ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে খাবার খান নাকি জাদূর জিনিস খাচ্ছেন ?

ঘুমের মধ্যে যারা সপ্তাহে ২/৩ দিনের মত খাবার খান তাদেরকে অতিমাত্রায় যাদু করা হয়। ঘুমের মধ্যেও যাদু করা হয়। যখন কোন তান্ত্রিক/কবিরাজরা সরাসরি খাদ্য খাওয়াতে পারে না তখন স্বপ্নে জ্বিন শয়তান দ্বারা খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে যাদুর বিষ তাদের শরীরে ঢুকিয়ে দেয়। আবার অনেকে মাসে কয়েক বার অথবা কয়েক মাস এর মধ্যে প্রায়ই খাবার খেয়ে থাকেন। আবার দেখা যায় যে, অনেককে কোন যাদুকর/তান্ত্রিক/কবিরাজরা তাদের কোন ক্ষতি করে না এবং তাদের কোন মানুষ শত্রু নেই। তবুও আপনি খাবার খাচ্ছেন। যারা স্বপ্নের মাধ্যমে খাবার খান তাদের কে বেশিরভাগ, শনিবার এবং মঙ্গল বার, চান্দের প্রথম তারিখে খাইয়ে থাকে। আবার অনেকে স্বপ্নে খাবার খাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু অসুস্থ হচ্ছেন না শারীরিকভাবে। এখন একটু ভাবুন তো এই খাবার কেন খাচ্ছেন? তাহলে, এই খাবারের কারন কি হতে পারে? মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, 'নিশ্চয় শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু'। (সূরা বাকারাহ আয়াত-৩১৬)। ‎ان الشيطان لكم عد وفاتذوه عدوا অর্থ: “শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু কাজেই শয়তানকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করো।” (সুরা ফাতির-৬) একথা আল্লাহ তাআলা সমস্ত মানুষদেরকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেছেন, কাউকে নির্দিষ্ট করে নয়। এখন যারা মনে করেন, আপনাদের কোন শত্রু নাই তারা এই আয়াত দেখুন। মানুষ শত্রু/শয়তান আপনার পিছনে লেগে না থাকলেও অদৃশ্য শত্রু/জ্বিন শয়তান আপনার পিছনে লেগেই থাকবে মৃত্যু পর্যন্ত। যারা যাদুগ্রস্থ সেলফ্ রুকিয়াহ/সরাসরি রুকিয়াহ করতেছেন তারা দেখা গেছে প্রতিরাতেই ঘুমের মাঝে খাবার খাচ্ছেন। এর কারন হলো আপনি যখন শয়তানের সাথে লড়াই করতেছেন, শয়তানও আপনার সাথে লড়াই করতেছে। আপনার আমলের কারনে শয়তানেরও কষ্ট হচ্ছে। তাই সেও আপনাকে খাওয়ানোর মাধ্যমে অসুস্থ/যাদু করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে আপনি সকাল সন্ধ্যার মাসনুন আমলগুলো চালিয়ে যাবেন। সেলফ রুকিয়াহ/সরাসরি রুকিয়াহ বন্ধ করবেন না। এবং নিকস্থ রাক্বীর পরামর্শ নিবেন। ভয়ের কারন নেই! এখন যাদেরকে কেউ যাদু করেনি এবং স্বপ্নে খাবার খান কিন্তু অসুস্থও হচ্ছেন না। তাদের ক্ষেত্রে যদি এমন ব্যক্তি হয় যে, আপনি নিয়মিত সালাত আদায় করেন না, অযথা সময় ব্যয় করেন, নিয়মিত কুরআন তেলোয়াত করেন না, ভিবিন্ন কুফর ও শিরক কাজে লিপ্ত, পরক্রিয়া করেন, অবৈধ সম্পর্ক করেন, অন্যের উপর জুলুম করেন, মিথ্যা কথা ও কসম করেন, বেপর্দায় চলাফেরা করেন ইত্যাদি.... তাদেরকে শয়তান এসব অবৈধ কাজে লিপ্ত করে রাখে। এবং আপনার ভিতরে কৌশলে শয়তানের বিষ ঢুকিয়ে দেয়। তাদেরকে যাদু করে আত্মাকে নষ্ট করে ফেলে যার কারনে আপনি আল্লাহ ইবাদত সমূহ করতে অলসতা বোধ করছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, শয়তানের কৌশল দুর্বল। (সূরাঃ নিসা-৭৬)। তারমানে শয়তান অবশ্যই কৌশল অবলম্বন করে। এখন খাবার খেলেই যে, তা যাদু অথবা শয়তানি যাদু হতে পারে তা নাও হতে পারে। এর জন্য আপনি যদি রাতে ভিবিন্ন খাবার প্রায় খেতে দেখেন তাহলে, এটা কি আসলেই শয়তানের পক্ষ থেকে তা জানার জন্য সকালে উঠে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন তা হলোঃ- সকালে ফজর নামায শেষে অযু অবস্থায় এক লিটার বা কম পানি নিবেন এবং এই দোয়া, সুরা, আয়াত গুলি ৩ বার করে পড়ে ফুঁ দিয়ে পর পর ৩ গ্লাস পানি খালি পেটে খাবেন। (১)দুরুদ শরীফ, নামাজে যেটা পড়েন (২)সূরা ফাতেহা (৩)আয়াতুল কুরসী (৪)সুরা আরাফ হতে -১১৭-১২২ (৫)সূরা ইউনুস হতে -৮১-৮২ (৬)সুরা ত্বহা হতে -৬৯ (৭)ইখলাস (৮)ফালাক (৯)নাস (১০)পুনরায় দুরুদ শরীফ ঐচ্ছিক হিসেবে চাইলে আপনি এগুলো সাথে পাঠ করতে পারেন। ‎أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التامَّاتِ مِنْ شرِّ مَا خَلَقَ আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্ব। ‎بِسْمِ اللَّهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ বি
স্‌মিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা‘আ ইস্‌মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামী‘উল ‘আলীম। যদি পানি আপনি একবারে খেতে না পারেন তাহলে, ২/৩ মিনিট পর পর খাবেন। যদি এই খাবার আপনার জন্য ক্ষতিকারক হয়ে থাকে তবে পানি খাওয়ার পর পরই বমি/টয়লেট/ হয়ে সেই যাদু/বিষ বের হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে কখনো টয়লেট/বমি হওয়া পর পরই শরীর কাপুনি অথবা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আবার এমনটা নাও হতে পারে। যদি এমন হয় তাহলে ভয় না পেয়ে বেশি বেশি আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক, নাস পরতে থাকুন অথবা হেডফোন দিয়ে শুনতে থাকুন। আলহামদুলিল্লাহ কিছুক্ষন পর সুস্থ হয়ে যাবেন। এবার আসুন আমরা কিভাবে রাতে শয়তান থেকে হেফাযত থাকবো- রাতে ঘুমানোর আগে সূরা ফাতিহাসহ আয়াতুল কুরসি, সূরা বাকারাহ শেষ ২ আয়াত, সূরা কাফিরুন, ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে সমস্ত শরীর মাসেহ করে, ঘুমানোর দোয়া পড়ে ডান প্বার্শ হয়ে ঘুমিয়ে যাবেন। অবশ্যই অযু অবস্থায় ঘুমাতে হবে। বিঃদ্রঃ ঘুমের মধ্য খাবার খাওয়া দুটি দিক, যদি কেউ প্রতিনিয়ত খায় তাদের অধিকাংশ যাদুগ্রস্ত, এক্ষেত্রে যদি আসিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে জ্বিনে নিজেই যাদু করে, হয় জ্বিন নিজেই যাদুকর বা অন্য জ্বিনের সাহায্য নিয়ে যাদু করে ব্যক্তি কে নিজের বশে রাখে। দ্বিতীয় :-কেউ যখন যাদুকরের কাছে যায় ব্যক্তি কাছে কিংবা দুরে হলে, যদি খাবার মাধ্যমে যে যাদু করে সেটা ব্যক্তি কে খাইয়াতে অসম্ভ হিলে যাদুকর জ্বিনের সাহায্য খাবার কাজটি করে থাকে

1 টি মন্তব্য: