মানুষের আকর্ষণ তৈরি হয় চার ভাবে।

 

শরীর, চেহারা, যোগ্যতা আর মন দিয়ে।

যে আকর্ষণ শরীর বা যৌনতা থেকে তৈরি হয়, তার স্থায়িত্ব সবচেয়ে কম। বেশ কিছুদিন তা পেলেই আর কোন আকর্ষণ থাকেনা।

এরপর হল চেহারা। এটার স্থায়িত্ব শরীরের আকর্ষণের চেয়ে বেশি। তবে চেহারা সুন্দর হলে আর সংগী বিশ্বাসী হলে তার প্রতি আকর্ষণ থেকেই যায়। বেশিরভাগ আকর্ষণ এই চেহারা কেন্দ্রিক হয়।

এরপরই টেকসই হল যোগ্যতার আকর্ষণ। মানুষের যোগ্যতাও এক ধরনের সৌন্দর্য। যোগ্যতার জন্য যে আকর্ষণ তৈরি হয়, তার স্থায়িত্ব হয় অনেক বেশি।

সবচেয়ে বেশি টেকসই হল মনকেন্দ্রিক আকর্ষণ। কিন্তু মনের আকর্ষণ সহজে তৈরি হয় না। এটির জন্য সময়ের দরকার হয়, অনুভুতি তৈরির দরকার হয়। এটি যেমন ধীরে ধীরে তৈরি হয়, তেমনি এটার স্থায়িত্বও সবচেয়ে বেশি।

কিন্তু সব আকর্ষণই এক সময় কমে যায়। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, এটাই বাস্তবতা।

তবে এর সাথে সাথে সময়ের প্রেক্ষিতে ব্যালান্সও তৈরি হয়ে যায়। আকর্ষণ একসময় গিয়ে পরিণত হয় অভ্যাসে, মায়াতে, দায়িত্বে।

সেই অভ্যাসের কারণে, মায়ার কারণে, দায়িত্বের কারণে দুজন মানুষ বাকি জীবন একসাথে পার করে।

এই আকর্ষণ, অভ্যাস, মায়া, দায়িত্ব- সবগুলো মিলেই একসাথে ভালোবাসা।💜

 

বর্তমান ঢাকার বাস্তবতা..!!

 বর্তমান ঢাকার বাস্তবতা..!!
নিউমার্কেট থেকে ছবি বাঁধাই করে ফিরছি বাসায়। পথে শুকনা লম্বা ফর্সামতন একটি ছেলে বাসে উঠল। তার পিঠে স্কুল ব্যাগ। পরনে পাঞ্জাবি আর ফুলপ্যান্ট। একটু পর দেখলাম ভালো মানের কিছু টুথব্রাশ বের করল ব্যাগথেকে। বাসে বিক্রি করতে লাগল। মনেহল গাতানুগতিক কোনো হকার সে নয়। আমার অনতিদূরে একটি সিট খালি পেয়ে বসেছে সে। এতো ভদ্রটাইপ হকার কখনও দেখিনি ঢাকা শহরে। সুযোগ পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম পড়ালেখা করে কি না। ছেলেটি বলল, জি ক্লাশ টেনে পড়ি।
- তো তুমি ফেরি করছো যে?
- আসলে আমার আব্বু স্কুল টিচার। বেসরকারি স্কুল। টিউশানিও বন্ধ, বেতনও বন্ধ। বাসা ভাড়া, খাওয়া খরচার ইনকামের সামর্থ্য নেই আব্বুর। শিক্ষক মানুষ অন্য কিছু করতেও লজ্জার ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমি পথে নেমেছি।
- এটা তোমার স্কুলব্যাগ?
- জি।

- কত থাকে দৈনিক?
- তা প্রায় ৬শ টাকার মত থাকে।
এরই মধ্যে আরেকটি স্টপেজ চলে এলে ছেলেটি নেমেগেল। আমি পিতৃত্বের চোখ দিয়ে চেয়ে রইলাম যতদূর দেখাযায়।

 

লেখাটা পড়তে গিয়ে শরীরের লোম দাড়িয়ে যায় !

 

জান্নাতীরা জান্নাতে নিজ গৃহে অবস্থান করবেন । এমন সময় দরজায় কেউ কড়া নাড়বে।
দরজা খুলে দেখবেন একজন ফেরেস্তা দাঁড়িয়ে ।
তিঁনি বলবেন ‘চলো আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার সাথে দেখা করে আসি।

তিনি তখন খুবই উল্লাসিত হয়ে বের হয়ে এসে দেখবেন খুব সুন্দর একটা বাহন তাঁর জন্য প্রস্তুত ।
বাহন ছুটে চলবে খুব বিস্তৃত নয়নাভিরাম মাঠ দিয়ে যা স্বর্ণ আর মণি মুক্তা খচিত পিলারে সাজানো ।
জান্নাতিরা খুব পরিতৃপ্তি নিয়ে ছুটবে ।
এমন সময় আলো দেখবে আলোর পর আরো আলো । তারপর আরো আলো ।

জান্নাতীরা তখন উল্লাসিত হয়ে ফেরেস্তাদের জিজ্ঞেস করবেন ‘ আমরা কি আল্লাহ্কে দেখেছি ?
অতপর ফেরেশতা বলবেন না,
আমরা সে পথেই ছুটছি ।
হঠাৎ জান্নাতীরা শুনবেন গায়েবী আওয়াজ -

* আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল জান্নাহ্ *
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা স্বয়ং সালাম দিচ্ছেন জান্নাতীদের ।
খুবই আবেগময় হবে সে মুহূর্তটা !!!
আল্লাহু আকবার ।

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালার সালামের জবাবে তখন জান্নাতীরা বলবেন,
আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।
হে আল্লাহ্! আপনি শান্তিময় এবং আপনা হতেই শান্তি উৎসারিত হয়।। আপনি বরকতময় হে মহান ও সম্মানের অধিকারী ।

তখন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা জিজ্ঞেস করবেন,
তোমরা কি খুশী ?তোমরা কি সন্তুষ্ট ?
ও আল্লাহ্, জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে
আমাদের আপনি জান্নাত দিয়েছেন !
আমরা অসন্তুষ্ট হই কি করে !
জান্নাতীরা জবাব দিবেন ।

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা তখন জিজ্ঞেস করবেন,
তোমাদের আর কি চাই ?

তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ্) বলবেন-
আর কিছু চাই না ।
না না । আজ তো দেয়ার দিন । আমি আরও দিব ।
বলো কি চাও ।

তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ।) সমস্বরে বলে উঠবেন-
ও আল্লাহ্, আমরা আপনাকে দেখতে চাই ।
আপনাকে দেখি নি কখনও ।
আপনাকে আমরা ভালবাসি ।

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা তখন পর্দা সরিয়ে দেবেন
সৃষ্টি এবং স্রষ্টা মুখোমুখি ।
চোখ বন্ধ করে একটু চিন্তা করুন ।
সারাজীবন দুনিয়াতে যাকে ডেকেছেন ।
যাকে না দেখে চোখ দুটো অঝোরে কেঁদেছে ।
কাউকে না বলা আপনার একান্ত কথাগুলো যাকে বলেছেন ।

খুব বিপদে কেউ নেই পাশে, কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন।

পকেট ফাঁকা, ঘরে খাবার নেই, অনিশ্চিত উৎস থেকে খাবারের ব্যবস্থা যিনি করেছেন । কত চাওয়া, মাকে বলেন নি, বাবাকেও না , রাতের আঁধারে কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন ।

কত অপরাধ করেছি, কেউ দেখে নি । একজন দেখেছেন কিন্তু গোপন রেখেছেন । বারবার ভুল করেছি, যিনি মাফ করে দিয়েছেন, অদৃশ্য ইশারায় সাবধান করেছেন । মমতাময়ী মা, আমার আদরের সন্তান, প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালবাসা দিয়ে অদৃশ্য ভালবাসায় আমাকে যিনি ভালবেসেছেন সবচেয়ে বেশী । সবচেয়ে আপন, সুমহান সেই প্রতিপালকের মুখোমুখি ...

সাহাবীদের প্রশ্নের জবাবে রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
পৃথিবীতে আমরা যেমন চাঁদকে স্পষ্ট দেখি ,
আমরা আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা'য়ালাকে
তেমনি দেখব ইনশাআল্লাহ্ ।

এ যে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামাহ্ ! সুবহানআল্লাহ্
ইয়া আল্লাহ্ - স্বল্প সংখ্যক সেই মহা সৌভাগ্যবানদের তালিকায় আমাদের নামটা যোগ করে দিন ।

_____________🔘 আমিন !🔘_____________

আপনি সিঙ্গেল এই নিয়মগুলো মেনে থাকলে আপনার প্রেম হবেই ফেসবুকে

 

মেয়েদের সাথে চ্যাট করার সময় পটাতে চাইলে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেনঃ

১. আইডিতে এড হবার সাথে সাথেই টেক্সট করবেন না মিনিমাম একমাস আইডি ফলো করবেন পোস্টে রিএ্যাক্ট কমেন্ট করবেন যখন মোটামুটি একটা ফেইসভ্যালু ক্রিয়েট হবে একদিন কোন পোস্টের সূত্র ধরে নক দিবেন...

২. মেসেজ করেই ইন্টারভিউ নিতে যাবেন না, শুরুর দিকে যতোটা সম্ভব ফানি কনভারসেশন চালিয়ে যাবেন, মোটামুটি একটা সম্পর্ক হয়ে যাবার পরে আস্তে আস্তে ব্যাক্তিগত ব্যাপারে জানার চেষ্টা করবেন..

৩. হাই হ্যালো কি করেন, খাইছেন কিনা ঘুমাইছেন কিনা ইত্যাদি ফালতু টাইপ কথা কম বলবেন এতে মেয়েরা বিরক্তবোধ হয়,কথা বলাও বন্ধ করে দিতে পারে..

৪. কোন মেয়ে যদি সদ্য ব্রেকাপ করে থাকে তাহলে তাকে ভাল করে শান্ত্বনা দিন কারন ব্রেকাপের পরে যে ছেলে ভাল শান্ত্বনা দিতে পারে তার সাথেই পরে ওই মেয়ের প্রেম হয়..

৫. কোন মেয়ে প্রেম করেন কিনা জিজ্ঞেস করলে কখনো না বলবেন না, সবসময়ই বলবেন একজনকে ভালবাসতেন বাট সে অন্য কোন প্রতিষ্ঠিত ছেলে পেয়ে আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে, এতে করে মেয়েটা আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল হবে..

৬. কোন মেয়েকে যখন প্রপোজ করা হয় তখন সে উল্টো প্রশ্ন করে তাকে কেনো আপনার ভাললাগে? যারা এই প্রশ্নের যতো সুন্দর করে গুছিয়ে উত্তর দিতে পারে তার প্রেম হয় নতুবা হয়না..

৭. মেয়েদের যতো পারেন প্রশংসা করবেন, মানুষ মাত্রই প্রসংসা শুনতে চায়, একটা কালো মেয়েকেও সুন্দর বললে সে মনে মনে খুশি হই..ছবি দেখলে রুপের প্রসংসা করেন আর ছবি না দেখলে মন-মানসিকতার প্রশংসা করুন..

৮. কোন বিষয়ে ভুলেও কোন মেয়ের সাথে তর্ক জড়াবেন না, সহমত ভাই হয়ে সবকিছুতেই মেয়েটাই সঠিক এমন ভাব নিয়ে চলতে হবে..একবার পটে গেলে তখন সহমত ভাই দ্বিমত ভাইও হয়ে যেতে পারবেন😐

৯. ভুলেও কোন মেয়ের সাথে অন্য মেয়ের প্রসংসা করতে যাবেন না কারন মেয়েরা নিজের কাছে অন্য মেয়ের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করেনা, মেয়ের বান্ধবী বা কাজিন নিয়ে টু শব্দও করবেন না😐

১০. বাংলায় মেসেজ টাইপ করবেন, যদি পারেন কবি সাহ্যিতিকদের মতো একটু গুছিয়ে সুন্দর করে কথা বলার চেষ্টা করবেন কারন মেয়েরা ছেলেদের রূপ সৌন্দর্যের চেয়েও কথার প্রেমে বেশী পড়ে! 🙂