পুদিনা পাতার ভেষজ গুন

পুদিনা পাতা আমরা কম বেশি সবাই খাই, এই পুদিনা পাতার যে এতো গুনাগুন তা আমি জানতাম না। পুদিনা পাতার ভেষজ গুন! ১। পুদিনা ত্বকের যে কোনো সংক্রমণকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। ২। পুদিনা পাতার রস তাৎক্ষণিক ব্যথানাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে। ৩। পুদিনা পাতার চা শরীরের ব্যাথা দুর করতে খুবই উপকারি। ৪। মাইগ্রেনের ব্যাথা দুর করতে নাকের কাছে টাটকা পুদিনা পাতা ধরুন।এর গন্ধ মাথাব্যাথা সারাতে খুবই উপকারি। ৫। কোন ব্যাক্তি হঠাত করে অগ্গান হয়ে গেলে তার নাকের কাছে পুদিনা পাতা ধরুন।সেন্স ফিরে আসবে। ৬। অনবরত হেচকি উঠলে পুদিনা পাতার সাথে গোলমরিচ পিষে ছেকে নিয়ে রসটুকু পান করুন।কিছুক্ষনের মধ্যেই হেচকি বন্ধ হয়ে যাবে। ৭। গোলাপ, পুদিনা, আমলা, বাঁধাকপি ও শশার নির্যাস একসঙ্গে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে তা ত্বককে মসৃণ করে তোলে। ৮। পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসের চমৎকারী গুনাগুণ যা পেটের যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে খুব দ্রুত। যারা হজমের সমস্যা এবং পেটের ব্যথা কিংবা পেটের অন্যান্য সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা খাবার পর এককাপ পুদিনা পাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৬/৭টি তাজা পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খুব সহজে পুদিনা পাতার চা তৈরি করতে পারেন ঘরে। ৯। পুদিনাপাতা পুড়িয়ে ছাই দিয়ে মাজন বানিয়ে দাত মাজলে মাড়ি থাকবে সুস্থ,দাত হবে শক্ত ও মজবুত। ১০। দীর্ঘদিন রোগে ভুগলে বা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থাকলে অনেক সময় অরুচি হয়।এক্ষেত্রে পুদিনা পাতার রস ২ চা চামচ,কাগজি লেবুর রস ৮-১০ ফোটা,লবণ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে সকাল বিকাল ২ বেলা খান।এভাবে ৪-৫ দিন খেলে অরুচি দুর হয়ে যাবে। ১১। তাত্ক্ষনিকভাবে ক্লান্তি দুর করতে পুদিনা পাতার রস ও লেবুর রস একসংে মিশিয়ে পান করুন।ক্লান্তি নিমিষেই দুর হয়ে যাবে। ১২। কফ দুর করতে পুদিনা পাতার রস,তুলসী পাতার রস,আদার রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে খান।পুরোনো কফ দুর করতেও এই মিস্রণ অতুলনীয়। ১৩। সুস্থ হার্টের জন্য পুদিনা পাতা অনেক উপকারী। এটি রক্তে কলেস্টরেল জমতে বাধা প্রদান করে। ফলে হার্ট থাকে সুস্থ। ১৪। যেকোনো কারনে পেটে গ্যাস জমে গেলে পুদিনা পাতা কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। পুদিনার রস ২ চা চামচ, সামান্য লবন, কাগজী লেবুর রস ৮/১০ ফোঁটা, হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে সারাদিন ২-৩ বার খেলে পেটে গ্যাস ভাব কমে আসে। ১৫। পিত্তে শ্লেষ্মার জ্বর, অম্লপিত্ত, আমাশা, অজীর্ণ, উদরশূল, প্রভৃতির কারনে অনেকসময় আমাদের বমি বমি ভাব আসে। এসময় পুদিনার শরবতের সাথে এক চা চামুচ তেঁতুল মাড় ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমিভাদ দূর হয়ে যায়। ১৬। পুদিনা পাতার রস উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পুদিনা পাতার রস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। ১৭। পুদিনার শেকড়ের রস উকুননাশক হিসেবে খুবই কার্যকরী, এমনকি পাতাও। পুদিনার পাতা বা শেকড়ের রস চুলের গোড়ায় লাগান। এরপর একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু বার এটা করুন। এক মাসের মধ্য চুল হবে উকুনমুক্ত। ১৮। মেয়েদের অনিয়মিত পিরিয়ডের যন্ত্রণা থেকে সেরে ওঠার জন্য পুদিনা পাতা বেশ উপকারী। ১৯। পুদিনা ত্বককে শীতল করে। খাবারের সঙ্গে নিয়মিত খেলে শরীরের ত্বক সতেজ হয়, সজীব ভাব বজায় থাকে। মৃত কোষকে দূর করে মৃসণ করে তোলে ত্বক। সেজন্য, আধা কাপ পুদিনা পাতা বাটা ও পরিমিত বেসন দিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে নিলে, উপকার পাওয়া যায়। ২০। ব্রণ দূর করতে ও ত্বকের তৈলাক্তভাব কমাতে তাজা পুদিনাপাতা বেটে ত্বকে লাগান। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ দূর করতে প্রতিদিন রাতে পুদিনা পাতার রস আক্রান্ত স্থানে লাগান। সম্ভব হলে সারারাত রাখুন। নতুন কমপক্ষে ২/৩ ঘণ্টা। তারপর ধুয়ে ফেলুন। মাস খানেকের মাঝেই দাগ দূর হবে। ২১। পুদিনা পাতার রস শ্বাস-প্রশ্বাসের নালী খুলে দেওয়ার কাজে সহায়তা করে। ফলে যারা অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় পড়েন তাদের সমস্যা তাৎক্ষণিক উপশমে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। খুব বেশি নিঃশ্বাসের এবং কাশির সমস্যায় পড়লে পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানির ভাপ নিন এবং তা দিয়ে গার্গল করার অভ্যাস তৈরি করুন। ২২। পেটের পীড়ায়ঃ এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম [ আইবিএস ] এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশী সংকোচন নিয়ন্ত্রন করে। ২৩। অ্যাজমাঃ পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরীতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরীতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে। ২৪। রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে পুদিনা পাতার রস ও অ্যালোভেরার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। পনেরো মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ২৫। পুদিনা পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। পুদিনা পাতার পেরিলেল অ্যালকোহল যা ফাইটোনিউরিয়েন্টসের একটি উপাদান দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাঁধা প্রদান করে। ২৬। পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তা হলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়। ২৭। পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করেন। যাদের চুলে উকুন আছে, তারা খুব উপকার পাবেন। ২৮। অরুচিতেঃ রোগে ভোগার পর, পেটে বায়ু জমে ও কোষ্ঠ বদ্ধতায় অরুচি আসে। একই রকম খাদ্য দীর্ঘদিন খেলে অরুচি আসে। এ সব ক্ষেত্রে পুদিনার সরবত ( পুদিনার রস ২ চা চামচ, সামান্য লবন, কাগজী লেবুর রস্‌ ৮/১০ ফোঁটা, হাল্কা গরম পানি পোয়া খানিক একত্রে মিশয়ে ) সকাল বিকাল দিনে দুই বার ৫/৭ দিন খেলে অরুচি চলে যায়। পুদিনা পাতা বেটে পানিতে গুলে শরবত করা যায়। সে ক্ষেত্রে কাঁচা পাতা ৮/১০ গ্রাম নিতে হবে। ২৯। মুত্রাল্পতায়ঃ অনেক রোগে প্রস্রাব কম হয়। কিন্তু যে ক্ষেত্রে ঠান্ডা গরমের ফলে সাময়িক ভাবে অল্প অল্প প্রস্রাব হতে থাকে কোনো কোনো সময় দাহ হতে থাকে, সে ক্ষেত্রে পুদিনা পাতা ৮/১০ গ্রাম বেটে তাতে সামান্য লবন ও কাগজী লেবুর রস্‌ পোয়াখানিক ঠান্ডা পানি মিশিয়ে শরবত করে দিনে ২/৩ বার খেতে হবে। অন্য কোনো রোগে মূত্রাল্পতা হলে সেক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করা যাবে কিনা সেটা নির্ভর করবে রোগের ধরনের ঊপর এবং চিকিৎসকের বিচার ধারার উপর। ৩০। শিশুদের অতিসারেঃ পাতলা দাস্ত, সেই সাথে পেট মোচড় দিয়ে ব্যথা, কোন কোন ক্ষেত্রে অল্প আম –সংযুক্ত দাস্ত, সেই সাথে পেট ফাঁপা, হিক্কা বমি বমি ভাব, প্রস্রাবও সরলি হচ্ছেনা, শিশু কিছুই খেতে চাচ্ছেনা। এক্ষেত্রে পুদিনা পাতার রস্‌ ৮/১০ ফোঁটা আল্প একটু চিনি ও লবন সহযোগে এক ঘন্টা অন্তর কয়েকবার খাওয়াতে হবে। কখন কি ভাবে কতবার খাওয়াতে হবে সেটা নির্ভর করবে রোগীর সুস্থতার ক্রমের দিকে লক্ষ রেখে। বয়স আনুপাতে মাত্রাটা ঠিক করে নিতে হবে। ৩১। পুদিনার চাঃ বেশী চা খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। ঠিক চাএর মত করে চায়ের পাতার বদলে পুদিনা পাতা ও সেই সাথে দুধ চিনি গোল মরিচ ও মৌরি দিয়ে এই চা তৈরী করতে হবে। এই চা খেতে সুস্বাদু এবং খেলে তৃপ্তি হয়। ৩২।হাকিমি ও ইউনানি মতেঃ- পুদিনা পাতা খেলে শরীরে তাপ বাড়ে। শরীরের দূষিত পদার্থ মলের সাহায্যে বেরিয়ে যায়। পাকস্থলি ও বুকের ও কিডনির যাবতীয় গ্লানি ও ক্লেদ দূর হয়। ৩৩। যাদের হজমশক্তি কম তারা পুদিনার শরবত ও চাটনি খেলে উপকার পাবেন। ৩৪। পাতলা পায়খানা হলে পুদিনাপাতা বেশ উপকারী। ৩৫। হঠাৎ সানস্ট্রোক করলে পুদিনার শরবত খেলে উপকার পাবেন। ৩৬। পুদিনাপাতার সালাদ খেলে পেটে গ্যাস হয় না। হজম হয়। ৩৭। পুদিনা মেয়েদের রক্তশূন্যতা পূরণ করে। ৩৮। মায়ের বুকে দুধ বাড়ে। ৩৯। যারা প্রস্রাব সমস্যায় ভুগছেন তারা এক গ্লাস পানিতে কয়েক ফোঁটা পুদিনাপাতার রস, সামান্য লবণ ও অল্প চিনি দিয়ে শরবত খান প্রস্রাব পরিষ্কার হবে। ৪০। মাইগ্রেন বা আধকপালে মাথা ধরায় পুদিনাপাতা বেটে মাথায় লাগালে মাথাব্যথা ভালো হয়।

বাচ্চা দের ছোটকাল থেকে ইসলামের শিক্ষা দিন

- আম্মু! আজ জান্নাতে ঘর বানাবেন না? কথাটা কানে আসতেই রুমের ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে চোখ জুড়িয়ে গেল। মাশাআল্লাহ! চারটা ফুটফুটে বাচ্চা। তিনটা ঘর জুড়ে হুটোপুটি করছে। তিন নাম্বার বাচ্চার বয়স তিন কি চার হবে। এই বাচ্চাটিই জড়ানো আদুরে কন্ঠে বলেছিল— আম্মু! আজ জান্নাতে ঘর বানাবে না? তার দেখাদেখি বাকি দুইজনও বলতে শুরু করল— আম্মু! আজ জান্নাতে ঘর বানাবে না? (এই পরিবার নতুন ভাড়াটিয়া। আমাদের পাশের ফ্লাটেই থাকেন।) আমি আর আমার আপু তো দারুণ অবাক! এতটুকু ছোট বাচ্চা এটা কি বলছে? জান্নাতে ঘর কিভাবে বানাবে? আমরা কৌতুহলী হয়ে বাচ্চাদের মায়ের কাছে প্রশ্ন করে বসলাম। প্রশ্ন শুনে অপরিচিত ভাবীর মুখে স্মিত হাসি ফুটে উঠে। শরবতের গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, -একটু অপেক্ষা করুন। নিজের চোখেই দেখে যাবেন জান্নাত বানানোর পদ্ধতিটা। বাচ্চাদের মা হাতের কাজ গুছিয়ে এলেন। আমাদেরকে হালকা নাস্তা দিলেন। তারপর কোলেরটাকে নিয়ে মেঝেতে বসে গেলেন। সবার চোখেমুখে থেকে উৎসাহ উদ্দীপনা যেন ঠিকরে বের হচ্ছে। এক.... দুই.... তিন......!! শুরু জান্নাতমহল নির্মাআআআআণ!!!!! মায়ের ঘোষণা শেষ হতেই তিন কচিকাঁচা একসাথে সূরা ইখলাস পড়তে লাগল। একে একে দশবার পড়া হল। পড়া শেষ করেই সবাই সমস্বরে হৈচৈ করে উঠল— –আলহামদুলিল্লাহ! আমরা জান্নাতে একটা ঘর বানিয়েছি। – খুব ভাল করেছ! এবার বলতো সোনামণিরা, তোমরা এই ঘরে কী রাখতে চাও? – ধনভাণ্ডার রাখতে চাই আম্মু! –ঠিক আছে রাখো! লা হাওলা ওয়া লা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ! লা হাওলা....... বাচ্চারা সমস্বরে ইস্তেগফার পড়া শেষ করল। মায়ের মুখে ফুটে উঠলো তৃপ্তির হাসি! আশ্চর্য কন্ঠে তিনি বলতে লাগলেন — – ওমা! তোমরা অনেক ধনভাণ্ডার জমিয়েছো। আচ্ছা, এবার বল তো তোমরা কাকে বেশি ভালবাসো? _ আল্লাহকে! – তারপর? – নবীজী (সা) কে। – কেয়ামতের দিন সবার কেমন লাগবে? – ভীষণ পিপাসা লাগবে আম্মু! – তখন কোনটা বেশি প্রয়োজন হবে? – নবীজীর (সা) সুপারিশ! –তোমরা সুপারিশ পেতে চাও? – জ্বি আম্মু! – তাহলে এখন কি করতে হবে? আল্লাহুমা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মদ............ ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। বাচ্চাগুলো সুর করে দুরুদ শরীফ পড়া শেষ করলো। হাসিমুখে মা এবার নতুন প্রশ্ন করেন— – আচ্ছা, জান্নাতে বাগান করার শখ কার কার? – আমাল! আমার!! আমার!!! সবাইকে সামলে নিয়ে বললেন— – ঠিক আছে। সবাই বাগান করবে। তোমাদের এখন কি করতে হবে? সুবহানাল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহু আকবার! অনেকক্ষণ যাবৎ বাচ্চারা একে একে যিকির করে যায়। এক সময় যিকির যিকির খেলা শেষ হলো। সবাই খুশিমনে আগের হুটোপুটিতে ফিরে গেল। মহিলাও খুশিমাখা চেহারায় ঘরের মেঝে থেকে উঠে এসে আমাদের সামনে বসলেন। – আসলে এটা আমার বাচ্চাদের ঘরোয়া খেলা! তখন আমাদের চোখেমুখে রাজ্যের বিস্ময়! হায় আল্লাহ! এত সুন্দর খেলা দেখা দূরে থাক, এমন পবিত্র ও শিক্ষণীয় খেলার কথা তো আমার কল্পনাতেও আসেনি কখনো। আমি লম্বা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে চরম আশ্চর্যে ভাবীর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম– – ভাবী কিভাবে তাদেরকে এরকম করে গড়ে তুললেন? – আসলে বোন, সবই সু অভ্যাসের ফল। ছোটরা গল্প শুনতে ভালবাসে, খেলাধুলা করতে পছন্দ করে। ছোটবেলা থেকেই ওদেরকে খেলাচ্ছলে, গল্পচ্ছলে এসব শিক্ষা দিয়েছি। সহজ হাদীস শুনিয়েছি। যিকির শিখিয়েছি। মাসনুন দোয়া শিখিয়েছি। সাথে সাথে কোন আমলের কী লাভ, সেটাও জানিয়েছি। এভাবেই শুনতে শুনতে, খেলতে খেলতে একসময় ওরা নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের সাথেই মিলিয়ে ফেলেছে ব্যাপারগুলো। আমার চোখদিয়ে দু’ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল......... - আমিও শুনতে পাই.......আমার বাচ্চারা জান্নাতমহল বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ভয়ংকর দর্শন দেখাতে এবার সার্জারি করে নিজের নাক কেটে ফেললেন

নিজেকে শয়তানের মতো ভয়ংকর দর্শন দেখাতে এবার সার্জারি করে নিজের নাক কেটে ফেললেন
ব্রাজিলের ট্যাটু আর্টিস্ট মাইকেল ফারো দো প্রাদো। শয়তানের মতো চেহারা ধারণ করতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সার্জারির মাধ্যমে গজিয়ে নিয়েছেন শিংও। সেইসাথে চোখের সাদা অংশেও করিয়েছেন ট্যাটু। সম্প্রতি তার এই লুক শেয়ার করেন নিজের ইন্সাটাগ্রাম প্রোফাইলে। তারপরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। তার এই শয়তানের মতো ভয়ংকর দর্শন হয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন তারই স্ত্রী। তার স্ত্রী একজন পেশাদার ‘বডি মডিফায়ার’। তার সারা শরীরে এসব ভয়ংকর দর্শন ট্যাটু একে দেন তার ট্যাটু আর্টিস্ট অন্যান্য বন্ধুরা। সার্জারির মাধ্যমে দাঁতের গড়নেও পরিবর্তন এনেছেন মাইকেল। লেখকের মন্তবও লেজ লাগাইয়া ফুল শয়তান হয়ে গেলেই তো পারে, আকাম্লা কাম কাজ করে নিজেকে কুল ভাবা প্রজাতি, আমাজন এ নিয়া ছেড়ে দেয়া উচিত। আমি চিন্তা করতাছি ঘুমানের সময় শিং এর গুতায় বালিশ ফুটা হয়না🤔 টি'শার্ট পরার সময় শিং এর সাথে আটকাইয়া মাঝে মাঝে ফুটা হয়না🤔 সাজেই শয়তান,বাস্তবে একবার যদি শয়তান সামনে আসে তো হালুয়া টাইট হয়ে যাবে.. আল্লাহ জানেন, বিষয় টা?ওহ, উনি তো নিজেই দেখসেন চাক্ষুষ। যাক,আল্লাহ মাফ করুন। এতো কিছু করেও শয়তানের রূপ এর ধারে কাছে যেতে পারবে না। শয়তান কে এরা বন্ধু মনে করে। শয়তানের ধোকায় পরে একি সাথে জাহান্নামে যাবে। নাউজুবিল্লাহ। বিদ্রঃ আমাদের ইসলাম ধর্মে ট্যাটু করা হারাম... • (শয়তান বলে) আমি অবশ্যই তাদেরকে আদেশ করব, তারা তখন আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে দিবে।” [ সূরা নিসাঃ ১১৯]

রাস্তা-ঘাটে মানুষের মাস্কের ব্যবহার এখন বিনোদনের অংশ হয়ে গেছে

রাস্তা-ঘাটে মানুষের মাস্কের ব্যবহার এখন বিনোদনের অংশ হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে এমন পিকিউলিয়ার সব মানুষ দেখি। রাগ করা বাদ দিয়ে, বিনোদিত হই। সেদিন একটা দেখলাম, সুন্দর মাস্ক পরে আছে। যেই হাঁচি এসেছে, তখন মাস্ক নামিয়ে হাঁচি দিল! মাস্ক নামিয়েই যখন হাঁচি দিবি, তোর মাস্ক পরার দরকারটা কি? এটা সত্য দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরায় অনেকেই অভ্যস্ত না বলে একটু নামিয়ে রাখে। কিন্তু অনেক মানুষ দেখি, ওরা মাস্ক কখনই মুখে লাগিয়ে রাখেনা। ওদের কাজই হলো থুতনিতে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরে রাখা। মাস্কে হাঁচি দেওয়া ঠিক না
৷ নিজের জীবাণু বাইরে থেকে শক্তিশালী হয়ে নিজের কাছেই ফিরে যাবে৷ সেদিন দেখলাম একজন প্যান্টের বেল্টের সাথে মাস্ক ঝুলিয়ে রেখেছে যেভাবে চাবীর রিং ঝুলিয়ে রাখে! সবচেয়ে মারাত্মক লেগেছিল, কনুইতে মাস্কের ব্যবহার। ওইটার আবার আমি পেছন থেকে ছবিও তুলে রেখেছিলাম। অজায়গায় মাস্ক না পরে ঠিক জায়গায় মাস্ক পরুন। মুখ আপনার মুখের জায়গায়। আপনার গলায় না।

আল্লাহ ছোট ছোট সমস্যা দিয়ে দেয় আর কোটিপতি রাতারাতি পথের ফকির হয়ে যায়

ভেবেছিলাম অন্তত ৭০-৮০ বছর বাঁচব। নাতি নাতনিদের সাথে খেলব। ইউরোপ, আমেরিকা ট্যুরে যাব!!! জামাতে আসরের নামাজ পড়ে মসজিদ হতে বেরিয়ে হাঁটছিলাম। পিছন হতে একজন ভদ্রলোককে বেশ পরিচিত মনে হল, দেখেছি বার কয়েক। একটু দ্রুত পা চালিয়ে ধরলাম। – শরিফ ভাই, আস সালামু আলাইকুম। আমাদের পাড়ায় কবে আসছেন? আপনার ফ্ল্যাট তো মনে হয় রেডি। অনেক ইনটেরিয়র এর কাজও হয়েছে মনে হয়। রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করার সময় কাজের শব্দ পাই। দামী দামী সব ফিটিংস নিয়ে মিনিট্রাক, পিকআপ এসে দাঁড়ায়, দেখতে পাই। ভদ্রলোক দুবাইয়ে ব্যবসা করেন। অনেক কষ্ট করে হাসলেন। ৫৫-৫৬ বছর হবে মাত্র বয়স। দেশে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকেন। – ফ্ল্যাট রেডি হয়েছে ২ মাস আগে। এই ফ্ল্যাটে উঠা আর না উঠা এখন একই কথা আমার জন্য। – কেন ভাইয়া, কোন সমস্যা? – জানো, প্রায় ৭ বছর ধরে টাকা জমিয়েছিলাম এই ফ্ল্যাটটার জন্য। এরপর ৩ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তোলা এই এপার্টমেন্ট। ৬ মাস ধরে ৪৩ লাখ টাকার ইনটেরিয়র, ৭ টা এসি, সেগুন কাঠের সব আলমিরা আর লেকার করা কিচেন কেবিনেট লাগানো সুপারভাইজ করলাম। শুধু আর্কিটেক্ট এর বিলই দিয়েছি ১২ লাখ টাকা। এখন সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। – বুঝলাম না ভাইয়া। – আমার একটা কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে, অন্যটা মাত্র ১৫ ভাগ কাজ করছে। ডায়ালিসিস করে চলছি। বড়জোর ৬ থেকে ১২ মাস হয়ত চলবে এভাবে, তাও হয়ত নিশ্চিত না……বলে উপরের দিকে তাকালেন…। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম, এখনো ম্যাচিং কিডনি পাইনি। পেলেও ৪০-৪৫ লাখ টাকার বাজেট দিয়েছে। আরো বেশী লাগাও বিচিত্র না। হাতে টাকা নেই, এত বছরের গড়ে তোলা ফ্ল্যাট, সামান্য একটা অসুখেই মুহুর্তে কাগজের মত উড়ে যাবে। কি অদ্ভুত না,
– এত শখ করে বানালেন যখন উঠে আসেন, আমরাও একটু ভালমন্দ খাওয়ার দাওয়াত পাব। নতুন ফ্ল্যাট হতে চিকিৎসা চলুক………।আমি বললাম। অশ্রুসজল চোখে শরিফ ভাই বললেন, -ভাই, অবাক হয়ে ভাবি, এই ফ্ল্যাটটার জন্য জীবন দিয়ে দিলাম। কয়মাস পরেই যে সাড়ে তিন হাত ঘরে যাব তার জন্য কিছুই ভাবি নাই। কোন সঞ্চয় নাই। ভেবেছিলাম অন্তত ৭০-৮০ বছর বাঁচব। নাতি নাতনিদের সাথে খেলব। ইউরোপ, আমেরিকা ট্যুরে যাব। একটা ছোট্ট ঘরে গিয়ে কয়’শ কিংবা হাজার বছর শুয়ে থাকতে হবে, অথচ সেই ঘরের জন্য কোন ইনটেরিয়র করলাম না। কোন এসি লাগালাম না, টাইলস লাগাবার সুযোগ নাই, লেকার পলিশ করার নিয়ম নাই, বসার জন্য সোফাসেট নাই। এখন আর এগুলার জন্য হাতে সময় নাই। মাফ চেয়ে কুল পাচ্ছি না। অল্পতেই চোখে পানি আসে। একটা সময় অনেক চেষ্টা করলেও একদম আসত না। বরং অন্যদের কান্না দেখে অবাক হতাম। আমি জানি না, ওখানে গিয়ে কিভাবে শুয়ে থাকব, শিমুল তুলার বালিশ ছাড়া আমার তো ঘুম আসে না। আসি, আমার জন্য দোয়া করিও। উনার কথা শুনে একটা হার্টবিট মিস করলাম। আমাদের সাথেও কি অদ্ভুত মিল!! এই দুনিয়ার শান শওকত সবই মিথ্যা মায়া মরিচিকা।সাড়ে তিনহাত মাটির ঘরই সত্যি।

রাজনীতি হোক দেশের জন্য

আপনি বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ যা খুশি করেন। তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। এটা আপনার রাজনৈতিক অধিকার। আপনার রাজনৈতিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করার অধিকার আমার নেই। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আপনার আছে। দল করার স্বাধীনতা আপনার আছে। আমার আপত্তি হিংসা প্রতিহিংসায়। আপনি লীগ করেন জন্যে বিএনপিকে শত্রু ভাববেন, আবার বিএনপি করেন জন্যে লীগকে শত্রু ভাববেন কিংবা জামায়াত, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ করেন জন্যে অন্য কোন দলকে শত্রু ভাববেন, এটা আমার পছন্দ নয়। এখানেই আমার যত আপত্তি। রাজনীতি আপনি কিসের জন্য করেন? দেশ ও দেশের মানুষের জন্যই তো, নাকি? তাহলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে না দিয়ে প্রতিপক্ষের পিছনে সময় নষ্ট কেন করেন? মারামারি, হানাহানি, কাটাকাটি করতে গিয়ে নিজের জীবন, পরিবারের জীবন ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জীবনকে বিপদে ফেলেন কেন? যাঁদের জন্য এসব করছেন, তাঁরা তো তাঁদের স্হানে ঠিকই আছে। দিনে একজন আরেকজনকে গালি দিচ্ছে, খিস্তি খেউড়ি করছে, রাত হলে খোঁজ নিয়ে দেখেন তাঁরা একই টেবিলে বসে কোরমা পোলাও খাচ্ছে। একই পেয়ালায় সুরা পান করছে। তারপর দেখেন তাঁদের পরিবার, সন্তান, সন্ততি সবাই দেশের বাইরে। তাঁদের সেখানে আলিশান প্রাসাদ অট্টালিকা রয়েছে। আপনার কি আছে? কোন এমপি মন্ত্রীর পরিবার সন্তান সন্ততি এই দেশে আছে, বলতে পারেন? আর আপনার পরিবার পরিজন সন্তান সন্ততির কি খবর? তাঁরা কি তিনবেলা তিন মুঠো ডালভাত খেতে পারছে? মনে হয়, না। তাহলে কেন আপনি তাঁদের জন্য নিজেদের মধ্যে হিংসা, প্রতিহিংসা, মারামারি, কাটাকাটিতে লিপ্ত হচ্ছেন? কেন নিজের জীবনকে বিসর্জন দিচ্ছেন? পরিবার পরিজন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিপদে ফেলছেন? একটু ভাববেন কি একবার? যতদিন আপনারা ঠিক না হবেন, ততদিন এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না। ততদিন নেতারা ঠিক হবে না। নেতারা ঠিক না হলে দল ঠিক হবে না। দল ঠিক না হলে দেশ ঠিক হবে না। দেশ-ই যদি ঠিক না হয়, তাহলে আপনার রাজনীতি কিসের জন্য? সো, রাজনীতি হোক দেশের জন্য....

শীতের আকর্ষণ হাঁস ভূনা ও চাপটি সাথে লোভনিয় হরেক রকমের ভর্তা

প্রথমেই দুঃখিত বলে নিচ্ছি কারন এই পোস্টের মধ্যে তিতলিকে আনতে পারিনি। দ্বিতীয়বার দুঃখিত বলতে চাই কারন- বাবু খেয়েছে কিনা, বাবুর রাগ ভেঙ্গেছে কিনা অথবা আমাদের বাবু ছেঁকা খেয়ে টাল হয়ে কোথাও পরে আছে কিনা সে জাতীয় কোন খোঁজ খবর আমার পোস্টে নেই। সহজ ভাষায় অসাধারণ এক যাদুকরি হাঁস ভূনার কথা বলব আজ। "যাদুকরী" শব্দটা ব্যবহার না করে আসলে পারলাম না। কারন- খাওয়া শুরু করলে খেতেই থাকবেন, থামবেনতো ঝালে নেস্তনাবুদ হয়ে যাবেন 🤣 হাঁসঃ এবার বলি কেন এই হাঁস ভূনাটার এত প্রশংসা করলাম। সাধারণত বাটা মশলা ব্যবহার ও লাকড়ি চুলায় রান্না করলে খাবার এমনিতেই খুব সুস্বাদু হয়, এই হাঁস ভূনার ক্ষেত্রেও বিষয়টা সেরকম ছিল। অন্যদিকে ভীষণ রকমের ঝাল থাকায়- ঠান্ডার মধ্যে একেবারে জমে ক্ষীর হয়ে গিয়েছিল ব্যাপারটা। হাঁসের ঝোলটা একদম পার্ফেক্ট ছিল- না পাতলা, না ঘন। খুব ভাল বলছি বলে ভাববেন না এটা একেবারে সেই জিনিস। যদি সহজভাবে বুঝাই- এটা অনেকটা আমাদের নানি-দাদির হাতের হাঁসভূনার মত, যার মধ্যে কোন রকেট সায়েন্স নাই, আছে শুধুই সাদামাটা মশলা আর আদর মাখানো রান্নার কৌশল। চাপটি ও ভর্তাঃ চাপটি নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। এটা আমাদের বাসা বাড়িতে যেমন চাপটি করা হয় ঠিক সেরকমই। তবে, চাপটির সাথে ফ্রীতে দেওয়া ভর্তা নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়। আমি এর আগে কখনো শুটকি
ভর্তার মধ্যে লেবু পাতা ব্যবহার করতে দেখিনী এবং লেবু পাতা ব্যবহার করলে যে সামান্য শুটকি ও ধনিয়াপাতা ভর্তা এতটা সুস্বাদু ও সুগন্ধিতে ভরে আসে সেটা এখানে খাওয়ার পরই বুঝেছি। হতে পারে এটা অনেকের কাছে পুরানো তবে আমার কাছে নতুন ছিল। যারা টুকটাক রান্না করেন তারা চাইলে ট্রিকটা ব্যবহার করতে পারেন, আমার বিশ্বাস অসাধারণ ফলাফল পাবেন 👍🏾 দোকানের নামঃ খালার চাপটি (নাম ভূল হতে পারে। কারন সেখানে কোন নাম ঝুলানো সাইনবোর্ড পাইনি। সিরিয়ালে অনেকগুলো দোকান, তবে আপনি যেখানেই বসেননা কেন হাঁস ভূনাটা ওনার কাছ থেকেই এনে দিবে আপনাকে। আমরা যেখানে বসেছিলাম সেখানে যিনি চাপটি ভাজছিল তার নাম- সোহাগী) দামঃ ১। হাঁস ভূনা প্রতি প্লেট ১৫০/- টাকা (হাড়সহ মাংস থাকে ৫/৬পিস)। ২। চাপটি প্রতি পিস ১০/- টাকা। (সাথে কয়েক পদের ভর্তা একদম ফ্রি) ঠিকানাঃ সোজা চলে যাবেন ৩০০ফিট পূর্বাচল। অতঃপর সেখান থেকে গুগলে সার্চ করুন Khalar Chapti. গুগল ম্যাপঃ https://maps.app.goo.gl/mRhkZVYQw4zH1VkH9 নোটঃ যদি ৭সাগর ১৩নদী পার করে পূর্বাচল চলেই যান তাহলে আপনার বাসার জন্য শীতের সবজি নিতে ভুলবেন না। ওখানে ক্ষেত থেকে তোলা বিভিন্ন তাজা শাক-সবজি পাবেন। দাম কিছুটা কম বেশী হলেও জিনিস ভাল পাবেন। পরিশেষেঃ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ সাজেস্ট করে ভাই এটা খান বা ঐটা খেয়ে একটা রিভিউ দেন। খেতে যাওয়ার পর দেখা যায় শতকরা ২০% খাবার মুখে দেওয়া যায়, বাকি ৮০% খাবার নিয়ে আর কিছু বললাম না। তবে এই হাঁস ভূনার খোঁজ যে আমাকে দিয়েছিল সৃষ্টিকর্তা যেন তার মঙ্গল করেন। একটু বেশিই ভাল্লাগসে আরকি 😆 যাকগে অনেক মার্কেটিং করে ফেললাম হাঁস নিয়ে, আজ এই পর্যন্তই। ভাল কথা- আমার কোন ফেইসবুক পেইজ অথবা ইন্সটাগ্রাম নেই- সূতরাং আমাকে ফলো করার প্রশ্নই ওঠে না। লেখায় ভূলত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, সর্বোপরি নিজে ভাল থাকবেন ও আপনার চারপাশকে ভাল রাখবেন। ভালবাসা রইল ❤️

সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায় মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটের এই ক্ষমার ঘটনা

সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায় মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটের এই ক্ষমার ঘটনা!! লোকটির শেষ কথা ছিলো " ভাই আমি একটা কথা বলতে চাই ", এর পর আর কিছু শুনা যায়নি। দেশীয় রাজাকাররা তাকে মেরে ফেলে। বলছিলাম বাগেরহাটের শহীদ ভোলানাথ বসু ও তার পরিবারের দুর্দশার কথা। ভোলানাথ বসু ছিলেন বাগেরহাটের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী। সকলের সাথেই ভালো উঠা বসা ছিলো তার। এলাকায় ও শহরের সকলকেই কম বেশি সাহায্য করতেন পরিবারের বেশিরভাগ আত্মীয় দেশভাগের সময় ভারত চলে গেলেও জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসায় চলে যাননি। ৪৭ এ যারা ভরসা নিয়ে থেকে ছিলেন তাদের অধিকাংশই ১৯৬৪ সালের খুলনা অঞ্চলের খান এ সবুরের পৃষ্ঠপোষকতায় ভয়াবহ সংখ্যালঘু নিধনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সেই সময়ের বর্ননা পাওয়া যায় ভোলানাথ বসুকে নিয়ে লিখা একটি বইয়ে। সেই বইয়ে লেখিকা সেই সময়ের একটি ঘটনা লিখেছেন, তার ভাষায় " ১৯৬৩ সালে আমার বাবা-মা ঘরবাড়ি বিষয়- আশ্রয় ফেলে বলতে গেলে এক কাপড়ে ভারতে চলে গেলেন। দেশভাগ থেকেই মূলঘর গ্রাম ফাঁকা হয়ে যাচ্ছিল। দু’এক ঘর যারা ছিল, তারা নানারকম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছিল। ইদানীং কেউ হয়তো বাড়ি ফেলে দু’চার ঘণ্টার জন্য কোথাও গেছেন, ফিরে এসে দেখেছেন ওটুকু সময়ের মধ্যেই বিহারি কোনো পরিবার সেই বাড়ির তালা ভেঙে ঢুকে সংসার সাজিয়ে রান্না-খাওয়া শুরু করেছে। এরকম ঘটনা সুধা দিদির। মূলঘর গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা সুধাদি সকালবেলার ট্রেনে বাগেরহাট এসেছিলেন। দুপুরবেলা বাড়ি ফিরে দেখেন তালা ভেঙে উঠে বসেছে এক পরিবার। সেদিন থেকে আইন আদালতের দরজায় দরজায় অনেক ঘুরলেন তিনি। কিন্তু ঘরে ফেরা আর হল না তার। এক কাপড়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। … বুকটা ফাঁকা হয়ে গেল। কত উৎসাহ, কত আনন্দ। ছবির মতো চোখের সামনে সারাদিন ভেসে ভেসে আসতো। দুর্গামন্দিরের সামনে বিশাল উঠোন। একপাশে বড় বেলগাছ, যার তলায় বোধন হতো। পূজার সময় আত্মীয়স্বজনে ভরে যেত ঘর। অথচ গ্রামে মানুষের অভাবে বাবা দেশ ছাড়লেন! ফেলে গেলেন আমাকে। প্রাণটা হু-হু করে। চোখটা বারবার অকারণে ঝাপসা হয়ে আসে। যাই হোক, এত কিছুর পরও ভোলানাথ দেশ ছেড়ে যাননি, ঝুকি নিয়েও সমাজের ভালো মানুষের উপর বিশ্বাসে বাগেরহাটেই থেকে যান। অবশেষে এলো ১৯৭১ সালের সেই ১৭ই মে। সকাল বাসায় নিজের ঘরে বসেছিলেন ভোলানাথ বসু। বাইরে থেকে কিছু লোক আসেন, ভোলানাথের পরিবার তার শুধু একটি কথাই শুনতে পায় তার ঘর থেকে। সেটি ছিলো " ভাই আমি একটা কথা বলতে চাই "। এরপর গুলির শব্দ, কথাটি বলতে পারেননি তিনি। তার মেয়ের ভাষায় সেই সময়ের বিবরন " ১৯৭১সাল আমার ঠাকুমা আর মায়ের জীবনটা পাল্টে দেয়৷বলা ভাল উলটে পালটে যায়৷বাবাকে দেশীয় রাজাকারেরা হত্যা করে ১৭ই মে৷ছয়মাস পুত্র শোকে উৎভ্রান্ত,শয্যাগত ঠাকুমা মারা গেলেন ১৪ই নভেম্বর৷তাঁর বৌমা,আমাদের মা ক্ষুদ্র ক্ষমতায় সমগ্র ভালবাসা শ্রদ্ধা একত্রিত করে সেই অবরুদ্ধ সময়ে ঠাকুমার যত্ন করেছিলেন ৷ঠিক লিখিত ভাবে তার বর্ণনা দেওয়া যায়না৷ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন বলাটাই সহজ এবং সত্য৷ মায়ের স্বচ্ছ আয়ত চোখ দুটিতে অশ্রু ,পাথরের মতই জমাট বেঁধে থাকত৷কখনই তা মাটিতে ঝরে পড়ুক ,মা তা চাননি৷নিজেকে কঠিন থেকে কঠিন করে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিটি দিন, নিজেও যুদ্ধ করে যেতে লাগলেন৷নিজের জন্যে,ঠাকুমার জন্যে, আমাদের জন্যে -একটি দেশের মুক্তির জন্যে! মায়ের ভালবাসা,শ্রদ্ধা,যত্ন সব কিছু তুচ্ছ হয়ে গেল মহান মৃত্যুর কাছে৷ ১৪ই নভেম্বর ঠাকুমা মারা যান৷একাকী মা,তাঁর সাধ্যকে অতিক্রম করে ঠাকুমাকে সম্মানের সাথে শেষ শয্যায় শুইয়ে দেন৷ জানিনা,মায়ের অতি মূল্যের সেই অশ্রুবিন্দু ঝরে পড়েছিল না কিনা ঠাকুমার সমাধীতে৷ ১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কথা কে না জানে!ঐ দিন পূর্ব পাকিস্তান থেকে "বাংলাদেশ" নামক একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়,ত্রিশ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে৷আমার বাবা ছিলেন তাঁদের একজন৷জানিনা, আমাদের ঠাকুমা,"প্রমোদিনী বসু"ও তাঁদের একজন কি না! পুত্রশোকে যাঁর মৃত্যু হয়েছিল৷ মৃত্যুর পরও রাজাকাররা ক্ষান্ত হয়নি। তাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী মারেনি, মেরেছিল এই দেশীয় রাজাকার বাসাবাটির করিম মওলানার ছেলে আলী আর রাজমিস্ত্রি কুটি মোল্লা। মৃত্যুর কিছু সময় পর তারা আবার আসে, তার কল্লা কেটে কল্লা নিয়ে যাবে যার নির্দেশে হত্যা করা হয়। কেনো হত্যা করেছিল, কেনো তার প্রতি এই ক্ষোভ ছিলো ( যুদ্ধে সশস্ত্র অংশগ্রহণ না করার পরও) তা হয়তো করিম মাওলানাই জানবে ভালো। যাইহোক তারা আসার আগেই তাদের প্রতিবেশীদের সহায়তায় তারা তার বাবার দেহ মাটি চাপা দিয়ে দেয়, শেষ অসম্মান থেকে রক্ষা করে। তার ছিলো ১১ ছেলে মেয়ে, নিরাপত্তার জন্য অনেকে সেই সময় ভারতে চলে যান, অনেকে বাংলাদেশে থাকেন যুদ্ধের সময়। অবর্ননীয় কষ্টের মাঝে দিতে হয় বাবা ও আত্মীয়স্বজন বিহীন তার পরিবারকে। ভোলানাথ বসুর স্ত্রী চেষ্টা করেন তার বৃদ্ধা শাশুড়ির সেবা যত্নের যিনি পুত্র শোকে কাতর ছিলেন। কিন্তু বেশিদিন বাচতে পারেননি তার মা, দেশ স্বাধীনের আগেই মারা যান পুত্র শোকে। সেইসময়ের ঘটনা তার ছেলের ভাষায় রিকশাওয়ালা বললো – ‘এই মাকে গিয়ে বলিস তোর দিদিকে আমি বিয়ে করবো।’ কীভাবে যেন তাদের হাত ছাড়িয়ে বাড়ি ফিরলাম। আতঙ্কে হিম হয়ে গেল চেতনা। মাকে তো কিছু বলা যাবে না! কাউকে বলা যাবে না। ডা. অরুণ নাগের বাড়িতে রান্না করতো হরেন কাকা। তার মেয়েকে নিয়ে গেছে ওপাড়ার একজন তাকে আমি চিনি। রাধাবল্লভ গ্রাম আমাদের বাড়ির অনেক কাছে। ঐ গ্রামের ডাক্তার বলরাম অধিকারীর মেয়ে মঞ্জুরানী অধিকারীরকে দিনের বেলা শারীরিক নির্যাতন করার পরে খুন করে ফেলে দিয়েছে নদীতে। এসব ঘটনার কোনো আড়াল নেই, কিছু গোপনীয়তা নেই, আমিও জানি। রাতে শুয়ে ছটফট করি, কিছুতেই ঘুম আসে না।’ [পৃ ৯৯] তবে সব খারাপ ও শয়তানের বিনাশ আসে, এইখানেও আসে। খারাপ, ভন্ড, নিরপরাধ মানুষ হত্যাকারী, দেশীয় রাজাকারদের আস্ফালন শেষ হয় ১৬ ডিসেম্বর। তার ছেলে মেয়েরাও সেদিন স্বাধীনতার আনন্দ করে। তার খুনির কি হলো? তার মেয়ের ভাষায় সেই ঘটনা " ডিসেম্বর মাস,কিন্তু শীতের তীব্রতার থেকেও আমার মায়ের দুঃখের তাপ এতটাই বেশী ছিল যে,নির্ঘুম রাত কাটতো বিছানার বাইরে৷ ১৯৭১ সালের ২১ই ডিসেম্বর৷আমাদের পুকুরের জলে তখন ঘন হয়ে জমে আছে হিমের সর-মায়ের জীবনের মতই!ঠাকুমার লাগানো লাল জবা গাছে অসময়ে ফুটে আছে আগুনতি ফুল। কুয়াসার সাধ্য কী তার উজ্জ্বলতাকে ম্লান করে দেয়৷ সেই মন কেমনের অতি সকালে মা চমকে ওঠেন সম্মিলিত কন্ঠস্বরে৷একঝাঁক তরুণ উঠানে দাঁড়িয়ে,হাতে তাঁদের রাইফেল,নামানো৷তারা মাকে নিতে এসেছে ৷কাকি মা বাড়ি থেকে বের হন তাদের ডাক আসলো। ওরা একটি মুখের হাসির জন্যে যুদ্ধকরে আজ জয়ী!মুক্তিযোদ্ধা৷ বাড়ির সাথেই আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন রাস্তা৷যথোচিত সম্মান দিয়ে ,সবার সামনে মাকে রেখে মুক্তিযোদ্ধারা পৌঁছায় সেখানে৷একটা রিকসায় হাত পা বাঁধা একটি লোককে দেখে মা চমকে ওঠেন৷দ্রুত নিজেকে সামলে চোখ ফিরিয়ে নেন৷মা খুব শক্ত হয়ে নিজের চোখের জল ধরেও রাখেন৷এর সামনে কিছুতেই নিজের দুর্বলতা প্রকাশ না পায়! লোকটার পরিচয়,"আমার বাবার হত্যাকারী!" মায়ের হাতে একজন রাইফেল তুলে দেয়৷সমস্বরে তারা বলে ওঠে"মা! আপনি নিজের হাতে একে শাস্তি দ্যান! গুলি করেন এইডার বুকে!" ধীর স্থির ভাবে মা তাদের রাইফেল ওদের হাতেই ফিরিয়ে দেন৷ অন্যদিকে চোখ রেখে বলেন,"ওর বিচার করার আমি কে!ঈশ্বর ওর বিচার করবেন৷বাবারা,আমি চাইনা,আমার সন্তানদের মতন ওর সন্তানরা পিতৃহারা হোক৷" নিঃশব্দতার অনেক শক্তি! নির্বাক শত লোকের মাঝ দিয়ে মা আমার মাথা উঁচু করে আমাদের হাত ধরে বাড়ি ফিরে আসেন৷ সেই যে মা স্বামী হন্তারকের জীবন দিয়েছিলেন,পরে কোনোদিনও মা তার নাম বা সেই কথা মুখে আনেননি৷৷ক্ষমা তো ক্ষমাই৷নিঃশব্দে-নিঃস্বার্থে৷ মার বিশ্বাস ছিল হয়ত প্রচলিত আইনে তার শাস্তি হবে! কিন্তু হয়নি " পরবর্তীতে সেই গ্রামে সেই লোককে দেখা যায়নি। ভয়াবহ ওই দিনগুলোতে মানুষের নিষ্ঠুরতার পাশাপাশি মানুষের মহত্ত্ব ও উদারতার পরিচয়টিও এখানে বড়ো হয়ে উঠেছে। আনন্দ সোয়াই, জালাল সর্দার, শান্তিদি, আরতিদি, আনোয়ার কাকা, অহিদ, আলেয়া, দাউদ, ইসহাক মোল্লা, নাম-পরিচয়হীন রিকশাওয়ালা – এরকম অসংখ্য মানুষ সেই বিপদের দিনগুলোতে সহানুভূতি, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন – মানুষের নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে মানুষেরই মানবতার এ এক জয়গাথা। পাকিস্তানি দূষিত ঘৃণা ও মানুষ হত্যার চেতনার বাইরে গিয়ে নতুন চেতনার সুর্যোদয় ঘটান মুক্তিযোদ্ধারা, যারা তার সেই খুনিদের ধরে এনেছিলেন। এইদেশে ধর্ম, বর্ন এইসব নামে ঘৃণা ছড়ানো চলবেনা তাই মুক্তিযোদ্ধাদের বার্তা ছিলো। সোনার বাংলাকে ঘৃণার বাংলা বানানোর ক্যান্সারে আক্রান্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গিয়েছিল তারা ২৪ বছরে। সেই নিউক্লিয়াসই ধংস করে দেন মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলার মাটিতে এইদেশের নাগরিকদের প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ ছড়ানোর লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয় সেই সময়। যাই হোক ভোলানাথ বসুর ছেলে মেয়েরা পরবর্তীতে নিজেদের কর্মজীবনে সফল হয়েছেন শিক্ষা দীক্ষায়। কেউ কেউ ভারতে থেকে যান, কেউ কেউ বাংলাদেশে। তার বড় ছেলে স্বপন বসু বাগেরহাটের ব্যবসায়ী, ছোট ছেলে মানস বসু ঢাকায় মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক। তার স্ত্রী ও খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার মতো মহান কাজ করা উমা বসু ২০১৪তে মারা যান। মৃত্যুর আগে নিয়মিত স্বামী ও শাশুড়ির স্মৃতিস্তম্ভে নিয়মিত শ্রদ্ধা জানাতেন। তাদের এই ঘটনা জানা সম্ভব হয়েছে লেখক মুফিদুল হক ও ঝর্ণা বসুর সৌজন্যে। তার প্রকাশিত বই " অবরুদ্ধ অশ্রুর দিন (পারিবারিক স্মৃতিভাষ্য ১৯৭১) " এ ভোলানাথ বসুর পরিবার ও আরো অনেকে সেই সময়ের বাগেরহাটের স্মৃতিচারন করেছেন। তুলে ধরেছেন সেই সময়ের ভয়াবহতা। কারা সাহায্য করেছিল, কারা করেনি, কীভাবে তার পরিবার সংগ্রাম করে। লেখককে আমার ধন্যবাদ। বইটি চাইলে আপনারা পড়তে পারেন ক্রয় করে, এছাড়া তার স্ত্রী উমা বসুও সেই সময়ের স্মৃতি নিয়ে লিখেন। কমেন্টে বইয়ের প্রচ্ছদ দেওয়া। ছবিতে ভোলানাথ বসু, তার স্ত্রী। ছবি কৃতিত্ব : তার পরিবার এইরকম ভোলানাথ বসুর মতো আরো হাজারো জানা অজানা ঘটনা আছে ৭
১ এর, চেষ্টা করবো এই মাসে সেগুলো স্মরন করার।

জুমার দিনে তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করণীয় ও ফযিলত

: ᯽᯽᯽▬▬▬۞۞۞۞▬▬▬᯽᯽᯽ ১) অধিক পরিমানে দরূদ পাঠ করা : আউস বিন আউস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ، فِيهِ خُلِقَ آدَمُ عَلَيْهِ السَّلَام ، وَفِيهِ قُبِضَ ، وَفِيهِ النَّفْخَةُ ، وَفِيهِ الصَّعْقَةُ ، فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنْ الصَّلَاةِ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّ ، قَالُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، وَكَيْفَ تُعْرَضُ صَلاتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرَمْتَ -أَيْ يَقُولُونَ قَدْ بَلِيتَ- قَالَ : إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ حَرَّمَ عَلَى الأَرْضِ أَنْ تَأْكُلَ أَجْسَادَ الأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمْ السَّلام “তোমাদের দিন সমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে মৃত্যু দেওয়া হয়েছে, এই দিনে সিংগায় ফুঁ দেওয়া হবে এবং মহা বিপর্যয়ও (ক্বিয়ামত) ঘটবে এই দিনেই। তাই এই দিনে তোমরা বেশি বেশি আমার উপর দরুদ পাঠ করবে; কেননা তোমাদের দরুদ আমার উপর পেশ করা হয় জুমার দিনে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলে, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি কবরে গলে শেষ হওয়ার পরেও কিভাবে আপনার উপর দরুদ পেশ করা হয়? তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন। ” (আবু দাউদ,নাসাঈ,ইবনু মাজা প্রমুখের বরাতে সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব,মিশকাত আলবানী হা/১৩৬১) ▬▬▬▬▬▬▬ ২) সূরা কাহাফ পাঠ করা : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: مَن قَرَأَ سورةَ الكَهفِ يومَ الجُمُعةِ أضاءَ له من النورِ ما بَينَ الجُمُعتينِ “যে ব্যক্তি জুমআর দিনে সূরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য পরবর্তী জুমা পর্যন্ত আলোকময় হবে (অর্থাৎ সে হেদায়েতের আলোর উপর পরিচালিত হবে ইনশাআল্লাহ)। (দেখুনঃ সহিহ তারগিব ওয়াত্ তারহিব, হাদিস নং- ৭৩৬, ইবনে হাজার আসকালানী এটিকে হাসান বলেছেন। তিনি আরও বলেন, এ হাদিসটি সূরা কাহাফ প্রসঙ্গে বর্ণিত সবচেয়ে শক্তিশালী হাদিস, {ফায়যুল কাদির ৬/১৯৮}) ◾উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত (জুমার রাত) থেকে শুরু করে শুক্রবার সূর্য ডুবার পূর্ব পর্যন্ত যে কোন সময় (এক বৈঠকে অথবা একাধিক বৈঠকে) সূরা কাহাফ পুরোটা পড়ে শেষ করতে হবে। তাহলে উক্ত মর্যাদা লাভ করা যাবে ইনশাআল্লাহ। ▬▬▬▬▬▬▬ ৩) দুআ করা:রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: يَوْمُ الْجُمُعَةِ اثْنَتَا عَشْرَةَ سَاعَةً ، لَا يُوجَدُ فِيهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ يَسْأَلُ اللَّهَ شَيْئًا إِلَّا آتَاهُ إِيَّاهُ فَالْتَمِسُوهَا آخِرَ سَاعَةٍ بَعْدَ الْعَصْرِ “জুমার দিনে ১২টি ঘণ্টা রয়েছে। এর মধ্যে এমন একটি ঘণ্টা রয়েছে যেখানে এমন কোন মুসলিম নাই যে, সে যদি তখন আল্লাহর নিকট কিছু চায় আল্লাহ তাকে দিবেন না। আর তোমরা আসরের পরে (মাগরিবের আগের) শেষ ঘণ্টায় সে সময়টা অনুসন্ধান করো।” (সুনান আবু দাউদ, অনুচ্ছেদ: জুমার দিন দুয়া কবুল হওয়ার সময় কোনটি? শাইখ আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন। ) ◾ উল্লেখ্য যে, অন্য একটি যঈফ বা দুর্বল হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, উক্ত সময়টা হল: حِينَ تُقَامُ الصَّلَاةُ إِلَى الِانْصِرَافِ مِنْهَا “জুমার সালাতের একামত হওয়া থেকে নিয়ে শুরু করে সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত।” (তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ। কিন্তু শাইখ আলবানী বলেছেন এটি ضعيف جدا খুব দুর্বল।) ◾ অধিকাংশ সালাফের মত হল, তা আসরের পর থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত সময়টি। আল্লাহ ভালো জানেন। ᯽᯽᯽▬▬▬۞۞۞۞▬▬▬᯽᯽᯽ লেখক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল দাঈ, জুবাঈল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব 𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔𖣔

আল্লাহকে সন্তুষ্ট করুন (দুনিয়াতে), তিনিও আপনাকে সন্তুষ্ট করবেন (আখিরাতে)।

আপনি যখন মন থেকে অনুভব করবেন, আপনার একজন রব (আল্লাহ) আছেন, যিনি আপনাকে চালাচ্ছেন, খাওয়াচ্ছেন, দেখাচ্ছেন-- তখন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাবশত আপনার চোখ দুটো অশ্রুসিক্ত হতে বাধ্য। সত্যি বলতে, আমরা ভাসাভাসারূপে আল্লাহতে বিশ্বাস করি, তাঁকে অনুভব (feel) করি না বা করতে পারি না। . সাহাবাগণের ব্যাপারে বলা হয়, তাঁরা কুরআন বুকে জড়িয়ে আবেগাক্রান্ত হয়ে বলতে থাকতেন, "হাযা কালামু রাব্বি! হাযা কালামু রাব্বি!" (এটি আমার রবের কথা! এটি আমার রবের কথা!) . যখন আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন যে, আপনার মৃত্যুর পরই আসল জীবন শুরু হবে; সেখানে অনন্তকাল থাকতে হবে, তখন আপনি দুনিয়াতে অবশ্যই নেককাজে লেগে যাবেন। তখন দুনিয়াতে কোন না পাওয়ার বেদনা আপনাকে গ্রাস করতে পারবে না। যেমন: আপনি দেখতে তেমন সুন্দর নন, আপনি গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না, আপনি গরিবি অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন, আপনি নিশ্চিত হয়ে গেছেন আপনি আব্বু বা আম্মু ডাকটি শুনতে পারবেন না এই জীবনে কিংবা আপনার চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছে, ডাক্তার "সরি" বলে দিয়েছে। *** এসবকিছুতে তখন আর আপনি বিচলিত হবেন না মোটেও, দুঃখে ভারাক্রান্ত হবেন না। হতাশা চেপে ধরবে না, উদভ্রান্তের মতো পায়চারি করবেন না। কারণ আপনি জানেন, এসব সমস্যা, দুঃখ-বেদনা আপনার আখিরাতের জীবনে সফলতা অর্জনের পথে কোনো বাধা নয়। জাস্ট ক্ষণিকের দুনিয়াতে আপনি কিছু ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন; এটুকুই। কারণ এসব সমস্যার ভীড়েও যদি আপনি আল্লাহকে সন্তুষ্ট রেখে মৃত্যুবরণ করতে পারেন তবেই আপনি সফল! চূড়ান্ত সফল! যে সফলতার কোন অন্ত নেই। . আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত কে? প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ না? . উত্তর দিচ্ছেন আল্লাহ নিজেই তাঁর কিতাবে (কুরআনে)-- إنّ أكرمكم عند الله أتقاكم "নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত সে-ই, যে তোমাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি তাকওয়া অবলম্বন করে।" আর তাকওয়া হলো, আল্লাহর ভয়ে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা ও তাঁর সন্তুষ্টির পথে চলা। আপনিই বলুন, এই যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত কোন সমস্যা কি প্রতিবন্ধক? তাহলে হতাশ কেন আপনি?

ম্যারাডোনা কে নিয়ে পেলের আবেঘগন স্টাটাস

তুমি চলে গেলে সাত দিন হয়ে গেল । অনেক মানুষ আমাদের সাথে সারা জীবন তুলনা করতে ভালোবাসে । তুমি একজন প্রতিভাধর যে পৃথিবীকে মুগ্ধ করেছিল । পায়ে বল নিয়ে একজন জাদুকর । একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি । কিন্তু সবচেয়ে বেশি, আমার জন্য, তুমি সবসময় একজন বড় বন্ধু হয়ে থাকবে, একজন বড় হৃদয়ের অধিকারী । আজ জানলাম পৃথিবী অনেক ভালো হতো যদি আমরা একে অপরের সাথে কম তুলনা করে একে অপরকে বেশি প্রশংসা করতে পারতাম । তার মানে তুমি অতুলনীয় । সততা দ্বারা তার ট্র্যাজেক্টরি চিহ্নিত করা হয়েছে । তুমি সবসময় চার বাতাসে তোমার ভালোবাসা এবং ভালোবাসা ঘোষণা করেছো । আর তোমার এই ব্যক্তিগত পথ দিয়ে শিখিয়ে দাও যে আমাদের ভালোবাসতে হবে এবং বলতে হবে ′′ আমি তোমাকে ভালোবাসি ′′ অনেক বেশি । তোমার দ্রুত চলে যাওয়া আমাকে বলতে দেবে না তাই আমি শুধু লিখি: আমি তোমাকে ভালোবাসি ডিয়েগো আমার মহান বন্ধু, আমাদের সমস্ত যাত্রার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । একদিন স্বর্গে আমরা একই দলে একসাথে খেলবো । এবং এটা প্রথমবারের মত আমি কোন গোল উদযাপন ছাড়াই বাতাসে ঘুষি মারতে যাচ্ছি, কিন্তু কারণ আমি তোমাকে আরেকটি আলিঙ্গন দিতে পারি । // আজ সাত দিন হলো তুমি চলে গেছো । অনেক মানুষ আমাদের সারা জীবন তুলনা করতে ভালোবাসে । আপনি একজন প্রতিভাধর ছিলেন যা বিশ্বকে মুগ্ধ করেছে । পায়ের কাছে বল নিয়ে একজন জাদুকর । একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি । কিন্তু সর্বোপরি, আমার জন্য, তুমি সবসময় একজন মহান বন্ধু হয়ে থাকবে, একটি আরও বড় হৃদয় নিয়ে । আজ জানি পৃথিবী অনেক ভালো হতো যদি আমরা একে অপরকে কম তুলনা করে একে অপরকে বেশি শ্রদ্ধা করতে পারতাম । তাই আমি বলতে চাই তুমি অতুলনীয় সততা দ্বারা আপনার ট্র্যাজেক্টরি চিহ্নিত করা হয়েছে । এবং আপনার অনন্য এবং বিশেষ উপায়ে, আপনি আমাদের শিখিয়েছেন যে আমাদের ভালবাসতে হবে এবং বলতে হবে ′′ আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি ′′ । তোমার দ্রুত চলে যাওয়া আমাকে তোমাকে বলতে দেয়নি, তাই আমি শুধু লিখে যাবো: আমি তোমাকে ভালোবাসি, ডিয়েগো । আমার মহান বন্ধু, আমাদের পুরো যাত্রার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । একদিন স্বর্গে একই দলে একসাথে খেলবো । আর এই প্রথমবারের মতো আমি গোল উদযাপন না করেই পিচের উপর জয়লাভ করে হাওয়ায় মুষ্টি তুলেছি । এটা হবে কারণ
আমি অবশেষে তোমাকে আবার আলিঙ্গন করতে পারব ।

সাজেক ভ্যালি যাবেন তাদের জন্য কিছু উপদেশ

সাজেক এর জন্য কিছু উপদেশঃ- ১. একা যাবেন না, মজা করতে পারবেন না। ২. একবার গেলে আপনার জীবন স্বার্থক হবে, মনে করবেন টাকা গুলো স্বার্থক হয়েছে। ৩. কংলাক পাহাড় অনেক দূরে হলেও যাইতে ভুলবেন না, ঐখানে গিয়ে দৃশ্য দেখার পর আপনি নিজেকে স্বার্থক মনে করবেন। ৪. ব্যাম্বু চিকেন আর রুটি(পরাটা) এটা মিস করবেন না। ৫. যাওয়ার আগে কটেজ বুকিং দিবেন নাহলে ভালো কটেজ পাবেন না। (অফ ডে শনি-বুধ) এ-সব দিন যাবেন। ৬. হ্যালিপ্যাড, সাজেক ০ পয়েন্ট, রুণময় কটেজ এর সামনে ছবি তুলবেন। সাজেক এই এই ৩টাই প্রমানিত। ৭. পানি নষ্ট করবেন না, সেখানে পানি পাওয়া যায়না, তাদের কে ৭ কিলোমিটার বা তার বেশি দূরে ভূপৃষ্ঠ থেকে পানি আনতে হয়৷ সবসময়ই ডাস্টবিন ব্যবহার করবেন। ৮. কংলাক পাহাড় উঠার সময় ১০ টাকা দিয়ে একটা বাশ কিনবেন, যা আপনাকে উঠতে সাহায্য করবে। ৯. আলু টিলা গুহা যাওয়ার সময় ওই বাশ অবশ্যই সাথে নিবেন, কারণ গুহায় কিছু যায়গা গর্ত আছে যেমন আমি নেই নি বলে গর্তে কোমড় পর্যন্ত ডুবে গেছিলাম😓 (গুহা অনেক অন্ধকার তাই টর্চ লাইট / মোবাইল এর ফ্ল্যাশ ব্যবহার করবেন৷ অসাধারণ ভিতর টা৷ শিরি গুলো সাবধানে নামবেন।) ১০. আঁকাবাঁকা পথের মজাটা নিতে চাইলে কক্সবাজার এর আগে সাজেক চলে যান। ১১. ছাতা অবশ্যই সাতে নিবেন, প্রয়োজনীয় ঔষধ সাথে নিবেন। ১২. S Alam Service বাস এ যাইতে পারেন অনেক ভালো বাস, ঢাকা ফকিরাপুল কাউন্টার।। ১৩. ভ্রমণ বেলা Arup Bappi দাদার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, তিনি প্রতি শনিবার সাজেক এর ইভেন্ট করে। ১৪. Robi/Airtel সিম নিবেন, ওইখানে গিয়ে PUBG / Free Fire খেলতে পারবেন৷ Full 4G Network ১৫. খুব ভোরে উঠে সূর্যদয় দেখবেন, রাতে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে মেঘ দেখবেন। ১৬. গ্রুপে যাবেন খরচ কম হবে। ৪/৮/১২ জনের গ্রুপ। ১৭. বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অনেক ভালো, সবসময় কারেন্ট পাবেন। সুতরাং মোবাইল / ক্যামেরা চার্জ নিয়ে টেনশন করতে হবেনা। ©✔️✔️

আরাফার ময়দানের নিম কূটনীতির সাথে মিশে আছে জিয়া ও বাংলাদেশের নাম।

ওআইসির একবারের বৈঠকে এক অদ্ভূত সমস্যার কথা তুলে ধরলো মালেয়শিয়া। আরাফার ময়দানে প্রতিবছর প্রচুর হাজিসাহেব হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমে সেখানে ছায়া নেই। মরু থেকে ভেসে আসে গরম হাওয়ার হল্কা। হজ করা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে দক্ষিন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য। প্রথমে প্রস্তাব দেয়া হলো সৌদি আরব আর জর্ডান মিলে পুরো মাঠকে ঢেকে দেবে। কিন্তু এক সৌদি শেখ বললেন, এটি ঐতিহ্যের খেলাপ হবে। সেখানে খোলা আকাশের নিচে বা তাবুতে মুসাফিরের মতো একদিন অবস্থান করাই হজের ফরজ। অবকাঠামো গড়ার উপায় নেই। এবার আরবের আধাপাগল নয়া বড়লোক দেশগুলো এক হাস্যকর প্রস্তাব দিলো। তারা একটু দূরে দূরে পিলার বানিয়ে এয়ার কুলার লাগিয়ে দেবে। এই প্রস্তাবও অবাস্তব। বাংলাদেশ একটি প্রস্তাব দিলো যা ছিলো আরব কূটনীতিবীদদের জন্য হাস্যকর। বাংলাদেশের জিয়াউর রহমানের প্রস্তাব ছিলো গাছ লাগালেই তো হয়। কিন্তু আরব কূটনীতিবীদরা বললেন, রাব উল খালির সবচেয়ে শকনো এলাকায় বাবলার কাঁটাগাছও হয়না, সেখানে হবে ছায়াদার গাছ! বাংলাদেশ জানালো সবাই রাজি থাকলে এমন একটা গাছ দেয়া হবে, যার পানি লাগেনা তেমন। নদীর ধুধু চরে সে গাছ জন্মায়। সে গাছ কোনও কাটাদার গাছ নয়। রীতিমতো ছায়দার বৃক্ষ। ওআইসি বলেছিলো এয়ার কুলারের ব্যয় তাও বহন করা যাবে, কিন্তু মরুতে যে গাছ হয়, তার ব্যয় নির্বাহের সামর্থ্য কি সব দেশ মিলেও হবে! জিয়াউর রহমান আস্বস্ত করে সেদিন বলেছিলো, গাছের পুরো ব্যয় নির্বাহ করবে বাংলাদেশ। ওআইসি শুধু পরিবহণ খরচ দিলেও হবে। বাদশাহকে উপহার দেয়ার সময় জিয়াউর রহমান বলেন- “গরিব মানুষের দেশের গরিব রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে আপনার জন্য এই সামান্য উপহার।” বাদশাহ ফাহদ এই উপহার পেয়ে বলেন - "বহু দেশ থেকে বহু মূল্যবান উপহার পেয়েছি; কিন্তু এমন মূল্যবান উপহার তিনি পাননি।" আবেগে আপ্লুত বাদশাহ জড়িয়ে ধরেন রাষ্ট্রপতি জিয়াকে। তিনি বলেন, আজ থেকে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ পরস্পর অকৃতিম বন্ধু। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য অর্থ সাহায্য দিতে চান। কিন্তু এসময় জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের দেশের মানুষ গরিব, কিন্তু তারা পরিশ্রম করতে জানে। আপনার দেশের উন্নয়ন কাজের জন্য হাজার হাজার শ্রমিক দরকার। একটি নব্য স্বাধীন মুসলিম দেশের জন্য যদি আন্তরিকভাবে সাহায্য করতে চান, তবে আমার দেশের বেকার মানুষদের কাজ দিন। বাদশাহ ফাহদ রাজি হলেন। উন্মোচিত হলো এক নতুন দিগন্ত। তখন থেকে বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সৌদি আরব গিয়ে নিজেদের ভাগ্য বদল সহ স্বাবলম্বী হয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশে। সেদিন বাংলাদেশ থেকে জিয়াউর রহমানের দেওয়া ১০ লাখ গাছ শুধু আরাফার ময়দানে স্থায়ী ছায়া এনে দিয়েছে তাইই নয়, সেই থেকে খুলে গেছে আরব বিশ্বে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার যে ভীষণ সঙ্কটে ভুগছিলো তা কিছুটা হলেও দূর হয়েছিল। শুধু একটি ছোট্ট আইডিয়া, বাংলাদেশি জাতিনিমের গাছ, র‌্যাডিক্যালি কমে গেছে হজ করতে গিয়ে হিটস্ট্রোকের পরিমাণ। সৌদিতে আজও তাই আরাফার নিম গাছকে ভালোবেসে তারা জিয়া ট্রি হিসেবে ডাকে। এভাবেই আরাফার ময়দানের নিম কূটনীতির সাথে মিশে আছে জিয়া ও বাংলাদেশের নাম।

শেষ হুংকারেও লাভ হয়নি। তিনি এখানে কোন কিছুতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ধর্ম টেনে সেই রাজাকারদের অনুপ্রেরনা দেওয়ার হীন চেষ্টা করেছিলেন।

পরাজয়ের প্রহর গুনতে থাকা নিয়াজীর শেষ হুংকার আজকের এইদিনে। ৩০ নভেম্বর, ১৯৭১ এইদিন নিয়াজী নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিহারী অধ্যুষিত এলাকায় চলমান ন্যায় ও অন্যায়ের যুদ্ধে অন্যায় করা রাজাকারদের অনুপ্রেরণা দিতে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ মূলক বক্তৃতা দেন তৎকালীন সময়ের বিহারী অধ্যুষিত সৈয়দপুরে। সেই জনসভায় উপস্থিত অনেকের হাতেই হয়তো লেগেছিলো কিছুদিন আগে ট্রেনে পুড়িয়ে হত্যা করা শত শত নিরীহ মারওয়ারির রক্ত। লে. জেনারেল নিয়াজী এদিন সৈয়দপুর সফরে যান। তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পাশের মাঠে এক সভায় এখানে উপস্থিত বক্তারা ঘোষণা করেন, একজন পাকিস্তানি জীবিত থাকতেও পাকিস্তানের পবিত্র মাটি অপবিত্র হতে দেয়া হবে না। তারা সেনাবাহিনীর প্রতি স্থানীয় জনগনের পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন। জনগন পাকিস্তানের পতাকা, ভারত খতম কর, আল জেহাদ,হিন্দু সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস কর, পাকিস্তান জিন্দাবাদ লেখা সম্বলিত অসংখ্য প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন বহন করে এবং মুহুর্মুহু শ্লোগান দ্বারা এলাকা প্রকম্পিত করে রাখে। নিয়াজি তাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই অদম্য মনোবলে দিপ্ত জনতাকে পরাজিত করা যায় না। শেষ হুংকারেও লাভ হয়নি। তিনি এখানে কোন কিছুতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ধর্ম টেনে সেই রাজাকারদের অনুপ্রেরনা দেওয়ার হীন চেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত কোন ফায়দা হয়নি। ন্যায়ের কাছে অন্যায়ের পরাজয় হয়েছেই তার ২ সপ্তাহ পরই। ধিক্কার জানাই নিয়াজী ও তাদের দোসরদের যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য পবিত্র ধর্মকে ঢাল বানাতে চেয়েছিল সেইসময়। ধিক্কার জানাই নিয়াজী ও তার দোসরদের যারা নিরীহ মানুষ হত্যা করার জন্য শান্তির ধর্মের নাম নিয়ে মানুষকে উসকানি দিয়েছে। মুসলমানরা কখনো পরাজিত হয়না এই কথার মাধ্যমে নিয়াজী বাংলাদেশের পক্ষে থাকা সেই সময়ের ৮৫ ভাগ মুসলিমকে সরাস‌রি অমুসলিম ঘোষণা করে দেয়। নিয়াজীর পুরো যুদ্ধ জুড়েই মনোভাব ছিলো বাঙালিরা আর যাই হোক মুসলিম না 😠 এইরকম সংকীর্ণ মানুষ যারা কে মুসলিম কে মুসলিম না এইসব সার্টিফিকেট দেয় তাদের পরিনতি ইতিহাস দেখেছে। সবাইকে বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা। ছবি কৃতজ্ঞতা : সংগ্রামের নোটবুক

কুড়িগ্রামের কৃতী সন্তান বীর প্রতীক তারামন বিবি

বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত একটি নাম তারামন বিবি। একটি বীরত্বপূর্ণ নাম। একই সঙ্গে একটি ইতিহাস। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন নানা ভূমিকায়। ১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রামের কোদালকাটিতে আব্দুস সোবহান ও কুলসুম বেওয়ার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন তারামন বিবি। আরো ৭ ভাইবোনকে নিয়ে অভাবের সংসারে একটু সচ্ছলতার আসায় অন্যের বাড়িতে গৃহস্থালির ছোটখাটো কাজ করতেন শৈশব থেকেই। ১৯৭১ সালের চৈত্র মাসে আজিজ মাস্টার নামে একজন তাকে মুক্তিযোদ্ধা হাবিলদার মুহিবের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। হাবিলদার মুহিবের অনুরোধে তারামন বিবিকে তার বাবা-মা দশঘরিয়া মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে রান্নার কাজ করে দেওয়ার জন্য পাঠাতে রাজি হন। যদিও তৎকালীন পরিস্থিতিতে তারা কিছুতেই রাজি ছিলেন না তারামন বিবিকে সেখানে পাঠাতে। কিছুদিনের মধ্যে মুহিব তাকে অস্ত্র চালনা করা শেখালেন যাতে তিনি সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারে। ১৪ বছরের এই কিশোরী বুঝতেই পারেননি যে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনতে। ১৯৭১ সালের শ্রাবণ মাসের কোনো এক বিকেলে তারামন বিবি পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম অস্ত্রধারণ করেন। পাক বাহিনী গান-বোট নিয়ে হঠাৎ মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে আক্রমণ করলে অনেকটা আকস্মিকভাবেই তিনি অস্ত্র তুলে নেন। এরপর তিনি ১১ নাম্বার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার বীর উত্তম আবু তাহেরের নেতৃত্বে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে আরো অনেক মুখোমুখি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। যুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের সরকার তার সাহসিকতার জন্য ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধের পর হঠাৎ করেই তিনি প্রায় নিখোঁজই হয়ে যান। ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজের একজন শিক্ষক তাকে খুঁজে বের করেন। তারামন জানতে পারে তিনি ছিলেন বীর প্রতীক সম্মানধারী একাত্তরের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ভোরের কাগজ তার সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। অবশেষে স্বাধীনতার ২৪ বছর পর ১৯৯৫ সালে বীর এই নারী তার বীরত্বের স্বীকৃতি পান ১৯ ডিসেম্বর। ঐ দিন তৎকালীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন। তারামন বিবিকে নিয়ে আনিসুল হকের লেখা বই ‘বীর প্রতীকের খোঁজে’। যা পরবর্তীতে নাট্যরূপ দেওয়া হয় ‘করিমন বেওয়া’। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ এই বীর মুক্তিযোদ্ধা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে রাজিবপুর উপজেলার কাচারিপাড়া তালতলা কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়। তথ্য সূত্রঃ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, উইকিপিডিয়া, মুস্তাফিজ শাফি সম্পাদিত ‘একাত্তরের বিজয়িনী’ গ্রন্থ।

মহান মুক্তিযাদ্ধে সহোদর ভাইবোন একই সাথে যুদ্ধ করেছেন

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সহোদর ভাইবোন একই সাথে অংশগ্রহন করেছেন এমন উদাহরণ খুব কমই আছে। আজ বলছি এক সহোদর ভাই বোনের কথা যাদের একজনের নাম মেজর এ,টি, এম হায়দার ( আবু তাহের মোহাম্মদ হায়দার – বীর উত্তম ) ভাই এবং তার বোনের নাম ডা. ক্যাপ্টেন সিতারা রহমান – বীর প্রতীক। মেজর হায়দার ১২ ই জানুয়ারী ১৯৪২ কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহন করেন। তত্কালীন পূর্ব পাকিস্থান সেনাবাহিনীর ৩য় কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের কর্মকর্তা হায়দার কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে পালিয়ে ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং শুরু থেকেই ২নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফ এর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মেলাঘরে অবস্থিত প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে কমান্ডো, বিস্ফোরক ও গেরিলা ট্রেনিং সহ হায়দার মুক্তিযোদ্ধাদের শপথ গ্রহণ করাতেন। মেলাঘরে মেজর হায়দার প্রথম একটি স্টুডেন্ট কোম্পানি গঠন করেন। এই কোম্পানিকে তিনিই ট্রেনিং প্রদান করতেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত হন। সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৭৫ সালের সাতই নভেম্বর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জে জন্ম সিতারা বেগমের৷ বাবা মোহাম্মদ ইসরাইল এবং মা হাকিমুন নেসা৷ তবে বৈবাহিক সূত্রে তিনি সিতারা রহমান নামে পরিচিত৷ স্বাধিকার আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন সিতারা বেগম। এসময় তার বড় ভাই এ টি এম হায়দার ও সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন৷ মেট্রিক পাশ করার পর তিনি হলিক্রস কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ঢাকা মেডিকেল থেকে পাশ করার পর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে লেফটেন্যান্ট হিসাবে যোগ দেন। ১৯৭০ সালের উত্তাল দিনগুলোতে সিতারা বেগম কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে নিয়োজিত ছিলেন। সেই সময় তার বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা মেজর এ টি এম হায়দার পাকিস্থানথেকে কুমিল্লায় বদলি হয়ে আসেন। ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিতারা ও তার ভাই হায়দার ঈদের ছুটি পালন করার জন্য তাদের কিশোরগঞ্জের বাড়িতে যান। কিন্তু সেই সময়ে দেশ জুড়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে। হায়দার তার বোনকে ক্যান্টনমেন্টে আর ফিরে না যাবার জন্য বলেন। পরবর্তিতে তিনি তার বোন সিতারা, বাবা-মা ও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে পার্শবর্তী দেশ ভারতে পাঠান। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য মেলাঘরে বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল নামে ৪৮০ শয্যার একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে শেষ বর্ষের অনেক ছাত্র সেখানে ছিলো। ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা সেক্টর-২ এর অধীনে সেখানের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। তাকে নিয়মিত আগরতলা থেকে ঔষধ আনার কাজ করতে হতো। হাসপাতালে একটি অপারেশন থিয়েটার ছিলো। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বাঙালি ছাড়াও সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর লোকজন চিকিৎসাসেবা নিত। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ডঃ সিতারা রেডিওতে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার সংবাদ শুনে ঢাকায় চলে আসেন। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে তার ভাই মেজর হায়দার নিহত হলে ডা. সিতারা ও তার পরিবার বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। তথ্যসূত্রের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশঃ দশ দিগন্ত, ফ্রাঙ্কফুর্ট, জার্মানী। বাঙ্গালীয়ানা। উইকিপিডিয়া। কিশোরগঞ্জ ডট কম।

বুলেট ট্রেনের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

বুলেট ট্রেন 🚝🚝🛤️🛤️ যারা ১ দিনেই কক্সবাজার/সাজেক/বান্দরবান/রাঙামাটি থেকে ঢু মেরে আসতে চান তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ 😄😄 বুলেট ট্রেনের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা রুটে চলাচলের জন্য নেওয়া প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ। নকশা তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। উচ্চগতির এই রেলসেবা চালু হলে ননস্টপ ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে। ট্রেনটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে চলবে এবং দিনে প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে। এই সেবা পাওয়ার জন্য একজন ব্যাক্তির টিকিটের মূল্য হবে ২০০০ হাজার টাকার মতো। রূট ম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তাবিত রেলপথে মোট ছয়টি স্টেশন রয়েছে সেগুলো হচ্ছেঃ- ঢাকা নারায়ণগঞ্জ কুমিল্লা ফেনী পাহাড়তলী চট্টগ্রাম যদি এসব স্টেশনে ট্রেনটি ৩ মিনিট করে থামে তাহলে আরো ১৮ মিনিট সময় বেশি লাগবে। সেক্ষেত্রে লাগবে ৭৩ মিনিট চট্টগ্রাম পৌছাতে। আর যদি না থামে তাহলে মাত্র ৫৫ মিনিটেই চট্টগ্রাম পৌছাবে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর স্টেশনগুলোতে ট্রেনটি থামবে কি থামবে না এসব বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর হবে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রূটের রেলপথ রয়েছে প্রায় ৩২১ কিলোমিটার। তবে উচ্চগতির রেলপথটি আগের রেলপথের চেয়ে প্রায় ৯৪ কিলোমিটার কম হবে। এক্ষেত্রে উচ্চগতির রেলপথ দাঁড়াবে ২২৭ কিলোমিটার। বর্তমানে ঢাকা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,কুমিল্লা,ফেনী,পাহাড়তলী ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। উচ্চগতির ট্রেনের জন্য ঢাকা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা রূটে ব্যবহার করা হবে না, সরাসরি ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ তারপর কুমিল্লা হয়ে চট্টগ্রাম পৌছাবে বুলেট ট্রেনটি। এক্ষেত্রে কম পাড়ি দিতে হব প্রায় ৯৪ কিলোমিটার ।

সাজেকে ‘৯৯৯’ এর মাধ্যমে কল পেয়ে পাহাড় থেকে পড়ে যাওয়া পর্যটক উদ্ধার

০১ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রিঃ, রোকসানা আক্তার (৩৮), স্বামী- আব্দুল ওহাব’সহ ঢাকা থেকে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণে আসে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর সাজেক ভ্যালি পরিদর্শন করে পাহাড়ের নিচে ঝরণা দেখার উদ্দেশ্য স্বামী সহ রওনা করে। প্রায় ২০০০ ফুট নিচে নামার পর হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পা ভেঙ্গে ফেলে সে । এসময় সাহায্যর জন্য দিশেহারা হয়ে যায় সে। উপায়ন্তর না দেখে ৯৯৯ এ কল দেয় এই দম্পত্তি। ৯৯৯ এর মাধ্যমে কল পেয়ে সাজেকে অবস্থিত রুই লুই পুলিশ ক্যাম্প এর ইনচার্জ এসআই (সঃ) জনাব মুশফিকুর রহমান স্থানীয় জনগনের সহায়তা রোকসানা আক্তার’কে উদ্ধার করে । প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদরে আসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে রুই লুই পুলিশ ক্যাম্প এর ইনচার্জ এসআই (সঃ) জনাব মুশফিকুর রহমান। দ্রুততার সহিত পুলিশী সেবা পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই দম্পত্তি।