ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে খাবার খান নাকি জাদূর জিনিস খাচ্ছেন ?

ঘুমের মধ্যে যারা সপ্তাহে ২/৩ দিনের মত খাবার খান তাদেরকে অতিমাত্রায় যাদু করা হয়। ঘুমের মধ্যেও যাদু করা হয়। যখন কোন তান্ত্রিক/কবিরাজরা সরাসরি খাদ্য খাওয়াতে পারে না তখন স্বপ্নে জ্বিন শয়তান দ্বারা খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে যাদুর বিষ তাদের শরীরে ঢুকিয়ে দেয়। আবার অনেকে মাসে কয়েক বার অথবা কয়েক মাস এর মধ্যে প্রায়ই খাবার খেয়ে থাকেন। আবার দেখা যায় যে, অনেককে কোন যাদুকর/তান্ত্রিক/কবিরাজরা তাদের কোন ক্ষতি করে না এবং তাদের কোন মানুষ শত্রু নেই। তবুও আপনি খাবার খাচ্ছেন। যারা স্বপ্নের মাধ্যমে খাবার খান তাদের কে বেশিরভাগ, শনিবার এবং মঙ্গল বার, চান্দের প্রথম তারিখে খাইয়ে থাকে। আবার অনেকে স্বপ্নে খাবার খাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু অসুস্থ হচ্ছেন না শারীরিকভাবে। এখন একটু ভাবুন তো এই খাবার কেন খাচ্ছেন? তাহলে, এই খাবারের কারন কি হতে পারে? মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, 'নিশ্চয় শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু'। (সূরা বাকারাহ আয়াত-৩১৬)। ‎ان الشيطان لكم عد وفاتذوه عدوا অর্থ: “শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু কাজেই শয়তানকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করো।” (সুরা ফাতির-৬) একথা আল্লাহ তাআলা সমস্ত মানুষদেরকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেছেন, কাউকে নির্দিষ্ট করে নয়। এখন যারা মনে করেন, আপনাদের কোন শত্রু নাই তারা এই আয়াত দেখুন। মানুষ শত্রু/শয়তান আপনার পিছনে লেগে না থাকলেও অদৃশ্য শত্রু/জ্বিন শয়তান আপনার পিছনে লেগেই থাকবে মৃত্যু পর্যন্ত। যারা যাদুগ্রস্থ সেলফ্ রুকিয়াহ/সরাসরি রুকিয়াহ করতেছেন তারা দেখা গেছে প্রতিরাতেই ঘুমের মাঝে খাবার খাচ্ছেন। এর কারন হলো আপনি যখন শয়তানের সাথে লড়াই করতেছেন, শয়তানও আপনার সাথে লড়াই করতেছে। আপনার আমলের কারনে শয়তানেরও কষ্ট হচ্ছে। তাই সেও আপনাকে খাওয়ানোর মাধ্যমে অসুস্থ/যাদু করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে আপনি সকাল সন্ধ্যার মাসনুন আমলগুলো চালিয়ে যাবেন। সেলফ রুকিয়াহ/সরাসরি রুকিয়াহ বন্ধ করবেন না। এবং নিকস্থ রাক্বীর পরামর্শ নিবেন। ভয়ের কারন নেই! এখন যাদেরকে কেউ যাদু করেনি এবং স্বপ্নে খাবার খান কিন্তু অসুস্থও হচ্ছেন না। তাদের ক্ষেত্রে যদি এমন ব্যক্তি হয় যে, আপনি নিয়মিত সালাত আদায় করেন না, অযথা সময় ব্যয় করেন, নিয়মিত কুরআন তেলোয়াত করেন না, ভিবিন্ন কুফর ও শিরক কাজে লিপ্ত, পরক্রিয়া করেন, অবৈধ সম্পর্ক করেন, অন্যের উপর জুলুম করেন, মিথ্যা কথা ও কসম করেন, বেপর্দায় চলাফেরা করেন ইত্যাদি.... তাদেরকে শয়তান এসব অবৈধ কাজে লিপ্ত করে রাখে। এবং আপনার ভিতরে কৌশলে শয়তানের বিষ ঢুকিয়ে দেয়। তাদেরকে যাদু করে আত্মাকে নষ্ট করে ফেলে যার কারনে আপনি আল্লাহ ইবাদত সমূহ করতে অলসতা বোধ করছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, শয়তানের কৌশল দুর্বল। (সূরাঃ নিসা-৭৬)। তারমানে শয়তান অবশ্যই কৌশল অবলম্বন করে। এখন খাবার খেলেই যে, তা যাদু অথবা শয়তানি যাদু হতে পারে তা নাও হতে পারে। এর জন্য আপনি যদি রাতে ভিবিন্ন খাবার প্রায় খেতে দেখেন তাহলে, এটা কি আসলেই শয়তানের পক্ষ থেকে তা জানার জন্য সকালে উঠে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন তা হলোঃ- সকালে ফজর নামায শেষে অযু অবস্থায় এক লিটার বা কম পানি নিবেন এবং এই দোয়া, সুরা, আয়াত গুলি ৩ বার করে পড়ে ফুঁ দিয়ে পর পর ৩ গ্লাস পানি খালি পেটে খাবেন। (১)দুরুদ শরীফ, নামাজে যেটা পড়েন (২)সূরা ফাতেহা (৩)আয়াতুল কুরসী (৪)সুরা আরাফ হতে -১১৭-১২২ (৫)সূরা ইউনুস হতে -৮১-৮২ (৬)সুরা ত্বহা হতে -৬৯ (৭)ইখলাস (৮)ফালাক (৯)নাস (১০)পুনরায় দুরুদ শরীফ ঐচ্ছিক হিসেবে চাইলে আপনি এগুলো সাথে পাঠ করতে পারেন। ‎أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التامَّاتِ مِنْ شرِّ مَا خَلَقَ আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্ব। ‎بِسْمِ اللَّهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ বি
স্‌মিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা‘আ ইস্‌মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামী‘উল ‘আলীম। যদি পানি আপনি একবারে খেতে না পারেন তাহলে, ২/৩ মিনিট পর পর খাবেন। যদি এই খাবার আপনার জন্য ক্ষতিকারক হয়ে থাকে তবে পানি খাওয়ার পর পরই বমি/টয়লেট/ হয়ে সেই যাদু/বিষ বের হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে কখনো টয়লেট/বমি হওয়া পর পরই শরীর কাপুনি অথবা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আবার এমনটা নাও হতে পারে। যদি এমন হয় তাহলে ভয় না পেয়ে বেশি বেশি আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক, নাস পরতে থাকুন অথবা হেডফোন দিয়ে শুনতে থাকুন। আলহামদুলিল্লাহ কিছুক্ষন পর সুস্থ হয়ে যাবেন। এবার আসুন আমরা কিভাবে রাতে শয়তান থেকে হেফাযত থাকবো- রাতে ঘুমানোর আগে সূরা ফাতিহাসহ আয়াতুল কুরসি, সূরা বাকারাহ শেষ ২ আয়াত, সূরা কাফিরুন, ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে সমস্ত শরীর মাসেহ করে, ঘুমানোর দোয়া পড়ে ডান প্বার্শ হয়ে ঘুমিয়ে যাবেন। অবশ্যই অযু অবস্থায় ঘুমাতে হবে। বিঃদ্রঃ ঘুমের মধ্য খাবার খাওয়া দুটি দিক, যদি কেউ প্রতিনিয়ত খায় তাদের অধিকাংশ যাদুগ্রস্ত, এক্ষেত্রে যদি আসিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে জ্বিনে নিজেই যাদু করে, হয় জ্বিন নিজেই যাদুকর বা অন্য জ্বিনের সাহায্য নিয়ে যাদু করে ব্যক্তি কে নিজের বশে রাখে। দ্বিতীয় :-কেউ যখন যাদুকরের কাছে যায় ব্যক্তি কাছে কিংবা দুরে হলে, যদি খাবার মাধ্যমে যে যাদু করে সেটা ব্যক্তি কে খাইয়াতে অসম্ভ হিলে যাদুকর জ্বিনের সাহায্য খাবার কাজটি করে থাকে

পৃথিবীর সবচেয়ে কনিষ্ঠা মা... যিনি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে গর্ভবতী হন

((পৃথিবীর সবচেয়ে কনিষ্ঠা মা... যিনি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে গর্ভবতী হন....)) ছবিটা দেখে কি মনে হচ্ছে....??? এরা দুজন সম্পর্কে কি হতে পারে...! !?? ভাই বোন নিশ্চয়ই....!! যদি আপনার উত্তর এটাই হয় তবে আপনি ভূল....!!! পৃথিবীর ইতিহাস জুড়েই এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যা সত্যি বলে বিশ্বাসই করতে ইচ্ছে করে না। এমন কিছু অনন্য রেকর্ড রয়েছে, যা সকলকে হতবাক করে দেয়। এরকমই এক অত্যদ্ভূত রেকর্ডের অধিকারী দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর বাসিন্দা লিনা মেদিনা। বিশ্বের ইতিহাসে সর্বকণিষ্ঠ বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড করেছিলেন তিনি। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনা হল, লিনা যখন তার প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন মাত্র পাঁচ বছর বয়সে! ১৯৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পেরুর ট্রিকাপো নামে এক ছোটো শহরে জন্ম হয়েছিল তার। লিনার যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন তার বাবা-মা লক্ষ্য করেছিলেন তার পেট হঠাৎ ফুলতে শুরু করেছে। তারা প্রথমে ভেবেছিলেন লিনার সম্ভবত পেটের কোনও রোগ হয়েছে। কিংবা তার পেটে টিউমার হয়েছে। গভীর উদ্বেগে তারা লিনাকে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা বিভিন্ন রোগের জন্য ছোট্ট লিনার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। কিন্তু, কিছুতেই তার রোগ ধরতে পারছিলেন না। অবশেষে, ধরা পড়ে যে লিনা গর্ভবতী, এক সন্তানের জন্ম দিতে চলেছে সে। চিকিৎসকরা এই আবিষ্কারে একেবারে হতবাক হয়ে যান। এরপর লিনাকে হাসপাতালে ভর্তি করে একদল চিকিৎসক পরীক্ষা করে এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালের ১৪ মে, মাত্র ৫ বছর ৭ মাস ১৭ দিন বয়সে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন লিনা। অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল ডাক্তারদের। লিনা যে পুত্রের জন্ম দিয়েছিলেন সেও সুস্থই ছিল। ঘটনাচক্রে, ওই দিনটি আবার পেরুতে মাতৃ দিবস হিসাবে পালিত হয়। ১৯৭২ সালে বিবাহ করেছিলেন লিনা। নার্সের কাজ করতেন। তার সেই সন্তান জীবিত ছিল ৪০ বছর। কিন্তু, এত ছোট বয়সে লিনা কীভাবে গর্ভবতী হল, সেই প্রশ্নের উত্তর আজও পাওয়া যায়নি। মনে করা হয়, সম্ভবত পরিবারের বা প্রতিবেশীদের কেউ তাকে ধর্ষণ করেছিল। কিন্তু, ৫ বছর বয়সে কীভাবে সন্তান ধারণ সম্ভব তা নিয়ে রহস্য রয়ে গেছে। সাধারণ চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে, মেয়েরা বয়সন্ধিতে না পৌঁছালে তাদের শরীরে সন্তান ধারণের প্রয়োজনীয় হরমোনই তৈরি হয় না। তাই এই ঘটনাটা ডাক্তারদের কাছে শুধু বিস্ময়কর নয়, অসম্ভব ছিল। চিকিৎসা বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা আজও লিনার মাতৃত্বের ধাঁধার উত্তর খুঁজে পাননি।

ঘুমের ভিতর বোবায় ধরা বা sleep paralysis

#বোবায়_ধরা #Sleep_Paralysis বোবায় ধরা (Sleep Paralysis): চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় এই সমস্যাকে বলা হয় স্লিপ প্যারালাইসিস, বা ঘুমের মধ্যে পক্ষাঘাত। স্লিপ প্যারালাইসিস হলে একজন ব্যক্তি কিছু সময়ের জন্য কথা বলা বা নাড়াচাড়া করার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। এটি সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে এক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে ওই সময়টায় রোগী ভীষণ ঘাবড়ে যান, ভয় পেয়ে যান। বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস হল গভীর ঘুম ও জাগরণের মাঝামাঝি একটি স্নায়ুজনিত সমস্যা। ঘুমের ওই পর্যায়টিকে বলা হয় র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট-রেম। রেম হল ঘুমের এমন একটি পর্যায় যখন মস্তিষ্ক খুব সক্রিয় থাকে এবং এই পর্যায়ে মানুষ স্বপ্ন দেখে থাকে। কিন্তু সে সময় শরীরের আর কোন পেশী কোন কাজ করেনা। এ কারণে এসময় মস্তিষ্ক সচল থাকলেও শরীরকে অসাড় মনে হয়। স্লিপ প্যারালাইসিস তরুণ-তরুণী এবং কিশোর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বোবায় ধরা কাদের হয়, কেন হয়? স্লিপ প্যারালাইসিস হওয়ার নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই। এই পরিস্থিতি যে কারও সঙ্গে যেকোনো বয়সে হতে পারে। তবে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা বা এনএইএস-এর তথ্য মতে তরুণ-তরুণী এবং কিশোর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। স্লিপ প্যারালাইসিস হওয়ার পেছনে কিছু কারণকে চিহ্নিত করেছে তারা। ১. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব বা ছেড়ে ছেড়ে ঘুম হওয়া। অসময়ে ঘুমানো। অনেক সময় কাজের সময় নির্দিষ্ট না হলে, অথবা দূরে কোথাও ভ্রমনে গেলে এমন ঘুমের সমস্যা হতে পারে। ২. মাদকাসক্ত হলে অথবা নিয়মিত ধূমপান ও মদপান করলে। ৩. পরিবারে কারও স্লিপ প্যারালাইসিস হয়ে থাকলে। ৪. সোশ্যাল অ্যাঙ্কজাইটি বা প্যানিক ডিসঅর্ডার বা বাইপোলার ডিজঅর্ডারের মতো মানসিক সমস্যা থাকলে। বোবায় ধরার লক্ষণ: ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী স্লিপ পারালাইসিসের সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো হল: ১. বড় করে নিশ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়। মনে হবে যেন বুকের মধ্যে কিছু চাপ দিয়ে আছে। দম বেরোচ্ছেনা। ২. অনেকের চোখ খুলতে এমনকি চোখ নাড়াচাড়া করতেও সমস্যা হয়। ৩. অনেকের মনে হয় যে কোন ব্যক্তি বা বস্তু তাদের আশেপাশে আছে, যারা তার বড় ধরণের ক্ষতি করতে চায়। ৪. ভীষণ ভয় হয়। শরীর ঘেমে যায়। ৫. হৃৎস্পন্দন ও শ্বাস প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। অনেকের রক্তচাপও বাড়তে পারে। ৬. পুরো বিষয়টা কয়েক সেকেন্ড থেকে এক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। প্রভাবটি কেটে গেলে আগের মতো কথা বলা বা নড়াচড়া করায় কোন সমস্যা থাকেনা। তারপরও অনেকে অস্থির বোধ করেন এবং পুনরায় ঘুমাতে যেতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এর চিকিৎসা: স্লিপ প্যারালাইসিস আসলে গুরুতর কোনও রোগ নয়। মাঝে মাঝে নিজে থেকেই ভাল হয়ে যায়। মনকে চাপমুক্ত রাখার পাশাপাশি ঘুমানোর অভ্যাসে ও পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনলে অনেক ক্ষেত্রেই এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা সাধারণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন: ১. রাতে অন্তত ৬ ঘণ্টা থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করা। এবং সেই ঘুম যেন গভীর হয়। ২ . প্রতিদিন রাতে একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠার অভ্যাস করা। এমনকি ছুটির দিনগুলোতেও। ৩. ঘুমের জন্য শোবার ঘরটিতে আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করতে হবে। যেন সেই ঘরে কোলাহল না থাকে, ঘরটি অন্ধকার থাকে এবং তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রায় থাকে, খুব বেশি না আবার কমও না। সম্ভব হলে ঘরে ল্যাভেন্ডারের সুগন্ধি ছিটিয়ে দেয়া যেতে পারে। ৪. ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে ভারী খাবার সেইসঙ্গে ধূমপান, মদ পান এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় যেমন চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ৫. ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত চার ঘণ্টা আগে ব্যায়াম করার চেষ্টা করা। ৬. ঘুমের সময় হাতের কাছে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ অর্থাৎ ঘুমের বাঁধা হতে পারে এমন কোন বস্তু রাখা যাবেনা। ৭. দিনের বেলা দীর্ঘসময় ঘুম থেকে বিরত থাকতে হবে। ৮. স্লিপ প্যারালাইসিস হলে নিজের মনকে প্রবোধ দিতে হবে যে ভয়ের কিছু নেই, এই পরিস্থিতি সাময়িক, কিছুক্ষণ পর এমনই সব ঠিক হয়ে যাবে। এই সময়ে শরীর নাড়াচাড়া করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে। কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে: এসব নিয়ম মেনে চলার পরও যদি কারও বাড়াবাড়ি রকমের স্লিপ প্যারালাইসিস হয় অর্থাৎ আপনার ঘুমে নিয়মিতভাবে ব্যাঘাত ঘটে তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

একা একা কবর খোঁড়ার পর!!

একা একা কবর খোঁড়ার পর!! "লোকটা তেজারতির ব্যবসা করতেন বলেই কি তার জানাযায় লোক হয়নি??তেজারতি নাকি হারাম!অথচ এদিয়ে কতই উপকার হয় মানুষের?? নিজের ভাই যেখানে সামান্য টাকা দিয়ে সাহায্য করে নাহ সেখানে কতই নাহ উপকার করেন এই তেজারতি কারবারিরা??বিনিময়ে লাভ করবেন নাহ??এই লাভটাই নাকি হারাম!!এই দুনিয়ায় লাভ ছাড়া কিছু হয়??এলাকার মানুষের নিষেধ অমান্য করে ইস্কান্দার মির্জা এসেছেন জানাযায়।তার হিসেবে সুদের ব্যবসা অন্যায় কিছু নয়।এসে লাভ ও হয়েছে ঢের।বেশকিছু দলিল পত্র হাতিয়ে নিয়েছেন ইস্কান্দার মির্জা। কোমরে সেটি গুঁজে ফেলেছেন।এদিকে তেজারতি ব্যবসার মুকুটহীন সম্রাট নূরে এলাহির কবরে শোয়াইতে লোকের সংকট দেখা দিলো!তার ছেলেরা থাকে বিদেশে।এলাকার গুটিকয়েক যারা এসেছেন তারা রোগাক্রান্ত দেখতে!অগত্যা ইস্কান্দার মির্জা একাজে ও এগিয়ে আসলেন!লাশ নামিয়ে বিজয়ের হাসি দিলেন।আজকে লোকটার জানাযায় এসে কোটিপতি বনে যাওয়ার আনন্দের ঘটনা কয়জনের জীবনে ঘটে??জানাযা শেষে দীর্ঘ মোনাজাত হলো। ইস্কান্দর কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠলো!বাসায় ফিরতে ফিরতে ইস্কান্দার ভাবলেন নিজেও বিশাল তেজারতির কারবারি হবেন!লোকেদের সুদের বিনিময়ে ঋণ দেয়া পাপের কিছুই নাহ।বাসায় ফিরে গোসল করতে যাবেন কোমরে গুঁজে রাখা কোটিপতি হওয়ার কাগজগুলো বের করতে গেলে পুরো দুনিয়া কেঁপে উঠলো ইস্কান্দর মির্জার!!কাগজ নেই!!তখনি বেরিয়ে গেলেন পুরো রাস্তা খুঁজে পাওয়া গেল নাহ কাগজ।কবরস্থানে গেলেন নাহ হদিস নাই কাগজটার!কাগজটা যে কবরেই পড়ে গেছে বুঝতে বেশিক্ষণ লাগলো নাহ ইস্কান্দার মির্জার!এখন সমাধান??একমাত্র সমাধান হলো কবর খুঁড়ে কাগজ উদ্ধার করা!এটা রাত ছাড়া সম্ভব নয়।এদিকে আকাশজুড়ে মেঘের ঘনঘটা! বৃষ্টি পড়লেই সব শেষ!!আল্লাহ আল্লাহ করে রাত ঘনিয়ে এলো।দ্রুতই রাস্তাঘাটে মানুষের সংখ্যা কমে গেল।শক্তিশালী টর্চ নিয়ে প্রয়োজনীয় অস্ত্র নিয়ে একাই গেলেন কবর খুড়তে!থমথমে পরিবেশে কবর খুড়তে লাগলেন ইস্কান্দার মির্জা!! দীর্ঘ পরিশ্রম শেষে কবর খুড়ে বাঁশ চাটাই সরিয়ে ইস্কান্দার মির্জা পাথর হয়ে গেলেন!লাশটা উল্টে আছে!!মুখে টর্চ মারতে দেখা গেল মানুষের মল উপচে পড়ছে!গায়ে কালো কুচকুচে ছোট্ট ছোট্ট সাপ মাংস ভেদ করে শরীরে প্রবেশ করছে!!নূরে এলাহীর দেহ কেমন নীলাভ আকার ধারন করছে!!রোবট এর মতন ইস্কান্দার মির্জা পুনরায় কবর মাটিতে ভরে দেন।সব ঠিকঠাক করতেই ঝুম বৃষ্টি নামে!বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই তওবা করতে করতে বাসায় ফিরেন ইস্কান্দার মির্জা!! বিড়বিড় করে বলতে লাগলেন "আল্লাহ সুদকে করেছেন হারাম।।ব্যবসাকে করেছেন হালাল!! (ছবির সাথে ঘটনার সম্পর্ক নাই।বহুবছর আগে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া একটি ঘটনা অবলম্বনে লেখা)

ভয়ঙ্কর নেশা, মানুষের মাংস রান্না করে খাওয়া!

#বিস্তারিতঃ #আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগে তৎকালীন জার্মানির মুয়েনস্টারবার্গে বসবাস করত কার্ল ডেনকে, মানুষের কাছে যে পরিচিত ছিল এক আপাদমস্তক ভদ্রলোক হিসেবে। কিন্তু এই লোকটির ছিল এক ভয়ঙ্কর নেশা, মানুষের মাংস রান্না করে খাওয়া!
কার্ল ডেনকের জন্ম ১৮৭০ সালের ১০ আগস্টে, ওবেরকুনজেন্ডরে, আজ যেটা ক্যালিনোইস গোর্ন নামে পরিচিত। দশ বছর বয়সে সে পরিবারের সাথে মুয়েনস্টারবার্গে (আজকে যেটা পোল্যান্ডের জিয়েবিচ) চলে আসে। ছোটবেলায় সে ছিল সরল প্রকৃতির। একই সাথে ছিল একগুঁয়ে ধরনের। কিছুদিন স্কুলে গেলেও শিক্ষকেরা তার উপর অত্যন্ত বিরক্ত ছিল। পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ কিংবা কোনো কিছু আয়ত্ত করার মতো মানসিকতাই ছিল না তার। এজন্য প্রায়ই শাস্তি দেয়া হত তাকে। বারো বছর বয়সে সে স্কুল ছেড়ে দেয়, চলে যায় বাড়ি ছেড়েও। তার বয়স যখন পঁচিশ, তখন বাবা মারা যায়। এরপর পরিবার থেকে কিছু টাকা পেয়ে জমি কিনে চাষবাসের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়, বিক্রি করে দেয় জমি। তারপর একটা বাড়ি কিনলেও, মন্দার কারণে সেটাও বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় সে। বড় হবার পর থেকে তার মধ্যে একাকী থাকবার প্রবণতা দেখা দেয়। তার পরিবারের লোকজন জানায়, ভয় কিংবা বিরক্তি এই দুটো ব্যাপার কখনোই ডেনকের মধ্যে দেখা যায় নি। এমনকি তারা তাকে কখনো অতিমাত্রায় রাগ পর্যন্ত করতে দেখে নি। যৌবনে তো সে একাই থাকত নিজের মতো। কেবল একবার পরিবারের লোকজনের সাথে খেতে এসেছিল সে। ঐ একবারের আগমনটাই মনে রয়ে গেছে তাদের, কারণ ডেনকে সেবারে একাই সাবাড় করেছিল ১ কেজির মত মাংস। তবে শহরের মানুষের কাছে ডেনকে পরিচিত ছিল তার ভদ্রতা, নম্রতা আর বিনয়ের জন্য। মাঝেমধ্যে মানুষকে সাহায্যের জন্যও তার সুখ্যাতি ছিল। স্থানীয় চার্চে বাদ্যযন্ত্র বাজাত সে। চমৎকার আচরণের জন্য তার একটা ডাকনামও জুটেছিল, ঠিক ধর্মীয় যাজকদের মত, ‘ফাদার ডেনকে’। এই ভদ্রতার আড়ালের চেহারাটি প্রকাশ পাবার দিনটি ছিল ১৯২৪ সালের ডিসেম্বরের ২১ তারিখ। সেদিন বেলা ১টার দিকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে ছুটে এল এক লোক, রক্ত ঝরছিল তার শরীর থেকে। ভয়ার্ত চেহারায় সে পুলিশকে জানাল, কার্ল ডেনকে নাকি একটা কুঠার দিয়ে তাকে মারার চেষ্টা করেছে। ভিনসেনজ অলিভার নামের এই লোকটি ছিল ভ্যাগাবন্ড প্রকৃতির। ওদিকে মুয়েনস্টারবার্গের মানুষ ডেনকেকে চিনত একজন ভালো মানুষ হিসেবে। মাত্র নয় হাজার মানুষের বসবাস ছিল সেই শহরে, যেখানে মোটামুটি সবাই সবাইকে চিনত। তাই শুরুতেই পুলিশ বিশ্বাস করল না অলিভারকে। একজন ডাক্তার অলিভারের আঘাতটা পরীক্ষা করে পুলিশকে নিশ্চিত করল যে, তাকে কোনো ভারী অস্ত্র দিয়েই আঘাত করা হয়েছে। এরপর ডেনকেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সে অলিভারের উপর হামলার কথা স্বীকার করল। কিন্তু অলিভারকে একজন চোর ভেবেই তার উপর আঘাত করেছে, এমনটাই দাবি করল সে। অবশ্য নিজের দাবিটা প্রমাণ করে পুলিশের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আর অপেক্ষা করেনি ডেনকে। তাকে থানার হাজতে আটকে রাখার কয়েক ঘণ্টা পরেই সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় তার মৃতদেহ। শহরের মানুষের কাছে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ডেনকে আত্মহত্যা করে গলায় রুমাল পেঁচিয়ে। ডিসেম্বরের ২৪ তারিখে পুলিশ যায় ডেনকের বাড়িতে। ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফ্রেডেরিখ পিয়েত্রুস্কির রিপোর্ট থেকে জানা যায় তারা কী বীভৎস দৃশ্য দেখেছিল সেখানে। সে বাড়িতে পাওয়া গিয়েছিল টুকরো টুকরো মাংস আর হাড়। মাংসগুলো চুবানো ছিল একটা কাঠের ড্রামে লবণ মেশানো পানিতে। মাংসের রং আর প্রকৃতি দেখে তদন্তকারী বিশেষজ্ঞরা জানান, ভিকটিমদের মেরে ফেলার কয়েক ঘণ্টা পর তাদের শরীর টুকরো করার কাজ শুরু করত ডেনকে। তিনটা পাত্রে পাওয়া গিয়েছিল রান্না করা মাংস, সাথে ছিল ক্রিম সস। একটা পাত্রের অর্ধেক পরিমাণ মাংস ছিল না। বোঝাই যাচ্ছিল, গ্রেফতার হবার আগ মুহুর্তে সেটুকু খেয়েছিল ডেনকে। শরীর থেকে মাংস কেটে নিয়ে রান্না করে ডেনকে তো নিজে খেতই, সেগুলো বাজারেও বিক্রি করত শুকরের মাংস বলে। আর সে মাংস দিয়ে আপ্যায়ন করত তার ভিকটিমদের কার্ল_ডেনকে,,!!সে বাড়িতে আরো পাওয়া গিয়েছিল একটা গামলা ভর্তি চর্বি। সেগুলো পরীক্ষা করেও পাওয়া গিয়েছিল মানব প্রোটিনের অস্তিত্ব, মানে ওগুলো ডেনকের হাতে খুন হওয়াদের শরীর থেকেই নেয়া। ডেনকের বাড়িতে, বাড়ির পেছনের জলাশয়ে আর সে শহরের ধারের এক বনের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল মানব শরীরের বিভিন্ন অংশের অবশিষ্টাংশ। তার মধ্যে ছিল হাত, পা, উরু, গলা, বুকসহ মানুষের শরীরের প্রায় সমস্ত অংশের হাড়। আর পাওয়া গিয়েছিল তিনশ একান্নটি দাঁত। দাঁতগুলো রাখা ছিল একটা টাকার থলে, দুটো টিনের বাক্স আর তিনটা কাগজের ব্যাগের ভেতরে। টাকার থলেতে রাখা ছিল কেবল মাড়ির দাঁত, আর অন্যগুলোতে ছিল বাকি দাঁত। ছয়টা ছাড়া বাকি সব দাঁতই খুব ভালোভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল ডেনকে। অন্তত ২০ জন মানুষের দাঁতের নমুনা পাওয়া গিয়েছিল সব মিলিয়ে। পরীক্ষা করে যে কজনের শরীরের অংশ আলাদা আলাদাভাবে বোঝা গেছে, বিশেষজ্ঞদের মতে, তাদের মধ্যে একজনের বয়স ষোল বছরের বেশি ছিল না, একজন ছিল ত্রিশোর্ধ, দুজন বিশোর্ধ আর বাকি চারজন ছিল চল্লিশোর্ধ। ডেনকের বাড়ি থেকে যে হাড় ও অন্যান্য অংশ পাওয়া গিয়েছিল সেগুলো অন্তত আট জন মানুষের শরীরের অংশ বলে জানা যায় পরীক্ষার পর। ডেনকে তার খুন করা মানুষগুলোর চামড়া আর চর্বি থেকে বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী বানাতো। প্যান্ট কিংবা মোজা বাঁধার জন্য বেল্টের মতো যে সাসপেন্ডার নামক লম্বা বন্ধনী ব্যবহার করা সেটা বানাতো চামড়া থেকে। এমনকি আত্মহত্যা করার সময় তার নিজের পরনেই ছিল এমন একটা সাসপেন্ডার। এছাড়াও চামড়া আর চুল দিয়ে দড়ি বানাত ডেনকে। চর্বি থেকে সাবান বানানোর চেষ্টার নমুনাও পাওয়া গেছে তার ঘর থেকে। সে ঘরে আরো পাওয়া যায় একসাথে বেঁধে রাখা অবস্থায় একচল্লিশটি পুরনো কাপড়ের পুটলি। বিভিন্ন মানুষের পরিচয়পত্র আর নানাবিধ কাগজও ছিল। ডেনকে ভিকটিমদের এই ব্যক্তিগত কাগজপত্রগুলো যত্ন করে সংরক্ষণ করেছিল। কয়েকটা কাগজে ডেনকের হাতে লেখা ৩০ জন মানুষের নাম পাওয়া যায়। সেখানে নারী পুরুষ উভয়ের নামই ছিল। কোনো কোনো নামের পাশে সে মানুষটির কিছু তথ্যও লেখা ছিল। সেই লিখিত নামের তালিকার কিছু লোকের পরিচয়পত্রও পাওয়া যায় ঘরে। অর্থাৎ সেই তালিকার সবাই যে ডেনকের হাতে মারা পড়ে তার পেটে গিয়েছিল, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। ধারণা করা হয়, অন্তত চল্লিশ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল ডেনকে। নরঘাতক ডেনকের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া যা কিছু সে ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তার মধ্যে ছিল তিনটা কুঠার, একটা বড় কাঠ কাটার করাত, একটা গাছ কাটার করাত, একটা পিকেক্স বা দুদিকেই ধারালো কুঠার আর তিনটা ছুরি। এই পিকেক্সটা দিয়েই অলিভারের উপর হামলা করেছিল ডেনকে। সবার কাছে এমন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ডেনকে কেন যে এই ভয়ঙ্কর হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছিল তা নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে পুলিশ এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। মানুষের যে স্বাভাবিক নৈতিকতা বোধ থাকে, এই লোকটার মধ্যে হয়ত তেমন কোনো বোধের অস্তিত্বই ছিল না। প্রচণ্ড রকমের স্বার্থপরতা কাজ করত তার ভেতরে। এমনিতে মানুষের ক্ষতি করার ইচ্ছে না থাকলেও, এমন নৃশংস কাজ সে হয়ত করেছে মূলত খাবারের চাহিদার কারণে। আর দশটা মানুষের মতো খাদ্যাভ্যাস তার ছিল না। অনেক বেশি পরিমাণ খাবারের চাহিদা থাকায় সেটা মেটানোর আর কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে এই বীভৎস কাজে নেমে পড়েছিল সে। স্কুলে সে মার খেত বোকা বলে। চাষবাসের চেষ্টা করেও পারে নি। ব্যবসা করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। শৈশব কৈশোর আর যৌবনের গোটা সময় এমন সব ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে অর্থোপার্জনের আর কোনো পথই বাকি ছিল না তার কাছে। তাই খাবার যোগাড় আর টাকা আয়ের জন্য রেলস্টেশন থেকে অপরিচিত মানুষ বাসায় নিয়ে এসে খুন করার কাজ বেছে নিয়েছিল ডেনকে। স্টেশনটা ছিল তার বাসার একেবারে কাছেই। আর তার বাসাটাও শহরের একদম বাইরের দিকে হবার কারণে, কেউ দেখে ফেলারও সুযোগ ছিল না। ছন্নছাড়া, ভিক্ষুক, স্টেশনে আসা অন্য শহরের যাত্রী- ডেনকে এমন মানুষদেরই অতিথি হিসেবে আপ্যায়ন করার আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে যেত নিজের বাসায়। ভ্যাগাবন্ড কিংবা অপরিচিতদের আর কে-ইবা বাসায় নিয়ে খাওয়াতে চায়। সহজেই তাই ডেনকের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে তারা পা দিত নিজেদের মৃত্যুফাঁদে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল এটাই, একটানা ১৫ বছর ধরে কীভাবে ডেনকে চালিয়ে গেল একের পর এক লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড? মুয়েনস্টারবার্গের একটি মানুষও জানতে পারল না, কীভাবে তাদের পছন্দের মানুষ ফাদার ডেনকে দিনের পর দিন তাদের বোকা বানিয়ে, মানুষের মাংস থেকে খাবার আর চামড়া থেকে জুতার ফিতা বানিয়ে বিক্রি করছিল তাদের কাছেই। এমনকি তার প্রতিবেশীরাও টের পায় নি তাদের ঘরের পাশেই কীভাবে চলছিল এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। ভিনসেনজ অলিভারকে আক্রমণের আগে মাত্র দুবার এমন ঘটনা ঘটেছিল, ডেনকের হাত গলে পালিয়ে গিয়েছিল ভিকটিম, যদিও সেগুলো পুলিশ পর্যন্ত গড়ায় নি। একবার এক লোককে সারা গায়ে রক্ত মাখা অবস্থায় দৌড়ে ডেনকের বাড়ি থেকে বের হতে দেখা গিয়েছিল, যাকে এরপর আর কখনো পাওয়া যায় নি। কেউ সেটা পুলিশকে জানানোরও দরকার বোধ করেনি। এর কিছুদিন পরেই আরেকজন লোক ডেনকের প্রতিবেশীদের জানায়, তাকে ডেনকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখতে চেয়েছিল কিন্তু সে তার চেয়ে শক্তিশালী হবার কারণে নিজেকে ছাড়িয়ে আনতে পেরেছিল। কেন জানি ঘটনাটা কেউ গুরুত্বের সাথে নেয় নি। এই ঘটনার কথা সাথে সাথে পুলিশকে জানালে হয়ত ঠেকানো যেত আরও কিছু নিরপরাধ প্রাণের মৃত্যু। তবে ডেনকের প্রতিবেশীরা সবসময় তার বাসা থেকে একটা বিশ্রী রকমের কড়া গন্ধ পেত। কিন্তু কেউ কখনো ভেতরে ঢুকে দেখার আগ্রহ বোধ করেনি কী হচ্ছে তা দেখার। অবশ্য তারা একটু আশ্চর্য হত এই ভেবে যে, দুর্মূল্যের বাজারেও কীভাবে ডেনকের কাছে এত মাংসের মজুদ থাকে। তারা ধরে নিয়েছিল বাজারে মাংসের দাম চড়া হলে ডেনকে হয়ত কালোবাজার থেকে কুকুরের মাংস কিনে খেত। গভীর রাতে তার বাসা থেকে হাতুড়ি পেটানো আর করাত দিয়ে কী জানি কাটার শব্দ শোনা যেত। তখন তারা ভাবত, সে হয়ত পর দিন সকালে বাজারে বিক্রির জন্য খাবার তৈরির কাজ করছে। এই ভেবে ভেবেই তারা কখনও পাত্তা দেয় নি ডেনকের গভীর রাতের কাজকর্মকে। শহরের মানুষের নিস্পৃহতার কারণেই ডেনকের পক্ষে সম্ভব হয়েছিল দিনের পর দিন এই জঘন্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া। সে রাতের বেলা ভারী বস্তা নিয়ে কোথায় যেত, আর কেনইবা খালি হাতে ফিরে আসত সেটা নিয়ে কারো মাথাব্যথা হয় নি। এত রাতে তার কী কাজ, সেই বস্তাতে কী ছিল, কেন শুধু রাতেই নিয়ে যেত সেগুলো, এসব প্রশ্নও কেউ করে নি। সে যেসব পুরনো জামা-জুতা বিক্রি করত বাজারে, সেগুলোই বা কোথা থেকে আসত সেটা নিয়েও কারো মনে সন্দেহ জাগে নি। আসলে ব্যাপারটা হলো, কারো কারো মনে ডেনকের চলাফেরা নিয়ে একটু সন্দেহ থাকলেও, সে যেহেতু শহরের অধিবাসীদের কারো ক্ষতি করে নি, তাই সেটা নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্যও হয় নি। এ সুযোগে ডেনকে তার নৃশংস নরভোজ চালিয়ে গিয়েছিল বছরের পর বছর। [কার্লে ডেনকে নামক এক ব্যক্তি কমপক্ষে ৪২ জনকে মেরে তাদের মাংস খেয়েছেন৷ ধারণা করা হয়, তিনি গ্রামের মানুষদের মেরে তাঁদের মাংস পোল্যান্ডে শূকরের মাংস বলে বিক্রিও করতেন৷ তার শিকার এক ব্যক্তি পালিয়ে গিয়ে পুলিশকে খবর দিলে মানুষের মাংসসহ কার্লেকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ দু’দিন পরে জেলেই আত্মহত্যা করেন কার্লে] #তিনিই হলেন জার্মানের ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার ---সমাপ্ত---

আত্নহত্যা নাকি হত্যা পর্বঃ০১

- "আমার মনে হচ্ছে আমার স্বামীর একটি মেয়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছে। আপনি একটু এব্যাপারে খোঁজ করুন এবং আসলেই কি আমার ধারণা সঠিক কিনা তা জানান।" - "আপাততঃ আমি এসব কেস নিচ্ছি না।" - "প্লিজ স্যার আমি অনেক বড় বিপদে আছি আমাকে একটু সাহায্য করুন। আপনার একটা সাহায্য একটা মেয়ের ঘর বাঁচাতে পারে।" - "আমি কোন ভাবেই এই কেস নিতে পারবো না।" মেয়েটা অনেক অনুরোধ করার পরে-ও ডিটেকটিভ বাহাদুর তার কেসটি নিতে মানা করে দেয়। মেয়েটি আর না পেরে বাহাদুর ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি থেকে বেরিয়ে যায়। মেয়েটি বের হওয়ার পর বাহাদুর খবরের কাগজটি হাতে নিয়ে পড়তে লাগলো। এমন সময় নিহাল বললো, - "গত দুই দিন যাবত তুমি কোন কেসই নিতে চাইছো না আর এখন এই মেয়েটির কেসটি ও নিতে রাজি হলে না কিন্তু কেন?" অনেকটা অভিমানী স্বরে ডিটেকটিভ নিহাল এই কথা বললো। বাহাদুর খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিমায় উওর দিল, - "আপাততঃ এসব কেসে ফোকাস করার ইচ্ছে নেই।" - "কিন্তু মেয়েটার স্বামীর কেসটা তো অনেক সহজ। শুধু কার সাথে অবৈধ সম্পর্ক চলছে এটা খুঁজে বের করতে পারলেই কেস সলভ হয়ে যাবে।" - "আচ্ছা এসব কথা বাদ দাও চলো বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসা যাক।" - "কোথায় যাবে?" - "দেখি কোথায় যাওয়া যায়।" এই বলে বাহাদুর চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতেই দেখল কিছুক্ষণ আগে যে মেয়েটি তার স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কিত কেস নিয়ে এসেছিল সে তার কেসের ডিটেইলসের প্যাকেটটি ভুলক্রমে টেবিলে রেখে চলে গিয়েছে। বাহাদুর প্যাকেটটি তার পকেটে নিয়ে বিইএ থেকে বের হয়ে একটি রিকশা নিয়ে ২টি জায়গায় ঘোরাঘুরি করল। তবে ঘোরাঘুরি করার সময় বাহাদুর একটি কথাও বলেনি। ডিটেকটিভ নিহাল বুঝতে পারল যে বাহাদুর এখানে বেড়াতে আসেনি বরং বাহাদুর কেস ইনভেস্টিগেশন করতে এসেছে কিন্তু কোন কেস ইনভেস্টিগেশন করছে সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। অতঃপর জায়গা দুটি ঘুরে তারা দু'জন একটি চায়ের দোকানে বসলো আর সেখানেই তাদের সাথে দেখা হয়ে গেল পাশের থানার ইন্সপেক্টর জিহাদের সাথে। ইন্সপেক্টর জিহাদ তাদেরকে দেখতেই বলল, - "আসসালামু আলাইকুম ডিটেকটিভ। কেমন আছেন?" ডিটেকটিভ নিহাল উওর দিল, - "ওয়া আলাইকুমুস সালাম ইন্সপেক্টর। আলহামদুলিল্লাহ, আপনি?" - "জি আমিও ভালো তা এখানে কি কোন কেস ইনভেস্টিগেশন করতে এসেছিলেন?" - "হ্যাঁ আবার না দুটোই।" বাহাদুরের মুখ থেকে এমন উওর শুনে কিছুটা বিরক্তির স্বরে জিহাদ বললো, - "আচ্ছা বাহাদুর আপনি সবসময় এতটা রহস্য নিয়ে কথা বলেন কেন? কখনো তো স্বাভাবিকভাবে কথা বলেন।" জিহাদের একথার উত্তরে বাহাদুর একটি মুচকি হাসি দিল। - "বাহ আপনার হাসিতে ও রহস্য আছে।" একথা বলে জিহাদ চায়ে চুমুক দিল। কিছুক্ষণের নীরবতা কাটিয়ে জিহাদ আবারও বললো, - "হঠাৎ করেই এই এলাকায় আত্মহত্যার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় যারা আত্মহত্যা করে তারা তাদের জীবনকে বিন্দু পরিমানও ভালোবাসে না।" এই বলে জিহাদ তার হাতে থাকা ক্যাপটি মাথায় পরে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতে যাবে এমন সময় বাহাদুর বললো, - "কোন কেস কে এক এঙ্গেল থেকে দেখলে সেটা কোনদিনও সলভ করা সম্ভব না। একটা কেস কে একাধিক এঙ্গেল থেকে দেখলে তখনই কেসটা আসলে কিসের সেটা বোঝা যাবে এবং সলভ করাও সহজ হবে।" - "ঠিক কি বলতে চাচ্ছেন বুঝতে পারলাম না?" জিহাদ প্রশ্ন করলো এবং তার প্রশ্নের উওরে বাহাদুর বললো, - "হয়তো কেসগুলো কে একটা এঙ্গেল থেকে দেখছেন তাই আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। যদি বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে দেখেন এবং ভালোভাবে তদন্ত করেন তাহলে বুঝতে পারবে এগুলো আসলে আত্মহত্যা নাকি হত্যা!" - "আপনার ভাষ্য মতে যতগুলো আত্মহত্যার কেস সামনে আসছে সবগুলো হত্যা তাই তো?" - "আমার ভাষ্য বলতে কিছুই নেই ভালোভাবে তদন্ত করলে নিজেই সব প্রশ্নের উওর পেয়ে যাবেন।" বাহাদুর আর কথা না বাড়িয়ে সোজা হাঁটা শুরু করল। তার পিছু পিছু ডিটেকটিভ নিহালও হাঁটা শুরু করলো। ইন্সপেক্টর জিহাদ কিছু জিজ্ঞেস করতে যে ও যেন পারল না। এদিকে ডিটেকটিভ নিহালের মনে হাজারো প্রশ্ন। সে এতো-টুকু সিওর যে, তারা যে দুটি জায়গায় গিয়েছিল সেখানে বাহাদুর ঘুরতে যায় নি বরং কেস ইনভেস্টিগেশন করতে গিয়েছে। খানিক পরে তারা দুজন আবারো বাহাদুর ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তে পৌঁছাল। এজেন্সির ভেতরে প্রবেশ করতেই নিহাল বাহাদুর কে বললো, - "আমি খুব ভাল করেই জানি, যে দুটি জায়গায় আমাকে নিয়ে গিয়েছো বেড়াবে বলে আসলে সে দুটি জায়গায় তুমি ইনভেস্টিগেশন করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোন কেস ইনভেস্টিগেশন করতে গিয়েছ তাতো বলেনি।" বাহাদুর স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন করলো, - "যে দুটি জায়গায় গিয়েছিলাম সে দুটি জায়গা ঠিক কিরকম?" - "আবাসিক এলাকা, কিন্তু কোন কেস ইনভেস্টিগেশন করতে গিয়েছিলে সেটা তো এখনো বলনি?" - "একজন ডিটেকটিভের শুধু ভালো পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা থাকলেই হয় না বরং তার থেকে প্রখর মেধার অধিকারী হতে হয় এবং পুরাতন জিনিস গুলো মনে রাখার অভ্যাস করতে হয়।" - "যেটা বলতে চাচ্ছ একটু সরাসরি বল।" - "গত মাসের ৩ তারিখ ও ১৯ তারিখের খবর কাজগুলো নিয়ে আসো। ওই টেবিলে তৃতীয় ডেস্কে আছে।" বাহাদুরের কথামতো নিহাল ডেস্ক থেকে গত মাসের ৩ তারিখ ১৯ তারিখের খবরের কাগজ গুলো বের করল এবং খবরের কাগজে দুটি বাহাদুরের সামনে দিল। বাহাদুর খবরের কাগজ হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে তারপর নিহালের কাছে নিয়ে বললো, - "গত মাসের ৩ তারিখের খবরের কাগজের ৮ নাম্বার পৃষ্ঠা ও ১৯ তারিখের খবরের কাগজের ১২ নাম্বার পৃষ্ঠা উভয়ের চতুর্থ কলামের ৫ নং খবরটি ভালো করে দেখো।" নিহাল খবর গুলো দেখে বললো, - "আরে এগুলো তো গত মাসে ঘটে যাওয়া আত্মহত্যা খবর গুলো।" - "তুমি এতটা সিওর হয়ে কিভাবে বলতে পারছো যে এগুলো আত্মহত্যা?" - "পুলিশ ইনভেস্টিগেশনে তো ওটাই বলা হয়েছে।" - "তুমি কি জানো না যে খবরগুলো দেখতে সাধারণত আত্মহত্যা মনেহয় সেগুলোর সঠিক তদন্ত হয় না? খবরের কাগজে যে ২ জনের ছবি দেখছ আমরা দুজন আজকে তাদের বাসার আশেপাশে গিয়েছিলাম। তবে দুঃখজনক বিষয় বাসার আশেপাশে তেমন সন্দেহভাজন কোন জিনিসই খুঁজে পেলাম না যেটার মাধ্যমে আমি বলতে পারবো যে এইগুলো হত্যা। বাসার আশেপাশে সবকিছুই স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল আর এমনটা হওয়াও স্বাভাবিক কারণ আমি প্রায় ১ মাস পরে কেসগুলো হাতে নিয়েছি। এতদিনে অল্প ক্লু থাকলে সেগুলো হারিয়ে গেছে। চাইলে তাদের বাসার ভেতরে ঢুকে তদন্ত করতে পারতাম কিন্তু পুলিশ অফিসারেরা যেভাবে তদন্ত করেছিল মনেহয় না কোন ক্লু পেতাম তাই তাদের বাসার ভেতরেও ঢুকিনি। তবে এখনো আমার মন বলছে যে এই কেসগুলো আত্মহত্যা না বরং হত্যা। তবে কোন ক্লু না পাওয়া পর্যন্ত আমি কিছুই প্রমাণ করতে পারবো না।" - "এখন বুঝতে পারলাম আজকে সকালে যে মেয়েটি এসেছিল তার স্বামীর কেস নিয়ে তুমি কেন সে কেসটি নিতে চাওনি। তবে যে কেসটা নিয়ে বর্তমানে তুমি স্টাডি করছ সেটাতো সম্পূর্ণ ক্লু বিহীন কেস। তাই এটার কোন ফলাফলেই আমরা সহজে পৌঁছাতে পারবো না। আর কোন ফলাফলে পৌঁছাতে না পারলে এইগুলা যে হত্যা সেটাও প্রমাণ করা সম্ভব হবে না।" - "এই দুটি খবরের কাগজের আত্মহত্যার খবর দুটি পাশাপাশি রাখ আর ছবিগুলো ভালো করে দেখ। তাহলেই বুঝতে পারবে এগুলো আত্মহত্যা নাকি হত্যা।" ছবিগুলো পাশাপাশি রেখে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর নিহালের ধারণাও পাল্টে গেল। কারণ ছবির দুজনের আত্মহত্যার পদ্ধতিটা একই। ডান হাতে ব্লেড ও বাম হাতের শিড়া কাটা। নিহাল বললো, - "মনে হচ্ছে এ-ই খুনগুলোর খুনি একজনই।" - "তুমি ঠিক ধরেছ সবগুলোর খুনি একজনই। তবে এই একটা মিল দিয়ে আমারা কিছুই প্রমাণ করতে পারবো না।" - "বাহাদুর আমার তোমার প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। যেহেতু এই কেসটা তুমি হাতে নিয়েছ আশা করি এই কেসের শেষ তুমি দেখেই ছাড়বে। কিন্তু তার আগে আমাদের থেকে একটু অন্য ভাবেও চিন্তা করতে হবে। যেহেতু আমরা প্রাইভেট ডিটেকটিভ তাই আমাদের কাছে যেসব কেস আসবে আমরা যদি সেগুলো নিতে মানা করে দেয় তাহলে পরবর্তীতে হয়তো অনেকেই কেস দিতে চাইবে না। শুধু তাই না কেস না নেওয়া যেমন আমাদেরকে আর্থিক ভাবে ভালো আঘাত করছে তেমনি মানুষদের কে সার্ভিস দেওয়া থেকে ও দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। তাই আমি বলবো আজকে সকালে যে মেয়েটা এসেছিল তার স্বামীর কেস নিয়ে তুমি ওই কেসটা হাতে না-ও। যেহেতু মেয়েটা নিজ থেকেই বলেছে তার স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক চলছে সেহেতু কেসটা আরও বেশি সহজ হয়ে গেল। এখন আমরা শুধু ওই মেয়েটা কে খুঁজলেই হবে যে পরকীয়া সম্পর্কের মূল। এই কেসটা সলভ হয়ে গেলে তারপর নাহয় অন্য কেস নিয়ে ভালো ভাবে চিন্তা করবে।" অতঃপর বাহাদুর নিহালের কথায় সম্মতি জানালো। বাহাদুরের সম্মতি পেয়ে নিহাল যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেল। উচ্ছসিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল, - "তা কেসটা কিভাবে তদন্ত শুরু করবে?" - "আমার কাছে মেয়েটার স্বামীর কেস ডিটেলসের প্যাকেট টি আছে। আগে ভালো করে কেসের ডিটেইলস দেখি তারপর সিদ্ধান্ত নেব কিভাবে কেসটা তদন্ত শুরু করবো।" যে-ই ভাবা সেই কাজ, বাহাদুর তার পকেটে থেকে কেসের ডিটেলসের প্যাকেট টি বের করে সেটি খুলতেই একটি ছেলে ও একটি মেয়ের ছবি বেরিয়ে আসলো। ছবিগুলোর পেছনে লেখা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে ছেলের ছবিটি হলো মেয়েটির স্বামীর। নাম আসফাক আহমেদ আর মেয়ের ছবিটি হলো মূল আসামির অর্থাৎ আসফাক আহমেদের যার সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছে তার। মেয়েটির নাম অন্তরা খানম। বাহাদুরের হাত থেকে ছেলের ছবিটি নিয়ে নিহাল এক প্রকার চেঁচিয়ে বলে উঠলো, - "আরে এই ভদ্রলোককে তো আমি আগেও দেখেছি!" - "কোথায় দেখেছ?" বাহাদুর অনেকটা কৌতুহলী হয়ে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করল। - "পাহাড়তলীর ডেলা টাওয়ারের সামনেই তার সাথে দেখা হয়েছিল। তবে আমাদের দেখা হওয়ার দৃশ্যটি খুবই অদ্ভুত ছিল। আমি ডেলা টাওয়ার অতিক্রম করে সামনে অগ্রসর হচ্ছিলাম আর তিনি ঢুকছিলেন এমন সময় আমাদের দুজনের একে অপরের সাথে খুব বাজে ভাবে ধাক্কা লাগে। যার ফলে তিনি তার বাঁহাতে খুব বেশি ব্যাথা পান এবং তার হাতে থাকা জিনিসগুলো পরে যায়। তারপর আমি নিজে সেসব জিনিস গুলো তার বাসা পর্যন্ত নিয়ে যায়। তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো ভদ্রলোক ধন্যবাদ দেওয়া তো দূরে থাক আমার মুখের উপর এমনভাবে দরজা বন্ধ করলেন যেন ঘরের মধ্যে অনেক মূল্যবান কিছু লুকিয়ে রেখেছেন।" - "তোমার কি মনে আছে কত তলার কত নাম্বার ফ্ল্যাটে তার বাসা?" - "হ্যাঁ মনে আছে, অষ্টম তলার বি নাম্বার ফ্ল্যাট।" - "চলো তাহলে এখনই যাওয়া যাক।" - "এত রাতে?" - "রাতদিন বলতে কিছুই নেই, কেস যেহেতু হাতে নিয়ে ফেলেছি তাই আর দেরি না করে তদন্ত শুরু করে যাক।" অতঃপর তারা দুজন একটি রিকশা নিয়ে সোজা ডেলা টাওয়ারের সামনে উপস্থিত হলো কিন্তু উপস্থিত হওয়ার পর বুঝতে পারল ডেলা টাওয়ারে নিশ্চয় কোন ঝামেলা হয়েছে। পার্কিং এরিয়ায় দুইটি পুলিশের গাড়ি আর আশেপাশে কয়েকটি পুলিশ গুলি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। শুধু তাই না টাওয়ারের ভেতরেও অনেকগুলো পুলিশ। দূর থেকে দেখলে মনে হচ্ছে সপ্তম অথবা অষ্টম তলায় অনেকগুলো পুলিশ একত্রে জমা হয়েছে। টাওয়ারের আরেকটু কাছাকাছি যেতেই একজন দারোয়ান তাদেরকে আটকে বললো, - "স্যার এখন ভেতরে যাওয়া নিষেধ।" - "কি হয়েছে?" বাহাদুর দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করতেই প্রতি উত্তরে দারোয়ান বলল, - "অষ্টম তলায় একজন আত্মহত্যা করছে।" শুরুতেই দারোয়ানের মুখ থেকে এমন কথা শুনবে তা তারা কল্পনা ও করেনি। তাও নিজেকে সংযত রেখে বাহাদুর তার পকেট থেকে ছবিদুটি বের করে আসফাক আহমেদের ছবিটি দারোয়ানের দিকে এগিয়ে দিয়ে অনেকটা ভয়ার্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল, - "দেখুনতো ছবিতে থাকা এই ভদ্রলোকটি আত্মহত্যা করেছে নাকি অন্য কেউ?" দারোয়ান ছবিটি তার হাতে নিয়ে বললো, - "হ্যাঁ আসফাক সাহেবই আত্মহত্যা করেছেন। বড্ড ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। কেন যে আত্মহত্যা করলেন কিছুই বুঝতে পারছি না।" নিহাল ও বাহাদুর দু'জনেই একে অপরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ঠিক এই মুহুর্তে কি বলা উচিত তারা দু'জন তা বুঝতে পারছে না। তারা দু'জনেই এক অদ্ভুত ভাবনার মধ্যে ডুবে গেল। তবে তাদের ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে দারোয়ান বাহাদুরের হাতে থাকা মেয়ের ছবিটি নিয়ে জিজ্ঞেস করল, - "এই ছবিটি আপনারা কোথায় পেয়েছেন?" বাহাদুর জিজ্ঞেস করল, - "আপনি কি এই মেয়েটাকে চিনেন আর মেয়েটাকে কি কখনো আসফাক আহমেদের সাথে দেখেছেন?" - "জি চিনি এবং অনেকবার দেখেছি।" দারোয়ানের একথা শুনে নিহালের মুখে হাসি ফুটে উঠলো। তারমানে তারা আসল অপরাধীর খুব কাছে। নিহাল দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে জিজ্ঞেস করল, - "শেষ কবে দেখেছিলেন?" - "মারা যাওয়ার আগে।" - "মারা যাওয়ার আগে মানে!" - "ছবির মেয়েটা আসফাক আহমেদের স্ত্রী ছিলেন। ১ বছর আগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন আর আজকে আসফাক সাহেব আত্মহত্যা করেছেন.... চলবে, গল্পঃ #আত্মহত্যা_নাকি_হত্যা পর্বঃ০১

জীবন সবসময় দ্বিতীয় সুযোগ দেয় ||

জীবন সবসময় দ্বিতীয় সুযোগ দেয় সুযোগ পেয়েও হারিয়ে ফেলার মতো বড় বোকামি আর কিছু নয়।আমরা অতি কাবিল ব্যাক্তি তো সব কিছুতে একটু কাবলামি না করলে কেমনে কি😒😒 আমি একটা মুভি দেখছিলাম অনেক আগে নাম ভুলে গেচি🙄🙄 আচ্ছা যাক মুভিতে নায়িকা অনেক কষ্ট করে খাবার জুটায়।অনেক কাজের সন্ধানে তিনি যান কিন্তু পান না।একটা সময় একটা খারাপ মুভিতে কাজের সুযোগ পান।এবং তিনি করেনও। কারণ অনেক চেষ্টা করেও ভালো কাজ তিনি পাননি। ধীরে ধীরে এগিয়ে যান একটা সময় তার অবস্থান খুব ভালো হয়ে যায়। এর কিছুদিন পর থেকে তিনি তার সুযোগকে অবহেলা করেন। এবং একটা পর্যায়ে তিনি তার প্রথম অবস্থা থেকেও খারাপ পর্যায়ে চলে যান। হতাশায় নিমজ্জিত তিনি একদিন সুইসাইড করেন। এরপর থেকে যে ব্যাপারে মন টানে আমার সেই ব্যাপার জড়িত সকল সুযোগ আমি নিয়ে নেই। এতে অনেক সময় হিতে বিপরীত হয়েছে তবু্ও😋😋 হাসিতো ফাসি মুভিটাতে হতাশ নায়ককে নায়িকা বলেছিলেন যার বাংলা হলো 'শেষ সুযোগ বলে কিছু নেই। চেষ্টার পরও যে সুযোগ চলে যায় তা শেষ নয়। আরও একটা সুযোগ আছে। ' অনেক আগে দেখেছি কিছু ভুলও হতে পারে তবে সারমর্ম এটাই ছিল। ভালো লেগেছিল মুভিটা আমার। জীবন আমাদের অনেক অনেক সুযোগ দেয়। যিনি সময়মতো আকড়ে ধরেন তিনি সুযোগকে দোষ দেন না। চেষ্টা করে আরও অনেক সুযোগ তৈরি করেন। আর যাদের দরজায় ঠকঠক করে কড়া নাড়তে নাড়তে ক্লান্ত সুযোগ ফিরে যায় তাদের জন্য চেষ্টার পরিমাণ বাড়াতে হবে অনেক। লাভ-লোকসান ➡আমরা বাঙ্গালি কোনো কাজ করার আগে তার লাভ ক্ষতি নিয়ে হিসাব কষতে শুরু করে দেই,,যদিও এটা খুব খারাপ দিক নয় কিন্তু সব ক্ষেত্রে লাভ লোকসানের হিসাব চলে না। ➡আমরা যখন ফোনে গেইমস খেলি অথবা ইউটিউব বা ফেইসবুকে কোনো ফানি ভিডিও দেখি অথবা নিউজফিডে অযথাই স্ক্রল করি তখন সময় কোন দিক দিয়ে চলে যায় তার হিসাবই থাকেনা। অথচ ১০ মিনিট রাইটিং পোস্ট লিখতে গেলেই আমাদের মুল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যায়। যারা এই মনোভাব পোষণ করেন তাদের জন্য আসলেই১০ মিনিটেই রাইটিং পোস্ট একটা বিরাট লসের জায়গা। ➡অন্য দিকে সাথে সাথে আনন্দ বা ফল না পেলেও কিন্তু এই ১০ মিনিট রাইটিং পোস্ট আমাদের জন্য হোমিওপ্যাথির ন্যায় কাজ করে অর্থাৎ দেরিতে হলেও কাজ করে। যা দীর্ঘমেয়াদী বিষয়। সারা জীবন আমাদের উপকারে আসবে। ? ▶১০মিনিট রাইটিং পোস্ট ২ মিনিটে পড়ে, ৮ মিনিটে কমেন্ট করতে হয়। এতে আমাদের বাংলায় দ্রুত পড়ার এবং লিখার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়৷। আর নিয়মিত লিখার ফলে আমাদের লিখার মানও ভালো হয়, আর চর্চা এমন একটা মন্ত্র যা আমাদের যেকোনো কাজকে সহজ ও সফল করে দেয়। ➡ এ ক্ষেত্রে আমাদের মস্তিষ্কের একটা চর্চা হয়ে যায় ফলে আমরা খুব সহজেই আর দ্রুত কোনো কিছু পড়ে বুঝে ফেলতে পারি এবং সে বিষয়ে একটা মন্তব্য ও লিখতে পারি।

মেয়েদের জন্য ১৫ টি হাদিস ||

মেয়েদের জন্য ১৫ টি হাদিস :-
১.দেবর মৃত্যু সমতুল্য। (মৃত্যু থেকে মানুষ যেভাবে পলায়ন বা সতর্কতা অবলম্বন করে এক্ষেত্রে তাই করতে হবে) (বুখারী শরীফ ৫২৩২, মুসলিম শরীফ ২১৭২, তিরমিযী শরীফ ১১৭১) ২.কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে মিলিত হলে নিঃসন্দেহে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান। (তিরমিযী শরীফ ১১৭১) ৩.তোমরা সেই মহিলাদের নিকট গমন করো না যাদের স্বামীরা বিদেশে আছে। কারণ, শয়তান তোমাদের রক্ত শিরায় প্রবাহিত হয়। (তিরমিযী শরীফ ১১৭২) ৪.কোন অবৈধ নারীকে স্পর্শ করার চেয়ে মাথায় লোহার পেরেক পুঁতে যাওয়া ভালো। (আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ২২৬) ৫.রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামের অধিবাসী যাদেরকে আমি দেখিনি। তারা ভবিষ্যতে আসবে। প্রথম শ্রেণী হবে একদল অত্যাচারী, যাদের সঙ্গে থাকবে গরুর লেজের মত চাবুক যার দ্বারা তারা লোকদেরকে প্রহার করবে। আর দ্বিতীয় শ্রেণী হল সে নারীর দল, যারা কাপড় পরিধান করবে কিন্তু তবুও তারা উলঙ্গ অবস্থায় থাকবে, নিজেরা অন্যদের প্রতি আকৃষ্ট এবং অন্যদেরকেও তাদের প্রতি আকৃষ্ট করবে, যাদের মস্তক (খোঁপা বাধার কারণে) উটের হেলে যাওয়া কুঁজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তার গন্ধও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুগন্ধ বহু দূরবর্তী স্থান থেকেও পাওয়া যাবে।” (মুসলিম শরীফ ২১২৮) ৬.রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের বাহিরে দেখতে পান যে, নারীরা রাস্তায় পুরুষের সাথে মিশে গেছেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের বলেন, তোমরা অপেক্ষা কর, কারণ, তোমাদের জন্য রাস্তার মাঝে হাটা উচিত নয়, তোমাদের জন্য হল রাস্তার পাশ। এ কথা শোনে নারী দেয়াল ঘেঁসে হাটা শুরু করে তখন দেখা গেল তাদের অনেকের কাপড় দেয়ালের সাথে মিশে যেত। (আবু দাউদ শরীফ ৫২৭২) ৭.কোন মহিলা যেন মাহরাম পুরুষ ছাড়া একাকিনী সফর না করে, তার নিকট যেন মাহরাম ছাড়া কোনো বেগানা পুরুষ প্রবেশ না করে, এ কথা শোনে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, হে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমি অমুক অমুক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য সৈন্য দলে নাম লিখিয়েছি অথচ আমার স্ত্রী হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন এখন আমি কি করব? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উত্তর দিলেন তুমি তার সাথে বের হও। (বুখারী শরীফ ১৮৬২) ৮.নারী গোপন জিনিস, সুতরাং যখন সে(বাড়ি হতে) বের হয়, তখন শয়তান তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে রমণীয় করে দেখায়। (তিরমিযী শরীফ ১১৩৭) ৯.রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিষেধ করেছেন যে, “আমরা যেন মহিলাদের নিকট তাদের স্বামীদের বিনা অনুমতিতে গমন না করি।” (তিরমিযী ২৭৭৯) ১০.প্রত্যেক চক্ষুই ব্যভিচারী। আর নারী যদি সুগন্ধি ব্যবহার করে কোনো (পুরুষের) মজলিসের পাশ দিয়ে পার হয়ে যায় তাহলে সে এক বেশ্যা। এমন কি এই অবস্থায় নামাযের জন্য যেতেও নিষিদ্ধ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে মহিলা সেন্ট ব্যবহার করে মসজিদে যায়, সেই মহিলার গোসল না করা পর্যন্ত কোনো নামায কবুল হবে না।” (সহীহ আল-জামে আস-সগীর আযযিয়াদাতুহ ২৭০) ১১.আদম সন্তানের উপর ব্যভিচারের কিছু অংশ লিপিবদ্ধ হয়েছে সে অবশ্যই তার মধ্যে লিপ্ত হবে। দুই চোখের ব্যভিচার হল দৃষ্টি, দুই কানের ব্যভিচার হল শ্রবণ, মুখের ব্যাভিচার হল কথা বলা, হাতের ব্যভিচার হল স্পর্শ করা এবং পায়ের ব্যভিচার হল খারাপ উদ্দেশ্যে অগ্রসর হওয়া। আর অন্তর আশা ও আকাঙ্ক্ষা করতে থাকে। লজ্জা স্থান তাকে বাস্তবায়ন করে অথবা মিথ্যায় পরিণত করে। (মুসলিম শরীফ ২৬৫৭) ১২.যে নারী স্বগৃহ, স্বামীগৃহ বা মায়ের বাড়ি ছাড়া অন্য স্থানে নিজের পর্দা রাখে (কাপড় খোলে) সে তার ও তার রবের মধ্যকার পর্দা ও লজ্জাশীলতাকে বিদীর্ণ করে দেয়। (তিরমিযী শরীফ ২৮০৩) ১৩.কোন নারীর উপর তোমার দৃষ্টি পড়লে তার প্রতি) বারবার দৃষ্টিপাত করো না। বরং নজর অতিসত্তর ফিরিয়ে নিও, কারণ, তোমার জন্য প্রথমবার ক্ষমা, দ্বিতীয়বার নয়। (আহমাদ শরীফ ১৩৬৯) ১৪.নারীদের বেশ ধারী পুরুষের উপর অভিশাপ এবং পুরুষদের বেশ ধারিণী নারীদের উপর আল্লাহর অভিশাপ। (ইবনে মাজাহ শরীফ ১৯০৪) ১৫.যে নারী তার মাথায় এমন চুল বাড়তি লাগায় যা তার মাথার নয়, সে তার মাথায় জালিয়াতি সংযোগ করে। (সহীহ আল-জামিউস সাগীর ২৭০৫) কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,“যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে,যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা!! (সহীহ মুসলিম শরীফ ২৬৭৪,৬৮০৪) #আল্লাহ তায়ালা মা বোনদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন। #আমিন

আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা

আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এক. আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় আমল, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা: যেমন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «أحبُّ الأعمال إلى الله إيمانٌ بالله» “আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় আমল, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা” [2] আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার অর্থ: তাওহীদের প্রতি ঈমান আনা। অর্থাৎ যাবতীয় ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য করা। আর তা সংঘটিত হবে, অন্তরের আমলসমূহ কেবল আল্লাহর জন্য করা। আর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল অন্তরের আমলসমূহের অনুসারী। কারণ, ঈমান অনেকগুলো শাখা প্রশাখা ও অসংখ্য আমলের নাম। তার মধ্যে কিছু আছে অন্তরের আমল, আবার কিছু আছে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল। আর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি হল, অন্তরের আমল। কারণ, অন্তরের আমল সব সময় এবং সর্বাবস্থায় প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষের জন্য আবশ্যকীয়। যখন কোনো বান্দা থেকে অন্তরের আমল দূর হয়ে যায়, তখন তার ঈমানও দূর হয়ে যায়। যেমনিভাবে ঈমানের বাহ্যিক আমলসমূহ অর্থাৎ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল, তা বিশুদ্ধ হওয়া ও গ্রহণযোগ্য হওয়া নির্ভর করে অন্তরের ঈমানের উপর; যা মূল বলে স্বীকৃত। এ কারণেই আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম রহ. ‘বাদায়ে‘উল ফাওয়ায়েদ’ কিতাবে লিখেন: ‘সুতরাং অন্তরের বিধান কি তা জানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিধান জানা হতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটিই হচ্ছে আসল, আর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিধি-বিধান এর শাখা-প্রশাখা’। একজন মুমিনের নিকট দ্বীনের আসল মূলকথা ও মূল ভিত্তি হচ্ছে যে সে তার অন্তরের আমল থেকে শুরু করবে, যার সূচনা হবে ইলমের সৌন্দর্য সম্পর্কে জানা ও তার রবের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সংবাদের উপর, যা থেকে অন্তরের সকল আমলের ফলাফল লাভ হয়। যেমন, আল্লাহর প্রতি দৃঢ়-বিশ্বাস, দ্বীন বা আনুগত্যকে একমাত্র আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ করা, আল্লাহর জন্য মহব্বত করা, আল্লাহর উপর ভরসা করা, আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা, আল্লাহর শর‘ঈ ও কাদরী ফায়সালার উপর ধৈর্য ধারণ করা, আল্লাহকে ভয় করা, আল্লাহর নিকট আশা করা, আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব ও দুশমনি করা, আল্লাহর জন্য বিনয়ী হওয়া, আল্লাহর জন্য অপমানিত ও লাঞ্ছিত হওয়া, আল্লাহর ফায়সালায় প্রশান্তি লাভ করা ইত্যাদি বহু আমলকে আবশ্যক করে। ঈমানের প্রকাশ্য ও গোপন আমলসমূহ পালন করার পদ্ধতি ও পরিমানের দিক বিবেচনায় মানুষেরও মর্যাদা ও শ্রেণীর বিভিন্নতা হয়ে থাকে; [সবাই এক পর্যায়ের বা এক স্তরের হয় না।] তাদের মধ্যে কতক মানুষ আছে, যারা তাদের নিজেদের উপর জুলুমকারী। আবার কতক আছে, মধ্যপন্থী, আবার কতক আছে, যারা ভালো কাজে অগ্রসর। এ তিনটি স্তরের মানুষের মধ্যে প্রতি স্তরের মানুষের আরও অসংখ্য শ্রেণী বিন্যাস আছে, যা আয়ত্ত করা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো পক্ষে সম্ভব নয়। আল্লামা ইবনে রজব রহ. «ألا وإن في الجسد مضغة .. الحديثَ» “মনে রাখবে দেহের মধ্যে একটি গোস্তের টুকরা আছে” এ হাদিসের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘এখানে এ কথার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে যে, বান্দার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা সম্পাদিত যাবতীয় কর্মকাণ্ড সঠিক হওয়া, হারাম থেকে বিরত থাকা এবং সন্দেহযুক্ত বিষয়সমূহ হতে বেঁচে থাকা, ইত্যাদি সবই বান্দার অন্তরের কর্মকাণ্ডের পরিশুদ্ধতা অনুযায়ীই হয়ে থাকে। যখন অন্তর হবে নিরাপদ, তার মধ্যে আল্লাহর মহব্বত এবং আল্লাহ্ তা‘আলা যা মহব্বত করে, তার প্রতি মহব্বত করা ছাড়া আর কোন কিছুর মহব্বত তার অন্তরে স্থান পাবে না বা থাকবে না এবং একমাত্র আল্লাহর ভয় এবং আল্লাহ যা অপছন্দ করে তাতে পতিত হওয়ার ভয় ছাড়া, আর কোন ভয় তার অন্তরে থাকবে না, তখন তার সমগ্র অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল ঠিক হয়ে যাবে। তখন বান্দার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা কোনো নিষিদ্ধ কাজ সংঘটিত হবে না এবং সন্দেহ, সংশয়যুক্ত বিষয়সমূহ থেকে হারামে পতিত হওয়ার আশঙ্কায় বেঁচে থাকবে। ’ এখানে একটি প্রশ্ন যুক্তিসংগত, তা হচ্ছে, ঈমান কেন আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় আমল? উত্তর: কারণ, ঈমানের বাস্তবায়নের মাধ্যমে একজন বান্দা সমস্ত মাখলুকাত থেকে মুখ ফিরিয়ে একমাত্র আল্লাহর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে। বান্দার অন্তর আল্লাহ ছাড়া সব কিছুকে বাদ দিয়ে একমাত্র এক আল্লাহর দিকে ধাবিত হয়। আর এটিই হল, ইবাদতের হাকীকত ও মর্মার্থ; যার জন্য আল্লাহ্ তা‘আলা মানুষ ও জ্বীন সৃষ্টি করেছেন, কিতাবসমূহ নাযিল করেছেন, অসংখ্য নবী ও রাসূলকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন এবং সাওয়াব ও শাস্তি নির্ধারণ করেছেন। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. মাজমু‘ ফাতাওয়ায় বলেন, ‘‘মানুষের অন্তর কখনোই সমস্ত মাখলুকাত হতে অমুখাপেক্ষী হবে না, কিন্তু তখন হবে, যখন আল্লাহই হবে তার এমন অভিভাবক যার ইবাদত ছাড়া আর কারো ইবাদত সে করে না, তার কাছে ছাড়া আর কারো কাছে সে সাহায্য চায় না, তার উপর ভরসা করা ছাড়া আর কারো উপর সে ভরসা করে না, আর একমাত্র আল্লাহ যে সব কিছুকে পছন্দ করেন তা ছাড়া অন্য কোন কিছুতে সে খুশি হয় না এবং যে সব কিছুতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন, তা ছাড়া অন্য কোনো কিছুতে স সন্তুষ্ট হয় না। আর আল্লাহ যে সবকে অপছন্দ ও ঘৃণা করেন, সে সব কিছুকে সে অপছন্দ ও ঘৃণা করে। আল্লাহ যাদের সাথে দুশমনি রাখেন তাদের ছাড়া আর কারো সাথে দুশমনি রাখে না। আল্লাহ যাদের সাথে বন্ধুত্ব করেন, তাদের সাথেই বন্ধুত্ব করে। তাদের ছাড়া আর কারো সাথে বন্ধুত্ব করে না। কাউকে বাধা দিতে বা বারণ করতে হলে, আল্লাহর জন্যই বাধা দেয় ও বারণ করে। সুতরাং যখনই একজন বান্দার দ্বীনে আল্লাহর জন্য শক্তিশালী ইখলাস থাকবে, তখনই তার দাসত্ব পরিপূর্ণতা লাভ করবে এবং সৃষ্টিকুল থেকে সে অমুখাপেক্ষী হবে। আর আল্লাহর জন্য দাসত্ব পরিপূর্ণতা লাভ করলেই তা বান্দাকে শিরক ও কুফর থেকে বাঁচাতে পারবে।” এ কারণেই ঈমান, সর্বোত্তম ও সর্বাধিক প্রিয় আমল। আর এ ছাড়া যত আমল আছে, সব আমল আল্লাহর নিকট ফজিলতের দিক দিয়ে ঈমানের চেয়ে নিম্নপর্যায়ের।

শীতকালে পায়ের গোড়ালি পরিস্কার করার কার্যকারি উপায়

শীতকাল বা যেকোনো শুষ্ক আবহাওয়ায় পায়ের ত্বকে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে আসে। তখন তৈরি হয় পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়ার প্র’বণতা। শীতের সময় ছাড়াও বছরের অন্য সময়েও অনেকের পা ফাটে। পা না ফাটলেও গোড়ালির ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।শ’রীরের সবচেয়ে বেশি চা’প প’ড়ে পায়ের গোড়ালিতে। আর তাইতো পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। এছাড়াও শুষ্ক আবহাওয়াতে পায়ের গোড়ালি বাইরে থাকে। যে কারণেও পায়ের গোড়ালি ফাটতে পারে। রাস্তার ধূলাবালি বা মাটির সংস্প’র্শেও অনেক সময় গোড়ালি ফাটে। গোড়ালি ফাটা খুবই ক’ষ্টকর।অনেক সময় র’ক্ত পর্যন্ত প’ড়ে। এর পেছনে রয়েছে স’চেতনভাবে পায়ের ত্বকের যত্নের অভাব। এই অভাব খুব সহজেই দূ’র করা যায় ঘরোয়া উপায়। চলুন তবে জে’নে নেয়া যাক পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও প্রতিকার স’ম্পর্কে-১.শ’রীরে ভিটামিনের অভাব হলে পা ফেটে থাকে। মানব দে’হে ক্যালসিয়াম, জিংক ও আয়রনের ঘাটতি পা ফাটার অন্যতম কারণ।২.মানবদে’হে পানিশূন্যতার কারণে পা ফাটতে দেখা যায়। পানিশূন্যতা দূ’র ক’রতে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন।৩.খুব বেশি গরম পানিতে গোসল, ধুলা-বালি, দীর্ঘদিন ধ’রে পায়ের যত্নের অভাব, অপরিচ্ছন্ন জুতা পরা , অতিরি’ক্ত পুষ্টির অভাব।৪.ডায়বেটিস রো’গীদের স্নায়ুজনিত স’মস্যা তৈরির ফলে পায়ের আর্দ্রতা হারিয়ে ফে’লে। ফলে পা ফাটা হতে পারে।৫. অল্প ফেটে গেছে এমন জায়গার চামড়াকে জো’রে জো’রে টেনে তোলা বা ছিঁড়ে দেয়া।৬.অনেকে আবার পা ফাটা স’মস্যা জে’নেটিক ভাবে পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ বাবা, চাচা,মা কারো এই স’মস্যা থাকলে ছেলে -মেয়েরা ও বংশ পরম্পরায় পেয়ে থাকে।৭.পা প্রতিদিন প’রিষ্কার না করা, ভ্যাসলিন বা ময়েশ্চার ব্যবহারের পরে তা সঠিকভাবে প’রিষ্কার না করে আবার লোশন, ক্রিম বা ময়েশ্চার ব্যবহার করা।পায়ের গোড়ালি ফাটার হাত থেকে বাঁ’চার উপায়:১। মধু পায়ের যত্নে অত্যন্ত কা’র্যকরী উপাদান। এক বালতি হালকা গরম পানিতে এক কাপ মধু মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মি’শ্রণ দিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন ২০ মিনিট। তারপর পা-ঘষার পাথর দিয়ে শক্ত চামড়া ঘষে প’রিষ্কার করে নিন। এতে অনেক উপকার পাবেন।২। অ্যালোভেরায় বিটামিন এ, সি ও ই থাকে। এই কারণে ত্বকের জন্য অ্যালোভেরার জে’ল খুবই কা’র্যকরী। হালকা গরম পানিতে পা ধুয়ে, পা-ঘষার পাথর দিয়ে গোড়ালি ঘষে প’রিষ্কার করে নিন। তারপর মোটা করে এই জে’ল লা’গান পায়ের তলায়। এরপর মোজা পরে শুয়ে থাকুন। সকালে উঠে হালকা গরম পানিতে পা ধুয়ে নিন।৩। ভ্যাসলিন এর স’ঙ্গে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে সারা রাত পায়ে লা’গিয়ে রাখু’ন। ফলে পায়ের গোড়ালি ফাটা দূ’র হবে ও পা নরম মসৃণ হয়ে যাবে।৪। হালকা গরম পানিতে তিন চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। সেই মি’শ্রণে পা ডুবিয়ে রাখু’ন ১৫ মিনিট। এরপর পানি থেকে পা তুলে পা-ঘষার পাথর দিয়ে ঘষে প’রিষ্কার করে নিন।৫। অলিভ অয়েল, তিলের তেল, নারকেল তেল, সরষের তেল ও বাদাম তেল পা ফাটার ভালো একটি সমাধান। রাতে যে কোনো একটি ভেজিটেবল তেল লা’গিয়ে নিতে পারেন। এতে পা ফাটা অনেকটাই কমে যাবে।

পুদিনা পাতার ভেষজ গুন

পুদিনা পাতা আমরা কম বেশি সবাই খাই, এই পুদিনা পাতার যে এতো গুনাগুন তা আমি জানতাম না। পুদিনা পাতার ভেষজ গুন! ১। পুদিনা ত্বকের যে কোনো সংক্রমণকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। ২। পুদিনা পাতার রস তাৎক্ষণিক ব্যথানাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে। ৩। পুদিনা পাতার চা শরীরের ব্যাথা দুর করতে খুবই উপকারি। ৪। মাইগ্রেনের ব্যাথা দুর করতে নাকের কাছে টাটকা পুদিনা পাতা ধরুন।এর গন্ধ মাথাব্যাথা সারাতে খুবই উপকারি। ৫। কোন ব্যাক্তি হঠাত করে অগ্গান হয়ে গেলে তার নাকের কাছে পুদিনা পাতা ধরুন।সেন্স ফিরে আসবে। ৬। অনবরত হেচকি উঠলে পুদিনা পাতার সাথে গোলমরিচ পিষে ছেকে নিয়ে রসটুকু পান করুন।কিছুক্ষনের মধ্যেই হেচকি বন্ধ হয়ে যাবে। ৭। গোলাপ, পুদিনা, আমলা, বাঁধাকপি ও শশার নির্যাস একসঙ্গে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে তা ত্বককে মসৃণ করে তোলে। ৮। পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসের চমৎকারী গুনাগুণ যা পেটের যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে খুব দ্রুত। যারা হজমের সমস্যা এবং পেটের ব্যথা কিংবা পেটের অন্যান্য সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা খাবার পর এককাপ পুদিনা পাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৬/৭টি তাজা পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খুব সহজে পুদিনা পাতার চা তৈরি করতে পারেন ঘরে। ৯। পুদিনাপাতা পুড়িয়ে ছাই দিয়ে মাজন বানিয়ে দাত মাজলে মাড়ি থাকবে সুস্থ,দাত হবে শক্ত ও মজবুত। ১০। দীর্ঘদিন রোগে ভুগলে বা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থাকলে অনেক সময় অরুচি হয়।এক্ষেত্রে পুদিনা পাতার রস ২ চা চামচ,কাগজি লেবুর রস ৮-১০ ফোটা,লবণ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে সকাল বিকাল ২ বেলা খান।এভাবে ৪-৫ দিন খেলে অরুচি দুর হয়ে যাবে। ১১। তাত্ক্ষনিকভাবে ক্লান্তি দুর করতে পুদিনা পাতার রস ও লেবুর রস একসংে মিশিয়ে পান করুন।ক্লান্তি নিমিষেই দুর হয়ে যাবে। ১২। কফ দুর করতে পুদিনা পাতার রস,তুলসী পাতার রস,আদার রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে খান।পুরোনো কফ দুর করতেও এই মিস্রণ অতুলনীয়। ১৩। সুস্থ হার্টের জন্য পুদিনা পাতা অনেক উপকারী। এটি রক্তে কলেস্টরেল জমতে বাধা প্রদান করে। ফলে হার্ট থাকে সুস্থ। ১৪। যেকোনো কারনে পেটে গ্যাস জমে গেলে পুদিনা পাতা কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। পুদিনার রস ২ চা চামচ, সামান্য লবন, কাগজী লেবুর রস ৮/১০ ফোঁটা, হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে সারাদিন ২-৩ বার খেলে পেটে গ্যাস ভাব কমে আসে। ১৫। পিত্তে শ্লেষ্মার জ্বর, অম্লপিত্ত, আমাশা, অজীর্ণ, উদরশূল, প্রভৃতির কারনে অনেকসময় আমাদের বমি বমি ভাব আসে। এসময় পুদিনার শরবতের সাথে এক চা চামুচ তেঁতুল মাড় ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমিভাদ দূর হয়ে যায়। ১৬। পুদিনা পাতার রস উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পুদিনা পাতার রস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। ১৭। পুদিনার শেকড়ের রস উকুননাশক হিসেবে খুবই কার্যকরী, এমনকি পাতাও। পুদিনার পাতা বা শেকড়ের রস চুলের গোড়ায় লাগান। এরপর একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু বার এটা করুন। এক মাসের মধ্য চুল হবে উকুনমুক্ত। ১৮। মেয়েদের অনিয়মিত পিরিয়ডের যন্ত্রণা থেকে সেরে ওঠার জন্য পুদিনা পাতা বেশ উপকারী। ১৯। পুদিনা ত্বককে শীতল করে। খাবারের সঙ্গে নিয়মিত খেলে শরীরের ত্বক সতেজ হয়, সজীব ভাব বজায় থাকে। মৃত কোষকে দূর করে মৃসণ করে তোলে ত্বক। সেজন্য, আধা কাপ পুদিনা পাতা বাটা ও পরিমিত বেসন দিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে নিলে, উপকার পাওয়া যায়। ২০। ব্রণ দূর করতে ও ত্বকের তৈলাক্তভাব কমাতে তাজা পুদিনাপাতা বেটে ত্বকে লাগান। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ দূর করতে প্রতিদিন রাতে পুদিনা পাতার রস আক্রান্ত স্থানে লাগান। সম্ভব হলে সারারাত রাখুন। নতুন কমপক্ষে ২/৩ ঘণ্টা। তারপর ধুয়ে ফেলুন। মাস খানেকের মাঝেই দাগ দূর হবে। ২১। পুদিনা পাতার রস শ্বাস-প্রশ্বাসের নালী খুলে দেওয়ার কাজে সহায়তা করে। ফলে যারা অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় পড়েন তাদের সমস্যা তাৎক্ষণিক উপশমে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। খুব বেশি নিঃশ্বাসের এবং কাশির সমস্যায় পড়লে পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানির ভাপ নিন এবং তা দিয়ে গার্গল করার অভ্যাস তৈরি করুন। ২২। পেটের পীড়ায়ঃ এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম [ আইবিএস ] এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশী সংকোচন নিয়ন্ত্রন করে। ২৩। অ্যাজমাঃ পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরীতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরীতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে। ২৪। রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে পুদিনা পাতার রস ও অ্যালোভেরার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। পনেরো মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ২৫। পুদিনা পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। পুদিনা পাতার পেরিলেল অ্যালকোহল যা ফাইটোনিউরিয়েন্টসের একটি উপাদান দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাঁধা প্রদান করে। ২৬। পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তা হলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়। ২৭। পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করেন। যাদের চুলে উকুন আছে, তারা খুব উপকার পাবেন। ২৮। অরুচিতেঃ রোগে ভোগার পর, পেটে বায়ু জমে ও কোষ্ঠ বদ্ধতায় অরুচি আসে। একই রকম খাদ্য দীর্ঘদিন খেলে অরুচি আসে। এ সব ক্ষেত্রে পুদিনার সরবত ( পুদিনার রস ২ চা চামচ, সামান্য লবন, কাগজী লেবুর রস্‌ ৮/১০ ফোঁটা, হাল্কা গরম পানি পোয়া খানিক একত্রে মিশয়ে ) সকাল বিকাল দিনে দুই বার ৫/৭ দিন খেলে অরুচি চলে যায়। পুদিনা পাতা বেটে পানিতে গুলে শরবত করা যায়। সে ক্ষেত্রে কাঁচা পাতা ৮/১০ গ্রাম নিতে হবে। ২৯। মুত্রাল্পতায়ঃ অনেক রোগে প্রস্রাব কম হয়। কিন্তু যে ক্ষেত্রে ঠান্ডা গরমের ফলে সাময়িক ভাবে অল্প অল্প প্রস্রাব হতে থাকে কোনো কোনো সময় দাহ হতে থাকে, সে ক্ষেত্রে পুদিনা পাতা ৮/১০ গ্রাম বেটে তাতে সামান্য লবন ও কাগজী লেবুর রস্‌ পোয়াখানিক ঠান্ডা পানি মিশিয়ে শরবত করে দিনে ২/৩ বার খেতে হবে। অন্য কোনো রোগে মূত্রাল্পতা হলে সেক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করা যাবে কিনা সেটা নির্ভর করবে রোগের ধরনের ঊপর এবং চিকিৎসকের বিচার ধারার উপর। ৩০। শিশুদের অতিসারেঃ পাতলা দাস্ত, সেই সাথে পেট মোচড় দিয়ে ব্যথা, কোন কোন ক্ষেত্রে অল্প আম –সংযুক্ত দাস্ত, সেই সাথে পেট ফাঁপা, হিক্কা বমি বমি ভাব, প্রস্রাবও সরলি হচ্ছেনা, শিশু কিছুই খেতে চাচ্ছেনা। এক্ষেত্রে পুদিনা পাতার রস্‌ ৮/১০ ফোঁটা আল্প একটু চিনি ও লবন সহযোগে এক ঘন্টা অন্তর কয়েকবার খাওয়াতে হবে। কখন কি ভাবে কতবার খাওয়াতে হবে সেটা নির্ভর করবে রোগীর সুস্থতার ক্রমের দিকে লক্ষ রেখে। বয়স আনুপাতে মাত্রাটা ঠিক করে নিতে হবে। ৩১। পুদিনার চাঃ বেশী চা খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। ঠিক চাএর মত করে চায়ের পাতার বদলে পুদিনা পাতা ও সেই সাথে দুধ চিনি গোল মরিচ ও মৌরি দিয়ে এই চা তৈরী করতে হবে। এই চা খেতে সুস্বাদু এবং খেলে তৃপ্তি হয়। ৩২।হাকিমি ও ইউনানি মতেঃ- পুদিনা পাতা খেলে শরীরে তাপ বাড়ে। শরীরের দূষিত পদার্থ মলের সাহায্যে বেরিয়ে যায়। পাকস্থলি ও বুকের ও কিডনির যাবতীয় গ্লানি ও ক্লেদ দূর হয়। ৩৩। যাদের হজমশক্তি কম তারা পুদিনার শরবত ও চাটনি খেলে উপকার পাবেন। ৩৪। পাতলা পায়খানা হলে পুদিনাপাতা বেশ উপকারী। ৩৫। হঠাৎ সানস্ট্রোক করলে পুদিনার শরবত খেলে উপকার পাবেন। ৩৬। পুদিনাপাতার সালাদ খেলে পেটে গ্যাস হয় না। হজম হয়। ৩৭। পুদিনা মেয়েদের রক্তশূন্যতা পূরণ করে। ৩৮। মায়ের বুকে দুধ বাড়ে। ৩৯। যারা প্রস্রাব সমস্যায় ভুগছেন তারা এক গ্লাস পানিতে কয়েক ফোঁটা পুদিনাপাতার রস, সামান্য লবণ ও অল্প চিনি দিয়ে শরবত খান প্রস্রাব পরিষ্কার হবে। ৪০। মাইগ্রেন বা আধকপালে মাথা ধরায় পুদিনাপাতা বেটে মাথায় লাগালে মাথাব্যথা ভালো হয়।

বাচ্চা দের ছোটকাল থেকে ইসলামের শিক্ষা দিন

- আম্মু! আজ জান্নাতে ঘর বানাবেন না? কথাটা কানে আসতেই রুমের ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে চোখ জুড়িয়ে গেল। মাশাআল্লাহ! চারটা ফুটফুটে বাচ্চা। তিনটা ঘর জুড়ে হুটোপুটি করছে। তিন নাম্বার বাচ্চার বয়স তিন কি চার হবে। এই বাচ্চাটিই জড়ানো আদুরে কন্ঠে বলেছিল— আম্মু! আজ জান্নাতে ঘর বানাবে না? তার দেখাদেখি বাকি দুইজনও বলতে শুরু করল— আম্মু! আজ জান্নাতে ঘর বানাবে না? (এই পরিবার নতুন ভাড়াটিয়া। আমাদের পাশের ফ্লাটেই থাকেন।) আমি আর আমার আপু তো দারুণ অবাক! এতটুকু ছোট বাচ্চা এটা কি বলছে? জান্নাতে ঘর কিভাবে বানাবে? আমরা কৌতুহলী হয়ে বাচ্চাদের মায়ের কাছে প্রশ্ন করে বসলাম। প্রশ্ন শুনে অপরিচিত ভাবীর মুখে স্মিত হাসি ফুটে উঠে। শরবতের গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, -একটু অপেক্ষা করুন। নিজের চোখেই দেখে যাবেন জান্নাত বানানোর পদ্ধতিটা। বাচ্চাদের মা হাতের কাজ গুছিয়ে এলেন। আমাদেরকে হালকা নাস্তা দিলেন। তারপর কোলেরটাকে নিয়ে মেঝেতে বসে গেলেন। সবার চোখেমুখে থেকে উৎসাহ উদ্দীপনা যেন ঠিকরে বের হচ্ছে। এক.... দুই.... তিন......!! শুরু জান্নাতমহল নির্মাআআআআণ!!!!! মায়ের ঘোষণা শেষ হতেই তিন কচিকাঁচা একসাথে সূরা ইখলাস পড়তে লাগল। একে একে দশবার পড়া হল। পড়া শেষ করেই সবাই সমস্বরে হৈচৈ করে উঠল— –আলহামদুলিল্লাহ! আমরা জান্নাতে একটা ঘর বানিয়েছি। – খুব ভাল করেছ! এবার বলতো সোনামণিরা, তোমরা এই ঘরে কী রাখতে চাও? – ধনভাণ্ডার রাখতে চাই আম্মু! –ঠিক আছে রাখো! লা হাওলা ওয়া লা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ! লা হাওলা....... বাচ্চারা সমস্বরে ইস্তেগফার পড়া শেষ করল। মায়ের মুখে ফুটে উঠলো তৃপ্তির হাসি! আশ্চর্য কন্ঠে তিনি বলতে লাগলেন — – ওমা! তোমরা অনেক ধনভাণ্ডার জমিয়েছো। আচ্ছা, এবার বল তো তোমরা কাকে বেশি ভালবাসো? _ আল্লাহকে! – তারপর? – নবীজী (সা) কে। – কেয়ামতের দিন সবার কেমন লাগবে? – ভীষণ পিপাসা লাগবে আম্মু! – তখন কোনটা বেশি প্রয়োজন হবে? – নবীজীর (সা) সুপারিশ! –তোমরা সুপারিশ পেতে চাও? – জ্বি আম্মু! – তাহলে এখন কি করতে হবে? আল্লাহুমা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মদ............ ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। বাচ্চাগুলো সুর করে দুরুদ শরীফ পড়া শেষ করলো। হাসিমুখে মা এবার নতুন প্রশ্ন করেন— – আচ্ছা, জান্নাতে বাগান করার শখ কার কার? – আমাল! আমার!! আমার!!! সবাইকে সামলে নিয়ে বললেন— – ঠিক আছে। সবাই বাগান করবে। তোমাদের এখন কি করতে হবে? সুবহানাল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহু আকবার! অনেকক্ষণ যাবৎ বাচ্চারা একে একে যিকির করে যায়। এক সময় যিকির যিকির খেলা শেষ হলো। সবাই খুশিমনে আগের হুটোপুটিতে ফিরে গেল। মহিলাও খুশিমাখা চেহারায় ঘরের মেঝে থেকে উঠে এসে আমাদের সামনে বসলেন। – আসলে এটা আমার বাচ্চাদের ঘরোয়া খেলা! তখন আমাদের চোখেমুখে রাজ্যের বিস্ময়! হায় আল্লাহ! এত সুন্দর খেলা দেখা দূরে থাক, এমন পবিত্র ও শিক্ষণীয় খেলার কথা তো আমার কল্পনাতেও আসেনি কখনো। আমি লম্বা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে চরম আশ্চর্যে ভাবীর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম– – ভাবী কিভাবে তাদেরকে এরকম করে গড়ে তুললেন? – আসলে বোন, সবই সু অভ্যাসের ফল। ছোটরা গল্প শুনতে ভালবাসে, খেলাধুলা করতে পছন্দ করে। ছোটবেলা থেকেই ওদেরকে খেলাচ্ছলে, গল্পচ্ছলে এসব শিক্ষা দিয়েছি। সহজ হাদীস শুনিয়েছি। যিকির শিখিয়েছি। মাসনুন দোয়া শিখিয়েছি। সাথে সাথে কোন আমলের কী লাভ, সেটাও জানিয়েছি। এভাবেই শুনতে শুনতে, খেলতে খেলতে একসময় ওরা নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের সাথেই মিলিয়ে ফেলেছে ব্যাপারগুলো। আমার চোখদিয়ে দু’ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল......... - আমিও শুনতে পাই.......আমার বাচ্চারা জান্নাতমহল বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ভয়ংকর দর্শন দেখাতে এবার সার্জারি করে নিজের নাক কেটে ফেললেন

নিজেকে শয়তানের মতো ভয়ংকর দর্শন দেখাতে এবার সার্জারি করে নিজের নাক কেটে ফেললেন
ব্রাজিলের ট্যাটু আর্টিস্ট মাইকেল ফারো দো প্রাদো। শয়তানের মতো চেহারা ধারণ করতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সার্জারির মাধ্যমে গজিয়ে নিয়েছেন শিংও। সেইসাথে চোখের সাদা অংশেও করিয়েছেন ট্যাটু। সম্প্রতি তার এই লুক শেয়ার করেন নিজের ইন্সাটাগ্রাম প্রোফাইলে। তারপরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। তার এই শয়তানের মতো ভয়ংকর দর্শন হয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন তারই স্ত্রী। তার স্ত্রী একজন পেশাদার ‘বডি মডিফায়ার’। তার সারা শরীরে এসব ভয়ংকর দর্শন ট্যাটু একে দেন তার ট্যাটু আর্টিস্ট অন্যান্য বন্ধুরা। সার্জারির মাধ্যমে দাঁতের গড়নেও পরিবর্তন এনেছেন মাইকেল। লেখকের মন্তবও লেজ লাগাইয়া ফুল শয়তান হয়ে গেলেই তো পারে, আকাম্লা কাম কাজ করে নিজেকে কুল ভাবা প্রজাতি, আমাজন এ নিয়া ছেড়ে দেয়া উচিত। আমি চিন্তা করতাছি ঘুমানের সময় শিং এর গুতায় বালিশ ফুটা হয়না🤔 টি'শার্ট পরার সময় শিং এর সাথে আটকাইয়া মাঝে মাঝে ফুটা হয়না🤔 সাজেই শয়তান,বাস্তবে একবার যদি শয়তান সামনে আসে তো হালুয়া টাইট হয়ে যাবে.. আল্লাহ জানেন, বিষয় টা?ওহ, উনি তো নিজেই দেখসেন চাক্ষুষ। যাক,আল্লাহ মাফ করুন। এতো কিছু করেও শয়তানের রূপ এর ধারে কাছে যেতে পারবে না। শয়তান কে এরা বন্ধু মনে করে। শয়তানের ধোকায় পরে একি সাথে জাহান্নামে যাবে। নাউজুবিল্লাহ। বিদ্রঃ আমাদের ইসলাম ধর্মে ট্যাটু করা হারাম... • (শয়তান বলে) আমি অবশ্যই তাদেরকে আদেশ করব, তারা তখন আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে দিবে।” [ সূরা নিসাঃ ১১৯]

রাস্তা-ঘাটে মানুষের মাস্কের ব্যবহার এখন বিনোদনের অংশ হয়ে গেছে

রাস্তা-ঘাটে মানুষের মাস্কের ব্যবহার এখন বিনোদনের অংশ হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে এমন পিকিউলিয়ার সব মানুষ দেখি। রাগ করা বাদ দিয়ে, বিনোদিত হই। সেদিন একটা দেখলাম, সুন্দর মাস্ক পরে আছে। যেই হাঁচি এসেছে, তখন মাস্ক নামিয়ে হাঁচি দিল! মাস্ক নামিয়েই যখন হাঁচি দিবি, তোর মাস্ক পরার দরকারটা কি? এটা সত্য দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরায় অনেকেই অভ্যস্ত না বলে একটু নামিয়ে রাখে। কিন্তু অনেক মানুষ দেখি, ওরা মাস্ক কখনই মুখে লাগিয়ে রাখেনা। ওদের কাজই হলো থুতনিতে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরে রাখা। মাস্কে হাঁচি দেওয়া ঠিক না
৷ নিজের জীবাণু বাইরে থেকে শক্তিশালী হয়ে নিজের কাছেই ফিরে যাবে৷ সেদিন দেখলাম একজন প্যান্টের বেল্টের সাথে মাস্ক ঝুলিয়ে রেখেছে যেভাবে চাবীর রিং ঝুলিয়ে রাখে! সবচেয়ে মারাত্মক লেগেছিল, কনুইতে মাস্কের ব্যবহার। ওইটার আবার আমি পেছন থেকে ছবিও তুলে রেখেছিলাম। অজায়গায় মাস্ক না পরে ঠিক জায়গায় মাস্ক পরুন। মুখ আপনার মুখের জায়গায়। আপনার গলায় না।

আল্লাহ ছোট ছোট সমস্যা দিয়ে দেয় আর কোটিপতি রাতারাতি পথের ফকির হয়ে যায়

ভেবেছিলাম অন্তত ৭০-৮০ বছর বাঁচব। নাতি নাতনিদের সাথে খেলব। ইউরোপ, আমেরিকা ট্যুরে যাব!!! জামাতে আসরের নামাজ পড়ে মসজিদ হতে বেরিয়ে হাঁটছিলাম। পিছন হতে একজন ভদ্রলোককে বেশ পরিচিত মনে হল, দেখেছি বার কয়েক। একটু দ্রুত পা চালিয়ে ধরলাম। – শরিফ ভাই, আস সালামু আলাইকুম। আমাদের পাড়ায় কবে আসছেন? আপনার ফ্ল্যাট তো মনে হয় রেডি। অনেক ইনটেরিয়র এর কাজও হয়েছে মনে হয়। রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করার সময় কাজের শব্দ পাই। দামী দামী সব ফিটিংস নিয়ে মিনিট্রাক, পিকআপ এসে দাঁড়ায়, দেখতে পাই। ভদ্রলোক দুবাইয়ে ব্যবসা করেন। অনেক কষ্ট করে হাসলেন। ৫৫-৫৬ বছর হবে মাত্র বয়স। দেশে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকেন। – ফ্ল্যাট রেডি হয়েছে ২ মাস আগে। এই ফ্ল্যাটে উঠা আর না উঠা এখন একই কথা আমার জন্য। – কেন ভাইয়া, কোন সমস্যা? – জানো, প্রায় ৭ বছর ধরে টাকা জমিয়েছিলাম এই ফ্ল্যাটটার জন্য। এরপর ৩ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তোলা এই এপার্টমেন্ট। ৬ মাস ধরে ৪৩ লাখ টাকার ইনটেরিয়র, ৭ টা এসি, সেগুন কাঠের সব আলমিরা আর লেকার করা কিচেন কেবিনেট লাগানো সুপারভাইজ করলাম। শুধু আর্কিটেক্ট এর বিলই দিয়েছি ১২ লাখ টাকা। এখন সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। – বুঝলাম না ভাইয়া। – আমার একটা কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে, অন্যটা মাত্র ১৫ ভাগ কাজ করছে। ডায়ালিসিস করে চলছি। বড়জোর ৬ থেকে ১২ মাস হয়ত চলবে এভাবে, তাও হয়ত নিশ্চিত না……বলে উপরের দিকে তাকালেন…। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম, এখনো ম্যাচিং কিডনি পাইনি। পেলেও ৪০-৪৫ লাখ টাকার বাজেট দিয়েছে। আরো বেশী লাগাও বিচিত্র না। হাতে টাকা নেই, এত বছরের গড়ে তোলা ফ্ল্যাট, সামান্য একটা অসুখেই মুহুর্তে কাগজের মত উড়ে যাবে। কি অদ্ভুত না,
– এত শখ করে বানালেন যখন উঠে আসেন, আমরাও একটু ভালমন্দ খাওয়ার দাওয়াত পাব। নতুন ফ্ল্যাট হতে চিকিৎসা চলুক………।আমি বললাম। অশ্রুসজল চোখে শরিফ ভাই বললেন, -ভাই, অবাক হয়ে ভাবি, এই ফ্ল্যাটটার জন্য জীবন দিয়ে দিলাম। কয়মাস পরেই যে সাড়ে তিন হাত ঘরে যাব তার জন্য কিছুই ভাবি নাই। কোন সঞ্চয় নাই। ভেবেছিলাম অন্তত ৭০-৮০ বছর বাঁচব। নাতি নাতনিদের সাথে খেলব। ইউরোপ, আমেরিকা ট্যুরে যাব। একটা ছোট্ট ঘরে গিয়ে কয়’শ কিংবা হাজার বছর শুয়ে থাকতে হবে, অথচ সেই ঘরের জন্য কোন ইনটেরিয়র করলাম না। কোন এসি লাগালাম না, টাইলস লাগাবার সুযোগ নাই, লেকার পলিশ করার নিয়ম নাই, বসার জন্য সোফাসেট নাই। এখন আর এগুলার জন্য হাতে সময় নাই। মাফ চেয়ে কুল পাচ্ছি না। অল্পতেই চোখে পানি আসে। একটা সময় অনেক চেষ্টা করলেও একদম আসত না। বরং অন্যদের কান্না দেখে অবাক হতাম। আমি জানি না, ওখানে গিয়ে কিভাবে শুয়ে থাকব, শিমুল তুলার বালিশ ছাড়া আমার তো ঘুম আসে না। আসি, আমার জন্য দোয়া করিও। উনার কথা শুনে একটা হার্টবিট মিস করলাম। আমাদের সাথেও কি অদ্ভুত মিল!! এই দুনিয়ার শান শওকত সবই মিথ্যা মায়া মরিচিকা।সাড়ে তিনহাত মাটির ঘরই সত্যি।

রাজনীতি হোক দেশের জন্য

আপনি বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ যা খুশি করেন। তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। এটা আপনার রাজনৈতিক অধিকার। আপনার রাজনৈতিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করার অধিকার আমার নেই। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আপনার আছে। দল করার স্বাধীনতা আপনার আছে। আমার আপত্তি হিংসা প্রতিহিংসায়। আপনি লীগ করেন জন্যে বিএনপিকে শত্রু ভাববেন, আবার বিএনপি করেন জন্যে লীগকে শত্রু ভাববেন কিংবা জামায়াত, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ করেন জন্যে অন্য কোন দলকে শত্রু ভাববেন, এটা আমার পছন্দ নয়। এখানেই আমার যত আপত্তি। রাজনীতি আপনি কিসের জন্য করেন? দেশ ও দেশের মানুষের জন্যই তো, নাকি? তাহলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে না দিয়ে প্রতিপক্ষের পিছনে সময় নষ্ট কেন করেন? মারামারি, হানাহানি, কাটাকাটি করতে গিয়ে নিজের জীবন, পরিবারের জীবন ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জীবনকে বিপদে ফেলেন কেন? যাঁদের জন্য এসব করছেন, তাঁরা তো তাঁদের স্হানে ঠিকই আছে। দিনে একজন আরেকজনকে গালি দিচ্ছে, খিস্তি খেউড়ি করছে, রাত হলে খোঁজ নিয়ে দেখেন তাঁরা একই টেবিলে বসে কোরমা পোলাও খাচ্ছে। একই পেয়ালায় সুরা পান করছে। তারপর দেখেন তাঁদের পরিবার, সন্তান, সন্ততি সবাই দেশের বাইরে। তাঁদের সেখানে আলিশান প্রাসাদ অট্টালিকা রয়েছে। আপনার কি আছে? কোন এমপি মন্ত্রীর পরিবার সন্তান সন্ততি এই দেশে আছে, বলতে পারেন? আর আপনার পরিবার পরিজন সন্তান সন্ততির কি খবর? তাঁরা কি তিনবেলা তিন মুঠো ডালভাত খেতে পারছে? মনে হয়, না। তাহলে কেন আপনি তাঁদের জন্য নিজেদের মধ্যে হিংসা, প্রতিহিংসা, মারামারি, কাটাকাটিতে লিপ্ত হচ্ছেন? কেন নিজের জীবনকে বিসর্জন দিচ্ছেন? পরিবার পরিজন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিপদে ফেলছেন? একটু ভাববেন কি একবার? যতদিন আপনারা ঠিক না হবেন, ততদিন এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না। ততদিন নেতারা ঠিক হবে না। নেতারা ঠিক না হলে দল ঠিক হবে না। দল ঠিক না হলে দেশ ঠিক হবে না। দেশ-ই যদি ঠিক না হয়, তাহলে আপনার রাজনীতি কিসের জন্য? সো, রাজনীতি হোক দেশের জন্য....

শীতের আকর্ষণ হাঁস ভূনা ও চাপটি সাথে লোভনিয় হরেক রকমের ভর্তা

প্রথমেই দুঃখিত বলে নিচ্ছি কারন এই পোস্টের মধ্যে তিতলিকে আনতে পারিনি। দ্বিতীয়বার দুঃখিত বলতে চাই কারন- বাবু খেয়েছে কিনা, বাবুর রাগ ভেঙ্গেছে কিনা অথবা আমাদের বাবু ছেঁকা খেয়ে টাল হয়ে কোথাও পরে আছে কিনা সে জাতীয় কোন খোঁজ খবর আমার পোস্টে নেই। সহজ ভাষায় অসাধারণ এক যাদুকরি হাঁস ভূনার কথা বলব আজ। "যাদুকরী" শব্দটা ব্যবহার না করে আসলে পারলাম না। কারন- খাওয়া শুরু করলে খেতেই থাকবেন, থামবেনতো ঝালে নেস্তনাবুদ হয়ে যাবেন 🤣 হাঁসঃ এবার বলি কেন এই হাঁস ভূনাটার এত প্রশংসা করলাম। সাধারণত বাটা মশলা ব্যবহার ও লাকড়ি চুলায় রান্না করলে খাবার এমনিতেই খুব সুস্বাদু হয়, এই হাঁস ভূনার ক্ষেত্রেও বিষয়টা সেরকম ছিল। অন্যদিকে ভীষণ রকমের ঝাল থাকায়- ঠান্ডার মধ্যে একেবারে জমে ক্ষীর হয়ে গিয়েছিল ব্যাপারটা। হাঁসের ঝোলটা একদম পার্ফেক্ট ছিল- না পাতলা, না ঘন। খুব ভাল বলছি বলে ভাববেন না এটা একেবারে সেই জিনিস। যদি সহজভাবে বুঝাই- এটা অনেকটা আমাদের নানি-দাদির হাতের হাঁসভূনার মত, যার মধ্যে কোন রকেট সায়েন্স নাই, আছে শুধুই সাদামাটা মশলা আর আদর মাখানো রান্নার কৌশল। চাপটি ও ভর্তাঃ চাপটি নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। এটা আমাদের বাসা বাড়িতে যেমন চাপটি করা হয় ঠিক সেরকমই। তবে, চাপটির সাথে ফ্রীতে দেওয়া ভর্তা নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়। আমি এর আগে কখনো শুটকি
ভর্তার মধ্যে লেবু পাতা ব্যবহার করতে দেখিনী এবং লেবু পাতা ব্যবহার করলে যে সামান্য শুটকি ও ধনিয়াপাতা ভর্তা এতটা সুস্বাদু ও সুগন্ধিতে ভরে আসে সেটা এখানে খাওয়ার পরই বুঝেছি। হতে পারে এটা অনেকের কাছে পুরানো তবে আমার কাছে নতুন ছিল। যারা টুকটাক রান্না করেন তারা চাইলে ট্রিকটা ব্যবহার করতে পারেন, আমার বিশ্বাস অসাধারণ ফলাফল পাবেন 👍🏾 দোকানের নামঃ খালার চাপটি (নাম ভূল হতে পারে। কারন সেখানে কোন নাম ঝুলানো সাইনবোর্ড পাইনি। সিরিয়ালে অনেকগুলো দোকান, তবে আপনি যেখানেই বসেননা কেন হাঁস ভূনাটা ওনার কাছ থেকেই এনে দিবে আপনাকে। আমরা যেখানে বসেছিলাম সেখানে যিনি চাপটি ভাজছিল তার নাম- সোহাগী) দামঃ ১। হাঁস ভূনা প্রতি প্লেট ১৫০/- টাকা (হাড়সহ মাংস থাকে ৫/৬পিস)। ২। চাপটি প্রতি পিস ১০/- টাকা। (সাথে কয়েক পদের ভর্তা একদম ফ্রি) ঠিকানাঃ সোজা চলে যাবেন ৩০০ফিট পূর্বাচল। অতঃপর সেখান থেকে গুগলে সার্চ করুন Khalar Chapti. গুগল ম্যাপঃ https://maps.app.goo.gl/mRhkZVYQw4zH1VkH9 নোটঃ যদি ৭সাগর ১৩নদী পার করে পূর্বাচল চলেই যান তাহলে আপনার বাসার জন্য শীতের সবজি নিতে ভুলবেন না। ওখানে ক্ষেত থেকে তোলা বিভিন্ন তাজা শাক-সবজি পাবেন। দাম কিছুটা কম বেশী হলেও জিনিস ভাল পাবেন। পরিশেষেঃ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ সাজেস্ট করে ভাই এটা খান বা ঐটা খেয়ে একটা রিভিউ দেন। খেতে যাওয়ার পর দেখা যায় শতকরা ২০% খাবার মুখে দেওয়া যায়, বাকি ৮০% খাবার নিয়ে আর কিছু বললাম না। তবে এই হাঁস ভূনার খোঁজ যে আমাকে দিয়েছিল সৃষ্টিকর্তা যেন তার মঙ্গল করেন। একটু বেশিই ভাল্লাগসে আরকি 😆 যাকগে অনেক মার্কেটিং করে ফেললাম হাঁস নিয়ে, আজ এই পর্যন্তই। ভাল কথা- আমার কোন ফেইসবুক পেইজ অথবা ইন্সটাগ্রাম নেই- সূতরাং আমাকে ফলো করার প্রশ্নই ওঠে না। লেখায় ভূলত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, সর্বোপরি নিজে ভাল থাকবেন ও আপনার চারপাশকে ভাল রাখবেন। ভালবাসা রইল ❤️

সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায় মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটের এই ক্ষমার ঘটনা

সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায় মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটের এই ক্ষমার ঘটনা!! লোকটির শেষ কথা ছিলো " ভাই আমি একটা কথা বলতে চাই ", এর পর আর কিছু শুনা যায়নি। দেশীয় রাজাকাররা তাকে মেরে ফেলে। বলছিলাম বাগেরহাটের শহীদ ভোলানাথ বসু ও তার পরিবারের দুর্দশার কথা। ভোলানাথ বসু ছিলেন বাগেরহাটের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী। সকলের সাথেই ভালো উঠা বসা ছিলো তার। এলাকায় ও শহরের সকলকেই কম বেশি সাহায্য করতেন পরিবারের বেশিরভাগ আত্মীয় দেশভাগের সময় ভারত চলে গেলেও জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসায় চলে যাননি। ৪৭ এ যারা ভরসা নিয়ে থেকে ছিলেন তাদের অধিকাংশই ১৯৬৪ সালের খুলনা অঞ্চলের খান এ সবুরের পৃষ্ঠপোষকতায় ভয়াবহ সংখ্যালঘু নিধনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সেই সময়ের বর্ননা পাওয়া যায় ভোলানাথ বসুকে নিয়ে লিখা একটি বইয়ে। সেই বইয়ে লেখিকা সেই সময়ের একটি ঘটনা লিখেছেন, তার ভাষায় " ১৯৬৩ সালে আমার বাবা-মা ঘরবাড়ি বিষয়- আশ্রয় ফেলে বলতে গেলে এক কাপড়ে ভারতে চলে গেলেন। দেশভাগ থেকেই মূলঘর গ্রাম ফাঁকা হয়ে যাচ্ছিল। দু’এক ঘর যারা ছিল, তারা নানারকম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছিল। ইদানীং কেউ হয়তো বাড়ি ফেলে দু’চার ঘণ্টার জন্য কোথাও গেছেন, ফিরে এসে দেখেছেন ওটুকু সময়ের মধ্যেই বিহারি কোনো পরিবার সেই বাড়ির তালা ভেঙে ঢুকে সংসার সাজিয়ে রান্না-খাওয়া শুরু করেছে। এরকম ঘটনা সুধা দিদির। মূলঘর গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা সুধাদি সকালবেলার ট্রেনে বাগেরহাট এসেছিলেন। দুপুরবেলা বাড়ি ফিরে দেখেন তালা ভেঙে উঠে বসেছে এক পরিবার। সেদিন থেকে আইন আদালতের দরজায় দরজায় অনেক ঘুরলেন তিনি। কিন্তু ঘরে ফেরা আর হল না তার। এক কাপড়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। … বুকটা ফাঁকা হয়ে গেল। কত উৎসাহ, কত আনন্দ। ছবির মতো চোখের সামনে সারাদিন ভেসে ভেসে আসতো। দুর্গামন্দিরের সামনে বিশাল উঠোন। একপাশে বড় বেলগাছ, যার তলায় বোধন হতো। পূজার সময় আত্মীয়স্বজনে ভরে যেত ঘর। অথচ গ্রামে মানুষের অভাবে বাবা দেশ ছাড়লেন! ফেলে গেলেন আমাকে। প্রাণটা হু-হু করে। চোখটা বারবার অকারণে ঝাপসা হয়ে আসে। যাই হোক, এত কিছুর পরও ভোলানাথ দেশ ছেড়ে যাননি, ঝুকি নিয়েও সমাজের ভালো মানুষের উপর বিশ্বাসে বাগেরহাটেই থেকে যান। অবশেষে এলো ১৯৭১ সালের সেই ১৭ই মে। সকাল বাসায় নিজের ঘরে বসেছিলেন ভোলানাথ বসু। বাইরে থেকে কিছু লোক আসেন, ভোলানাথের পরিবার তার শুধু একটি কথাই শুনতে পায় তার ঘর থেকে। সেটি ছিলো " ভাই আমি একটা কথা বলতে চাই "। এরপর গুলির শব্দ, কথাটি বলতে পারেননি তিনি। তার মেয়ের ভাষায় সেই সময়ের বিবরন " ১৯৭১সাল আমার ঠাকুমা আর মায়ের জীবনটা পাল্টে দেয়৷বলা ভাল উলটে পালটে যায়৷বাবাকে দেশীয় রাজাকারেরা হত্যা করে ১৭ই মে৷ছয়মাস পুত্র শোকে উৎভ্রান্ত,শয্যাগত ঠাকুমা মারা গেলেন ১৪ই নভেম্বর৷তাঁর বৌমা,আমাদের মা ক্ষুদ্র ক্ষমতায় সমগ্র ভালবাসা শ্রদ্ধা একত্রিত করে সেই অবরুদ্ধ সময়ে ঠাকুমার যত্ন করেছিলেন ৷ঠিক লিখিত ভাবে তার বর্ণনা দেওয়া যায়না৷ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন বলাটাই সহজ এবং সত্য৷ মায়ের স্বচ্ছ আয়ত চোখ দুটিতে অশ্রু ,পাথরের মতই জমাট বেঁধে থাকত৷কখনই তা মাটিতে ঝরে পড়ুক ,মা তা চাননি৷নিজেকে কঠিন থেকে কঠিন করে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিটি দিন, নিজেও যুদ্ধ করে যেতে লাগলেন৷নিজের জন্যে,ঠাকুমার জন্যে, আমাদের জন্যে -একটি দেশের মুক্তির জন্যে! মায়ের ভালবাসা,শ্রদ্ধা,যত্ন সব কিছু তুচ্ছ হয়ে গেল মহান মৃত্যুর কাছে৷ ১৪ই নভেম্বর ঠাকুমা মারা যান৷একাকী মা,তাঁর সাধ্যকে অতিক্রম করে ঠাকুমাকে সম্মানের সাথে শেষ শয্যায় শুইয়ে দেন৷ জানিনা,মায়ের অতি মূল্যের সেই অশ্রুবিন্দু ঝরে পড়েছিল না কিনা ঠাকুমার সমাধীতে৷ ১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কথা কে না জানে!ঐ দিন পূর্ব পাকিস্তান থেকে "বাংলাদেশ" নামক একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়,ত্রিশ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে৷আমার বাবা ছিলেন তাঁদের একজন৷জানিনা, আমাদের ঠাকুমা,"প্রমোদিনী বসু"ও তাঁদের একজন কি না! পুত্রশোকে যাঁর মৃত্যু হয়েছিল৷ মৃত্যুর পরও রাজাকাররা ক্ষান্ত হয়নি। তাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী মারেনি, মেরেছিল এই দেশীয় রাজাকার বাসাবাটির করিম মওলানার ছেলে আলী আর রাজমিস্ত্রি কুটি মোল্লা। মৃত্যুর কিছু সময় পর তারা আবার আসে, তার কল্লা কেটে কল্লা নিয়ে যাবে যার নির্দেশে হত্যা করা হয়। কেনো হত্যা করেছিল, কেনো তার প্রতি এই ক্ষোভ ছিলো ( যুদ্ধে সশস্ত্র অংশগ্রহণ না করার পরও) তা হয়তো করিম মাওলানাই জানবে ভালো। যাইহোক তারা আসার আগেই তাদের প্রতিবেশীদের সহায়তায় তারা তার বাবার দেহ মাটি চাপা দিয়ে দেয়, শেষ অসম্মান থেকে রক্ষা করে। তার ছিলো ১১ ছেলে মেয়ে, নিরাপত্তার জন্য অনেকে সেই সময় ভারতে চলে যান, অনেকে বাংলাদেশে থাকেন যুদ্ধের সময়। অবর্ননীয় কষ্টের মাঝে দিতে হয় বাবা ও আত্মীয়স্বজন বিহীন তার পরিবারকে। ভোলানাথ বসুর স্ত্রী চেষ্টা করেন তার বৃদ্ধা শাশুড়ির সেবা যত্নের যিনি পুত্র শোকে কাতর ছিলেন। কিন্তু বেশিদিন বাচতে পারেননি তার মা, দেশ স্বাধীনের আগেই মারা যান পুত্র শোকে। সেইসময়ের ঘটনা তার ছেলের ভাষায় রিকশাওয়ালা বললো – ‘এই মাকে গিয়ে বলিস তোর দিদিকে আমি বিয়ে করবো।’ কীভাবে যেন তাদের হাত ছাড়িয়ে বাড়ি ফিরলাম। আতঙ্কে হিম হয়ে গেল চেতনা। মাকে তো কিছু বলা যাবে না! কাউকে বলা যাবে না। ডা. অরুণ নাগের বাড়িতে রান্না করতো হরেন কাকা। তার মেয়েকে নিয়ে গেছে ওপাড়ার একজন তাকে আমি চিনি। রাধাবল্লভ গ্রাম আমাদের বাড়ির অনেক কাছে। ঐ গ্রামের ডাক্তার বলরাম অধিকারীর মেয়ে মঞ্জুরানী অধিকারীরকে দিনের বেলা শারীরিক নির্যাতন করার পরে খুন করে ফেলে দিয়েছে নদীতে। এসব ঘটনার কোনো আড়াল নেই, কিছু গোপনীয়তা নেই, আমিও জানি। রাতে শুয়ে ছটফট করি, কিছুতেই ঘুম আসে না।’ [পৃ ৯৯] তবে সব খারাপ ও শয়তানের বিনাশ আসে, এইখানেও আসে। খারাপ, ভন্ড, নিরপরাধ মানুষ হত্যাকারী, দেশীয় রাজাকারদের আস্ফালন শেষ হয় ১৬ ডিসেম্বর। তার ছেলে মেয়েরাও সেদিন স্বাধীনতার আনন্দ করে। তার খুনির কি হলো? তার মেয়ের ভাষায় সেই ঘটনা " ডিসেম্বর মাস,কিন্তু শীতের তীব্রতার থেকেও আমার মায়ের দুঃখের তাপ এতটাই বেশী ছিল যে,নির্ঘুম রাত কাটতো বিছানার বাইরে৷ ১৯৭১ সালের ২১ই ডিসেম্বর৷আমাদের পুকুরের জলে তখন ঘন হয়ে জমে আছে হিমের সর-মায়ের জীবনের মতই!ঠাকুমার লাগানো লাল জবা গাছে অসময়ে ফুটে আছে আগুনতি ফুল। কুয়াসার সাধ্য কী তার উজ্জ্বলতাকে ম্লান করে দেয়৷ সেই মন কেমনের অতি সকালে মা চমকে ওঠেন সম্মিলিত কন্ঠস্বরে৷একঝাঁক তরুণ উঠানে দাঁড়িয়ে,হাতে তাঁদের রাইফেল,নামানো৷তারা মাকে নিতে এসেছে ৷কাকি মা বাড়ি থেকে বের হন তাদের ডাক আসলো। ওরা একটি মুখের হাসির জন্যে যুদ্ধকরে আজ জয়ী!মুক্তিযোদ্ধা৷ বাড়ির সাথেই আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন রাস্তা৷যথোচিত সম্মান দিয়ে ,সবার সামনে মাকে রেখে মুক্তিযোদ্ধারা পৌঁছায় সেখানে৷একটা রিকসায় হাত পা বাঁধা একটি লোককে দেখে মা চমকে ওঠেন৷দ্রুত নিজেকে সামলে চোখ ফিরিয়ে নেন৷মা খুব শক্ত হয়ে নিজের চোখের জল ধরেও রাখেন৷এর সামনে কিছুতেই নিজের দুর্বলতা প্রকাশ না পায়! লোকটার পরিচয়,"আমার বাবার হত্যাকারী!" মায়ের হাতে একজন রাইফেল তুলে দেয়৷সমস্বরে তারা বলে ওঠে"মা! আপনি নিজের হাতে একে শাস্তি দ্যান! গুলি করেন এইডার বুকে!" ধীর স্থির ভাবে মা তাদের রাইফেল ওদের হাতেই ফিরিয়ে দেন৷ অন্যদিকে চোখ রেখে বলেন,"ওর বিচার করার আমি কে!ঈশ্বর ওর বিচার করবেন৷বাবারা,আমি চাইনা,আমার সন্তানদের মতন ওর সন্তানরা পিতৃহারা হোক৷" নিঃশব্দতার অনেক শক্তি! নির্বাক শত লোকের মাঝ দিয়ে মা আমার মাথা উঁচু করে আমাদের হাত ধরে বাড়ি ফিরে আসেন৷ সেই যে মা স্বামী হন্তারকের জীবন দিয়েছিলেন,পরে কোনোদিনও মা তার নাম বা সেই কথা মুখে আনেননি৷৷ক্ষমা তো ক্ষমাই৷নিঃশব্দে-নিঃস্বার্থে৷ মার বিশ্বাস ছিল হয়ত প্রচলিত আইনে তার শাস্তি হবে! কিন্তু হয়নি " পরবর্তীতে সেই গ্রামে সেই লোককে দেখা যায়নি। ভয়াবহ ওই দিনগুলোতে মানুষের নিষ্ঠুরতার পাশাপাশি মানুষের মহত্ত্ব ও উদারতার পরিচয়টিও এখানে বড়ো হয়ে উঠেছে। আনন্দ সোয়াই, জালাল সর্দার, শান্তিদি, আরতিদি, আনোয়ার কাকা, অহিদ, আলেয়া, দাউদ, ইসহাক মোল্লা, নাম-পরিচয়হীন রিকশাওয়ালা – এরকম অসংখ্য মানুষ সেই বিপদের দিনগুলোতে সহানুভূতি, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন – মানুষের নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে মানুষেরই মানবতার এ এক জয়গাথা। পাকিস্তানি দূষিত ঘৃণা ও মানুষ হত্যার চেতনার বাইরে গিয়ে নতুন চেতনার সুর্যোদয় ঘটান মুক্তিযোদ্ধারা, যারা তার সেই খুনিদের ধরে এনেছিলেন। এইদেশে ধর্ম, বর্ন এইসব নামে ঘৃণা ছড়ানো চলবেনা তাই মুক্তিযোদ্ধাদের বার্তা ছিলো। সোনার বাংলাকে ঘৃণার বাংলা বানানোর ক্যান্সারে আক্রান্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গিয়েছিল তারা ২৪ বছরে। সেই নিউক্লিয়াসই ধংস করে দেন মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলার মাটিতে এইদেশের নাগরিকদের প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ ছড়ানোর লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয় সেই সময়। যাই হোক ভোলানাথ বসুর ছেলে মেয়েরা পরবর্তীতে নিজেদের কর্মজীবনে সফল হয়েছেন শিক্ষা দীক্ষায়। কেউ কেউ ভারতে থেকে যান, কেউ কেউ বাংলাদেশে। তার বড় ছেলে স্বপন বসু বাগেরহাটের ব্যবসায়ী, ছোট ছেলে মানস বসু ঢাকায় মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক। তার স্ত্রী ও খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার মতো মহান কাজ করা উমা বসু ২০১৪তে মারা যান। মৃত্যুর আগে নিয়মিত স্বামী ও শাশুড়ির স্মৃতিস্তম্ভে নিয়মিত শ্রদ্ধা জানাতেন। তাদের এই ঘটনা জানা সম্ভব হয়েছে লেখক মুফিদুল হক ও ঝর্ণা বসুর সৌজন্যে। তার প্রকাশিত বই " অবরুদ্ধ অশ্রুর দিন (পারিবারিক স্মৃতিভাষ্য ১৯৭১) " এ ভোলানাথ বসুর পরিবার ও আরো অনেকে সেই সময়ের বাগেরহাটের স্মৃতিচারন করেছেন। তুলে ধরেছেন সেই সময়ের ভয়াবহতা। কারা সাহায্য করেছিল, কারা করেনি, কীভাবে তার পরিবার সংগ্রাম করে। লেখককে আমার ধন্যবাদ। বইটি চাইলে আপনারা পড়তে পারেন ক্রয় করে, এছাড়া তার স্ত্রী উমা বসুও সেই সময়ের স্মৃতি নিয়ে লিখেন। কমেন্টে বইয়ের প্রচ্ছদ দেওয়া। ছবিতে ভোলানাথ বসু, তার স্ত্রী। ছবি কৃতিত্ব : তার পরিবার এইরকম ভোলানাথ বসুর মতো আরো হাজারো জানা অজানা ঘটনা আছে ৭
১ এর, চেষ্টা করবো এই মাসে সেগুলো স্মরন করার।