sad লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
sad লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

- পিরিয়ডের কথা,,, ভুল হলে মাফ করে দেবেন, 🙏🙏🙏

- পিরিয়ডের কথা,,, ভুল হলে মাফ করে দেবেন, 🙏🙏🙏 পৃথিবীর ছেলেরা একবার, মাত্র একবার যদি পিরিয়ডের ৩ দিনের যন্ত্রনা ভোগ করতো তাহলে মেয়েরা নিত্যদিনের বেঁচে থাকা আর একটু অপমানের হাত থেকে রেহাই পেতো....!😊 যদি বুঝতো তলপেট চেপে ধরে শরীর উল্টানো ব্যথার কান্না কতটা ভয়ঙ্কর তাহলে খুড়িয়ে হাঁটতে দেখে মুচকি হাসি দিতো না। হাতটা ধরে রাস্তা পার করে দিতো।🙂 যদি টের পেতো কি সাংঘাতিক কষ্ট নিয়ে একটা মেয়ে মাসচক্রের এই ৫-৬ দিনের সময়টা পার করে! চিটচিটে, গা ঘিনঘিনে একটা অস্বস্তিকর অবস্থা নিয়ে ক্লাস, অফিস, সংসার, মাটিকাটা, ইটভাঙা,সবকিছু রুটিন মেনেই করে যায়। তাহলে অন্তত এটাকে নিয়ে উপহাস করতো না।😢 কালচে রক্তের ছাপ শাড়িতে, কামিজে,প্যান্টে দেখলেই খুব মজা লাগে। হেসে গড়াগড়ি খেয়ে অন্যের গায়ে পড়ে বলতে শুনেছি___ মামা তোর কি মাসিক চলতেছে? আজকে কয় দিন..?😢🙄 কিন্তু একটাবারো ভেবে দেখে না এই সময়টা আসে বলেই, এই কষ্টটা হয় বলেই কিন্তু আমাদের মত সন্তানদের জন্ম হয়। আর আমরাই এটাকে হাসির খোরাক বানায়।😢🥀 কোন দোকান থেকে ন্যাপকিন বা প্যাড কিনতে দেখলেই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটা বলে উঠে,পাউরুটির প্যাকেট নাকি ঐটা বলেই অট্টহাসিতে গড়িয়ে পড়ে। কিন্তু একটা বারও যদি বুঝতো ঐ পাউরুটির মত ন্যাপকিন বা প্যাড টা ব্যবহার করতে গিয়ে তাদের কতটা বিরক্তিকর অবস্থার ভিতর দিয়ে কাটাতে হয়।🙂🐸 একটা মেয়েকে ন্যাপকিন কিনতে দেখে মজা করছেন, তো মাত্র দুই ঘন্টা একটা ন্যাপকিন আন্ডারওয়ারে লাগিয়ে বাহির দিয়ে হেঁটে আসলেই বোঝা যেতো সে কত বড় বাঘের বাচ্চা! আমার বড় মায়ের পিরিয়ড হয়েছে বলেই আমার নানীর জন্ম, আমার নানীর পিরিয়ড হইছে বলেই আমার মায়ের জন্ম, আমার মায়ের পিরিয়ড হইছে বলেই আমার জন্ম…।❤️🥀 এটা চক্র!!! এটাকে নিয়ে ঠাট্টা বা উপহাস করার মত কোন বিষয় নয়,🙂 সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই...। একজন নারী যে পরিমান শারিরিক কষ্ট বা যন্ত্রনা ভোগ করে থাকে তার অর্ধেকটা যদি কোন পুরুষ পেতো তবে বেঁচে থাকার নামও মুখে নিতো না আর। তাই এটাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা না করে,তাদের দিকে সাহায্যের হাত এগিয়ে দিন,🙂 আর ভুল কিছু বলে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন,🙂🙂

বর্তমান ঢাকার বাস্তবতা..!!

 বর্তমান ঢাকার বাস্তবতা..!!
নিউমার্কেট থেকে ছবি বাঁধাই করে ফিরছি বাসায়। পথে শুকনা লম্বা ফর্সামতন একটি ছেলে বাসে উঠল। তার পিঠে স্কুল ব্যাগ। পরনে পাঞ্জাবি আর ফুলপ্যান্ট। একটু পর দেখলাম ভালো মানের কিছু টুথব্রাশ বের করল ব্যাগথেকে। বাসে বিক্রি করতে লাগল। মনেহল গাতানুগতিক কোনো হকার সে নয়। আমার অনতিদূরে একটি সিট খালি পেয়ে বসেছে সে। এতো ভদ্রটাইপ হকার কখনও দেখিনি ঢাকা শহরে। সুযোগ পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম পড়ালেখা করে কি না। ছেলেটি বলল, জি ক্লাশ টেনে পড়ি।
- তো তুমি ফেরি করছো যে?
- আসলে আমার আব্বু স্কুল টিচার। বেসরকারি স্কুল। টিউশানিও বন্ধ, বেতনও বন্ধ। বাসা ভাড়া, খাওয়া খরচার ইনকামের সামর্থ্য নেই আব্বুর। শিক্ষক মানুষ অন্য কিছু করতেও লজ্জার ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমি পথে নেমেছি।
- এটা তোমার স্কুলব্যাগ?
- জি।

- কত থাকে দৈনিক?
- তা প্রায় ৬শ টাকার মত থাকে।
এরই মধ্যে আরেকটি স্টপেজ চলে এলে ছেলেটি নেমেগেল। আমি পিতৃত্বের চোখ দিয়ে চেয়ে রইলাম যতদূর দেখাযায়।