🔹🔵🔹জুম’আর আদব🔹🔵🔹
লক্ষ্য করুন কম কম বয়সী সুস্থ মানুষ মারা যাচ্ছে তাহলে মৃত্যুর কথা স্মরণ করা উচিত নাকি
ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে খাবার খান নাকি জাদূর জিনিস খাচ্ছেন ?
মেয়েদের জন্য ১৫ টি হাদিস ||
আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা
বাচ্চা দের ছোটকাল থেকে ইসলামের শিক্ষা দিন
আল্লাহ ছোট ছোট সমস্যা দিয়ে দেয় আর কোটিপতি রাতারাতি পথের ফকির হয়ে যায়
জুমার দিনে তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করণীয় ও ফযিলত
আল্লাহকে সন্তুষ্ট করুন (দুনিয়াতে), তিনিও আপনাকে সন্তুষ্ট করবেন (আখিরাতে)।
সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিখ্যাত ক্বারী শায়খ নূরীন মুহাম্মদ সিদ্দীকের ইন্তেকাল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিঊন!
লেখাটা পড়তে গিয়ে শরীরের লোম দাড়িয়ে যায় !
জান্নাতীরা জান্নাতে নিজ গৃহে অবস্থান করবেন । এমন সময় দরজায় কেউ কড়া নাড়বে।
দরজা খুলে দেখবেন একজন ফেরেস্তা দাঁড়িয়ে ।
তিঁনি বলবেন ‘চলো আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার সাথে দেখা করে আসি।
তিনি তখন খুবই উল্লাসিত হয়ে বের হয়ে এসে দেখবেন খুব সুন্দর একটা বাহন তাঁর জন্য প্রস্তুত ।
বাহন ছুটে চলবে খুব বিস্তৃত নয়নাভিরাম মাঠ দিয়ে যা স্বর্ণ আর মণি মুক্তা খচিত পিলারে সাজানো ।
জান্নাতিরা খুব পরিতৃপ্তি নিয়ে ছুটবে ।
এমন সময় আলো দেখবে আলোর পর আরো আলো । তারপর আরো আলো ।
জান্নাতীরা তখন উল্লাসিত হয়ে ফেরেস্তাদের জিজ্ঞেস করবেন ‘ আমরা কি আল্লাহ্কে দেখেছি ?
অতপর ফেরেশতা বলবেন না,
আমরা সে পথেই ছুটছি ।
হঠাৎ জান্নাতীরা শুনবেন গায়েবী আওয়াজ -
* আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল জান্নাহ্ *
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা স্বয়ং সালাম দিচ্ছেন জান্নাতীদের ।
খুবই আবেগময় হবে সে মুহূর্তটা !!!
আল্লাহু আকবার ।
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালার সালামের জবাবে তখন জান্নাতীরা বলবেন,
আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।
হে আল্লাহ্! আপনি শান্তিময় এবং আপনা হতেই শান্তি উৎসারিত হয়।। আপনি বরকতময় হে মহান ও সম্মানের অধিকারী ।
তখন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা জিজ্ঞেস করবেন,
তোমরা কি খুশী ?তোমরা কি সন্তুষ্ট ?
ও আল্লাহ্, জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে
আমাদের আপনি জান্নাত দিয়েছেন !
আমরা অসন্তুষ্ট হই কি করে !
জান্নাতীরা জবাব দিবেন ।
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা তখন জিজ্ঞেস করবেন,
তোমাদের আর কি চাই ?
তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ্) বলবেন-
আর কিছু চাই না ।
না না । আজ তো দেয়ার দিন । আমি আরও দিব ।
বলো কি চাও ।
তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ।) সমস্বরে বলে উঠবেন-
ও আল্লাহ্, আমরা আপনাকে দেখতে চাই ।
আপনাকে দেখি নি কখনও ।
আপনাকে আমরা ভালবাসি ।
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা তখন পর্দা সরিয়ে দেবেন
সৃষ্টি এবং স্রষ্টা মুখোমুখি ।
চোখ বন্ধ করে একটু চিন্তা করুন ।
সারাজীবন দুনিয়াতে যাকে ডেকেছেন ।
যাকে না দেখে চোখ দুটো অঝোরে কেঁদেছে ।
কাউকে না বলা আপনার একান্ত কথাগুলো যাকে বলেছেন ।
খুব বিপদে কেউ নেই পাশে, কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন।
পকেট ফাঁকা, ঘরে খাবার নেই, অনিশ্চিত উৎস থেকে খাবারের ব্যবস্থা যিনি করেছেন । কত চাওয়া, মাকে বলেন নি, বাবাকেও না , রাতের আঁধারে কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন ।
কত অপরাধ করেছি, কেউ দেখে নি । একজন দেখেছেন কিন্তু গোপন রেখেছেন । বারবার ভুল করেছি, যিনি মাফ করে দিয়েছেন, অদৃশ্য ইশারায় সাবধান করেছেন । মমতাময়ী মা, আমার আদরের সন্তান, প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালবাসা দিয়ে অদৃশ্য ভালবাসায় আমাকে যিনি ভালবেসেছেন সবচেয়ে বেশী । সবচেয়ে আপন, সুমহান সেই প্রতিপালকের মুখোমুখি ...
সাহাবীদের প্রশ্নের জবাবে রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
পৃথিবীতে আমরা যেমন চাঁদকে স্পষ্ট দেখি ,
আমরা আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা'য়ালাকে
তেমনি দেখব ইনশাআল্লাহ্ ।
এ যে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামাহ্ ! সুবহানআল্লাহ্
ইয়া আল্লাহ্ - স্বল্প সংখ্যক সেই মহা সৌভাগ্যবানদের তালিকায় আমাদের নামটা যোগ করে দিন ।
_____________🔘 আমিন !🔘_____________
কবর মানুষকে দিনে ৭০ বার করে স্মরণ করে
যে ব্যাক্তি আমার চল্লিশটি হাদীস আমার উম্মতের কাছে পৌছাবে, তার জন্য আমি কিয়ামতের দিন বিশেষ ভাবে সুপারিশ করব।"❤
2. মানুষের মধ্যে যারা মৃত্যুকে বেশি স্মরণ করে এবং উহার জন্য প্রস্তুতি নেয় তারাই সবচেয়ে বুদ্ধিমান। "
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
3. প্রত্যেক জিনিসের যাকাত আছে, আর দেহের যাকাত হচ্ছে রোজা।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
4. যে তার সময় আল্লাহর জন্য ব্যয় করে না, তার জন্য জীবন অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
5. যারা সবসময় ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে তাদের সাথে উঠা বসা করুন, কেননা তাদের হৃদয় সবচেয়ে কোমল হয়।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
6. তুমি যত সিজদা দিবে, আল্লাহ তত গুনাহ মাফ করে দিবেন।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
7. সুরা ফাতিহা প্রায় ১০০০ রোগের ঔষধ"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
8. হাতের তালুতে জ্বলন্ত আগুনের কয়লা রাখলে যেমন কষ্ট হবে, তার চেয়ে বেশি কষ্ট হবে শেষ জামানায় ইমান রাখতে।"
___হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
9. রোজাদারদের জন্য প্রতিদিন জান্নাত সুসজ্জিত করা হয়।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
10. রাসুল (সাঃ) বলেছেন
কিয়ামতের দিন সব নবীর চেয়ে আমার উম্মতের সংখ্যা বেশি হবে, এবং আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজা খুলবো।"
(সহীহ মুসলিম :১৯৬)
11. যে ব্যাক্তি রোজা রাখা অবস্থায় মারা যাবে আল্লাহ তাকে, কেয়ামত পর্যন্ত সকল রোজার সাওয়াব দান করবেন।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
12. যে ব্যাক্তি ফযরের নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর হিফাজাতে চলে গেলো। "
___হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
13. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন__
রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে।"
(মুসনাদে আহমাদ : হাদিস ৬৬২৬)
14. নবীজি বলেছেন__
রোজাদারদের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির সংবাদ হলো, হাশরের মাঠে আল্লাহ সবার আগে রোজাদারদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
15. যখন রমজান আসে, তখন জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
16. রাসূল (সাঃ) বলেন--
যখন কোনো বান্দা আল্লাহর দিকে দুটি হাত উঠায়, তখন তিনি তা ব্যার্থ বা শূন্য ভাবে ফিরিয়ে দেন না।
(তিরমীজি-৫/৫০২)
17. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন-
একটি খেজুরের অর্ধেক হলেও দান করে, জাহান্নামের শাস্তি হতে নিজেকে হেফাজত করো।"
(বুখারীঃ৬০২৩)
18. যদি ভালো হতে চাও তবে সর্ব প্রথম মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
19. তুমি যখন রাস্তা দিয়ে যাও তখন আল্লাহর নামে জিকির কর, কারণ হাশরেরদিন ঐ রাস্তা তোমার নামে সাক্ষি দিবে।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
20. তোমরা সবসময় ওযু করো কারণ কিয়ামতের দিন, যারা ওযু কারী তাদের হাত-পা উজ্জ্বল থাকবে।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
21. যার দুঃখ বেশি তার প্রতি আল্লাহর রহমতও বেশি।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
22. যখনি নামাজে দাঁড়াবেন, জীবনের শেষ নামাজ মনে করবেন।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
23. যে মহিলা গর্ভাবস্থায় এক খতম কোরআন পাঠ করবে তার গর্ভের ঐ সন্তান এক জন নেককার বান্দা হিসেবে দুনিয়াতে আগমন করবে।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
24. চুপ থাকার কারণে মানুষের যেই মর্যাদা হাসিল হয়, তা ষাট বছর নফল ইবাদত হতে উত্তম
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
25. রাসূল (সাঃ) বলেছেন,_______
"জান্নাতের সবচেয়ে নিকটবর্তী আমল
হলো সময়মতো সালাত আদায় করা।"
(সহীহ মুসলিম -- ২৬০)
26. যে ধোকা দেয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়!
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
27. তুমি জানো তুমি সঠিক, তবুও তর্ক করো না।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
28. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন
- তোমরা বিপদে পরে মৃত্যু কামনা করবে না। বরং বলবে, হে আল্লাহ" যে পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখুন এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর তখন আমাকে মৃত্যু দিন
29. সূরা ইয়াসিন কে কোরআনের হৃদয় বলা হয়
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
30. মায়ের একটি কষ্টের নিঃশ্বাস, সাতটি দোযখের চেয়েও ভয়ংকর। আর একটি সুখের হাসি আটটি বেহেস্তের সমান
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
31. যে অন্যের বাবা মা কে গালি দিলো সে যেনো নিজের বাবা মাকেই গালি দিলো ।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
32. রাসূল (সাঃ) বলেছেন
- আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে পারতে, তবে নিশ্চয়ই খুব কম হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে...!
33. মানুষ যদি মৃত ব্যাক্তির আর্তনাদ দেখতে এবং শুনতে পেতো তাহলে মানুষ মৃত ব্যাক্তির জন্য কান্না না করে নিজের জন্য কাঁদত..!
_হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
34. মহানবী (সাঃ) বলেছেন : সূরা ফাতিহা তোমরা ধীরে ধীরে পাঠ করো, কারণ মহান আল্লাহ নিজে তার জবাব দেন।
(মুসলিম-৯১০)
35. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
কিয়ামতের দিন যে জিনিসটি মুমিনদের পাল্লায় ভারী হবে সেটি হচ্ছে সুন্দর চরিত্র।
(আবু দাউদঃ-৪১০১)
36. কবরের ভিতরের প্রথম চাপ
পৃথিবীর সকল কষ্টকে হার মানিয়ে দিবে
হযরত মোহাম্মদ (সঃ)
37. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,
যে ব্যাক্তির অন্তরে এক সরিষা দানা পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
- সহীহ মুসলিম, হাদিসঃ৯১
38. কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তির জন্য সুপারিশ করা হবে যে প্রচুর শীত উপেক্ষা করেও ফজরের নামাজ আদায় করলো।"
_____হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
39. নিশ্চয় মহান আল্লাহ নম্র, তিনি নম্রতা পছন্দ করেন। তিনি নম্র স্বভাবের লোককে যা দান করেন তা কঠিন স্বভাবের লোককে দান করেন না।"
____হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
(আবু দাউদ-৪৮০৭, সহীহ)
40. কবর মানুষকে দিনে ৭০ বার করে স্মরণ করে।" _____হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)