আরাফার ময়দানের নিম কূটনীতির সাথে মিশে আছে জিয়া ও বাংলাদেশের নাম।

ওআইসির একবারের বৈঠকে এক অদ্ভূত সমস্যার কথা তুলে ধরলো মালেয়শিয়া। আরাফার ময়দানে প্রতিবছর প্রচুর হাজিসাহেব হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমে সেখানে ছায়া নেই। মরু থেকে ভেসে আসে গরম হাওয়ার হল্কা। হজ করা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে দক্ষিন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য। প্রথমে প্রস্তাব দেয়া হলো সৌদি আরব আর জর্ডান মিলে পুরো মাঠকে ঢেকে দেবে। কিন্তু এক সৌদি শেখ বললেন, এটি ঐতিহ্যের খেলাপ হবে। সেখানে খোলা আকাশের নিচে বা তাবুতে মুসাফিরের মতো একদিন অবস্থান করাই হজের ফরজ। অবকাঠামো গড়ার উপায় নেই। এবার আরবের আধাপাগল নয়া বড়লোক দেশগুলো এক হাস্যকর প্রস্তাব দিলো। তারা একটু দূরে দূরে পিলার বানিয়ে এয়ার কুলার লাগিয়ে দেবে। এই প্রস্তাবও অবাস্তব। বাংলাদেশ একটি প্রস্তাব দিলো যা ছিলো আরব কূটনীতিবীদদের জন্য হাস্যকর। বাংলাদেশের জিয়াউর রহমানের প্রস্তাব ছিলো গাছ লাগালেই তো হয়। কিন্তু আরব কূটনীতিবীদরা বললেন, রাব উল খালির সবচেয়ে শকনো এলাকায় বাবলার কাঁটাগাছও হয়না, সেখানে হবে ছায়াদার গাছ! বাংলাদেশ জানালো সবাই রাজি থাকলে এমন একটা গাছ দেয়া হবে, যার পানি লাগেনা তেমন। নদীর ধুধু চরে সে গাছ জন্মায়। সে গাছ কোনও কাটাদার গাছ নয়। রীতিমতো ছায়দার বৃক্ষ। ওআইসি বলেছিলো এয়ার কুলারের ব্যয় তাও বহন করা যাবে, কিন্তু মরুতে যে গাছ হয়, তার ব্যয় নির্বাহের সামর্থ্য কি সব দেশ মিলেও হবে! জিয়াউর রহমান আস্বস্ত করে সেদিন বলেছিলো, গাছের পুরো ব্যয় নির্বাহ করবে বাংলাদেশ। ওআইসি শুধু পরিবহণ খরচ দিলেও হবে। বাদশাহকে উপহার দেয়ার সময় জিয়াউর রহমান বলেন- “গরিব মানুষের দেশের গরিব রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে আপনার জন্য এই সামান্য উপহার।” বাদশাহ ফাহদ এই উপহার পেয়ে বলেন - "বহু দেশ থেকে বহু মূল্যবান উপহার পেয়েছি; কিন্তু এমন মূল্যবান উপহার তিনি পাননি।" আবেগে আপ্লুত বাদশাহ জড়িয়ে ধরেন রাষ্ট্রপতি জিয়াকে। তিনি বলেন, আজ থেকে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ পরস্পর অকৃতিম বন্ধু। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য অর্থ সাহায্য দিতে চান। কিন্তু এসময় জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের দেশের মানুষ গরিব, কিন্তু তারা পরিশ্রম করতে জানে। আপনার দেশের উন্নয়ন কাজের জন্য হাজার হাজার শ্রমিক দরকার। একটি নব্য স্বাধীন মুসলিম দেশের জন্য যদি আন্তরিকভাবে সাহায্য করতে চান, তবে আমার দেশের বেকার মানুষদের কাজ দিন। বাদশাহ ফাহদ রাজি হলেন। উন্মোচিত হলো এক নতুন দিগন্ত। তখন থেকে বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সৌদি আরব গিয়ে নিজেদের ভাগ্য বদল সহ স্বাবলম্বী হয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশে। সেদিন বাংলাদেশ থেকে জিয়াউর রহমানের দেওয়া ১০ লাখ গাছ শুধু আরাফার ময়দানে স্থায়ী ছায়া এনে দিয়েছে তাইই নয়, সেই থেকে খুলে গেছে আরব বিশ্বে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার যে ভীষণ সঙ্কটে ভুগছিলো তা কিছুটা হলেও দূর হয়েছিল। শুধু একটি ছোট্ট আইডিয়া, বাংলাদেশি জাতিনিমের গাছ, র‌্যাডিক্যালি কমে গেছে হজ করতে গিয়ে হিটস্ট্রোকের পরিমাণ। সৌদিতে আজও তাই আরাফার নিম গাছকে ভালোবেসে তারা জিয়া ট্রি হিসেবে ডাকে। এভাবেই আরাফার ময়দানের নিম কূটনীতির সাথে মিশে আছে জিয়া ও বাংলাদেশের নাম।

শেষ হুংকারেও লাভ হয়নি। তিনি এখানে কোন কিছুতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ধর্ম টেনে সেই রাজাকারদের অনুপ্রেরনা দেওয়ার হীন চেষ্টা করেছিলেন।

পরাজয়ের প্রহর গুনতে থাকা নিয়াজীর শেষ হুংকার আজকের এইদিনে। ৩০ নভেম্বর, ১৯৭১ এইদিন নিয়াজী নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিহারী অধ্যুষিত এলাকায় চলমান ন্যায় ও অন্যায়ের যুদ্ধে অন্যায় করা রাজাকারদের অনুপ্রেরণা দিতে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ মূলক বক্তৃতা দেন তৎকালীন সময়ের বিহারী অধ্যুষিত সৈয়দপুরে। সেই জনসভায় উপস্থিত অনেকের হাতেই হয়তো লেগেছিলো কিছুদিন আগে ট্রেনে পুড়িয়ে হত্যা করা শত শত নিরীহ মারওয়ারির রক্ত। লে. জেনারেল নিয়াজী এদিন সৈয়দপুর সফরে যান। তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পাশের মাঠে এক সভায় এখানে উপস্থিত বক্তারা ঘোষণা করেন, একজন পাকিস্তানি জীবিত থাকতেও পাকিস্তানের পবিত্র মাটি অপবিত্র হতে দেয়া হবে না। তারা সেনাবাহিনীর প্রতি স্থানীয় জনগনের পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন। জনগন পাকিস্তানের পতাকা, ভারত খতম কর, আল জেহাদ,হিন্দু সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস কর, পাকিস্তান জিন্দাবাদ লেখা সম্বলিত অসংখ্য প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন বহন করে এবং মুহুর্মুহু শ্লোগান দ্বারা এলাকা প্রকম্পিত করে রাখে। নিয়াজি তাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই অদম্য মনোবলে দিপ্ত জনতাকে পরাজিত করা যায় না। শেষ হুংকারেও লাভ হয়নি। তিনি এখানে কোন কিছুতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ধর্ম টেনে সেই রাজাকারদের অনুপ্রেরনা দেওয়ার হীন চেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত কোন ফায়দা হয়নি। ন্যায়ের কাছে অন্যায়ের পরাজয় হয়েছেই তার ২ সপ্তাহ পরই। ধিক্কার জানাই নিয়াজী ও তাদের দোসরদের যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য পবিত্র ধর্মকে ঢাল বানাতে চেয়েছিল সেইসময়। ধিক্কার জানাই নিয়াজী ও তার দোসরদের যারা নিরীহ মানুষ হত্যা করার জন্য শান্তির ধর্মের নাম নিয়ে মানুষকে উসকানি দিয়েছে। মুসলমানরা কখনো পরাজিত হয়না এই কথার মাধ্যমে নিয়াজী বাংলাদেশের পক্ষে থাকা সেই সময়ের ৮৫ ভাগ মুসলিমকে সরাস‌রি অমুসলিম ঘোষণা করে দেয়। নিয়াজীর পুরো যুদ্ধ জুড়েই মনোভাব ছিলো বাঙালিরা আর যাই হোক মুসলিম না 😠 এইরকম সংকীর্ণ মানুষ যারা কে মুসলিম কে মুসলিম না এইসব সার্টিফিকেট দেয় তাদের পরিনতি ইতিহাস দেখেছে। সবাইকে বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা। ছবি কৃতজ্ঞতা : সংগ্রামের নোটবুক

কুড়িগ্রামের কৃতী সন্তান বীর প্রতীক তারামন বিবি

বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত একটি নাম তারামন বিবি। একটি বীরত্বপূর্ণ নাম। একই সঙ্গে একটি ইতিহাস। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন নানা ভূমিকায়। ১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রামের কোদালকাটিতে আব্দুস সোবহান ও কুলসুম বেওয়ার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন তারামন বিবি। আরো ৭ ভাইবোনকে নিয়ে অভাবের সংসারে একটু সচ্ছলতার আসায় অন্যের বাড়িতে গৃহস্থালির ছোটখাটো কাজ করতেন শৈশব থেকেই। ১৯৭১ সালের চৈত্র মাসে আজিজ মাস্টার নামে একজন তাকে মুক্তিযোদ্ধা হাবিলদার মুহিবের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। হাবিলদার মুহিবের অনুরোধে তারামন বিবিকে তার বাবা-মা দশঘরিয়া মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে রান্নার কাজ করে দেওয়ার জন্য পাঠাতে রাজি হন। যদিও তৎকালীন পরিস্থিতিতে তারা কিছুতেই রাজি ছিলেন না তারামন বিবিকে সেখানে পাঠাতে। কিছুদিনের মধ্যে মুহিব তাকে অস্ত্র চালনা করা শেখালেন যাতে তিনি সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারে। ১৪ বছরের এই কিশোরী বুঝতেই পারেননি যে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনতে। ১৯৭১ সালের শ্রাবণ মাসের কোনো এক বিকেলে তারামন বিবি পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম অস্ত্রধারণ করেন। পাক বাহিনী গান-বোট নিয়ে হঠাৎ মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে আক্রমণ করলে অনেকটা আকস্মিকভাবেই তিনি অস্ত্র তুলে নেন। এরপর তিনি ১১ নাম্বার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার বীর উত্তম আবু তাহেরের নেতৃত্বে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে আরো অনেক মুখোমুখি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। যুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের সরকার তার সাহসিকতার জন্য ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধের পর হঠাৎ করেই তিনি প্রায় নিখোঁজই হয়ে যান। ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজের একজন শিক্ষক তাকে খুঁজে বের করেন। তারামন জানতে পারে তিনি ছিলেন বীর প্রতীক সম্মানধারী একাত্তরের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ভোরের কাগজ তার সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। অবশেষে স্বাধীনতার ২৪ বছর পর ১৯৯৫ সালে বীর এই নারী তার বীরত্বের স্বীকৃতি পান ১৯ ডিসেম্বর। ঐ দিন তৎকালীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন। তারামন বিবিকে নিয়ে আনিসুল হকের লেখা বই ‘বীর প্রতীকের খোঁজে’। যা পরবর্তীতে নাট্যরূপ দেওয়া হয় ‘করিমন বেওয়া’। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ এই বীর মুক্তিযোদ্ধা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে রাজিবপুর উপজেলার কাচারিপাড়া তালতলা কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়। তথ্য সূত্রঃ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, উইকিপিডিয়া, মুস্তাফিজ শাফি সম্পাদিত ‘একাত্তরের বিজয়িনী’ গ্রন্থ।

মহান মুক্তিযাদ্ধে সহোদর ভাইবোন একই সাথে যুদ্ধ করেছেন

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সহোদর ভাইবোন একই সাথে অংশগ্রহন করেছেন এমন উদাহরণ খুব কমই আছে। আজ বলছি এক সহোদর ভাই বোনের কথা যাদের একজনের নাম মেজর এ,টি, এম হায়দার ( আবু তাহের মোহাম্মদ হায়দার – বীর উত্তম ) ভাই এবং তার বোনের নাম ডা. ক্যাপ্টেন সিতারা রহমান – বীর প্রতীক। মেজর হায়দার ১২ ই জানুয়ারী ১৯৪২ কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহন করেন। তত্কালীন পূর্ব পাকিস্থান সেনাবাহিনীর ৩য় কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের কর্মকর্তা হায়দার কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে পালিয়ে ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং শুরু থেকেই ২নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফ এর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মেলাঘরে অবস্থিত প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে কমান্ডো, বিস্ফোরক ও গেরিলা ট্রেনিং সহ হায়দার মুক্তিযোদ্ধাদের শপথ গ্রহণ করাতেন। মেলাঘরে মেজর হায়দার প্রথম একটি স্টুডেন্ট কোম্পানি গঠন করেন। এই কোম্পানিকে তিনিই ট্রেনিং প্রদান করতেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত হন। সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৭৫ সালের সাতই নভেম্বর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জে জন্ম সিতারা বেগমের৷ বাবা মোহাম্মদ ইসরাইল এবং মা হাকিমুন নেসা৷ তবে বৈবাহিক সূত্রে তিনি সিতারা রহমান নামে পরিচিত৷ স্বাধিকার আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন সিতারা বেগম। এসময় তার বড় ভাই এ টি এম হায়দার ও সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন৷ মেট্রিক পাশ করার পর তিনি হলিক্রস কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ঢাকা মেডিকেল থেকে পাশ করার পর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে লেফটেন্যান্ট হিসাবে যোগ দেন। ১৯৭০ সালের উত্তাল দিনগুলোতে সিতারা বেগম কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে নিয়োজিত ছিলেন। সেই সময় তার বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা মেজর এ টি এম হায়দার পাকিস্থানথেকে কুমিল্লায় বদলি হয়ে আসেন। ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিতারা ও তার ভাই হায়দার ঈদের ছুটি পালন করার জন্য তাদের কিশোরগঞ্জের বাড়িতে যান। কিন্তু সেই সময়ে দেশ জুড়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে। হায়দার তার বোনকে ক্যান্টনমেন্টে আর ফিরে না যাবার জন্য বলেন। পরবর্তিতে তিনি তার বোন সিতারা, বাবা-মা ও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে পার্শবর্তী দেশ ভারতে পাঠান। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য মেলাঘরে বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল নামে ৪৮০ শয্যার একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে শেষ বর্ষের অনেক ছাত্র সেখানে ছিলো। ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা সেক্টর-২ এর অধীনে সেখানের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। তাকে নিয়মিত আগরতলা থেকে ঔষধ আনার কাজ করতে হতো। হাসপাতালে একটি অপারেশন থিয়েটার ছিলো। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বাঙালি ছাড়াও সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর লোকজন চিকিৎসাসেবা নিত। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ডঃ সিতারা রেডিওতে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার সংবাদ শুনে ঢাকায় চলে আসেন। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে তার ভাই মেজর হায়দার নিহত হলে ডা. সিতারা ও তার পরিবার বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। তথ্যসূত্রের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশঃ দশ দিগন্ত, ফ্রাঙ্কফুর্ট, জার্মানী। বাঙ্গালীয়ানা। উইকিপিডিয়া। কিশোরগঞ্জ ডট কম।

বুলেট ট্রেনের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

বুলেট ট্রেন 🚝🚝🛤️🛤️ যারা ১ দিনেই কক্সবাজার/সাজেক/বান্দরবান/রাঙামাটি থেকে ঢু মেরে আসতে চান তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ 😄😄 বুলেট ট্রেনের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা রুটে চলাচলের জন্য নেওয়া প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ। নকশা তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। উচ্চগতির এই রেলসেবা চালু হলে ননস্টপ ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে। ট্রেনটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে চলবে এবং দিনে প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে। এই সেবা পাওয়ার জন্য একজন ব্যাক্তির টিকিটের মূল্য হবে ২০০০ হাজার টাকার মতো। রূট ম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তাবিত রেলপথে মোট ছয়টি স্টেশন রয়েছে সেগুলো হচ্ছেঃ- ঢাকা নারায়ণগঞ্জ কুমিল্লা ফেনী পাহাড়তলী চট্টগ্রাম যদি এসব স্টেশনে ট্রেনটি ৩ মিনিট করে থামে তাহলে আরো ১৮ মিনিট সময় বেশি লাগবে। সেক্ষেত্রে লাগবে ৭৩ মিনিট চট্টগ্রাম পৌছাতে। আর যদি না থামে তাহলে মাত্র ৫৫ মিনিটেই চট্টগ্রাম পৌছাবে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর স্টেশনগুলোতে ট্রেনটি থামবে কি থামবে না এসব বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর হবে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রূটের রেলপথ রয়েছে প্রায় ৩২১ কিলোমিটার। তবে উচ্চগতির রেলপথটি আগের রেলপথের চেয়ে প্রায় ৯৪ কিলোমিটার কম হবে। এক্ষেত্রে উচ্চগতির রেলপথ দাঁড়াবে ২২৭ কিলোমিটার। বর্তমানে ঢাকা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,কুমিল্লা,ফেনী,পাহাড়তলী ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। উচ্চগতির ট্রেনের জন্য ঢাকা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা রূটে ব্যবহার করা হবে না, সরাসরি ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ তারপর কুমিল্লা হয়ে চট্টগ্রাম পৌছাবে বুলেট ট্রেনটি। এক্ষেত্রে কম পাড়ি দিতে হব প্রায় ৯৪ কিলোমিটার ।

সাজেকে ‘৯৯৯’ এর মাধ্যমে কল পেয়ে পাহাড় থেকে পড়ে যাওয়া পর্যটক উদ্ধার

০১ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রিঃ, রোকসানা আক্তার (৩৮), স্বামী- আব্দুল ওহাব’সহ ঢাকা থেকে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণে আসে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর সাজেক ভ্যালি পরিদর্শন করে পাহাড়ের নিচে ঝরণা দেখার উদ্দেশ্য স্বামী সহ রওনা করে। প্রায় ২০০০ ফুট নিচে নামার পর হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পা ভেঙ্গে ফেলে সে । এসময় সাহায্যর জন্য দিশেহারা হয়ে যায় সে। উপায়ন্তর না দেখে ৯৯৯ এ কল দেয় এই দম্পত্তি। ৯৯৯ এর মাধ্যমে কল পেয়ে সাজেকে অবস্থিত রুই লুই পুলিশ ক্যাম্প এর ইনচার্জ এসআই (সঃ) জনাব মুশফিকুর রহমান স্থানীয় জনগনের সহায়তা রোকসানা আক্তার’কে উদ্ধার করে । প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদরে আসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে রুই লুই পুলিশ ক্যাম্প এর ইনচার্জ এসআই (সঃ) জনাব মুশফিকুর রহমান। দ্রুততার সহিত পুলিশী সেবা পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই দম্পত্তি।

যদি কেউ জানতেন, কিভাবে স্ট্রোক সনাক্ত করা সম্ভব, তাহলে হয়তো ভদ্রমহিলা আজও বেঁচে থাকতেন।

খুব প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট।। একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সবকিছু ঠিক আছে, মেঝের টাইলসে তার নতুন জুতোর হীল বেঁধে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। কেউ একজন অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না। সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিস্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন। যদিও মনে হচ্ছিলো যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন। অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন। পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন। মূল যে ঘটনা ঘটেছিল, তা হলো- তার অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় স্ট্রোক হয়েছিল। সেখানে
সবাই যে মৃত্যুবরণ করে, তা নয়। অনেকের ঠাঁই হয় বিছানায়, সাহায্যহীন, ভারসাহীন মূমুর্ষূ অবস্থায়। মাত্র তিনটে মিনিট সময় নিয়ে এটা পড়ে ফেলুন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি একজন স্ট্রোকের শিকার রোগীকে স্ট্রোক হবার তিন ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নেওয়া যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়া সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে কিভাবে স্ট্রোক চেনা যায়, এবং কিভাবে রোগীকে উল্লেখ্য সময়ের মধ্যে মেডিকেল কেয়ারে নেয়া যায়। স্ট্রোককে চিনুন... সহজ তিনটি ধাপঃ- S T ও R... পড়ুন এবং জানুন! মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে। সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ S – Smile. রোগীকে হাসতে বলুন। T – Talk. রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর। R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন। এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন। (রোগী বলতে স্ট্রোকের শিকার সন্দেহ করা ব্যক্তি বোঝানো হয়েছে) সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। যদি আমরা সবাই-ই এই সহজ ব্যাপারগুলো জেনে রাখি, তবে আমরা একজনের হলেও জীবন বাঁচাতে পারবো। সুতরাং, আপনি শিখলেন- আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদেরও শেখান..!!. .. ( collected )

ক্ষমতার দম্ভে স্থাপিত মূতি ক্ষণস্থায়ী

ক্ষমতার দম্ভে স্থাপিত মূতি ক্ষণস্থায়ী অলিউল্লাহ নোমান বয়স যাদের ৪০-এর উপরে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। ইরাকের নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। নিজের দেশে জনপ্রিয়তা থাকুক বা না থাকুক এক সময় তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে সাদ্দামের বিপুল জনপ্রিয়তা ছিল। ১৯৯০ সালে ইরাক কুয়েত দখল করে নিয়েছিল। তখনই সাদ্দাম দুনিয়াব্যাপি আলোচিত এবং জনপ্রিয় নেতা। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে সাদ্দাম হোসেনের ছবি শোভা পেতে দেখা গেছে তখন। এই সাদ্দামের দেশে রাস্তায় বিভিন্ন মোড়ে সাদ্দামের ভাস্কর্য বা মূর্তি বসানো হয়েছিল। দোর্দন্ড প্রতাপশালী একনায়ক প্রেসিডেন্টের পতন হয়েছে আমেরিকানদের হাতে। সাদ্দাম আমেরিকানদের আক্রমনের মুখে পালিয়ে গিয়েছিলেন রাজপ্রাসাদ ছেড়ে। তাঁর নিজ গ্রাম তিকরিতের এক কৃষি ফার্মের গুহায় আশ্রয় নিয়ে বাঁচার জন্য শেষ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। আমেরিকানরা তাঁকে খুজে বের করেছে। আমেরিকান সৈন্যরা সাদ্দামকে ধরে নিয়ে এসেছিল সেই গুহা থেকে। সাদ্দাম হোসেন বাগদাদ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই মূর্তি গুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়। রাস্তার মোড়ে তাঁর কোন মূর্তি রাখা হয় নি। সব গুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল আমেরিকনাদের হাতে বাগদাদ পতনের পরপরই। আটক হওয়ার পর আমেরিকানদের পক্ষ থেকে সাদ্দাম হোসেনকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দেশটির শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। জিজ্ঞাসাবাদের নেতৃত্বদানকারী সিআইএ’র কর্মকর্তা জন নিক্সন এ নিয়ে একটি বই লিখেছেন। বইটির নাম-DEBRIFING THE PRESIDENT. বইটিতে দেখা যায়, ধরে আনার পর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে প্রথম দিন বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। এরমধ্যে একটি প্রশ্ন ছিল সাদ্দাম হোসেনের ভাস্কর্য বা মূর্তি নিয়ে। নিক্সনের বইয়ে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদের শেষ প্রশ্ন ছিল এটি। সাদ্দাম হোসেনকে বলা হয়েছিল, আমরা জানি ইতিহাসে অমর হয়ে থাকতে অনেক চেষ্টা ছিল তোমার। শাসনকালকে স্মরণীয় করে রাখার অংশ হিসাবে তোমার মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল বিভিন্ন জায়গায়। এই মূর্তি গুলো ইতোমধ্যে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, এই বিষয়টা এখন তোমার কাছে কেমন লাগছে? নিক্সনের ভাষায় সাদ্দাম হোসেনের জবাব ছিল-"Saddam gave a little laugh. He put up his index finger and said, “I want you to listen to me. I never asked anyone to put up a statue of me. Oftentimes, members of the revolutionary Command Council would say to me. Saddam, we want to put your picture up somewhere or we want to put up a statue of you. I would tell them no. But commend would overrule me. Who am I overrule the command?" আসলে স্বৈরশাসকরা সব সময়ই জনগণের দোহাই দিয়ে সব কাজ করেন। বিভিন্ন নামে থাকে তাদের চেলা চামুন্ডা এবং তোষামোদকারী। একনায়ক সাদ্দাম হোসেনও স্বৈরশাসকদের এ চরিত্রের বাইরের কেউ নন। তিনি তোষামোদকারীদের উপরই দোষ চাপিয়ে দিলেন। কিন্তু সাদ্দাম হোসেনের ভাষায় তোষামোদকারীদের নির্মিত ভাস্কর্য বা মূর্তি গুলো তাঁর জীবদ্দশায়ই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। এরজন্য তাঁকে ভিনদেশী গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সাদ্দাম হোসেন অমর হয়ে আছেন। তবে মূর্তির মধ্যে নয়। স্বৈরশাসন এবং নানা বিতর্কিত কর্মের মাঝে বেঁচে আছেন তিনি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি জন্মের সাথে শেখ মুুজিবুর রহমানের অবদানও অনস্বীকার্য। তাঁর সফলতা এবং ব্যর্থতা দুই-ই রয়েছে। স্বাধীনতার পর তিনিও স্বৈরাশাসক হিসাবেই পরিচিতি পেয়েছেন। সারা জীবন গণতন্ত্রের ফেরি করেছেন। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার শ্লোগান দিয়েছেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর আবার জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। নিষিদ্ধ করেছিলেন রাজনৈতিক দল। বিলুপ্ত করে দিয়েছিলেন নিজের দল আওয়ামী লীগ। বাকশালের নামে এক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বন্ধ করে দিয়েছিলেন সকল গণমাধ্যম। সাদ্দাম হোসেনের মত এক নায়ক হিসাবেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নিজেকে। এসব কর্মের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান এমনিতেই বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা এখন ক্ষমতায়। তিনি পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এক নায়কের মতই দেশ চালাচ্ছেন। তাঁকেও ইতোমধ্যে নানা উপাধিতে ভূষিত করা হচ্ছে। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করে বিরোধী দলের সবাইকে ঘরে ঢুকিয়ে দিতে পেরেছেন। এই দিক থেকে পিতার চেয়ে একধাপ এগিয়ে সফল বলা যায় তাঁকে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করে কিভাবে বিরোধী দল মুক্ত রাখা যায় দেশকে সেটা ইতোমধ্যেই প্রমাণ করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সাদ্দাম হোসেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মত তাঁরও চাটুকার তোষামোদকারীর অভাব নেই। মিডিয়া নামে দেশে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সবাই তাঁর তোষামোদকারী। তাঁর সব কর্মকাণ্ডের জয়গান করেন সবাই। গত রাতেও কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় গাড়িতে বসে একটি ইন্ডিয়াপন্থি টিভি চ্যানেলের তথাকথিত টক শো’র আলোচনা দেখছিলাম সোস্যাল মিডিয়ায়। আওয়ামী পন্থি একজন সাংবাদিক ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গণহত্যার প্রসংশা করে বলছিলেন, সরকার সেদিন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যা প্রশংসণীয়। ভাস্কর্যের নামে মূর্তির বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন, তাদেরকেও ২০১৩ সালের ৫ মে’র শাপলা চত্বরের মত প্রতিহত করার নসিহত করতে শোনা গেছে তাকে। অর্থাৎ প্রয়োজনে গণহত্যা চালিয়ে মূর্তি নির্মান করতে হবে, এটাই ছিল এ আওয়ামী সাংবাদিকের টকশো পরামর্শ। অথচ, বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষের সংস্কৃতি মূর্তিকে সমর্থন করে না। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এ মানচিত্রের সংস্কৃতি হাজারো বছর ধরে ধারণ করে আছে মানুষ। এখন হঠাৎ করে বিভিন্ন চেতনার শ্লোগান দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি স্থাপনের কথা বলা হচ্ছে। যারা এই চেতনার শ্লোগান দিয়ে মূর্তি স্থাপন করতে চায় তাদের এ অপচেষ্টা দীর্ঘ দিনের। নানা ইস্যুকে সামনে নিয়ে তারা বিতর্ক তৈরি করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় সংস্কৃতির বিপরীতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তিকে কৌশল হিসাবে নেয়া হয়েছে। জন নিক্সনের বই দিয়ে শুরু করেছিলাম। সাদ্দাম হোসেনের শেষ পরিণতি দিয়েই আজকের লেখা শেষ করব। সাদ্দাম হোসেনের গাড়ির ড্রাইভারের উদ্ধৃতি দিয় জন নিক্সন লিখেছেন, বাগদাদ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় অনেক রাত হয়ে গেছে। দীর্ঘ পথ চলায় ক্লান্ত সবাই। একটু বিশ্রাম প্রয়োজন। পথে এক বাড়ির সামনে গাড়ি থামানো হল। সাদ্দাম হোসেন বাড়িটিতে কিছু সময় বিশ্রামের জন্য আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই বাড়ির ভেতর থেকে দরজা খোলা হয়নি। সামান্য বিশ্রামের জায়গা হয়নি তাদের। সাদ্দাম হোসেন তখনো তাদের প্রেসিডেন্ট। অথচ প্রেসিডেন্টকে আশ্রয় না দিয়ে তাড়িয়ে দেয় নিজ দেশের নাগরিক। সুতরাং মূর্তি স্থাপন করলেই ইতিহাসে অমর হওয়া যায় না এটা এই দুনিয়ায় প্রমাণিত। ৯০ শতাংশ মানুষের ধর্মীয় সংস্কৃতি ও অনুভুতির বাইরে গিয়ে ক্ষমতার দাপটে মূর্তি স্থাপন করা যাবে। তবে এটা হবে ক্ষণস্থায়ী। অদূর ভবিষ্যতে এই মূর্তিকে মানুষ একদিন বুড়িগঙ্গায় ভসিয়ে দেবে।

- পিরিয়ডের কথা,,, ভুল হলে মাফ করে দেবেন, 🙏🙏🙏

- পিরিয়ডের কথা,,, ভুল হলে মাফ করে দেবেন, 🙏🙏🙏 পৃথিবীর ছেলেরা একবার, মাত্র একবার যদি পিরিয়ডের ৩ দিনের যন্ত্রনা ভোগ করতো তাহলে মেয়েরা নিত্যদিনের বেঁচে থাকা আর একটু অপমানের হাত থেকে রেহাই পেতো....!😊 যদি বুঝতো তলপেট চেপে ধরে শরীর উল্টানো ব্যথার কান্না কতটা ভয়ঙ্কর তাহলে খুড়িয়ে হাঁটতে দেখে মুচকি হাসি দিতো না। হাতটা ধরে রাস্তা পার করে দিতো।🙂 যদি টের পেতো কি সাংঘাতিক কষ্ট নিয়ে একটা মেয়ে মাসচক্রের এই ৫-৬ দিনের সময়টা পার করে! চিটচিটে, গা ঘিনঘিনে একটা অস্বস্তিকর অবস্থা নিয়ে ক্লাস, অফিস, সংসার, মাটিকাটা, ইটভাঙা,সবকিছু রুটিন মেনেই করে যায়। তাহলে অন্তত এটাকে নিয়ে উপহাস করতো না।😢 কালচে রক্তের ছাপ শাড়িতে, কামিজে,প্যান্টে দেখলেই খুব মজা লাগে। হেসে গড়াগড়ি খেয়ে অন্যের গায়ে পড়ে বলতে শুনেছি___ মামা তোর কি মাসিক চলতেছে? আজকে কয় দিন..?😢🙄 কিন্তু একটাবারো ভেবে দেখে না এই সময়টা আসে বলেই, এই কষ্টটা হয় বলেই কিন্তু আমাদের মত সন্তানদের জন্ম হয়। আর আমরাই এটাকে হাসির খোরাক বানায়।😢🥀 কোন দোকান থেকে ন্যাপকিন বা প্যাড কিনতে দেখলেই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটা বলে উঠে,পাউরুটির প্যাকেট নাকি ঐটা বলেই অট্টহাসিতে গড়িয়ে পড়ে। কিন্তু একটা বারও যদি বুঝতো ঐ পাউরুটির মত ন্যাপকিন বা প্যাড টা ব্যবহার করতে গিয়ে তাদের কতটা বিরক্তিকর অবস্থার ভিতর দিয়ে কাটাতে হয়।🙂🐸 একটা মেয়েকে ন্যাপকিন কিনতে দেখে মজা করছেন, তো মাত্র দুই ঘন্টা একটা ন্যাপকিন আন্ডারওয়ারে লাগিয়ে বাহির দিয়ে হেঁটে আসলেই বোঝা যেতো সে কত বড় বাঘের বাচ্চা! আমার বড় মায়ের পিরিয়ড হয়েছে বলেই আমার নানীর জন্ম, আমার নানীর পিরিয়ড হইছে বলেই আমার মায়ের জন্ম, আমার মায়ের পিরিয়ড হইছে বলেই আমার জন্ম…।❤️🥀 এটা চক্র!!! এটাকে নিয়ে ঠাট্টা বা উপহাস করার মত কোন বিষয় নয়,🙂 সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই...। একজন নারী যে পরিমান শারিরিক কষ্ট বা যন্ত্রনা ভোগ করে থাকে তার অর্ধেকটা যদি কোন পুরুষ পেতো তবে বেঁচে থাকার নামও মুখে নিতো না আর। তাই এটাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা না করে,তাদের দিকে সাহায্যের হাত এগিয়ে দিন,🙂 আর ভুল কিছু বলে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন,🙂🙂

পাহাড়ে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন গুলোর চাঁদাবাজির একটা ভয়ংকর তথ্য দেই।

শান্তিচুক্তি হয়েছে আজ প্রায় দুই যুগ হয়ে গেলো কিন্ত বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি আর নির্যাতন। বর্তমানে সক্রিয় চারটি সশস্ত্র সংগঠন বছরে ৪০০ কোটির বেশি টাকা চাঁদা আদায় করছে। ২০১৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ৩৭৬ টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। শুধুমাত্র ২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ১১৫ টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এসব সশস্ত্র ভয়ংকর গ্রুপ গুলো। অপহরণ করেছে ৫৩৮ জনকে। অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডই হয়েছে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালের হিসেব মতে ১০৫ জন চাঁদাবাজকে আটক করেছে এবং চাঁদাবাজির ৪০ লক্ষাধিক টাকা এবং আড়াই লাখ ভারতীয় রুপি জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। চাঁদবাজি এমন পর্যায়ে যে, স্থানীয় উপজাতি ও বাঙ্গালী নির্বিশেষে কেউ কোন কলার ছড়ি বিক্রি করলেও চাঁদা দিতে হয়। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় ইদানীং তারা চাঁদা আদায়ে ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে সরাসরি না এসে তারা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে চাঁদার টাকা আদায় করছে। পুলিশ ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে এবং নিজস্ব কৌশল অবলম্বন করে এদের বিরোধী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। সম্প্রতি কথিত সুশীল সমাজের লোকজন পাহাড়ে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে ভিন্ন স্রোতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করলেও এসব সশস্ত্র গ্রুপ গুলোর কর্মকাণ্ডই প্রমান করে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর গুরুত্ব কতটুকু। উল্লেখ্য, পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের নিরাপত্তা, দেশের অখণ্ড রক্ষা এবং বিশেষ করে উপজাতি মানুষদের শিক্ষা, চিকিৎসা সহ জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, আনসার, বিজিবি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

বেশ কিছু শিশু হত্যার শিকার হয়েছে নিজের বাবা-মা অথবা পরিবারের সদস্য দ্বারা

সাম্প্রতিক সময়ে আপনারা লক্ষ্য করে থাকবেন, বেশ কিছু শিশু হত্যার শিকার হয়েছে নিজের বাবা-মা অথবা পরিবারের সদস্যর দ্বারা। কোভিডের কারণে দরিদ্র মানুষগুলোর কেউ কেউ অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে আচরণগতভাবে হিংস্র হয়ে উঠেছে যার ফল ভোগ করছে শিশুরা। হত্যার খবরগুলোয় শুধু পত্রিকাতে আসে। কিন্তু শিশুরা নিজেরই পরিবারে নির্যাতনের শিকার হয় সেগুলোর খবর আমরা কতজন জানি? যেহেতু স্কুল বন্ধ, ঘরে বসে বসে বাচ্চাদের মানসিকতায় একটা বিরুপ প্রভাব পড়ছে, ফলে অনেক বাবা-মা এমন পরিস্থিতিকে সন্তানের সাথে হিংস্র আচরণ করেন। একটি শিশু যদি নিজের পরিবারেই নির্যাতনের শিকার হয় এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু নেই। বাচ্চারা ভুল করে, কোনটি ভুল কোনটি সঠিক সম্পর্কে তাদের জ্ঞান নেই। এমন সময় উত্তেজিত না হয়ে, বাচ্চাদের সাথে সুন্দর আচরণ করে বুঝিয়ে বলুন। আমরা অনেকেই মনে করি, মারলেই মনে হয় বাচ্চা সঠিকভাবে মানুষ হয়। কিন্তু এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। মার না, ভালবাসা দিয়ে বাচ্চাদের কাছে টেনে নিন। অতিরিক্ত শাসন কিংবা অতিরিক্ত আদর কোনোটাই কল্যাণকর নয়।একটা ব্যালেন্স থাকা প্রয়োজন।

মজা সহ্য করার ক্ষমতা না থাকলে অন্যর সাথে মজা করতে যেও না

ভারতে “ইশ্ক” নামে একটি সিনেমা রয়েছে যেখানে একটি অংশে জুহি চাওলা বেশ ভয়ংকর রকম একটি মজা করে আমির খানের সঙ্গে। আমির খানও তার প্রতিশোধ হিসেবে জুহি চাওলাকে ভুত সেজে ভয় দেখায়। জুহি চাওলা বেশ মারাত্মক ভয় পেয়ে যায় এবং যখন বুঝতে পারে ভুতটি আমির খান, তখন আমির খানকে থাপ্পড় মেরে বসে। এই দৃশ্যে কাজল তখন চমৎকার একটি কথা বলে। “মজা সহ্য করার ক্ষমতা না থাকলে কখনও অন্যর সাথে মজা করতে যেওনা” আমরা এই মজা করার মাত্রাটি অনেক সময়ই বুঝতে পারিনা। বুঝতে পারিনা, কোথায় আমাকে থামতে হবে। আর মজার বিষয়টি যদি অনলাইনে হয়, তখনতো সব রকম মাত্রাকে অতিক্রম করে ফেলি। বন্ধু বান্ধবের মধ্য মজা থাকবেই, কম বেশি একজন আরেকজনকে পঁচাবে। এই টুকু মজা করার অধিকারের জন্যইতো সে বন্ধু। কিন্তু অনেক সময় হয় কি, আমরা মজার লাইনটি ক্রস করে ফেলি। যেখানে সেখানে, যার তার সামনে পঁচায়। ঘন্টার পর ঘন্টা পঁচায়। এবং পঁচিয়ে মনে করি যে, আমি বেশ স্মার্ট, আমার সাথে কথায় কেউ পারেনা। কিন্তু এটা ভাবিনা যে, আরেকজনকে পঁচিয়ে স্মার্ট হওয়া যায়না। বরং আরেকজনের প্রতি আমার ভালবাসা, সম্মানই আমাকে স্মার্ট করে তোলে। একবার দেখেছি, এমন একজন যে সব সময় পঁচিয়ে বেড়ায়, তার সাথে কথায় কেউ পারেনা সেও যখন দল বেঁধে অন্যর পঁচানোর শিকার হয় তখন আর সে নিতে পারেনা। তখন সে বন্ধুদের সাথে গন্ডগোল করে বসে, দুরত্ব তৈরি হয়। তাই মাত্রাটি বোঝা উচিত। বোঝা উচিত কোথায় গিয়ে থামতে হবে। বুলিং একজন মানুষকে মারাত্মক রকম ভাবে আঘাত করে। শরীরের আঘাত একটি সময় সেরে যায়। কিন্তু মনের আঘাত সহজে যায়না। সকলের সহ্য শক্তি এক রকম না। আমাদের এখানে অনলাইনে মারাত্মকভাবে বুলিং করা হয়। বুলিং এর একটু সুযোগ পেলে দলবেঁধে নেমে পড়ি। কারো কাজ হাস্যকর বা সমালোচনার মত, আমি সুন্দরভাবে সেটার সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু নোংরা ভাবে বুলিং করা কেন? ফেসবুক, ইউটিউব বা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সকলের একই স্বাধীনতা। কিন্তু সকলের একই শিক্ষা না। ঢাকার একজন ছাত্রর শিক্ষা বা সমাজের সাথে, কোন চরাঞ্চলের শিক্ষা বা সমাজের বিস্তর ফারাক রয়েছে। অথচ চরাঞ্চলের মানুষটির কাছেও রয়েছে আপনার মত ফেসবুক। তার হয়ত সেই বোধগম্যটুকুই নেই যে, সামাজিক সাইটটি কিভাবে ব্যবহার করবে। তাই বুলিং করার চেয়ে, ভালভাবে ভুলটুকু ধরিয়ে দেয়া শ্রেয়। আবার শহরের মানুষও দেখি, দিনের পর দিন বুলিং করে। বিশেষ করে কোন সেলিব্রিটিকে দলবেঁধে বুলিং করে, এবং এই বলে যে, সেলিব্রিটিদের বুলিং করা জায়েজ। আমিও একমত সেলিব্রিটিরা একটু বেশিই সমালোচনার শিকার হবেন, তাদের সহ্য ক্ষমতাও বেশি থাকবে। কিন্তু সমালোচনার নামে এখানে নোংরা ভাবে বুলিং করা হয়। আমরা গঠনমুলক সমালোচনা ও বুলিং এর পার্থক্যই বুঝে উঠতে পারিনা অনেক সময়। আমি যথেষ্ট পরিণত মানুষ, এত বছর পেইজ চালিয়ে মানুষের নোংরা গালাগালি পেয়ে এখন সহ্য শক্তি হয়েছে। এখন কিছু মনে হয়না। এক চোখ দিয়ে দেখে আরেক চোখ দিয়ে বের করে দিই। কেউ নোংরা গালাগালি করলে ভাবি, আমাজন থেকে এসেছে, বানর থেকে এখনও পরিপুর্ণ মানুষে রুপান্তরিত হতে পারেনি। তাই তখন কিছু মনে হয়না। এত সহ্য শক্তি থাকার পরেও, কালে ভদ্রে একটু মন খারাপ হয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষেরই এত সহ্য শক্তি নেই। আমি যে গালাগালি পেয়েছি অনেকে তার সিকিভাগ পেলেও, এই পেইজ চালানোর মত মানসিকতা থাকতো না। একটা বিষয় প‌রিস্কার হওয়া উচিত, আমি এমন কথা কেন বলব, যে কথায় মানুষ আঘাত পাবে? চেষ্টা থাকা উচিত মানুষ যেন আমার কথায় আনন্দ পায়। আর সুন্দর কথা বলাওতো একটি শিল্প। আমি কেন শিল্পের চর্চা করবো না? আসুন সহনশীল হই। সমালোচনা করি, কিন্তু বুলিং এর পথ না ধরি। বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে, একটি বাচ্চা মেয়ে বুলিং এর দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। বিজ্ঞাপনে এটি বোঝানো হচ্ছে, বুলিং শারিরীক আঘাতের চেয়ে কম কিছু না। আসুন এক সাথে বুলিং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।

বিশ্বের সর্বপ্রথম ভার্চুয়াল স্ত্রী

#আজুমা
জাপানি প্রতিষ্ঠান ভিনক্লু ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়ে এই ভার্চুয়াল স্ত্রী বা কৃত্রিম স্ত্রী তৈরি করে। যাকে দেখা যাবে হলোগ্রাফিক পর্দায়। সে স্বামীকে ঘুম থেকে জাগাবে এবং Good morning জানাবে, আবহাওয়ার খবর জানাবে, ঘরের লাইট, ফ্যান, এসি বন্ধ করবে। স্বামীকে অফিসে যাওয়ার সময় Good Bye জানাবে। আবার স্বামী যখন অফিসে কাজ করবে,কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন ধরনের মেসেজ পাঠাবে। স্বামী অফিস থেকে বাড়িতে ফিরলে স্বাগতম জানাবে। কফি খাওয়ার সময় তাকেও হলোগ্রাফিক পর্দায় কফি খেতে দেখা যাবে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, তার সাথে মনের কথাও বিনিময় করা যাবে!🙂 যারা বলেন, বউ খুব অত্যাচার করে।তারা এই রোবটটাকে কিনে নিতে পারেন। 🥴🤐 প্যারা নেই জাস্ট চিল ✌️😌🤟

সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিখ্যাত ক্বারী শায়খ নূরীন মুহাম্মদ সিদ্দীকের ইন্তেকাল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিঊন!

সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিখ্যাত ক্বারী শায়খ নূরীন মুহাম্মদ সিদ্দীকের ইন্তেকাল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিঊন! সুদানের বিখ্যাত কারী ও হাফেযে কুরআন শায়খ নূরীন মুহাম্মদ সিদ্দিক গতকাল জুমাবার ইন্তেকাল করছেন সড়ক দুর্ঘটনায়৷ তিনি দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে একটি দাওয়াতি সফর থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হোন৷ তাঁর সফরসঙ্গী আরও তিনজন ইন্তেকাল করেন৷ ক্বারী নূরীন মুহাম্মদ আন্তর্জাকিত হিফজ প্রতিযোগিতায় একবার প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন ৪৩ দেশের মধ্যে৷ তিনি একাধিক রেওয়ায়েতে সুমধুর সূরে কুরআন তিলাওয়াত করতেন৷ খুরতুম ও দেশের বাইরেও তিনি তারাবীতে কুরআন তিলাওয়াত করতেন কান্নাভেজা কণ্ঠে৷ মুসল্লিগন মুগ্ধ হতেন তিলাওয়াতে৷ সুদানের চ্যানেলগুলোতেও তিনি নিয়মিত তিলাওয়াত করতে৷ নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি কুরআনি খেদমতে নিয়োজিত৷ পৃথিবীখ্যাত এই ক্বারীর ইন্তেকালে সুদানের ধর্মমন্ত্রী উস্তায নাসরুদ্দীন মুফরিহ শোববার্তা প্রকাশ করেন৷ ব্যক্তিগতভাবে আমি এই ক্বারীর তিলাওয়াত শুনি আবেগময় ও হৃদয়বিগলিতকারী তিলাওয়াতের কারনে৷ অর্থের দিকে খেয়াল করে তিনি তেলাওয়াত করেন৷ হঠাৎ ম়ত্যু সংবাদ দেখে শূণ্যতা অনুভব করলাম৷ আল্লাহ কুরআনের এইসেবককে জান্নাতে সুখময় জীবন দিন৷

মানুষের আকর্ষণ তৈরি হয় চার ভাবে।

 

শরীর, চেহারা, যোগ্যতা আর মন দিয়ে।

যে আকর্ষণ শরীর বা যৌনতা থেকে তৈরি হয়, তার স্থায়িত্ব সবচেয়ে কম। বেশ কিছুদিন তা পেলেই আর কোন আকর্ষণ থাকেনা।

এরপর হল চেহারা। এটার স্থায়িত্ব শরীরের আকর্ষণের চেয়ে বেশি। তবে চেহারা সুন্দর হলে আর সংগী বিশ্বাসী হলে তার প্রতি আকর্ষণ থেকেই যায়। বেশিরভাগ আকর্ষণ এই চেহারা কেন্দ্রিক হয়।

এরপরই টেকসই হল যোগ্যতার আকর্ষণ। মানুষের যোগ্যতাও এক ধরনের সৌন্দর্য। যোগ্যতার জন্য যে আকর্ষণ তৈরি হয়, তার স্থায়িত্ব হয় অনেক বেশি।

সবচেয়ে বেশি টেকসই হল মনকেন্দ্রিক আকর্ষণ। কিন্তু মনের আকর্ষণ সহজে তৈরি হয় না। এটির জন্য সময়ের দরকার হয়, অনুভুতি তৈরির দরকার হয়। এটি যেমন ধীরে ধীরে তৈরি হয়, তেমনি এটার স্থায়িত্বও সবচেয়ে বেশি।

কিন্তু সব আকর্ষণই এক সময় কমে যায়। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, এটাই বাস্তবতা।

তবে এর সাথে সাথে সময়ের প্রেক্ষিতে ব্যালান্সও তৈরি হয়ে যায়। আকর্ষণ একসময় গিয়ে পরিণত হয় অভ্যাসে, মায়াতে, দায়িত্বে।

সেই অভ্যাসের কারণে, মায়ার কারণে, দায়িত্বের কারণে দুজন মানুষ বাকি জীবন একসাথে পার করে।

এই আকর্ষণ, অভ্যাস, মায়া, দায়িত্ব- সবগুলো মিলেই একসাথে ভালোবাসা।💜

 

বর্তমান ঢাকার বাস্তবতা..!!

 বর্তমান ঢাকার বাস্তবতা..!!
নিউমার্কেট থেকে ছবি বাঁধাই করে ফিরছি বাসায়। পথে শুকনা লম্বা ফর্সামতন একটি ছেলে বাসে উঠল। তার পিঠে স্কুল ব্যাগ। পরনে পাঞ্জাবি আর ফুলপ্যান্ট। একটু পর দেখলাম ভালো মানের কিছু টুথব্রাশ বের করল ব্যাগথেকে। বাসে বিক্রি করতে লাগল। মনেহল গাতানুগতিক কোনো হকার সে নয়। আমার অনতিদূরে একটি সিট খালি পেয়ে বসেছে সে। এতো ভদ্রটাইপ হকার কখনও দেখিনি ঢাকা শহরে। সুযোগ পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম পড়ালেখা করে কি না। ছেলেটি বলল, জি ক্লাশ টেনে পড়ি।
- তো তুমি ফেরি করছো যে?
- আসলে আমার আব্বু স্কুল টিচার। বেসরকারি স্কুল। টিউশানিও বন্ধ, বেতনও বন্ধ। বাসা ভাড়া, খাওয়া খরচার ইনকামের সামর্থ্য নেই আব্বুর। শিক্ষক মানুষ অন্য কিছু করতেও লজ্জার ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমি পথে নেমেছি।
- এটা তোমার স্কুলব্যাগ?
- জি।

- কত থাকে দৈনিক?
- তা প্রায় ৬শ টাকার মত থাকে।
এরই মধ্যে আরেকটি স্টপেজ চলে এলে ছেলেটি নেমেগেল। আমি পিতৃত্বের চোখ দিয়ে চেয়ে রইলাম যতদূর দেখাযায়।

 

লেখাটা পড়তে গিয়ে শরীরের লোম দাড়িয়ে যায় !

 

জান্নাতীরা জান্নাতে নিজ গৃহে অবস্থান করবেন । এমন সময় দরজায় কেউ কড়া নাড়বে।
দরজা খুলে দেখবেন একজন ফেরেস্তা দাঁড়িয়ে ।
তিঁনি বলবেন ‘চলো আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার সাথে দেখা করে আসি।

তিনি তখন খুবই উল্লাসিত হয়ে বের হয়ে এসে দেখবেন খুব সুন্দর একটা বাহন তাঁর জন্য প্রস্তুত ।
বাহন ছুটে চলবে খুব বিস্তৃত নয়নাভিরাম মাঠ দিয়ে যা স্বর্ণ আর মণি মুক্তা খচিত পিলারে সাজানো ।
জান্নাতিরা খুব পরিতৃপ্তি নিয়ে ছুটবে ।
এমন সময় আলো দেখবে আলোর পর আরো আলো । তারপর আরো আলো ।

জান্নাতীরা তখন উল্লাসিত হয়ে ফেরেস্তাদের জিজ্ঞেস করবেন ‘ আমরা কি আল্লাহ্কে দেখেছি ?
অতপর ফেরেশতা বলবেন না,
আমরা সে পথেই ছুটছি ।
হঠাৎ জান্নাতীরা শুনবেন গায়েবী আওয়াজ -

* আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল জান্নাহ্ *
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা স্বয়ং সালাম দিচ্ছেন জান্নাতীদের ।
খুবই আবেগময় হবে সে মুহূর্তটা !!!
আল্লাহু আকবার ।

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালার সালামের জবাবে তখন জান্নাতীরা বলবেন,
আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।
হে আল্লাহ্! আপনি শান্তিময় এবং আপনা হতেই শান্তি উৎসারিত হয়।। আপনি বরকতময় হে মহান ও সম্মানের অধিকারী ।

তখন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা জিজ্ঞেস করবেন,
তোমরা কি খুশী ?তোমরা কি সন্তুষ্ট ?
ও আল্লাহ্, জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে
আমাদের আপনি জান্নাত দিয়েছেন !
আমরা অসন্তুষ্ট হই কি করে !
জান্নাতীরা জবাব দিবেন ।

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা তখন জিজ্ঞেস করবেন,
তোমাদের আর কি চাই ?

তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ্) বলবেন-
আর কিছু চাই না ।
না না । আজ তো দেয়ার দিন । আমি আরও দিব ।
বলো কি চাও ।

তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ।) সমস্বরে বলে উঠবেন-
ও আল্লাহ্, আমরা আপনাকে দেখতে চাই ।
আপনাকে দেখি নি কখনও ।
আপনাকে আমরা ভালবাসি ।

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা তখন পর্দা সরিয়ে দেবেন
সৃষ্টি এবং স্রষ্টা মুখোমুখি ।
চোখ বন্ধ করে একটু চিন্তা করুন ।
সারাজীবন দুনিয়াতে যাকে ডেকেছেন ।
যাকে না দেখে চোখ দুটো অঝোরে কেঁদেছে ।
কাউকে না বলা আপনার একান্ত কথাগুলো যাকে বলেছেন ।

খুব বিপদে কেউ নেই পাশে, কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন।

পকেট ফাঁকা, ঘরে খাবার নেই, অনিশ্চিত উৎস থেকে খাবারের ব্যবস্থা যিনি করেছেন । কত চাওয়া, মাকে বলেন নি, বাবাকেও না , রাতের আঁধারে কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন ।

কত অপরাধ করেছি, কেউ দেখে নি । একজন দেখেছেন কিন্তু গোপন রেখেছেন । বারবার ভুল করেছি, যিনি মাফ করে দিয়েছেন, অদৃশ্য ইশারায় সাবধান করেছেন । মমতাময়ী মা, আমার আদরের সন্তান, প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালবাসা দিয়ে অদৃশ্য ভালবাসায় আমাকে যিনি ভালবেসেছেন সবচেয়ে বেশী । সবচেয়ে আপন, সুমহান সেই প্রতিপালকের মুখোমুখি ...

সাহাবীদের প্রশ্নের জবাবে রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
পৃথিবীতে আমরা যেমন চাঁদকে স্পষ্ট দেখি ,
আমরা আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা'য়ালাকে
তেমনি দেখব ইনশাআল্লাহ্ ।

এ যে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামাহ্ ! সুবহানআল্লাহ্
ইয়া আল্লাহ্ - স্বল্প সংখ্যক সেই মহা সৌভাগ্যবানদের তালিকায় আমাদের নামটা যোগ করে দিন ।

_____________🔘 আমিন !🔘_____________

আপনি সিঙ্গেল এই নিয়মগুলো মেনে থাকলে আপনার প্রেম হবেই ফেসবুকে

 

মেয়েদের সাথে চ্যাট করার সময় পটাতে চাইলে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেনঃ

১. আইডিতে এড হবার সাথে সাথেই টেক্সট করবেন না মিনিমাম একমাস আইডি ফলো করবেন পোস্টে রিএ্যাক্ট কমেন্ট করবেন যখন মোটামুটি একটা ফেইসভ্যালু ক্রিয়েট হবে একদিন কোন পোস্টের সূত্র ধরে নক দিবেন...

২. মেসেজ করেই ইন্টারভিউ নিতে যাবেন না, শুরুর দিকে যতোটা সম্ভব ফানি কনভারসেশন চালিয়ে যাবেন, মোটামুটি একটা সম্পর্ক হয়ে যাবার পরে আস্তে আস্তে ব্যাক্তিগত ব্যাপারে জানার চেষ্টা করবেন..

৩. হাই হ্যালো কি করেন, খাইছেন কিনা ঘুমাইছেন কিনা ইত্যাদি ফালতু টাইপ কথা কম বলবেন এতে মেয়েরা বিরক্তবোধ হয়,কথা বলাও বন্ধ করে দিতে পারে..

৪. কোন মেয়ে যদি সদ্য ব্রেকাপ করে থাকে তাহলে তাকে ভাল করে শান্ত্বনা দিন কারন ব্রেকাপের পরে যে ছেলে ভাল শান্ত্বনা দিতে পারে তার সাথেই পরে ওই মেয়ের প্রেম হয়..

৫. কোন মেয়ে প্রেম করেন কিনা জিজ্ঞেস করলে কখনো না বলবেন না, সবসময়ই বলবেন একজনকে ভালবাসতেন বাট সে অন্য কোন প্রতিষ্ঠিত ছেলে পেয়ে আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে, এতে করে মেয়েটা আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল হবে..

৬. কোন মেয়েকে যখন প্রপোজ করা হয় তখন সে উল্টো প্রশ্ন করে তাকে কেনো আপনার ভাললাগে? যারা এই প্রশ্নের যতো সুন্দর করে গুছিয়ে উত্তর দিতে পারে তার প্রেম হয় নতুবা হয়না..

৭. মেয়েদের যতো পারেন প্রশংসা করবেন, মানুষ মাত্রই প্রসংসা শুনতে চায়, একটা কালো মেয়েকেও সুন্দর বললে সে মনে মনে খুশি হই..ছবি দেখলে রুপের প্রসংসা করেন আর ছবি না দেখলে মন-মানসিকতার প্রশংসা করুন..

৮. কোন বিষয়ে ভুলেও কোন মেয়ের সাথে তর্ক জড়াবেন না, সহমত ভাই হয়ে সবকিছুতেই মেয়েটাই সঠিক এমন ভাব নিয়ে চলতে হবে..একবার পটে গেলে তখন সহমত ভাই দ্বিমত ভাইও হয়ে যেতে পারবেন😐

৯. ভুলেও কোন মেয়ের সাথে অন্য মেয়ের প্রসংসা করতে যাবেন না কারন মেয়েরা নিজের কাছে অন্য মেয়ের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করেনা, মেয়ের বান্ধবী বা কাজিন নিয়ে টু শব্দও করবেন না😐

১০. বাংলায় মেসেজ টাইপ করবেন, যদি পারেন কবি সাহ্যিতিকদের মতো একটু গুছিয়ে সুন্দর করে কথা বলার চেষ্টা করবেন কারন মেয়েরা ছেলেদের রূপ সৌন্দর্যের চেয়েও কথার প্রেমে বেশী পড়ে! 🙂