মানুষের আকর্ষণ তৈরি হয় চার ভাবে।

 

শরীর, চেহারা, যোগ্যতা আর মন দিয়ে।

যে আকর্ষণ শরীর বা যৌনতা থেকে তৈরি হয়, তার স্থায়িত্ব সবচেয়ে কম। বেশ কিছুদিন তা পেলেই আর কোন আকর্ষণ থাকেনা।

এরপর হল চেহারা। এটার স্থায়িত্ব শরীরের আকর্ষণের চেয়ে বেশি। তবে চেহারা সুন্দর হলে আর সংগী বিশ্বাসী হলে তার প্রতি আকর্ষণ থেকেই যায়। বেশিরভাগ আকর্ষণ এই চেহারা কেন্দ্রিক হয়।

এরপরই টেকসই হল যোগ্যতার আকর্ষণ। মানুষের যোগ্যতাও এক ধরনের সৌন্দর্য। যোগ্যতার জন্য যে আকর্ষণ তৈরি হয়, তার স্থায়িত্ব হয় অনেক বেশি।

সবচেয়ে বেশি টেকসই হল মনকেন্দ্রিক আকর্ষণ। কিন্তু মনের আকর্ষণ সহজে তৈরি হয় না। এটির জন্য সময়ের দরকার হয়, অনুভুতি তৈরির দরকার হয়। এটি যেমন ধীরে ধীরে তৈরি হয়, তেমনি এটার স্থায়িত্বও সবচেয়ে বেশি।

কিন্তু সব আকর্ষণই এক সময় কমে যায়। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, এটাই বাস্তবতা।

তবে এর সাথে সাথে সময়ের প্রেক্ষিতে ব্যালান্সও তৈরি হয়ে যায়। আকর্ষণ একসময় গিয়ে পরিণত হয় অভ্যাসে, মায়াতে, দায়িত্বে।

সেই অভ্যাসের কারণে, মায়ার কারণে, দায়িত্বের কারণে দুজন মানুষ বাকি জীবন একসাথে পার করে।

এই আকর্ষণ, অভ্যাস, মায়া, দায়িত্ব- সবগুলো মিলেই একসাথে ভালোবাসা।💜

 

বর্তমান ঢাকার বাস্তবতা..!!

 বর্তমান ঢাকার বাস্তবতা..!!
নিউমার্কেট থেকে ছবি বাঁধাই করে ফিরছি বাসায়। পথে শুকনা লম্বা ফর্সামতন একটি ছেলে বাসে উঠল। তার পিঠে স্কুল ব্যাগ। পরনে পাঞ্জাবি আর ফুলপ্যান্ট। একটু পর দেখলাম ভালো মানের কিছু টুথব্রাশ বের করল ব্যাগথেকে। বাসে বিক্রি করতে লাগল। মনেহল গাতানুগতিক কোনো হকার সে নয়। আমার অনতিদূরে একটি সিট খালি পেয়ে বসেছে সে। এতো ভদ্রটাইপ হকার কখনও দেখিনি ঢাকা শহরে। সুযোগ পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম পড়ালেখা করে কি না। ছেলেটি বলল, জি ক্লাশ টেনে পড়ি।
- তো তুমি ফেরি করছো যে?
- আসলে আমার আব্বু স্কুল টিচার। বেসরকারি স্কুল। টিউশানিও বন্ধ, বেতনও বন্ধ। বাসা ভাড়া, খাওয়া খরচার ইনকামের সামর্থ্য নেই আব্বুর। শিক্ষক মানুষ অন্য কিছু করতেও লজ্জার ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমি পথে নেমেছি।
- এটা তোমার স্কুলব্যাগ?
- জি।

- কত থাকে দৈনিক?
- তা প্রায় ৬শ টাকার মত থাকে।
এরই মধ্যে আরেকটি স্টপেজ চলে এলে ছেলেটি নেমেগেল। আমি পিতৃত্বের চোখ দিয়ে চেয়ে রইলাম যতদূর দেখাযায়।

 

লেখাটা পড়তে গিয়ে শরীরের লোম দাড়িয়ে যায় !

 

জান্নাতীরা জান্নাতে নিজ গৃহে অবস্থান করবেন । এমন সময় দরজায় কেউ কড়া নাড়বে।
দরজা খুলে দেখবেন একজন ফেরেস্তা দাঁড়িয়ে ।
তিঁনি বলবেন ‘চলো আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার সাথে দেখা করে আসি।

তিনি তখন খুবই উল্লাসিত হয়ে বের হয়ে এসে দেখবেন খুব সুন্দর একটা বাহন তাঁর জন্য প্রস্তুত ।
বাহন ছুটে চলবে খুব বিস্তৃত নয়নাভিরাম মাঠ দিয়ে যা স্বর্ণ আর মণি মুক্তা খচিত পিলারে সাজানো ।
জান্নাতিরা খুব পরিতৃপ্তি নিয়ে ছুটবে ।
এমন সময় আলো দেখবে আলোর পর আরো আলো । তারপর আরো আলো ।

জান্নাতীরা তখন উল্লাসিত হয়ে ফেরেস্তাদের জিজ্ঞেস করবেন ‘ আমরা কি আল্লাহ্কে দেখেছি ?
অতপর ফেরেশতা বলবেন না,
আমরা সে পথেই ছুটছি ।
হঠাৎ জান্নাতীরা শুনবেন গায়েবী আওয়াজ -

* আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল জান্নাহ্ *
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা স্বয়ং সালাম দিচ্ছেন জান্নাতীদের ।
খুবই আবেগময় হবে সে মুহূর্তটা !!!
আল্লাহু আকবার ।

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালার সালামের জবাবে তখন জান্নাতীরা বলবেন,
আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।
হে আল্লাহ্! আপনি শান্তিময় এবং আপনা হতেই শান্তি উৎসারিত হয়।। আপনি বরকতময় হে মহান ও সম্মানের অধিকারী ।

তখন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা জিজ্ঞেস করবেন,
তোমরা কি খুশী ?তোমরা কি সন্তুষ্ট ?
ও আল্লাহ্, জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে
আমাদের আপনি জান্নাত দিয়েছেন !
আমরা অসন্তুষ্ট হই কি করে !
জান্নাতীরা জবাব দিবেন ।

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা তখন জিজ্ঞেস করবেন,
তোমাদের আর কি চাই ?

তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ্) বলবেন-
আর কিছু চাই না ।
না না । আজ তো দেয়ার দিন । আমি আরও দিব ।
বলো কি চাও ।

তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ।) সমস্বরে বলে উঠবেন-
ও আল্লাহ্, আমরা আপনাকে দেখতে চাই ।
আপনাকে দেখি নি কখনও ।
আপনাকে আমরা ভালবাসি ।

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা তখন পর্দা সরিয়ে দেবেন
সৃষ্টি এবং স্রষ্টা মুখোমুখি ।
চোখ বন্ধ করে একটু চিন্তা করুন ।
সারাজীবন দুনিয়াতে যাকে ডেকেছেন ।
যাকে না দেখে চোখ দুটো অঝোরে কেঁদেছে ।
কাউকে না বলা আপনার একান্ত কথাগুলো যাকে বলেছেন ।

খুব বিপদে কেউ নেই পাশে, কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন।

পকেট ফাঁকা, ঘরে খাবার নেই, অনিশ্চিত উৎস থেকে খাবারের ব্যবস্থা যিনি করেছেন । কত চাওয়া, মাকে বলেন নি, বাবাকেও না , রাতের আঁধারে কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন ।

কত অপরাধ করেছি, কেউ দেখে নি । একজন দেখেছেন কিন্তু গোপন রেখেছেন । বারবার ভুল করেছি, যিনি মাফ করে দিয়েছেন, অদৃশ্য ইশারায় সাবধান করেছেন । মমতাময়ী মা, আমার আদরের সন্তান, প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালবাসা দিয়ে অদৃশ্য ভালবাসায় আমাকে যিনি ভালবেসেছেন সবচেয়ে বেশী । সবচেয়ে আপন, সুমহান সেই প্রতিপালকের মুখোমুখি ...

সাহাবীদের প্রশ্নের জবাবে রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
পৃথিবীতে আমরা যেমন চাঁদকে স্পষ্ট দেখি ,
আমরা আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা'য়ালাকে
তেমনি দেখব ইনশাআল্লাহ্ ।

এ যে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামাহ্ ! সুবহানআল্লাহ্
ইয়া আল্লাহ্ - স্বল্প সংখ্যক সেই মহা সৌভাগ্যবানদের তালিকায় আমাদের নামটা যোগ করে দিন ।

_____________🔘 আমিন !🔘_____________

আপনি সিঙ্গেল এই নিয়মগুলো মেনে থাকলে আপনার প্রেম হবেই ফেসবুকে

 

মেয়েদের সাথে চ্যাট করার সময় পটাতে চাইলে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেনঃ

১. আইডিতে এড হবার সাথে সাথেই টেক্সট করবেন না মিনিমাম একমাস আইডি ফলো করবেন পোস্টে রিএ্যাক্ট কমেন্ট করবেন যখন মোটামুটি একটা ফেইসভ্যালু ক্রিয়েট হবে একদিন কোন পোস্টের সূত্র ধরে নক দিবেন...

২. মেসেজ করেই ইন্টারভিউ নিতে যাবেন না, শুরুর দিকে যতোটা সম্ভব ফানি কনভারসেশন চালিয়ে যাবেন, মোটামুটি একটা সম্পর্ক হয়ে যাবার পরে আস্তে আস্তে ব্যাক্তিগত ব্যাপারে জানার চেষ্টা করবেন..

৩. হাই হ্যালো কি করেন, খাইছেন কিনা ঘুমাইছেন কিনা ইত্যাদি ফালতু টাইপ কথা কম বলবেন এতে মেয়েরা বিরক্তবোধ হয়,কথা বলাও বন্ধ করে দিতে পারে..

৪. কোন মেয়ে যদি সদ্য ব্রেকাপ করে থাকে তাহলে তাকে ভাল করে শান্ত্বনা দিন কারন ব্রেকাপের পরে যে ছেলে ভাল শান্ত্বনা দিতে পারে তার সাথেই পরে ওই মেয়ের প্রেম হয়..

৫. কোন মেয়ে প্রেম করেন কিনা জিজ্ঞেস করলে কখনো না বলবেন না, সবসময়ই বলবেন একজনকে ভালবাসতেন বাট সে অন্য কোন প্রতিষ্ঠিত ছেলে পেয়ে আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে, এতে করে মেয়েটা আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল হবে..

৬. কোন মেয়েকে যখন প্রপোজ করা হয় তখন সে উল্টো প্রশ্ন করে তাকে কেনো আপনার ভাললাগে? যারা এই প্রশ্নের যতো সুন্দর করে গুছিয়ে উত্তর দিতে পারে তার প্রেম হয় নতুবা হয়না..

৭. মেয়েদের যতো পারেন প্রশংসা করবেন, মানুষ মাত্রই প্রসংসা শুনতে চায়, একটা কালো মেয়েকেও সুন্দর বললে সে মনে মনে খুশি হই..ছবি দেখলে রুপের প্রসংসা করেন আর ছবি না দেখলে মন-মানসিকতার প্রশংসা করুন..

৮. কোন বিষয়ে ভুলেও কোন মেয়ের সাথে তর্ক জড়াবেন না, সহমত ভাই হয়ে সবকিছুতেই মেয়েটাই সঠিক এমন ভাব নিয়ে চলতে হবে..একবার পটে গেলে তখন সহমত ভাই দ্বিমত ভাইও হয়ে যেতে পারবেন😐

৯. ভুলেও কোন মেয়ের সাথে অন্য মেয়ের প্রসংসা করতে যাবেন না কারন মেয়েরা নিজের কাছে অন্য মেয়ের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করেনা, মেয়ের বান্ধবী বা কাজিন নিয়ে টু শব্দও করবেন না😐

১০. বাংলায় মেসেজ টাইপ করবেন, যদি পারেন কবি সাহ্যিতিকদের মতো একটু গুছিয়ে সুন্দর করে কথা বলার চেষ্টা করবেন কারন মেয়েরা ছেলেদের রূপ সৌন্দর্যের চেয়েও কথার প্রেমে বেশী পড়ে! 🙂

কাজে লজ্জা নাই অন্যের দয়াতে চলা লজ্জার

এইযে উচ্চ শিক্ষিত মেয়েগুলি অনলাইনে কাপড় বিক্রি করছে তার পেছনে কারন কি ?  ভালো চাকুরী করার যোগ্যতা থাকার পরেও মেয়েরা নিজের হাতের রকমারি রান্নার খাবার নিয়ে কাজ করে ইনকাম করছে তার কারন কি? সেই রকম হ্যান্ডসাম ও শিক্ষিত ছেলেটা খামারি হচ্ছে, বা ডেলিভারি বয়ের কাজ করে রোজগার করছে তার কারন কি? কারন তারা উপলব্ধি করতে শিখেছে যে অন্যের দয়ায় বাঁচা স্মার্ট ব্যক্তিত্বের লক্ষন নয়। কাজে লজ্জা নাই অন্যের দয়াতে চলা লজ্জার। গলার জোরে ভ্যালু ক্রিয়েট করা সম্ভব না। মামা চাচা চাকরি দিবে সেই আশায় বসে না থেকে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করুন, চেষ্টা করুন আপনি ও পারবেন, কাজ করেই ভ্যালু বাড়াতে হয়।

নতুন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে দূর্নীতির দায় নাকি আমাদের সবার

নতুন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে দূর্নীতির দায় নাকি আমাদের সবারই! কি চমৎকার!! কিন্তু সেটা কি কারনে?
কারন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আমলা, ঠিকাদারসহ এই সিন্ডিকেট স্বাস্থ্য খাতের যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে তা ১৮ কোটি মানুষের সবাইকে সমান ভাগে ভাগ করে দিয়েছে, তাইনা?
তা না হলে অক্সেজেনের অভাবে, চিকিৎসার অভাবে রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে মরে যাওয়া মানুষগুলো এই দূর্নীতির দায় কেন নেবে? নকল মাস্ক আর ভূয়া পিপিইর কারনে মরে যাওয়া ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরা এই দূর্নীতির দায় কেন নেবে?
আপনি, আমি কিংবা এদেশের যেকোনো একজন সাধারন মানুষ এই মহাডাকাত সিন্ডিকেটের হরিলুটের দায় কেন নেবো?
জনাব ডিজি সাহেব, নিচের দিকে নয় সাহস থাকলে আঙ্গুল উপরের দিকে তুলুন। জনগনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন না।

আসুন এবার জেনে নেই গরুর চামড়া রান্না প্রক্রিয়া:

গরুর চামড়া যেভাবে খাবেন-
একটি গরুর চামড়া থেকে ১০ থেকে ১৫ কেজি বা তারচেয়ে বেশি গোশত পাওয়া যায়। চাইলে অত্যান্ত মজাদার এই গোশত রান্না করে খেয়ে ফেলা যায়। আসুন, এই গোশত প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি জেনে নিই-
১) প্রথমে চামড়াটি এক-দেড় ফুট টুকরো করে কাটুন;
২) চামড়ার টুকরোগুলো ভালভাবে পরিস্কার করে ফেলুন;
৩) টুকরোগুলো গরম পানিতে ২০-৩০ মিনিট ধরে সেদ্ধ করে ২-৩ ঘন্টা গরম পানিতে রেখে দিন।
৪) গরম পানি থেকে একটি করে তুলে নিয়ে তা স্টিলের চামচ বা ছুরি দিয়ে কুরিয়ে পশমগুলি তুলে ফেলুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে একটু গরম করে তা আবার করতে পারেন।
৫) পশম তোলার পর হালকা লবন দিয়ে ২-৩ মিনিট রেখে দিলে আঠালো ভাবটা চলে যাবে। রান্না করার পূর্বে ১৫-২০ মিনিট সেদ্ধ করে পানি ফেলে দিলে আঠালো ভাবটা পুরোপুরি চলে যাবে।
ব্যাস, এভাবেই চামড়া খাওয়ার উপযোগী হয়ে যাবে।
গরুর পায়া/নলা যেভাবে রান্না করা হয়, চামড়াও সেভাবে রান্না করতে হয়। ভুনা করেও রান্না করতে পারেন। নেহারির মতোও রান্না করতে পারেন। এই গোশত দিয়ে দিয়ে হালিম ও চটপটি রান্না করলেও তা মজাদার হয়। আর গরম চামড়া দিয়ে ভাত ও রুটি খাওয়া আরো মজাদার।

কবর মানুষকে দিনে ৭০ বার করে স্মরণ করে

1. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন-
যে ব্যাক্তি আমার চল্লিশটি হাদীস আমার উম্মতের কাছে পৌছাবে, তার জন্য আমি কিয়ামতের দিন বিশেষ ভাবে সুপারিশ করব।"
2. মানুষের মধ্যে যারা মৃত্যুকে বেশি স্মরণ করে এবং উহার জন্য প্রস্তুতি নেয় তারাই সবচেয়ে বুদ্ধিমান। "
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
3. প্রত্যেক জিনিসের যাকাত আছে, আর দেহের যাকাত হচ্ছে রোজা।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
4. যে তার সময় আল্লাহর জন্য ব্যয় করে না, তার জন্য জীবন অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
5. যারা সবসময় ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে তাদের সাথে উঠা বসা করুন, কেননা তাদের হৃদয় সবচেয়ে কোমল হয়।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
6. তুমি যত সিজদা দিবে, আল্লাহ তত গুনাহ মাফ করে দিবেন।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
7. সুরা ফাতিহা প্রায় ১০০০ রোগের ঔষধ"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
8. হাতের তালুতে জ্বলন্ত আগুনের কয়লা রাখলে যেমন কষ্ট হবে, তার চেয়ে বেশি কষ্ট হবে শেষ জামানায় ইমান রাখতে।"
___হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
9. রোজাদারদের জন্য প্রতিদিন জান্নাত সুসজ্জিত করা হয়।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
10. রাসুল (সাঃ) বলেছেন
কিয়ামতের দিন সব নবীর চেয়ে আমার উম্মতের সংখ্যা বেশি হবে, এবং আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজা খুলবো।"
(সহীহ মুসলিম :১৯৬)
11. যে ব্যাক্তি রোজা রাখা অবস্থায় মারা যাবে আল্লাহ তাকে, কেয়ামত পর্যন্ত সকল রোজার সাওয়াব দান করবেন।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
12. যে ব্যাক্তি ফযরের নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর হিফাজাতে চলে গেলো। "
___হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
13. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন__
রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে।"
(মুসনাদে আহমাদ : হাদিস ৬৬২৬)
14. নবীজি বলেছেন__
রোজাদারদের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির সংবাদ হলো, হাশরের মাঠে আল্লাহ সবার আগে রোজাদারদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
15. যখন রমজান আসে, তখন জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
16. রাসূল (সাঃ) বলেন--
যখন কোনো বান্দা আল্লাহর দিকে দুটি হাত উঠায়, তখন তিনি তা ব্যার্থ বা শূন্য ভাবে ফিরিয়ে দেন না।
(তিরমীজি-৫/৫০২)
17. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন-
একটি খেজুরের অর্ধেক হলেও দান করে, জাহান্নামের শাস্তি হতে নিজেকে হেফাজত করো।"
(বুখারীঃ৬০২৩)
18. যদি ভালো হতে চাও তবে সর্ব প্রথম মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
19. তুমি যখন রাস্তা দিয়ে যাও তখন আল্লাহর নামে জিকির কর, কারণ হাশরেরদিন ঐ রাস্তা তোমার নামে সাক্ষি দিবে।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
20. তোমরা সবসময় ওযু করো কারণ কিয়ামতের দিন, যারা ওযু কারী তাদের হাত-পা উজ্জ্বল থাকবে।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
21. যার দুঃখ বেশি তার প্রতি আল্লাহর রহমতও বেশি।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
22. যখনি নামাজে দাঁড়াবেন, জীবনের শেষ নামাজ মনে করবেন।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
23. যে মহিলা গর্ভাবস্থায় এক খতম কোরআন পাঠ করবে তার গর্ভের ঐ সন্তান এক জন নেককার বান্দা হিসেবে দুনিয়াতে আগমন করবে।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
24. চুপ থাকার কারণে মানুষের যেই মর্যাদা হাসিল হয়, তা ষাট বছর নফল ইবাদত হতে উত্তম
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
25. রাসূল (সাঃ) বলেছেন,_______
"জান্নাতের সবচেয়ে নিকটবর্তী আমল
হলো সময়মতো সালাত আদায় করা।"
(সহীহ মুসলিম -- ২৬০)
26. যে ধোকা দেয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়!
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
27. তুমি জানো তুমি সঠিক, তবুও তর্ক করো না।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
28. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন
- তোমরা বিপদে পরে মৃত্যু কামনা করবে না। বরং বলবে, হে আল্লাহ" যে পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখুন এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর তখন আমাকে মৃত্যু দিন
29. সূরা ইয়াসিন কে কোরআনের হৃদয় বলা হয়
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
30. মায়ের একটি কষ্টের নিঃশ্বাস, সাতটি দোযখের চেয়েও ভয়ংকর। আর একটি সুখের হাসি আটটি বেহেস্তের সমান
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
31. যে অন্যের বাবা মা কে গালি দিলো সে যেনো নিজের বাবা মাকেই গালি দিলো ।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
32. রাসূল (সাঃ) বলেছেন
- আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে পারতে, তবে নিশ্চয়ই খুব কম হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে...!
33. মানুষ যদি মৃত ব্যাক্তির আর্তনাদ দেখতে এবং শুনতে পেতো তাহলে মানুষ মৃত ব্যাক্তির জন্য কান্না না করে নিজের জন্য কাঁদত..!
_হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
34. মহানবী (সাঃ) বলেছেন : সূরা ফাতিহা তোমরা ধীরে ধীরে পাঠ করো, কারণ মহান আল্লাহ নিজে তার জবাব দেন।
(মুসলিম-৯১০)
35. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
কিয়ামতের দিন যে জিনিসটি মুমিনদের পাল্লায় ভারী হবে সেটি হচ্ছে সুন্দর চরিত্র।
(আবু দাউদঃ-৪১০১)
36. কবরের ভিতরের প্রথম চাপ
পৃথিবীর সকল কষ্টকে হার মানিয়ে দিবে
হযরত মোহাম্মদ (সঃ)
37. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,
যে ব্যাক্তির অন্তরে এক সরিষা দানা পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
- সহীহ মুসলিম, হাদিসঃ৯১
38. কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তির জন্য সুপারিশ করা হবে যে প্রচুর শীত উপেক্ষা করেও ফজরের নামাজ আদায় করলো।"
_____হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
39. নিশ্চয় মহান আল্লাহ নম্র, তিনি নম্রতা পছন্দ করেন। তিনি নম্র স্বভাবের লোককে যা দান করেন তা কঠিন স্বভাবের লোককে দান করেন না।"
____হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
(আবু দাউদ-৪৮০৭, সহীহ)
40. কবর মানুষকে দিনে ৭০ বার করে স্মরণ করে।" _____হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

আপনার একটা ভুল সিদ্ধান্ত আপনার ব্যবসার অনেক বড় ক্ষতি করে

আধুনিক মোবাইল ফোন জগৎ এর আরেক নাম ছিলো নোকিয়া ৷বৃহও আকৃতির ফোনের যুগের পর থেকেই শুরু হয় নোকিয়া কোম্পানির রাজত্য ৷ নোকিয়া ১১০০ ,৩৩১০ এর মতো ফোনগুলো তখন হাতে থাকাটাই একটা ট্রেন্ড হয়ে পরে ৷ প্রয়োজন না বরং নোকিয়া ফোনটি মানুষের বিলাসীতার বস্তু হয়ে উঠে ৷ কোম্পানির প্রতিটা ফোন রিলিজ করার পরে ধুম লেগে যেতো তা সংগ্রহের ৷ এমনকি অন্য দেশ থেকেও মানুষ চলে আসতো নোকিয়ার নতুন মডেলের ফোনটা কিনার জন্য ৷ কিন্তু এই এক চেটিয়া রাজ্যত্বের পতন হলো কিভাবে ?
২০১১ সাল পর্যন্ত নোকিয়া বিশ্বের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী কোম্পানি ছিল। তবে বাজারে টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির আবির্ভাবের ফলে নোকিয়া ধীরে ধীরে পিছিয়ে যায়। তবুও হারিয়ে যায়নি ৷ কিছুদিন পর গুগলের তৈরী এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম কে কিনে নেবার অফার করা হয় নোকিয়া কে ৷ কিন্ত তারা তাতে আগ্রহী হয়নি ৷ গুগল তখন এনড্রয়েড সিস্টেমকে ফ্রি করে দেয় ৷ সেই মূহুর্তে ফোনের বাজারে তুলনা মূলক নিচের স্থানে থাকা স্যামসাং ও ব্লাকবেরি সেই সুযোগটা লুফে নেয় ৷ বাজারে নিয়ে আসে অ্যান্ড্রয়েড সাপোর্টিং স্মার্ট ফোন ৷ নিমিষেই নোকিয়ার শেয়ারের দাম ৪০ মার্কিন ডলার থেকে পরে মাত্র ২ মার্কিন ডলারে নেমে আসে।ফিরে আশার উপায় হিসেবে নোকিয়ার নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম সিম্বিয়ানের বদলে নোকিয়া মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহারের জন্য মাইক্রোসফটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি ৷ ততদিনে ফোনের মার্কেট দখলে চলে যায় অন্যদের হাতে ৷
ব্যবসা ছোট হোক কিংবা বড় ৷ আপনার একটা ভুল সিদ্ধান্ত আপনার ব্যবসার অনেক বড় ক্ষতি করে দিতে পারে ৷ নোকিয়ার তার সর্বোৎকৃষ্ট প্রমাণ ৷দীর্ঘ সময়ের বিশ্ব ব্যাপি বিখ্যাত কোম্পানি মাএ কয়েক মাসের মধ্যে হারিয়ে যায় শুধু একটা ভুল সিদ্ধান্তে ৷ তাই সর্বক্ষেত্রে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেটা ভালো করে বিবেচনা করা উচিত আমাদের ৷

নিজের প্রচারণা নিজেই করতে হয় তাই লজ্জা আর দ্বিধা ঝেড়ে ফেলুন

ব্যবসার জন্য এখন খারাপ সময় কিন্তু এই অসময়েই অনেক কে নামতে হচ্ছে ব্যবসায়। বন্ধু তালিকায় থাকা বিভিন্ন পেশার অনেকেই চাকুরি হারিয়েছেন। খুব শীর্ঘই যে আরেকটি চাকুরী পাবেন তার নিশ্চয়তা নেই।
পরিবার পরিজন নিয়ে খারাপ সময়ে কি করা যায় তা ভাবছেন অনেকেই। কেউ কেউ অনলাইনে বেচাকেনা করতে চাইছেন পণ্য। সেই তালিকায় মধু আম তৈল ঘি মাছ মশলা এসবেই বেশি দেখলাম।
অনেকেই ঝুকছেন এসব নিত্য প্রয়োজনীয় প্রডাক্টের দিকে।
তবে আমার ধারণা এসব থেকে ভাল রেসপন্স পাবেন না। আপনাকে পণ্য নির্বাচনে আরেকটু ব্যাতিক্রমী ভাবনার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
অনলাইনে নিজের প্রতিষ্ঠানের ব্রাণ্ড আইডেন্টি তৈরি করাটাও জরুরী।
অনেকেই ভাবছেন কিনলাম আর বেচলাম হয়ে গেল ! মোটেও সহজ না। আপনাকে কিনে জিততে হবে। নাহলে বেচে লাভ করতে পারবেন না। যাদের থেকে পণ্য নিবেন সেই সোর্স গুলির সংগে স্টং রিলেশন তৈরি করাটা জরুরী। কম লাভ করে বেশি সেলের ভাবনা রাখতে হবে। সংগে এই প্রডাক্ট অন্যরা কত বেচতেছে আপনী কত বেচবেন এবং কেন আপনার টা গ্রাহক কিনবেন এই বিষয়ে আপনাকে সিরিয়াসলী ভাবতে হবে।
সেল না হলে হতাশ হবেন না।
বরং অলশ সময়ে আরো কি পণ্য আপনী সংগ্রহ করতে পারেন তা নিয়ে ভাবতে পারেন।
নিজের প্রচারণা নিজেই করতে হয় তাই লজ্জা আর দ্বিধা ঝেড়ে ফেলুন।


শুধু অনলাইনের ফেসবুক নয় সব সামাজিক মাধ্যমেই আপনার কাজ করতে হবে। পাশাপাশি অফলাইনেও গ্রাহক বাড়াতে হবে।
আশা করছি টিকে থাকলে একদিন ভাল কিছু হবে। শুভ কামনা সবার জন্য।

আমরা প্রতিটা মানুষ ঠিক হাতির মতই।

একদিন এক লোক রাস্তা দিয়ে যাবার সময় রাস্তার পাশ্বে একটা বিশাল বড় হাতি বাঁধা দেখতে পেলেন। হাতিটি বাঁধা ছিল সামান্য একটা চিকন দড়ি দিয়ে। সেটা দেখে লোকটা কিছুটা অবাক হলো। হাতির পাশেই বসে ছিল সেই হাতির মালিক। তাই অবাক হওয়া লোকটা বিষয়টা ভালো ভাবে জানার জন্য হাতির মালিক এর কাছে গেল। হাতির মালিক এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো, "আপনি কিভাবে এতো বড় একটা হাতিকে সামান্য একটা চিকন দড়ি দিয়ে আটকে রেখেছেন?
হাতির মালিক কিছুটা হেঁসে উত্তর দিল, "হাতিটা যখন ছোট ছিল তখন সে অনেক অসুস্থ ছিল। তখন আমি হাতিটাকে এই চিকন দড়ি দিয়ে আটকে রাখতাম। তখন হাতিটা অনেক চেষ্টা করেছে দড়িটা ছিঁড়ে ফেলার জন্য, কিন্তু তখন হাতিটা ছোট আর দুর্বল থাকার কারনে বার বার সে ব্যর্থ হয়েছে। সে থেকে এখন পর্যন্ত হাতিটা বড় এবং শক্তিশালী হয়েছে ঠিকই কিন্তু ঐ দিনের ব্যর্থতার কারনে সে সারা জীবনের জন্য ধরে নিয়েছে যে এই দড়িটি কখনো তার পক্ষে ছিঁড়া সম্ভব নয়। তাই সে এখন এই চিকন দড়িটি ছেঁড়ার আর কোন চেষ্টাই করেনা।"
★আমরা প্রতিটা মানুষ ঠিক ঐ হাতির মতই। ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি যে এই কাজ তোর দ্বারা সম্ভব না। কিছু একটা করতে গিয়ে যখন ব্যর্থ হই তখন থেকেই মনে হয় সত্যি এই কাজ আমার দ্বারা হবে না। আর এই 'আমার দ্বারা হবে না' এই কথাটা প্রতিনিয়ত আমাদের আত্ববিশ্বাসকে নষ্ট করে দেয়। একটা সময় আমরা হাতির মত শক্তিশালী হই ঠিকই কিন্তু অনেক আগেই আত্ববিশ্বাস হারিয়ে ফেলার কারনে সেই সামান্য ব্যর্থতার দড়িটিকে ছিঁড়ে ফেলতে পারি না।
দয়া করে কখনো আত্ববিশ্বাস হারাবেন না।

স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশা, দায় কার ?

স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশা, দায় কার? : . এখন কেন মাতম করছেন আজকে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। অক্সিজেন পাচ্ছেন না। আইসিইউ বেড পাচ্ছেন না। টেস্ট করাতে পারছেন না সিরিয়াল পাচ্ছেন না। রিপোর্ট ঠিক মত পাচ্ছেন না। হাসপাতালে এডমিট হতে পারছেন না। যেখানে যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য, সেখান থেকেই ফিরিয়ে দিচ্ছে। এম্বুলেন্স, গাড়িতে, হুইলচেয়ারে মারা যাচ্ছে আপনাদের স্বজন।। বিনা চিকিৎসায় ১০ মাসের গর্ভের সন্তান সহ মারা যায় মা।। হাতির গর্ভস্থ সন্তান মারা গেলে মাতম তুলেছেন মানবিক হৃদয়ের জন্য, আজ যখন বিনা চিকিৎসায় একজন মা তার অনাগত সন্তান সহ মারা গেলেন, তখন মাতম তুলেছেন তো।? কাকে আজ দায় দিবেন? দোষারোপ করবেন কাকে? কোভিড ১৯ এর শুরুতে যখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রুখতে চিকিৎসকরা চেম্বার বন্ধ করলো,তখন গালিগালাজ করে ফেনা তুলে ফেলেছিলেন? ডাক্তাররা কসাই। সেল্ফিস। ভীতু ও কাপুরষ। পালিয়ে গেছে ডাক্তাররা। কই এখন তো ডাক্তাররা সবাই নিজ দায়িত্ব পালনে কর্মস্থলে আছেন। কোয়ারেন্টাইনে বা আইসোলেশানে আছেন। কতজন চিকিৎসক আক্রান্ত, কতজন মারা গেছেন সে হিসেব রেখেছেন?? আপনাদের কাছে এই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার মূল সমস্যা ছিলোঃ ডাক্তাররা গ্রামে যায়না। ডাক্তাররা ডিউটি ফাঁকি দেয়। ডাক্তাররা চেম্বারে ভিজিট নেয়। ডাক্তাররা টেস্ট দেয়,কমিশন খায়। মেডিসিন কোম্পানি থেকে কমিশন খায়।
ডাক্তাররা কথা না শুনেই প্রেসক্রিপশন লিখে ফেলে।
এই ডাক্তারদের দোষ দেখা ছাড়া এই দেশের হেলথ সিস্টেম নিয়ে আপনাদের আর কোন অভিযোগ ছিলো না। আর জাতির বিবেকের ঠিকাদার সাংবাদিকগন আপনাদের দেখিয়েছে, কিভাবে ডাক্তাররা ভুল চিকিৎসা দিয়ে আপনাদের মেরে ফেলে। মফস্বলের মেট্রিক ফেইল বা আরো শিক্ষিত সাংবাদিক ভুল ধরে গেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর চিকিৎসায়। কোনদিন জানতে চেয়েছেন হে সাংবাদিক সাহেব একজন বিশেষজ্ঞ যখন ভুল চিকিৎসা দিলো,আপনি যখন ভুল ধরলেন, অভিযোগ প্রচার করলেন,তবে সঠিক চিকিৎসা কি নিশ্চয়ই আপনি জানেন? হে সাংবাদিক সাহেব, আপনি কেন আমাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছেন না?? ডাক্তারদেরকে বছরের পর বছর জন্ডিস সাংবাদিকতার শিকার হতে দেখেও মজা লুটেছেন।
গালির পর গালি দিয়েছেন। আজ সাংবাদিকদের বলুন, চিকিৎসা দিতে?? চিকিৎসা ব্যবস্থা মানে একজন ডাক্তারই সব নয়। ঢাল তলোয়ার বিহীন নিধিরাম সর্দাররা আপনাকে মাউন্ট এলজাবেথ এর চিকিৎসা দিতে পারেননা। কোনদিন বুঝতে চাননি, চিকিৎসা একটা টীম ওয়ার্ক। এখানে যেমন ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয়, আয়া,ক্লিনার, বিভিন্ন জনবল লাগে,তেমনি ইনভেস্টিগেশন এর জন্য প্যাথলজি ল্যাব লাগে, মেডিসিন লাগে, যন্ত্রপাতি লাগে, ওটি লাগে, আইসিইউ, এইচডিইউ, সিসিইউ লাগে।। যেটা লাগেনা সেটা হলো রাজনীতি। গ্রুপিং।সিন্ডিকেট।।দালালী। কিন্ত সেটাই বেশি চলে তাই অনেক যোগ্য লোকেরা এই সিস্টেমের তলে পড়ে কোণঠাসা হয়ে থাকেন। সাংবাদিকরা যদি চিকিৎসা ব্যবস্থার মূল সমস্যা গুলো নিরন্তর তুলে আনতেন খবরে, চোর বাটপার, কমিশন খোরসিন্ডিকেট এর বিরুদ্ধে লেগে থাকতেন, তবে তারা এত নীরবে লুটপাট করে সব নিঃশেষ করতে পারতেন না।। দেশের জ্ঞানী গুণিজনেরা যদি স্বাস্থখাতের বাজেট নিয়ে কথা বলতেন, আমলাদের দূর্নীতি ও বানিজ্য নিয়ে সরব হতেন তবে আজ এই দশা হতো না।। মেডিকেল এর জিনিস পত্র কেনায় যেই লুটেরা চক্র জড়িত সাংবাদিকরা যদি তাদের মুখোশ উন্মোচন করে যেতেন নিয়মিত, তবে তারা এতটা বাড়তে পারতো না। ভুলে গেছেন পাবনার ডিসি রেখা রানী বালোকে উনার বাংলোতে দেখতে না যাওয়ার অপরাধে একরাতেই ওএসডি করেছিলো পাবনা সদর হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক ডাঃ মঞ্জুরা রহমান কে ক্ষমতার নগ্ন দাপট দেখিয়ে,তখন প্রতিবাদ করেছিলেন?? কখনো উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে জানতে চেয়েছেন কি কি ব্যবস্থা নিলে চিকিৎসা সেবা উন্নত করা যায়?
আপনাদের ভোটে নির্বাচিত এমপি মহোদয় মাসিক মিটিংয়ে জানতে চেয়েছেন দরদ নিয়ে কি কি ব্যবস্থা নিলে আপনারা ভোটার, জনগন সুচিকিৎসা পাবেন??
কখনো এমপি সাহেবকে জিজ্ঞেস করেছেন,কেন আপনার উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ঘাটতি,কেন এম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে,কেন এক্সরে মেশিন বাক্সবন্দি থাকে,কেন আলট্রাসনোগ্রাম হয়না,কেন উপজেলায় প্যাথলজি ল্যাব নেই, কেন ওটি হয়না? কেন হাসপাতালের সরকারি মেডিসিন বাইরে বিক্রি হয়?? নাগরিক হিসেবে আপনার মৌলিক অধিকার চিকিৎসা পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য এমপি সাহেবের পথ আগলে দাঁড়িয়েছেন কখনো??যেই চোটপাট পাতি নেতা, নেতার শালা হয়ে চিকিৎসকদের সাথে দেখিয়েছেন, চিকিৎসকদের মেরেছেন,অপমানিত করেছেন,আক্রান্ত করেছেন, ক্লাস এইট পাশ সাংবাদিক লেলিয়ে দিয়েছেন,সেই চোটপাট কখনো আপনাদের প্রতিনিধিকে করেছেন??? করবেন কিভাবে তা জানি।
আপনারা মেরুদণ্ডহীন। তাই দূর্বল পেশাজীবী চিকিৎসকদের সাথে মাস্তানি করেই নিজের ক্ষমতা জাহির করে গেছেন।।আপনারা বলতেন,আইসিইউতে মরা মানুষ জীবিত করে রাখে বোগলে রসুন দিয়ে,গরুর সুই দিয়ে ছিদ্র করে। এখন তবে কেন আইসিইউ আইসিইউ মাতম করছেন? যারা নিয়োগ বানিজ্য, প্রমোশন বানিজ্য, দলীয় অনুগত নিয়োগ, কমিশন ও সিন্ডিকেট গড়ে তুলে এই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বলাৎকার করে গেছে প্রতিনিয়ত তাদের নিয়ে যদি একটু সোচ্চার হতেন,সাংবাদিকরা যদি তাদের চেহারা উন্মোচন করতো, আদালত যদিস্বঃপ্রণোদিত হয়ে কয়েকটা রুল জারি করতো, সরকারকে যদি লুটেরাদের সহযোগী না হয়ে তাদের লাগাম টেনে ধরতে বলতেন,তবে আজ এমন পানিতে পড়ে যেতে হতো না।।
কারা সরকারী চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা জিইয়ে রেখে বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক গুলোকে লাগামহীন বানিজ্য করার সুযোগ দিছে? আজ কেন বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা এড়িয়ে যায়?? দেশে এত এত মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়ে কারা হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন?? যখন নেতারা,আমলারা তাদের ত্যাগকৃত বায়ুর গন্ধের তারতম্যের জন্য বিদেশ ছুটে যেতেন,তখন তাদের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন??
একটা ভঙ্গুর ব্যবস্থাকে এই দেশের কসাইকুলরা টিকিয়ে রেখেছিলো এত বলাৎকারের ভেতরে এতদিন,যা কোভিড ১৯ দেশে এসে তার বিবস্ত্র অবস্থা প্রকাশ করলো শুধু।। জনগন যেমন, তার শাসক ও তেমন ই হবে। আপনারা জবাবদিহিতা চাননি,উনারা নীরবে সুইস ব্যাংকের একাউন্ট ভরেছেন। একটা সিস্টেম উন্নয়নে তার সমস্যা গুলোর গভীরে যেতে হয়। সেখানে কি কি প্রতিবন্ধকতা তা জানতে হয়। সীমিত সামর্থ্য দিয়েও ভালো চিকিৎসা দেওয়া যেতো,ভালো সিস্টেম গড়ে তোলা যায় যদি লুটপাট না হতো।। যদি ডাক্তারদের পিছনে না লেগে সিস্টেমের উন্নতি চাইতেন,  তবে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এর নিষ্পত্তি যেমন হতো,একটা কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে উঠতো। ব্যক্তি চলে যেতে পারেন কিন্ত সিস্টেম গড়ে উঠলে তা কার্যকরভাবেই সেবা নিশ্চিত করতে পারে।
এখন সয়ে যেতে হবে। কিছুই করার নাই।। বিনা চিকিৎসায় প্রিয়জন হারানোর ব্যাথা সয়ে যেতে হবে।।
এটাই আপনাদের কর্মফল।। তবে আজকের হাহাকার ও আহাজারি যদি না ভুলে যান,যদি নিজেদের ভুল ও সিস্টেম এর সমস্যা বুঝতে পারেন, যদি নাগরিক হিসেবে দায়িত্বশীল হন, যদি নিজের অধিকার আদায়ে সাহসী হন, যদি স্বাস্থখাতের চোর,দালাল,লুটেরাদের ধাওয়া দিতে পারেন,তবে আগামীর বাংলাদেশ এর চিকিৎসার চেহারা অন্যরকম হবে নিশ্চিত জানবেন।

পুরো বাংলাদেশে গুটিকয়েক লোকের কাছে জিম্মি

বল্টু বর্ডার দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আসছিলো, পিছনে এক বিশাল বস্তা বাঁধা!

-বিজিবির চৌকষ অফিসার তাকে থামালো

- বস্তায় কি?
স্যার কিচ্ছু না, বালু!
-খোল
এইযে দ্যাখেন স্যার, বালু।
-আচ্ছা যা।

দুইদিন পর আবারও বল্টু বস্তা নিয়ে বর্ডার দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আসছে। বিজিবির অফিসার আবারও থামালো!

-বস্তায় কি ?
স্যার, বালু

কিন্তু অফিসারের খটকা লাগলো। সেদিন দেখলাম বালু, আজও বালু? পুরা বস্তা খুলে চেক করলো, কিন্তু বালু ছাড়া কিছুই পেলোনা।

- আচ্ছা যা ।

আবারও কয়েকদিন পর বর্ডারের কাছে বস্তা নিয়ে সাইকেল চালিয়ে, বিজিবির অফিসারের মুখোমুখি বল্টু!

-বালু ?
-জ্বে স্যার
-তুই শুধু বালু নিয়া যাস। সন্দেহ হয়!

অফিসার সব বালু ঘেঁটেও কিছু পেলো না। কিন্তু অফিসারের মনটা খচখচ করেই যাচ্ছে! ঘটনাটা কি? সে কিছু বালু রেখে দিয়ে সেগুলো ল্যাবে পাঠালো। রেজাল্ট কিছুই আসলো না। সব বালু, বালু আর বালু। কিন্তু অফিসারের মনে খটকা রয়েই গেলো।

এভাবে সাইকেলে করে বস্তা নিয়ে বল্টু নিত্যই যায়, কিন্তু বিজিবি অফিসার কিছু কুল কিনারা করতে পারেনা।

হঠাৎ বল্টু আর আসে না! বহুদিন কেটে গেলেও কোনো খবর নাই। সে আর সাইকেল চালিয়ে বালুর বস্তা নিয়ে যায় না। কাহিনী কি? অফিসার নিজেই তাকে খুঁজে বের করলো।

বল্টুর বাড়িতে গিয়ে বললো -

"দেখ, আমি জানি তুই কিছু না কিছু পাচার করছিস, কিন্তু আমি ধরতে পারছিনা। আমার মনে শান্তি নাই। তোর দুইটা পায়ে ধরি, সত্যি কইরা বল তুই কি পাচার করিস!

বল্টু হাসি দিয়া বললো -

"স্যার এতদিন আসলে সাইকেল পাচার করছি" 😊
শুনে অফিসার বেহুশ!!

সাব্রিনা, শাহেদ, সম্রাট, পাপিয়া এগুলি ত বালুর বস্তা! সাইকেলগুলি কই 🙄🤔
এই গল্প দিয়ে এটাই বুঝানো হয়েছে যে রাগব বোয়াল সব ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে পুটি মাছ ধরা পড়েছে 
এরা হলো হাতের পুতুল তারা এত অর্থ কামিয়েছে দুর্নীতি করে ক রিপোর্ট জালিয়াতি করে বিভিন্নভাবে আর তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে তোরা কি পরিমান অর্থ উপার্জন করেছে বুঝে নিন 

করোনা টেস্ট জা’লিয়াতি শাহাবুদ্দিন মেডিকেলের সহকারী পরিচালক আটক


অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজধানীর সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।
অভিযানে অসহযোগিতা করায় এবার প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবুল হাসনাত কে আটক করেছে র‌্যাব। আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত করোনা
ডেডিকেটেড হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে অ’সহযোগিতা করায় বিকেল ৫টার দিকে ডা. আবুল হাসনাতকে হেফাজতে নেয় র‌্যাব। এসময় তার হাতে হাত’কড়া পরানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন র‍্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযান চলমান রয়েছে।
র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। আমরা হাসপাতালের বিভিন্ন সেবা প্রক্রিয়া, অসঙ্গতি ও কাগজপত্র চেক করছি।
র‌্যাবের একটি নির্ভরশীল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি করোনাভাইরাস পরীক্ষার র‌্যাপিড কিট টেস্ট ও অ্যান্টিবডিসহ বেশ কিছু অনিয়মের অ’ভিযোগ উঠেছে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই এ অভিযান পরিচালনা করছে র‌্যাব।
উল্লেখ্য, র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে গত ৬ জুলাই করোনাভাইরাস পরীক্ষার জালিয়াতি ধরে র‌্যাব। এরপর রিজেন্টের দুটি হাসপাতালই সি’লগালা করে দেওয়া হয়। এছাড়া রিজেন্টের মালিক মোহাম্মদ সাহেদসহ ওই হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়।

শাহেদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল ডা. সাবরিনার

বেরিয়ে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ ওরফে শাহেদ করিমের সঙ্গে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে জানা গেছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ ও সাবরিনা একে অপরকে জানাশুনার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, আগে থেকেই তারা একে অপরকে চিনতেন।

নিয়মিত পার্টিতে অংশ নিতেন।

সেই পার্টিতে চলতো ডিজে-মাদকতা। শাহেদ-সাবরিনা ছাড়াও সেই পার্টিতে সমাজের আরও অনেক চেনামুখ অংশ নিতেন।
এছাড়া তারা দিয়েছেন আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

করোনা সনদ জালিয়াতির আইডিয়া শাহেদের কাছ থেকে পেয়েছেন ডা. সাবরিনা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কাজ ভাগিয়ে নিতে ব্যবহার করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য  অধিদফতর ও সরকারদলীয় চিকিৎসক সংগঠনের একাধিক চিকিৎসককে। এছাড়া এক ব্যবসায়ীর হোটেল জোরপূর্বক দখল করে ব্যবসা করতেন শাহেদ। করোনাকালে দখল করা সেই হোটেলটি সরকারকে দিয়েছিলেন।

গোয়েন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা ৬নং সেক্টরের পার্কের পাশের মিলিনিয়াম রেস্টুরেন্টটি রাজবাড়ীর এক বাসিন্দার |

তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাপানে ছিলেন। জাপানি এক নারীকে বিয়েও করেছেন। তার স্ত্রী ও এক মেয়ে জাপানেই থাকেন। দেশে এসে তিনি ওই রেস্টুরেন্টটি করেন। পরে ২০১৯ সালে যৌথভাবে ব্যবসার জন্য রিজেন্টের শাহেদের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। চুক্তিতে বেশকিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছিলেন। শর্তের মধ্যে ছিল শাহেদকে মাসে মাসে একটা ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।
কিন্তু কিছুদিনের মাথায় শাহেদ সেই হোটেলের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ নিজের কব্জায় নিয়ে নেন। হোটেলের মূল মালিককে হোটেলে ঢুকতে দিতেন না। হোটেলটির নিচে খাবারের রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখানে জাপানি খাবারের আয়োজন করা হতো। 

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাপানি খাবার পছন্দ করতেন। তাই তিনি ওই রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যেতেন। সেখানে শাহেদের সঙ্গে তার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা। শাহেদের দখল করা হোটেলের ওপরে আবাসিক ব্যবস্থা ছিল। তাই প্রায়ই সেখানে আমোদ ফুর্তি ও মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হতো। বিত্তশালীদের আনাগোনা ছিল বেশ। সাবরিনা প্রায়ই এসব পার্টিতে অংশ নিতেন। এরপর থেকে তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। 

পুলিশ জানিয়েছে, শাহেদ কিছুদিন হোটেলটি তার কব্জায় রেখে পরিচালনা করেছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ওই হোটেলটি স্বাস্থ্য অধিদফতরকে দেন। শাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালটি ছিল করোনা ডেডিকেটেড। তাই সেখানকার চিকিৎসক-নার্সদের সেখানেই রাখা হতো। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ায় হোটেলের মূল মালিক উত্তরা পূর্ব থানায় শাহেদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছিলেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর জোনের সহকারী কমিশনার খন্দকার রেজাউল হাসান বলেন, শাহেদ হোটেলের মূল মালিককে বিতাড়িত করে দখল করে নেয়। করোনাকালে ওই হোটেলটি সরকারকে দিয়ে দেয়। হোটেলটিতে চিকিৎসক-নার্সরা থাকতেন। শুনেছি করোনার জন্য হোটেল বরাদ্দ দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে টাকা নিয়েছে। তবে আসলেই টাকা তুলেছে কিনা সেটি জানি না। বর্তমানে হোটেলটিতে খাবার ও আবাসিক কোনও ব্যবস্থাই চালু নাই বলে জানান তিনি। সূত্র: মানবজমিন

নেপথ্য থেকে ডা. সাবরিনা সহযোগিতা পেয়েছেন: ডিবি

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন বলেছেন, নেপথ্য থেকে ডা. সাবরিনা চৌধুরী সহযোগিতা পেয়েছেন, তা না হলে তো এ কাজগুলো করার কথা না। তবে তদন্তের জন্য যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সবাইকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।
শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। জেকেজি কোভিড-১৯ পরীক্ষা জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ডা. সাবরিনার পেছনে কারা রয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার আবদুল বাতেন এসব কথা বলেন।
আবদুল বাতেন বলেন, ‘তদন্তের এ পর্যায়ে ডা. সাবরিনা আগে যে তথ্যগুলো দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসলে ডা. সাবরিনা যে বিষয়টি মূলত ব্যবহার করেছে তা হলো ফেসভ্যালু ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন জায়গায় তার পরিচিত। স্বামী আরিফুলও তার সঙ্গে মূলত সে বিষয়টি ক্যাপিটালাইজড করে বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। যেমন প্রাথমিকভাবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি প্রজেক্ট তৈরি করেছিল যেখানে স্যাম্পল সংগ্রহ ও কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা করার কথা ছিল তা তারা করেনি। আসলে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পাওয়া গেলে তা আমরা আমলে নেব। এছাড়া অনিয়ম পাওয়া গেলে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা জানানো হবে।’
উল্লেখ্য, করোনা পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আরিফুল চৌধুরী ও তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে। তাদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বামেরা জামায়াতে ইসলামীকে পাকিস্তানপন্থী বলে গালি দেয়।


বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বামেরা জামায়াতে  ইসলামীকে পাকিস্তানপন্থী বলে গালি দেয়। যদিও জামায়াত এটা অস্বীকার করেনা যে তারা ১৯৭১ এ স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধী ছিলো এবং যতভাবে সম্ভব পাকিস্তানের ভেঙে যাওয়াকে ঠেকানোর জন্য কাজ করেছে। তবে জামাতে ইসলামীর নির্মোহভাবে পর্যালোচনা করলে দেখবেন তারা ভারত ভেঙে পাকিস্তান সৃষ্টিরও বিরোধিতা করেছিলো। কিন্তু পাকিস্তান সৃষ্টির পরে তারা পাকিস্তান রাষ্ট্রকে মেনে নিয়ে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থেকেছিলো।   

 জামায়াতকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য যদি পাকিস্তানপন্থী বলে গালি দেয়া যায় তবে আওয়ামী লীগ সিপিবি ও বাংলাদেশের বেশীরভাগ বামেদের পূর্বসূরীদের পাকিস্তানের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মরিয়া চেষ্টার জন্য কেন তাদেরকে পাকিস্তানপন্থী বলে গালি দেয়া যাবেনা। আমার এই কথাটা  শুনে অনেকে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন। আসেন আমরা একটু ইতিহাস দেখি। 

১৯৬৯ সালের ২৫ আগস্ট ছাত্র লীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন জামায়াতকেকে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তান বিরোধী বলে গালি দিয়েছিলো। বিবৃতিটি দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত হয়েছিলো। কৌতুকপ্রদ হচ্ছে, যেই জামায়াতকে তারা পাকিস্তানের শত্রু আখ্যা দিয়েছিলো সেই একই জামায়াতকে তারা আজ পাকিস্তানের চর বলে। দেখুন সেদিন তারা কী লিখেছিলো।

"পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমদ ও বিভিন্ন ছাত্র সংস্থার পাঁচজন ছাত্র নেতা জামাতে ইসলামীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান বিরোধী কার্য-কলাপের অভিযোগ করেন।

গত শনিবার রাত্রে এক যুক্ত বিবৃতিতে ছাত্রনেতৃবৃন্দ বলেন, জামাতে ইসলামীরা এখনও পাকিস্তানের অস্তিত্বেরই বিরোধী।

বিবৃতিতে অপর ৫ জন ছাত্রনেতা হইতেছেন: পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ শঃ মঃ আবদুর রব, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (মতিয়াগ্রুপ) সভাপতি শামসুদ্দোহা ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম এবং ছাত্র ইউনিয়নের (মেননগ্রুপ) সভাপতি জামাল হায়দার ও সম্পাদক মাহবুব উল্লাহ।"

এই বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছিলো ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান সফল হয়ে আইউব খানের পদত্যাগের ছয় মাস পরে। জামায়াতে ইসলামীকে পাকিস্তান বিরোধী কেন বলেছিল তারা, আজ আওয়ামী ও বামদেরকে তার কৈফিয়ত দিতে হবে। আবার এটাও তাদের জাস্টিফাই করতে হবে যে কেন পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ও বামদের নির্মিত ইতিহাসে জামায়াতকে পাকিস্তানপন্থী বলা হয়।

আওয়ামী লীগ আর বামেরা বলে ৪৮ এ ভাষার দাবীর আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতার আন্দোলনের সূচনা হয়। দেখুন, ৬৯ এ পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য পেরেশান হওয়া তোফায়েল আহমেদ ২০১৯ কী বলেছেন?

তোফায়েল আহমেদ গত বছর বলেছেন, “৪৯-এর ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করে মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মহত্তর স্বাধীনতার বীজ রোপণ করেন শেখ মুজিব” 

সূত্রঃ যুগান্তর, ১৫ আগস্ট ২০১৯

শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই বলেছেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ভাষা-আন্দোলনেরই সুদুর প্রসারী ফলশ্রুতি”

সূত্রঃ দৈনিক সংবাদ, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫

স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে শেখ মুজিব বেতার ভাষণে বলেছিলেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন কেবল ভাষার জন্য আন্দোলন ছিল না, বরঞ্চ  তা ছিল সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আর মানুষের মতো বাঁচার অধিকারের সংগ্রাম। সেদিন থেকেই শুরু হয়েছিল চরম সংগ্রামের প্রস্তুতি। এই আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের মানুষের স্বাধিকারের আন্দোলন, স্বাধীনতার আন্দোলন।’

সূত্রঃ দৈনিক বাংলা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২

আওয়ামী স্তাবকেরা অবশ্য আরো আগিয়ে বলেন, শেখ মুজিব কোলকাতায় থাকাকালেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন। দেখুন,

“১৯৪৫-৪৬ শিক্ষাবর্ষে তৎকালীন ইসলামিয়া বর্তমানে মাওলানা আজাদ কলেজে পড়াশোনা করার সময় বেকার হোস্টেলেই থাকতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার জন্য বরাদ্দ ছিল তিনতলার ২৪ নম্বর কক্ষটি। মনে করা হয়, বঙ্গবন্ধু দু'বছর এই কক্ষ থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন। যা তিনি ১৯৭১ সালে বাস্তবায়ন করেন।”

সূত্রঃ সময় নিউজ টিভি ১৭ মার্চ ২০২০

ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের রুশপন্থী ও চিনপন্থী উভয় গ্রুপের ১৯৬৯ এর ২৫ আগস্টের যৌথবিবৃতি যদি তাদের সৎ রাজনৈতিক অবস্থান হয় তাহলে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার সংগ্রাম নিয়ে ১৯৭১ এর পরে সকল নির্মিত ইতিহাস মিথ্যা। এখন একটা প্রশ্ন সঙ্গত কারণেই সামনে চলে আসে যে ১৯৬৯ এর আগষ্ট মাসে যারা পাকিস্তান রাষ্ট্রের অখণ্ডতা রক্ষায় পেরেশান ছিলেন তারা কেন তার ঠিক এক থেকে দেড় বছরের মাথায় পাকিস্তান রাষ্ট্র ভেঙে বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো? তাহলে এটা তো স্বীকার করতেই হবে, ১৯৫২ থেকে স্বাধীনতার বীজ বপন বা স্বপ্ন দেখার কথা মিথ্যা।

The Awami League and Communist party activists in Bangladesh abuse Jamaat-e-Islami (JeI) by calling its members as supporters of Paskistan. JeI does not deny that they were against the birth of Bangladesh in 1971 and tried their best to stall the disintegration of Pakistan. But, this is also the fact that JeI had resisted the creation of Pakistan by breaking up India. However, after Pakistan was born, JeI remained loyal to the country.       

Why will you not abuse Awami League, CPB and other Leftist parties and call them pro-Pakistan if JeI is a pro-Pakistan group in your view? I guess, my argument sounds strange to many. Let’s take a look at history 

On August 25, 1969, Chhatro League and Chhatro Union issued a newspaper statement in which they condemned JeI for taking a stand against Pakistan. That statement was published in Dainik Ittefaq, a Bangla language newspaper. It’s interesting that they call JeI leaders Pakistani spies.

Look what they wrote then.

“Tofayel Ahmed, president of East Pakistan Chhatroleague and five student leaders from different student organisations have charged that Jamaat e Islami is involved in anti-Pakistan activities. In a joint statement last Saturday the students said, Jamaat e Islami continues to be against the existence of Pakistan,” the statement said.

The other five student leaders who issued the statement are East Pakistan Chhatroleague general secretary A S M Abdur Rob, East Pakistan Student Union (Matia Group) president Shamsuddoha, EPSU (Matia Group) general secretary Nurul Islam, East Pakistan Student Union (Menon Group) president Jamal Haidar and EPSU (Menon Group) secretary Mahbubullah.”

This statement was published six months after the mass uprising of 1969 had met with a successful end and Ayub Khan had resigned. Can Awami League and Communist leaders justify why they called JeI an anti-Pakistan group before? Can they also explain why at a later stage they began calling JeI a pro-Pakistan organisation?

Awami League and Communist leaders and supporters say that the freedom movement in East Pakistan started with the Language Movement in 1948.   

Let’s see what Awami League leader Tofayel Ahmed, who was in support of united Pakistan in 1969, said last year.

Tofayel Ahmed said: “Sheikh Mujib sowed the seed of greater freedom movement by founding Awami League on June 23, 1949 and launching great Language Movement.”

(Jugantor, 15 AUG 2019)     

In 1975, Shiekh Mujib said: “The Language Movement in the long run led to the winning of Bangladesh’s independence and sovereignty.”

(Dainik Songbad, 21 FEB 1975)  

After returning to Bangladesh, following the country’s independence, Sheikh Mujib said in a radio speech: “The Language Movement of 1952 was not just a movement for the language. It was also a struggle for cultural rights and that to live as human beings. That was the beginning of the preparation for the final struggle. For the people of Bangladesh that was a movement for their rights, and also a movement for independence.”   

(Dainik Bangla, 15 FEB 1972)     

However, Awami sycophants say, Sheikh Mujib dreamt of the independence of Bangladesh.

“In the academic year of 1945-46, Bangabondhu Sheikh Mujibur Rahman used to stay at Baker Hostel, while he was a student of Islamia College, which is now known as Maulana Azad College. Room No 24, on the second floor, was allotted to him. It is believed, he started dreaming of the independence of Bangladesh, while he stayed in that room. In 1971, he materialised his dream.”

(Samoy News TV, 17 MAR 2020)   

If the 1969 joint statement of Chhatroleague, pro-Russian EPSU and pro-Chinese EPSU came from an honest political standpoint, whatever they wrote as the history of the Liberation War and the freedom struggle post-1971 is completely untrue. 

Now this is a relevant question, why those who were staunch supporters of a united Pakistan in 1969, moved in the opposite direction and took part in the Liberation War. We all have to accept, the claim that the seeds of independence of Bangladesh were sown in 1952 is indeed bogus.

অপরাধ প্রমাণিত হলে তার মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদসহ বহুমাত্রিক জালিয়াতিতে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও রিজেন্ট গ্রুপের...

করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদসহ বহুমাত্রিক জালিয়াতিতে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম অপরাধ প্রমাণিত হলে তার মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।



তিনি বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে জাল মুদ্রার একটি মামলা করেছে র‌্যাব। এটি প্রমাণ করতে পারলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন বা ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে তার। এছাড়া অনকেগুলো প্রতারনার মামলা রয়েছে। সেখানে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজা হতে পারে সাহেদের।

খুরশিদ আলম খান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের যে চুক্তি হয়েছে তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য দুদক টিম গঠন করেছে। চুক্তি অবৈধভাবে হয়ে থাকলে জড়িতদেরকে খোঁজে বের করা হবে। আর এই চুক্তির ফলে সরকারের কোন টাকা ক্ষতি হয়েছে কি না সেটা দেখা হবে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি এবং আরও উর্ধ্বতনদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর কোন কিছু উদ্ঘাটন হলে সবার বিরুদ্ধে অপরাধের ধরন অনুযায়ী মামলা হবে।

তিনি আরও বলেন, শাহেদের অবৈধ সম্পদের উৎস সম্পর্কে জানতে পৃথক অনুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়েছে। উৎস যদি জ্ঞাত আয় বহির্ভুত হয় বা উৎসের সঙ্গে আয়ের মিল না থাকলে মামলা হবে। সেখানে কোন মানিলন্ডারিং এবং কাউকে ঘুষ দেয়ার প্রমাণ পেলে যাকে দিয়েছে তাকেসহ মামলা হবে।

সূত্র : আস