের পতন হলো কিভাবে ?
২০১১ সাল পর্যন্ত নোকিয়া বিশ্বের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী কোম্পানি ছিল। তবে বাজারে টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির আবির্ভাবের ফলে নোকিয়া ধীরে ধীরে পিছিয়ে যায়। তবুও হারিয়ে যায়নি ৷ কিছুদিন পর গুগলের তৈরী এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম কে কিনে নেবার অফার করা হয় নোকিয়া কে ৷ কিন্ত তারা তাতে আগ্রহী হয়নি ৷ গুগল তখন এনড্রয়েড সিস্টেমকে ফ্রি করে দেয় ৷ সেই মূহুর্তে ফোনের বাজারে তুলনা মূলক নিচের স্থানে থাকা স্যামসাং ও ব্লাকবেরি সেই সুযোগটা লুফে নেয় ৷ বাজারে নিয়ে আসে অ্যান্ড্রয়েড সাপোর্টিং স্মার্ট ফোন ৷ নিমিষেই নোকিয়ার শেয়ারের দাম ৪০ মার্কিন ডলার থেকে পরে মাত্র ২ মার্কিন ডলারে নেমে আসে।ফিরে আশার উপায় হিসেবে নোকিয়ার নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম সিম্বিয়ানের বদলে নোকিয়া মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহারের জন্য মাইক্রোসফটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি ৷ ততদিনে ফোনের মার্কেট দখলে চলে যায় অন্যদের হাতে ৷
ব্যবসা ছোট হোক কিংবা বড় ৷ আপনার একটা ভুল সিদ্ধান্ত আপনার ব্যবসার অনেক বড় ক্ষতি করে দিতে পারে ৷ নোকিয়ার তার সর্বোৎকৃষ্ট প্রমাণ ৷দীর্ঘ সময়ের বিশ্ব ব্যাপি বিখ্যাত কোম্পানি মাএ কয়েক মাসের মধ্যে হারিয়ে যায় শুধু একটা ভুল সিদ্ধান্তে ৷ তাই সর্বক্ষেত্রে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেটা ভালো করে বিবেচনা করা উচিত আমাদের ৷

নিজের প্রচারণা নিজেই করতে হয় তাই লজ্জা আর দ্বিধা ঝেড়ে ফেলুন

ব্যবসার জন্য এখন খারাপ সময় কিন্তু এই অসময়েই অনেক কে নামতে হচ্ছে ব্যবসায়। বন্ধু তালিকায় থাকা বিভিন্ন পেশার অনেকেই চাকুরি হারিয়েছেন। খুব শীর্ঘই যে আরেকটি চাকুরী পাবেন তার নিশ্চয়তা নেই।
পরিবার পরিজন নিয়ে খারাপ সময়ে কি করা যায় তা ভাবছেন অনেকেই। কেউ কেউ অনলাইনে বেচাকেনা করতে চাইছেন পণ্য। সেই তালিকায় মধু আম তৈল ঘি মাছ মশলা এসবেই বেশি দেখলাম।
অনেকেই ঝুকছেন এসব নিত্য প্রয়োজনীয় প্রডাক্টের দিকে।
তবে আমার ধারণা এসব থেকে ভাল রেসপন্স পাবেন না। আপনাকে পণ্য নির্বাচনে আরেকটু ব্যাতিক্রমী ভাবনার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
অনলাইনে নিজের প্রতিষ্ঠানের ব্রাণ্ড আইডেন্টি তৈরি করাটাও জরুরী।
অনেকেই ভাবছেন কিনলাম আর বেচলাম হয়ে গেল ! মোটেও সহজ না। আপনাকে কিনে জিততে হবে। নাহলে বেচে লাভ করতে পারবেন না। যাদের থেকে পণ্য নিবেন সেই সোর্স গুলির সংগে স্টং রিলেশন তৈরি করাটা জরুরী। কম লাভ করে বেশি সেলের ভাবনা রাখতে হবে। সংগে এই প্রডাক্ট অন্যরা কত বেচতেছে আপনী কত বেচবেন এবং কেন আপনার টা গ্রাহক কিনবেন এই বিষয়ে আপনাকে সিরিয়াসলী ভাবতে হবে।
সেল না হলে হতাশ হবেন না।
বরং অলশ সময়ে আরো কি পণ্য আপনী সংগ্রহ করতে পারেন তা নিয়ে ভাবতে পারেন।
নিজের প্রচারণা নিজেই করতে হয় তাই লজ্জা আর দ্বিধা ঝেড়ে ফেলুন।


শুধু অনলাইনের ফেসবুক নয় সব সামাজিক মাধ্যমেই আপনার কাজ করতে হবে। পাশাপাশি অফলাইনেও গ্রাহক বাড়াতে হবে।
আশা করছি টিকে থাকলে একদিন ভাল কিছু হবে। শুভ কামনা সবার জন্য।

আমরা প্রতিটা মানুষ ঠিক হাতির মতই।

একদিন এক লোক রাস্তা দিয়ে যাবার সময় রাস্তার পাশ্বে একটা বিশাল বড় হাতি বাঁধা দেখতে পেলেন। হাতিটি বাঁধা ছিল সামান্য একটা চিকন দড়ি দিয়ে। সেটা দেখে লোকটা কিছুটা অবাক হলো। হাতির পাশেই বসে ছিল সেই হাতির মালিক। তাই অবাক হওয়া লোকটা বিষয়টা ভালো ভাবে জানার জন্য হাতির মালিক এর কাছে গেল। হাতির মালিক এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো, "আপনি কিভাবে এতো বড় একটা হাতিকে সামান্য একটা চিকন দড়ি দিয়ে আটকে রেখেছেন?
হাতির মালিক কিছুটা হেঁসে উত্তর দিল, "হাতিটা যখন ছোট ছিল তখন সে অনেক অসুস্থ ছিল। তখন আমি হাতিটাকে এই চিকন দড়ি দিয়ে আটকে রাখতাম। তখন হাতিটা অনেক চেষ্টা করেছে দড়িটা ছিঁড়ে ফেলার জন্য, কিন্তু তখন হাতিটা ছোট আর দুর্বল থাকার কারনে বার বার সে ব্যর্থ হয়েছে। সে থেকে এখন পর্যন্ত হাতিটা বড় এবং শক্তিশালী হয়েছে ঠিকই কিন্তু ঐ দিনের ব্যর্থতার কারনে সে সারা জীবনের জন্য ধরে নিয়েছে যে এই দড়িটি কখনো তার পক্ষে ছিঁড়া সম্ভব নয়। তাই সে এখন এই চিকন দড়িটি ছেঁড়ার আর কোন চেষ্টাই করেনা।"
★আমরা প্রতিটা মানুষ ঠিক ঐ হাতির মতই। ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি যে এই কাজ তোর দ্বারা সম্ভব না। কিছু একটা করতে গিয়ে যখন ব্যর্থ হই তখন থেকেই মনে হয় সত্যি এই কাজ আমার দ্বারা হবে না। আর এই 'আমার দ্বারা হবে না' এই কথাটা প্রতিনিয়ত আমাদের আত্ববিশ্বাসকে নষ্ট করে দেয়। একটা সময় আমরা হাতির মত শক্তিশালী হই ঠিকই কিন্তু অনেক আগেই আত্ববিশ্বাস হারিয়ে ফেলার কারনে সেই সামান্য ব্যর্থতার দড়িটিকে ছিঁড়ে ফেলতে পারি না।
দয়া করে কখনো আত্ববিশ্বাস হারাবেন না।