আধুনিক মোবাইল ফোন জগৎ এর আরেক নাম ছিলো নোকিয়া ৷বৃহও আকৃতির ফোনের
যুগের পর থেকেই শুরু হয় নোকিয়া কোম্পানির রাজত্য ৷ নোকিয়া ১১০০ ,৩৩১০ এর
মতো ফোনগুলো তখন হাতে থাকাটাই একটা ট্রেন্ড হয়ে পরে ৷ প্রয়োজন না বরং
নোকিয়া ফোনটি মানুষের বিলাসীতার বস্তু হয়ে উঠে ৷ কোম্পানির প্রতিটা ফোন
রিলিজ করার পরে ধুম লেগে যেতো তা সংগ্রহের ৷ এমনকি অন্য দেশ থেকেও মানুষ
চলে আসতো নোকিয়ার নতুন মডেলের ফোনটা কিনার জন্য ৷ কিন্তু এই এক চেটিয়া
রাজ্যত্বের পতন হলো কিভাবে ?
২০১১ সাল পর্যন্ত নোকিয়া বিশ্বের
সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী কোম্পানি ছিল। তবে বাজারে টাচস্ক্রিন
প্রযুক্তির আবির্ভাবের ফলে নোকিয়া ধীরে ধীরে পিছিয়ে যায়। তবুও হারিয়ে
যায়নি ৷ কিছুদিন পর গুগলের তৈরী এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম কে কিনে নেবার
অফার করা হয় নোকিয়া কে ৷ কিন্ত তারা তাতে আগ্রহী হয়নি ৷ গুগল তখন এনড্রয়েড
সিস্টেমকে ফ্রি করে দেয় ৷ সেই মূহুর্তে ফোনের বাজারে তুলনা মূলক নিচের
স্থানে থাকা স্যামসাং ও ব্লাকবেরি সেই সুযোগটা লুফে নেয় ৷ বাজারে নিয়ে আসে
অ্যান্ড্রয়েড সাপোর্টিং স্মার্ট ফোন ৷ নিমিষেই নোকিয়ার শেয়ারের দাম ৪০
মার্কিন ডলার থেকে পরে মাত্র ২ মার্কিন ডলারে নেমে আসে।ফিরে আশার উপায়
হিসেবে নোকিয়ার নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম সিম্বিয়ানের বদলে নোকিয়া
মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহারের জন্য মাইক্রোসফটের সাথে
চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি ৷ ততদিনে ফোনের মার্কেট দখলে
চলে যায় অন্যদের হাতে ৷
ব্যবসা ছোট হোক কিংবা বড় ৷ আপনার একটা ভুল সিদ্ধান্ত আপনার ব্যবসার অনেক
বড় ক্ষতি করে দিতে পারে ৷ নোকিয়ার তার সর্বোৎকৃষ্ট প্রমাণ ৷দীর্ঘ সময়ের
বিশ্ব ব্যাপি বিখ্যাত কোম্পানি মাএ কয়েক মাসের মধ্যে হারিয়ে যায় শুধু একটা
ভুল সিদ্ধান্তে ৷ তাই সর্বক্ষেত্রে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেটা ভালো
করে বিবেচনা করা উচিত আমাদের ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন