কাজে লজ্জা নাই অন্যের দয়াতে চলা লজ্জার

এইযে উচ্চ শিক্ষিত মেয়েগুলি অনলাইনে কাপড় বিক্রি করছে তার পেছনে কারন কি ?  ভালো চাকুরী করার যোগ্যতা থাকার পরেও মেয়েরা নিজের হাতের রকমারি রান্নার খাবার নিয়ে কাজ করে ইনকাম করছে তার কারন কি? সেই রকম হ্যান্ডসাম ও শিক্ষিত ছেলেটা খামারি হচ্ছে, বা ডেলিভারি বয়ের কাজ করে রোজগার করছে তার কারন কি? কারন তারা উপলব্ধি করতে শিখেছে যে অন্যের দয়ায় বাঁচা স্মার্ট ব্যক্তিত্বের লক্ষন নয়। কাজে লজ্জা নাই অন্যের দয়াতে চলা লজ্জার। গলার জোরে ভ্যালু ক্রিয়েট করা সম্ভব না। মামা চাচা চাকরি দিবে সেই আশায় বসে না থেকে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করুন, চেষ্টা করুন আপনি ও পারবেন, কাজ করেই ভ্যালু বাড়াতে হয়।

নতুন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে দূর্নীতির দায় নাকি আমাদের সবার

নতুন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে দূর্নীতির দায় নাকি আমাদের সবারই! কি চমৎকার!! কিন্তু সেটা কি কারনে?
কারন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আমলা, ঠিকাদারসহ এই সিন্ডিকেট স্বাস্থ্য খাতের যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে তা ১৮ কোটি মানুষের সবাইকে সমান ভাগে ভাগ করে দিয়েছে, তাইনা?
তা না হলে অক্সেজেনের অভাবে, চিকিৎসার অভাবে রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে মরে যাওয়া মানুষগুলো এই দূর্নীতির দায় কেন নেবে? নকল মাস্ক আর ভূয়া পিপিইর কারনে মরে যাওয়া ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরা এই দূর্নীতির দায় কেন নেবে?
আপনি, আমি কিংবা এদেশের যেকোনো একজন সাধারন মানুষ এই মহাডাকাত সিন্ডিকেটের হরিলুটের দায় কেন নেবো?
জনাব ডিজি সাহেব, নিচের দিকে নয় সাহস থাকলে আঙ্গুল উপরের দিকে তুলুন। জনগনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন না।

আসুন এবার জেনে নেই গরুর চামড়া রান্না প্রক্রিয়া:

গরুর চামড়া যেভাবে খাবেন-
একটি গরুর চামড়া থেকে ১০ থেকে ১৫ কেজি বা তারচেয়ে বেশি গোশত পাওয়া যায়। চাইলে অত্যান্ত মজাদার এই গোশত রান্না করে খেয়ে ফেলা যায়। আসুন, এই গোশত প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি জেনে নিই-
১) প্রথমে চামড়াটি এক-দেড় ফুট টুকরো করে কাটুন;
২) চামড়ার টুকরোগুলো ভালভাবে পরিস্কার করে ফেলুন;
৩) টুকরোগুলো গরম পানিতে ২০-৩০ মিনিট ধরে সেদ্ধ করে ২-৩ ঘন্টা গরম পানিতে রেখে দিন।
৪) গরম পানি থেকে একটি করে তুলে নিয়ে তা স্টিলের চামচ বা ছুরি দিয়ে কুরিয়ে পশমগুলি তুলে ফেলুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে একটু গরম করে তা আবার করতে পারেন।
৫) পশম তোলার পর হালকা লবন দিয়ে ২-৩ মিনিট রেখে দিলে আঠালো ভাবটা চলে যাবে। রান্না করার পূর্বে ১৫-২০ মিনিট সেদ্ধ করে পানি ফেলে দিলে আঠালো ভাবটা পুরোপুরি চলে যাবে।
ব্যাস, এভাবেই চামড়া খাওয়ার উপযোগী হয়ে যাবে।
গরুর পায়া/নলা যেভাবে রান্না করা হয়, চামড়াও সেভাবে রান্না করতে হয়। ভুনা করেও রান্না করতে পারেন। নেহারির মতোও রান্না করতে পারেন। এই গোশত দিয়ে দিয়ে হালিম ও চটপটি রান্না করলেও তা মজাদার হয়। আর গরম চামড়া দিয়ে ভাত ও রুটি খাওয়া আরো মজাদার।

কবর মানুষকে দিনে ৭০ বার করে স্মরণ করে

1. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন-
যে ব্যাক্তি আমার চল্লিশটি হাদীস আমার উম্মতের কাছে পৌছাবে, তার জন্য আমি কিয়ামতের দিন বিশেষ ভাবে সুপারিশ করব।"
2. মানুষের মধ্যে যারা মৃত্যুকে বেশি স্মরণ করে এবং উহার জন্য প্রস্তুতি নেয় তারাই সবচেয়ে বুদ্ধিমান। "
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
3. প্রত্যেক জিনিসের যাকাত আছে, আর দেহের যাকাত হচ্ছে রোজা।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
4. যে তার সময় আল্লাহর জন্য ব্যয় করে না, তার জন্য জীবন অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
5. যারা সবসময় ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে তাদের সাথে উঠা বসা করুন, কেননা তাদের হৃদয় সবচেয়ে কোমল হয়।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
6. তুমি যত সিজদা দিবে, আল্লাহ তত গুনাহ মাফ করে দিবেন।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
7. সুরা ফাতিহা প্রায় ১০০০ রোগের ঔষধ"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
8. হাতের তালুতে জ্বলন্ত আগুনের কয়লা রাখলে যেমন কষ্ট হবে, তার চেয়ে বেশি কষ্ট হবে শেষ জামানায় ইমান রাখতে।"
___হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
9. রোজাদারদের জন্য প্রতিদিন জান্নাত সুসজ্জিত করা হয়।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
10. রাসুল (সাঃ) বলেছেন
কিয়ামতের দিন সব নবীর চেয়ে আমার উম্মতের সংখ্যা বেশি হবে, এবং আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজা খুলবো।"
(সহীহ মুসলিম :১৯৬)
11. যে ব্যাক্তি রোজা রাখা অবস্থায় মারা যাবে আল্লাহ তাকে, কেয়ামত পর্যন্ত সকল রোজার সাওয়াব দান করবেন।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
12. যে ব্যাক্তি ফযরের নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর হিফাজাতে চলে গেলো। "
___হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
13. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন__
রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে।"
(মুসনাদে আহমাদ : হাদিস ৬৬২৬)
14. নবীজি বলেছেন__
রোজাদারদের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির সংবাদ হলো, হাশরের মাঠে আল্লাহ সবার আগে রোজাদারদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
15. যখন রমজান আসে, তখন জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
16. রাসূল (সাঃ) বলেন--
যখন কোনো বান্দা আল্লাহর দিকে দুটি হাত উঠায়, তখন তিনি তা ব্যার্থ বা শূন্য ভাবে ফিরিয়ে দেন না।
(তিরমীজি-৫/৫০২)
17. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন-
একটি খেজুরের অর্ধেক হলেও দান করে, জাহান্নামের শাস্তি হতে নিজেকে হেফাজত করো।"
(বুখারীঃ৬০২৩)
18. যদি ভালো হতে চাও তবে সর্ব প্রথম মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
19. তুমি যখন রাস্তা দিয়ে যাও তখন আল্লাহর নামে জিকির কর, কারণ হাশরেরদিন ঐ রাস্তা তোমার নামে সাক্ষি দিবে।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
20. তোমরা সবসময় ওযু করো কারণ কিয়ামতের দিন, যারা ওযু কারী তাদের হাত-পা উজ্জ্বল থাকবে।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
21. যার দুঃখ বেশি তার প্রতি আল্লাহর রহমতও বেশি।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
22. যখনি নামাজে দাঁড়াবেন, জীবনের শেষ নামাজ মনে করবেন।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
23. যে মহিলা গর্ভাবস্থায় এক খতম কোরআন পাঠ করবে তার গর্ভের ঐ সন্তান এক জন নেককার বান্দা হিসেবে দুনিয়াতে আগমন করবে।"
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
24. চুপ থাকার কারণে মানুষের যেই মর্যাদা হাসিল হয়, তা ষাট বছর নফল ইবাদত হতে উত্তম
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
25. রাসূল (সাঃ) বলেছেন,_______
"জান্নাতের সবচেয়ে নিকটবর্তী আমল
হলো সময়মতো সালাত আদায় করা।"
(সহীহ মুসলিম -- ২৬০)
26. যে ধোকা দেয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়!
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
27. তুমি জানো তুমি সঠিক, তবুও তর্ক করো না।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
28. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন
- তোমরা বিপদে পরে মৃত্যু কামনা করবে না। বরং বলবে, হে আল্লাহ" যে পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখুন এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর তখন আমাকে মৃত্যু দিন
29. সূরা ইয়াসিন কে কোরআনের হৃদয় বলা হয়
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
30. মায়ের একটি কষ্টের নিঃশ্বাস, সাতটি দোযখের চেয়েও ভয়ংকর। আর একটি সুখের হাসি আটটি বেহেস্তের সমান
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
31. যে অন্যের বাবা মা কে গালি দিলো সে যেনো নিজের বাবা মাকেই গালি দিলো ।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
32. রাসূল (সাঃ) বলেছেন
- আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে পারতে, তবে নিশ্চয়ই খুব কম হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে...!
33. মানুষ যদি মৃত ব্যাক্তির আর্তনাদ দেখতে এবং শুনতে পেতো তাহলে মানুষ মৃত ব্যাক্তির জন্য কান্না না করে নিজের জন্য কাঁদত..!
_হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
34. মহানবী (সাঃ) বলেছেন : সূরা ফাতিহা তোমরা ধীরে ধীরে পাঠ করো, কারণ মহান আল্লাহ নিজে তার জবাব দেন।
(মুসলিম-৯১০)
35. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
কিয়ামতের দিন যে জিনিসটি মুমিনদের পাল্লায় ভারী হবে সেটি হচ্ছে সুন্দর চরিত্র।
(আবু দাউদঃ-৪১০১)
36. কবরের ভিতরের প্রথম চাপ
পৃথিবীর সকল কষ্টকে হার মানিয়ে দিবে
হযরত মোহাম্মদ (সঃ)
37. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,
যে ব্যাক্তির অন্তরে এক সরিষা দানা পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
- সহীহ মুসলিম, হাদিসঃ৯১
38. কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তির জন্য সুপারিশ করা হবে যে প্রচুর শীত উপেক্ষা করেও ফজরের নামাজ আদায় করলো।"
_____হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
39. নিশ্চয় মহান আল্লাহ নম্র, তিনি নম্রতা পছন্দ করেন। তিনি নম্র স্বভাবের লোককে যা দান করেন তা কঠিন স্বভাবের লোককে দান করেন না।"
____হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
(আবু দাউদ-৪৮০৭, সহীহ)
40. কবর মানুষকে দিনে ৭০ বার করে স্মরণ করে।" _____হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

আপনার একটা ভুল সিদ্ধান্ত আপনার ব্যবসার অনেক বড় ক্ষতি করে

আধুনিক মোবাইল ফোন জগৎ এর আরেক নাম ছিলো নোকিয়া ৷বৃহও আকৃতির ফোনের যুগের পর থেকেই শুরু হয় নোকিয়া কোম্পানির রাজত্য ৷ নোকিয়া ১১০০ ,৩৩১০ এর মতো ফোনগুলো তখন হাতে থাকাটাই একটা ট্রেন্ড হয়ে পরে ৷ প্রয়োজন না বরং নোকিয়া ফোনটি মানুষের বিলাসীতার বস্তু হয়ে উঠে ৷ কোম্পানির প্রতিটা ফোন রিলিজ করার পরে ধুম লেগে যেতো তা সংগ্রহের ৷ এমনকি অন্য দেশ থেকেও মানুষ চলে আসতো নোকিয়ার নতুন মডেলের ফোনটা কিনার জন্য ৷ কিন্তু এই এক চেটিয়া রাজ্যত্বের পতন হলো কিভাবে ?
২০১১ সাল পর্যন্ত নোকিয়া বিশ্বের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী কোম্পানি ছিল। তবে বাজারে টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির আবির্ভাবের ফলে নোকিয়া ধীরে ধীরে পিছিয়ে যায়। তবুও হারিয়ে যায়নি ৷ কিছুদিন পর গুগলের তৈরী এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম কে কিনে নেবার অফার করা হয় নোকিয়া কে ৷ কিন্ত তারা তাতে আগ্রহী হয়নি ৷ গুগল তখন এনড্রয়েড সিস্টেমকে ফ্রি করে দেয় ৷ সেই মূহুর্তে ফোনের বাজারে তুলনা মূলক নিচের স্থানে থাকা স্যামসাং ও ব্লাকবেরি সেই সুযোগটা লুফে নেয় ৷ বাজারে নিয়ে আসে অ্যান্ড্রয়েড সাপোর্টিং স্মার্ট ফোন ৷ নিমিষেই নোকিয়ার শেয়ারের দাম ৪০ মার্কিন ডলার থেকে পরে মাত্র ২ মার্কিন ডলারে নেমে আসে।ফিরে আশার উপায় হিসেবে নোকিয়ার নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম সিম্বিয়ানের বদলে নোকিয়া মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহারের জন্য মাইক্রোসফটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি ৷ ততদিনে ফোনের মার্কেট দখলে চলে যায় অন্যদের হাতে ৷
ব্যবসা ছোট হোক কিংবা বড় ৷ আপনার একটা ভুল সিদ্ধান্ত আপনার ব্যবসার অনেক বড় ক্ষতি করে দিতে পারে ৷ নোকিয়ার তার সর্বোৎকৃষ্ট প্রমাণ ৷দীর্ঘ সময়ের বিশ্ব ব্যাপি বিখ্যাত কোম্পানি মাএ কয়েক মাসের মধ্যে হারিয়ে যায় শুধু একটা ভুল সিদ্ধান্তে ৷ তাই সর্বক্ষেত্রে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেটা ভালো করে বিবেচনা করা উচিত আমাদের ৷

নিজের প্রচারণা নিজেই করতে হয় তাই লজ্জা আর দ্বিধা ঝেড়ে ফেলুন

ব্যবসার জন্য এখন খারাপ সময় কিন্তু এই অসময়েই অনেক কে নামতে হচ্ছে ব্যবসায়। বন্ধু তালিকায় থাকা বিভিন্ন পেশার অনেকেই চাকুরি হারিয়েছেন। খুব শীর্ঘই যে আরেকটি চাকুরী পাবেন তার নিশ্চয়তা নেই।
পরিবার পরিজন নিয়ে খারাপ সময়ে কি করা যায় তা ভাবছেন অনেকেই। কেউ কেউ অনলাইনে বেচাকেনা করতে চাইছেন পণ্য। সেই তালিকায় মধু আম তৈল ঘি মাছ মশলা এসবেই বেশি দেখলাম।
অনেকেই ঝুকছেন এসব নিত্য প্রয়োজনীয় প্রডাক্টের দিকে।
তবে আমার ধারণা এসব থেকে ভাল রেসপন্স পাবেন না। আপনাকে পণ্য নির্বাচনে আরেকটু ব্যাতিক্রমী ভাবনার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
অনলাইনে নিজের প্রতিষ্ঠানের ব্রাণ্ড আইডেন্টি তৈরি করাটাও জরুরী।
অনেকেই ভাবছেন কিনলাম আর বেচলাম হয়ে গেল ! মোটেও সহজ না। আপনাকে কিনে জিততে হবে। নাহলে বেচে লাভ করতে পারবেন না। যাদের থেকে পণ্য নিবেন সেই সোর্স গুলির সংগে স্টং রিলেশন তৈরি করাটা জরুরী। কম লাভ করে বেশি সেলের ভাবনা রাখতে হবে। সংগে এই প্রডাক্ট অন্যরা কত বেচতেছে আপনী কত বেচবেন এবং কেন আপনার টা গ্রাহক কিনবেন এই বিষয়ে আপনাকে সিরিয়াসলী ভাবতে হবে।
সেল না হলে হতাশ হবেন না।
বরং অলশ সময়ে আরো কি পণ্য আপনী সংগ্রহ করতে পারেন তা নিয়ে ভাবতে পারেন।
নিজের প্রচারণা নিজেই করতে হয় তাই লজ্জা আর দ্বিধা ঝেড়ে ফেলুন।


শুধু অনলাইনের ফেসবুক নয় সব সামাজিক মাধ্যমেই আপনার কাজ করতে হবে। পাশাপাশি অফলাইনেও গ্রাহক বাড়াতে হবে।
আশা করছি টিকে থাকলে একদিন ভাল কিছু হবে। শুভ কামনা সবার জন্য।

আমরা প্রতিটা মানুষ ঠিক হাতির মতই।

একদিন এক লোক রাস্তা দিয়ে যাবার সময় রাস্তার পাশ্বে একটা বিশাল বড় হাতি বাঁধা দেখতে পেলেন। হাতিটি বাঁধা ছিল সামান্য একটা চিকন দড়ি দিয়ে। সেটা দেখে লোকটা কিছুটা অবাক হলো। হাতির পাশেই বসে ছিল সেই হাতির মালিক। তাই অবাক হওয়া লোকটা বিষয়টা ভালো ভাবে জানার জন্য হাতির মালিক এর কাছে গেল। হাতির মালিক এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো, "আপনি কিভাবে এতো বড় একটা হাতিকে সামান্য একটা চিকন দড়ি দিয়ে আটকে রেখেছেন?
হাতির মালিক কিছুটা হেঁসে উত্তর দিল, "হাতিটা যখন ছোট ছিল তখন সে অনেক অসুস্থ ছিল। তখন আমি হাতিটাকে এই চিকন দড়ি দিয়ে আটকে রাখতাম। তখন হাতিটা অনেক চেষ্টা করেছে দড়িটা ছিঁড়ে ফেলার জন্য, কিন্তু তখন হাতিটা ছোট আর দুর্বল থাকার কারনে বার বার সে ব্যর্থ হয়েছে। সে থেকে এখন পর্যন্ত হাতিটা বড় এবং শক্তিশালী হয়েছে ঠিকই কিন্তু ঐ দিনের ব্যর্থতার কারনে সে সারা জীবনের জন্য ধরে নিয়েছে যে এই দড়িটি কখনো তার পক্ষে ছিঁড়া সম্ভব নয়। তাই সে এখন এই চিকন দড়িটি ছেঁড়ার আর কোন চেষ্টাই করেনা।"
★আমরা প্রতিটা মানুষ ঠিক ঐ হাতির মতই। ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি যে এই কাজ তোর দ্বারা সম্ভব না। কিছু একটা করতে গিয়ে যখন ব্যর্থ হই তখন থেকেই মনে হয় সত্যি এই কাজ আমার দ্বারা হবে না। আর এই 'আমার দ্বারা হবে না' এই কথাটা প্রতিনিয়ত আমাদের আত্ববিশ্বাসকে নষ্ট করে দেয়। একটা সময় আমরা হাতির মত শক্তিশালী হই ঠিকই কিন্তু অনেক আগেই আত্ববিশ্বাস হারিয়ে ফেলার কারনে সেই সামান্য ব্যর্থতার দড়িটিকে ছিঁড়ে ফেলতে পারি না।
দয়া করে কখনো আত্ববিশ্বাস হারাবেন না।

স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশা, দায় কার ?

স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশা, দায় কার? : . এখন কেন মাতম করছেন আজকে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। অক্সিজেন পাচ্ছেন না। আইসিইউ বেড পাচ্ছেন না। টেস্ট করাতে পারছেন না সিরিয়াল পাচ্ছেন না। রিপোর্ট ঠিক মত পাচ্ছেন না। হাসপাতালে এডমিট হতে পারছেন না। যেখানে যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য, সেখান থেকেই ফিরিয়ে দিচ্ছে। এম্বুলেন্স, গাড়িতে, হুইলচেয়ারে মারা যাচ্ছে আপনাদের স্বজন।। বিনা চিকিৎসায় ১০ মাসের গর্ভের সন্তান সহ মারা যায় মা।। হাতির গর্ভস্থ সন্তান মারা গেলে মাতম তুলেছেন মানবিক হৃদয়ের জন্য, আজ যখন বিনা চিকিৎসায় একজন মা তার অনাগত সন্তান সহ মারা গেলেন, তখন মাতম তুলেছেন তো।? কাকে আজ দায় দিবেন? দোষারোপ করবেন কাকে? কোভিড ১৯ এর শুরুতে যখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রুখতে চিকিৎসকরা চেম্বার বন্ধ করলো,তখন গালিগালাজ করে ফেনা তুলে ফেলেছিলেন? ডাক্তাররা কসাই। সেল্ফিস। ভীতু ও কাপুরষ। পালিয়ে গেছে ডাক্তাররা। কই এখন তো ডাক্তাররা সবাই নিজ দায়িত্ব পালনে কর্মস্থলে আছেন। কোয়ারেন্টাইনে বা আইসোলেশানে আছেন। কতজন চিকিৎসক আক্রান্ত, কতজন মারা গেছেন সে হিসেব রেখেছেন?? আপনাদের কাছে এই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার মূল সমস্যা ছিলোঃ ডাক্তাররা গ্রামে যায়না। ডাক্তাররা ডিউটি ফাঁকি দেয়। ডাক্তাররা চেম্বারে ভিজিট নেয়। ডাক্তাররা টেস্ট দেয়,কমিশন খায়। মেডিসিন কোম্পানি থেকে কমিশন খায়।
ডাক্তাররা কথা না শুনেই প্রেসক্রিপশন লিখে ফেলে।
এই ডাক্তারদের দোষ দেখা ছাড়া এই দেশের হেলথ সিস্টেম নিয়ে আপনাদের আর কোন অভিযোগ ছিলো না। আর জাতির বিবেকের ঠিকাদার সাংবাদিকগন আপনাদের দেখিয়েছে, কিভাবে ডাক্তাররা ভুল চিকিৎসা দিয়ে আপনাদের মেরে ফেলে। মফস্বলের মেট্রিক ফেইল বা আরো শিক্ষিত সাংবাদিক ভুল ধরে গেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর চিকিৎসায়। কোনদিন জানতে চেয়েছেন হে সাংবাদিক সাহেব একজন বিশেষজ্ঞ যখন ভুল চিকিৎসা দিলো,আপনি যখন ভুল ধরলেন, অভিযোগ প্রচার করলেন,তবে সঠিক চিকিৎসা কি নিশ্চয়ই আপনি জানেন? হে সাংবাদিক সাহেব, আপনি কেন আমাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছেন না?? ডাক্তারদেরকে বছরের পর বছর জন্ডিস সাংবাদিকতার শিকার হতে দেখেও মজা লুটেছেন।
গালির পর গালি দিয়েছেন। আজ সাংবাদিকদের বলুন, চিকিৎসা দিতে?? চিকিৎসা ব্যবস্থা মানে একজন ডাক্তারই সব নয়। ঢাল তলোয়ার বিহীন নিধিরাম সর্দাররা আপনাকে মাউন্ট এলজাবেথ এর চিকিৎসা দিতে পারেননা। কোনদিন বুঝতে চাননি, চিকিৎসা একটা টীম ওয়ার্ক। এখানে যেমন ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয়, আয়া,ক্লিনার, বিভিন্ন জনবল লাগে,তেমনি ইনভেস্টিগেশন এর জন্য প্যাথলজি ল্যাব লাগে, মেডিসিন লাগে, যন্ত্রপাতি লাগে, ওটি লাগে, আইসিইউ, এইচডিইউ, সিসিইউ লাগে।। যেটা লাগেনা সেটা হলো রাজনীতি। গ্রুপিং।সিন্ডিকেট।।দালালী। কিন্ত সেটাই বেশি চলে তাই অনেক যোগ্য লোকেরা এই সিস্টেমের তলে পড়ে কোণঠাসা হয়ে থাকেন। সাংবাদিকরা যদি চিকিৎসা ব্যবস্থার মূল সমস্যা গুলো নিরন্তর তুলে আনতেন খবরে, চোর বাটপার, কমিশন খোরসিন্ডিকেট এর বিরুদ্ধে লেগে থাকতেন, তবে তারা এত নীরবে লুটপাট করে সব নিঃশেষ করতে পারতেন না।। দেশের জ্ঞানী গুণিজনেরা যদি স্বাস্থখাতের বাজেট নিয়ে কথা বলতেন, আমলাদের দূর্নীতি ও বানিজ্য নিয়ে সরব হতেন তবে আজ এই দশা হতো না।। মেডিকেল এর জিনিস পত্র কেনায় যেই লুটেরা চক্র জড়িত সাংবাদিকরা যদি তাদের মুখোশ উন্মোচন করে যেতেন নিয়মিত, তবে তারা এতটা বাড়তে পারতো না। ভুলে গেছেন পাবনার ডিসি রেখা রানী বালোকে উনার বাংলোতে দেখতে না যাওয়ার অপরাধে একরাতেই ওএসডি করেছিলো পাবনা সদর হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক ডাঃ মঞ্জুরা রহমান কে ক্ষমতার নগ্ন দাপট দেখিয়ে,তখন প্রতিবাদ করেছিলেন?? কখনো উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে জানতে চেয়েছেন কি কি ব্যবস্থা নিলে চিকিৎসা সেবা উন্নত করা যায়?
আপনাদের ভোটে নির্বাচিত এমপি মহোদয় মাসিক মিটিংয়ে জানতে চেয়েছেন দরদ নিয়ে কি কি ব্যবস্থা নিলে আপনারা ভোটার, জনগন সুচিকিৎসা পাবেন??
কখনো এমপি সাহেবকে জিজ্ঞেস করেছেন,কেন আপনার উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ঘাটতি,কেন এম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে,কেন এক্সরে মেশিন বাক্সবন্দি থাকে,কেন আলট্রাসনোগ্রাম হয়না,কেন উপজেলায় প্যাথলজি ল্যাব নেই, কেন ওটি হয়না? কেন হাসপাতালের সরকারি মেডিসিন বাইরে বিক্রি হয়?? নাগরিক হিসেবে আপনার মৌলিক অধিকার চিকিৎসা পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য এমপি সাহেবের পথ আগলে দাঁড়িয়েছেন কখনো??যেই চোটপাট পাতি নেতা, নেতার শালা হয়ে চিকিৎসকদের সাথে দেখিয়েছেন, চিকিৎসকদের মেরেছেন,অপমানিত করেছেন,আক্রান্ত করেছেন, ক্লাস এইট পাশ সাংবাদিক লেলিয়ে দিয়েছেন,সেই চোটপাট কখনো আপনাদের প্রতিনিধিকে করেছেন??? করবেন কিভাবে তা জানি।
আপনারা মেরুদণ্ডহীন। তাই দূর্বল পেশাজীবী চিকিৎসকদের সাথে মাস্তানি করেই নিজের ক্ষমতা জাহির করে গেছেন।।আপনারা বলতেন,আইসিইউতে মরা মানুষ জীবিত করে রাখে বোগলে রসুন দিয়ে,গরুর সুই দিয়ে ছিদ্র করে। এখন তবে কেন আইসিইউ আইসিইউ মাতম করছেন? যারা নিয়োগ বানিজ্য, প্রমোশন বানিজ্য, দলীয় অনুগত নিয়োগ, কমিশন ও সিন্ডিকেট গড়ে তুলে এই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বলাৎকার করে গেছে প্রতিনিয়ত তাদের নিয়ে যদি একটু সোচ্চার হতেন,সাংবাদিকরা যদি তাদের চেহারা উন্মোচন করতো, আদালত যদিস্বঃপ্রণোদিত হয়ে কয়েকটা রুল জারি করতো, সরকারকে যদি লুটেরাদের সহযোগী না হয়ে তাদের লাগাম টেনে ধরতে বলতেন,তবে আজ এমন পানিতে পড়ে যেতে হতো না।।
কারা সরকারী চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা জিইয়ে রেখে বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক গুলোকে লাগামহীন বানিজ্য করার সুযোগ দিছে? আজ কেন বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা এড়িয়ে যায়?? দেশে এত এত মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়ে কারা হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন?? যখন নেতারা,আমলারা তাদের ত্যাগকৃত বায়ুর গন্ধের তারতম্যের জন্য বিদেশ ছুটে যেতেন,তখন তাদের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন??
একটা ভঙ্গুর ব্যবস্থাকে এই দেশের কসাইকুলরা টিকিয়ে রেখেছিলো এত বলাৎকারের ভেতরে এতদিন,যা কোভিড ১৯ দেশে এসে তার বিবস্ত্র অবস্থা প্রকাশ করলো শুধু।। জনগন যেমন, তার শাসক ও তেমন ই হবে। আপনারা জবাবদিহিতা চাননি,উনারা নীরবে সুইস ব্যাংকের একাউন্ট ভরেছেন। একটা সিস্টেম উন্নয়নে তার সমস্যা গুলোর গভীরে যেতে হয়। সেখানে কি কি প্রতিবন্ধকতা তা জানতে হয়। সীমিত সামর্থ্য দিয়েও ভালো চিকিৎসা দেওয়া যেতো,ভালো সিস্টেম গড়ে তোলা যায় যদি লুটপাট না হতো।। যদি ডাক্তারদের পিছনে না লেগে সিস্টেমের উন্নতি চাইতেন,  তবে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এর নিষ্পত্তি যেমন হতো,একটা কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে উঠতো। ব্যক্তি চলে যেতে পারেন কিন্ত সিস্টেম গড়ে উঠলে তা কার্যকরভাবেই সেবা নিশ্চিত করতে পারে।
এখন সয়ে যেতে হবে। কিছুই করার নাই।। বিনা চিকিৎসায় প্রিয়জন হারানোর ব্যাথা সয়ে যেতে হবে।।
এটাই আপনাদের কর্মফল।। তবে আজকের হাহাকার ও আহাজারি যদি না ভুলে যান,যদি নিজেদের ভুল ও সিস্টেম এর সমস্যা বুঝতে পারেন, যদি নাগরিক হিসেবে দায়িত্বশীল হন, যদি নিজের অধিকার আদায়ে সাহসী হন, যদি স্বাস্থখাতের চোর,দালাল,লুটেরাদের ধাওয়া দিতে পারেন,তবে আগামীর বাংলাদেশ এর চিকিৎসার চেহারা অন্যরকম হবে নিশ্চিত জানবেন।

পুরো বাংলাদেশে গুটিকয়েক লোকের কাছে জিম্মি

বল্টু বর্ডার দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আসছিলো, পিছনে এক বিশাল বস্তা বাঁধা!

-বিজিবির চৌকষ অফিসার তাকে থামালো

- বস্তায় কি?
স্যার কিচ্ছু না, বালু!
-খোল
এইযে দ্যাখেন স্যার, বালু।
-আচ্ছা যা।

দুইদিন পর আবারও বল্টু বস্তা নিয়ে বর্ডার দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আসছে। বিজিবির অফিসার আবারও থামালো!

-বস্তায় কি ?
স্যার, বালু

কিন্তু অফিসারের খটকা লাগলো। সেদিন দেখলাম বালু, আজও বালু? পুরা বস্তা খুলে চেক করলো, কিন্তু বালু ছাড়া কিছুই পেলোনা।

- আচ্ছা যা ।

আবারও কয়েকদিন পর বর্ডারের কাছে বস্তা নিয়ে সাইকেল চালিয়ে, বিজিবির অফিসারের মুখোমুখি বল্টু!

-বালু ?
-জ্বে স্যার
-তুই শুধু বালু নিয়া যাস। সন্দেহ হয়!

অফিসার সব বালু ঘেঁটেও কিছু পেলো না। কিন্তু অফিসারের মনটা খচখচ করেই যাচ্ছে! ঘটনাটা কি? সে কিছু বালু রেখে দিয়ে সেগুলো ল্যাবে পাঠালো। রেজাল্ট কিছুই আসলো না। সব বালু, বালু আর বালু। কিন্তু অফিসারের মনে খটকা রয়েই গেলো।

এভাবে সাইকেলে করে বস্তা নিয়ে বল্টু নিত্যই যায়, কিন্তু বিজিবি অফিসার কিছু কুল কিনারা করতে পারেনা।

হঠাৎ বল্টু আর আসে না! বহুদিন কেটে গেলেও কোনো খবর নাই। সে আর সাইকেল চালিয়ে বালুর বস্তা নিয়ে যায় না। কাহিনী কি? অফিসার নিজেই তাকে খুঁজে বের করলো।

বল্টুর বাড়িতে গিয়ে বললো -

"দেখ, আমি জানি তুই কিছু না কিছু পাচার করছিস, কিন্তু আমি ধরতে পারছিনা। আমার মনে শান্তি নাই। তোর দুইটা পায়ে ধরি, সত্যি কইরা বল তুই কি পাচার করিস!

বল্টু হাসি দিয়া বললো -

"স্যার এতদিন আসলে সাইকেল পাচার করছি" 😊
শুনে অফিসার বেহুশ!!

সাব্রিনা, শাহেদ, সম্রাট, পাপিয়া এগুলি ত বালুর বস্তা! সাইকেলগুলি কই 🙄🤔
এই গল্প দিয়ে এটাই বুঝানো হয়েছে যে রাগব বোয়াল সব ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে পুটি মাছ ধরা পড়েছে 
এরা হলো হাতের পুতুল তারা এত অর্থ কামিয়েছে দুর্নীতি করে ক রিপোর্ট জালিয়াতি করে বিভিন্নভাবে আর তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে তোরা কি পরিমান অর্থ উপার্জন করেছে বুঝে নিন 

করোনা টেস্ট জা’লিয়াতি শাহাবুদ্দিন মেডিকেলের সহকারী পরিচালক আটক


অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজধানীর সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।
অভিযানে অসহযোগিতা করায় এবার প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবুল হাসনাত কে আটক করেছে র‌্যাব। আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত করোনা
ডেডিকেটেড হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে অ’সহযোগিতা করায় বিকেল ৫টার দিকে ডা. আবুল হাসনাতকে হেফাজতে নেয় র‌্যাব। এসময় তার হাতে হাত’কড়া পরানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন র‍্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযান চলমান রয়েছে।
র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। আমরা হাসপাতালের বিভিন্ন সেবা প্রক্রিয়া, অসঙ্গতি ও কাগজপত্র চেক করছি।
র‌্যাবের একটি নির্ভরশীল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি করোনাভাইরাস পরীক্ষার র‌্যাপিড কিট টেস্ট ও অ্যান্টিবডিসহ বেশ কিছু অনিয়মের অ’ভিযোগ উঠেছে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই এ অভিযান পরিচালনা করছে র‌্যাব।
উল্লেখ্য, র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে গত ৬ জুলাই করোনাভাইরাস পরীক্ষার জালিয়াতি ধরে র‌্যাব। এরপর রিজেন্টের দুটি হাসপাতালই সি’লগালা করে দেওয়া হয়। এছাড়া রিজেন্টের মালিক মোহাম্মদ সাহেদসহ ওই হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়।

শাহেদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল ডা. সাবরিনার

বেরিয়ে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ ওরফে শাহেদ করিমের সঙ্গে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে জানা গেছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ ও সাবরিনা একে অপরকে জানাশুনার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, আগে থেকেই তারা একে অপরকে চিনতেন।

নিয়মিত পার্টিতে অংশ নিতেন।

সেই পার্টিতে চলতো ডিজে-মাদকতা। শাহেদ-সাবরিনা ছাড়াও সেই পার্টিতে সমাজের আরও অনেক চেনামুখ অংশ নিতেন।
এছাড়া তারা দিয়েছেন আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

করোনা সনদ জালিয়াতির আইডিয়া শাহেদের কাছ থেকে পেয়েছেন ডা. সাবরিনা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কাজ ভাগিয়ে নিতে ব্যবহার করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য  অধিদফতর ও সরকারদলীয় চিকিৎসক সংগঠনের একাধিক চিকিৎসককে। এছাড়া এক ব্যবসায়ীর হোটেল জোরপূর্বক দখল করে ব্যবসা করতেন শাহেদ। করোনাকালে দখল করা সেই হোটেলটি সরকারকে দিয়েছিলেন।

গোয়েন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা ৬নং সেক্টরের পার্কের পাশের মিলিনিয়াম রেস্টুরেন্টটি রাজবাড়ীর এক বাসিন্দার |

তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাপানে ছিলেন। জাপানি এক নারীকে বিয়েও করেছেন। তার স্ত্রী ও এক মেয়ে জাপানেই থাকেন। দেশে এসে তিনি ওই রেস্টুরেন্টটি করেন। পরে ২০১৯ সালে যৌথভাবে ব্যবসার জন্য রিজেন্টের শাহেদের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। চুক্তিতে বেশকিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছিলেন। শর্তের মধ্যে ছিল শাহেদকে মাসে মাসে একটা ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।
কিন্তু কিছুদিনের মাথায় শাহেদ সেই হোটেলের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ নিজের কব্জায় নিয়ে নেন। হোটেলের মূল মালিককে হোটেলে ঢুকতে দিতেন না। হোটেলটির নিচে খাবারের রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখানে জাপানি খাবারের আয়োজন করা হতো। 

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাপানি খাবার পছন্দ করতেন। তাই তিনি ওই রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যেতেন। সেখানে শাহেদের সঙ্গে তার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা। শাহেদের দখল করা হোটেলের ওপরে আবাসিক ব্যবস্থা ছিল। তাই প্রায়ই সেখানে আমোদ ফুর্তি ও মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হতো। বিত্তশালীদের আনাগোনা ছিল বেশ। সাবরিনা প্রায়ই এসব পার্টিতে অংশ নিতেন। এরপর থেকে তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। 

পুলিশ জানিয়েছে, শাহেদ কিছুদিন হোটেলটি তার কব্জায় রেখে পরিচালনা করেছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ওই হোটেলটি স্বাস্থ্য অধিদফতরকে দেন। শাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালটি ছিল করোনা ডেডিকেটেড। তাই সেখানকার চিকিৎসক-নার্সদের সেখানেই রাখা হতো। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ায় হোটেলের মূল মালিক উত্তরা পূর্ব থানায় শাহেদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছিলেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর জোনের সহকারী কমিশনার খন্দকার রেজাউল হাসান বলেন, শাহেদ হোটেলের মূল মালিককে বিতাড়িত করে দখল করে নেয়। করোনাকালে ওই হোটেলটি সরকারকে দিয়ে দেয়। হোটেলটিতে চিকিৎসক-নার্সরা থাকতেন। শুনেছি করোনার জন্য হোটেল বরাদ্দ দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে টাকা নিয়েছে। তবে আসলেই টাকা তুলেছে কিনা সেটি জানি না। বর্তমানে হোটেলটিতে খাবার ও আবাসিক কোনও ব্যবস্থাই চালু নাই বলে জানান তিনি। সূত্র: মানবজমিন

নেপথ্য থেকে ডা. সাবরিনা সহযোগিতা পেয়েছেন: ডিবি

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন বলেছেন, নেপথ্য থেকে ডা. সাবরিনা চৌধুরী সহযোগিতা পেয়েছেন, তা না হলে তো এ কাজগুলো করার কথা না। তবে তদন্তের জন্য যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সবাইকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।
শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। জেকেজি কোভিড-১৯ পরীক্ষা জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ডা. সাবরিনার পেছনে কারা রয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার আবদুল বাতেন এসব কথা বলেন।
আবদুল বাতেন বলেন, ‘তদন্তের এ পর্যায়ে ডা. সাবরিনা আগে যে তথ্যগুলো দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসলে ডা. সাবরিনা যে বিষয়টি মূলত ব্যবহার করেছে তা হলো ফেসভ্যালু ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন জায়গায় তার পরিচিত। স্বামী আরিফুলও তার সঙ্গে মূলত সে বিষয়টি ক্যাপিটালাইজড করে বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। যেমন প্রাথমিকভাবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি প্রজেক্ট তৈরি করেছিল যেখানে স্যাম্পল সংগ্রহ ও কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা করার কথা ছিল তা তারা করেনি। আসলে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পাওয়া গেলে তা আমরা আমলে নেব। এছাড়া অনিয়ম পাওয়া গেলে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা জানানো হবে।’
উল্লেখ্য, করোনা পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আরিফুল চৌধুরী ও তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে। তাদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বামেরা জামায়াতে ইসলামীকে পাকিস্তানপন্থী বলে গালি দেয়।


বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বামেরা জামায়াতে  ইসলামীকে পাকিস্তানপন্থী বলে গালি দেয়। যদিও জামায়াত এটা অস্বীকার করেনা যে তারা ১৯৭১ এ স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধী ছিলো এবং যতভাবে সম্ভব পাকিস্তানের ভেঙে যাওয়াকে ঠেকানোর জন্য কাজ করেছে। তবে জামাতে ইসলামীর নির্মোহভাবে পর্যালোচনা করলে দেখবেন তারা ভারত ভেঙে পাকিস্তান সৃষ্টিরও বিরোধিতা করেছিলো। কিন্তু পাকিস্তান সৃষ্টির পরে তারা পাকিস্তান রাষ্ট্রকে মেনে নিয়ে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থেকেছিলো।   

 জামায়াতকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য যদি পাকিস্তানপন্থী বলে গালি দেয়া যায় তবে আওয়ামী লীগ সিপিবি ও বাংলাদেশের বেশীরভাগ বামেদের পূর্বসূরীদের পাকিস্তানের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মরিয়া চেষ্টার জন্য কেন তাদেরকে পাকিস্তানপন্থী বলে গালি দেয়া যাবেনা। আমার এই কথাটা  শুনে অনেকে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন। আসেন আমরা একটু ইতিহাস দেখি। 

১৯৬৯ সালের ২৫ আগস্ট ছাত্র লীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন জামায়াতকেকে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তান বিরোধী বলে গালি দিয়েছিলো। বিবৃতিটি দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত হয়েছিলো। কৌতুকপ্রদ হচ্ছে, যেই জামায়াতকে তারা পাকিস্তানের শত্রু আখ্যা দিয়েছিলো সেই একই জামায়াতকে তারা আজ পাকিস্তানের চর বলে। দেখুন সেদিন তারা কী লিখেছিলো।

"পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমদ ও বিভিন্ন ছাত্র সংস্থার পাঁচজন ছাত্র নেতা জামাতে ইসলামীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান বিরোধী কার্য-কলাপের অভিযোগ করেন।

গত শনিবার রাত্রে এক যুক্ত বিবৃতিতে ছাত্রনেতৃবৃন্দ বলেন, জামাতে ইসলামীরা এখনও পাকিস্তানের অস্তিত্বেরই বিরোধী।

বিবৃতিতে অপর ৫ জন ছাত্রনেতা হইতেছেন: পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ শঃ মঃ আবদুর রব, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (মতিয়াগ্রুপ) সভাপতি শামসুদ্দোহা ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম এবং ছাত্র ইউনিয়নের (মেননগ্রুপ) সভাপতি জামাল হায়দার ও সম্পাদক মাহবুব উল্লাহ।"

এই বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছিলো ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান সফল হয়ে আইউব খানের পদত্যাগের ছয় মাস পরে। জামায়াতে ইসলামীকে পাকিস্তান বিরোধী কেন বলেছিল তারা, আজ আওয়ামী ও বামদেরকে তার কৈফিয়ত দিতে হবে। আবার এটাও তাদের জাস্টিফাই করতে হবে যে কেন পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ও বামদের নির্মিত ইতিহাসে জামায়াতকে পাকিস্তানপন্থী বলা হয়।

আওয়ামী লীগ আর বামেরা বলে ৪৮ এ ভাষার দাবীর আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতার আন্দোলনের সূচনা হয়। দেখুন, ৬৯ এ পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য পেরেশান হওয়া তোফায়েল আহমেদ ২০১৯ কী বলেছেন?

তোফায়েল আহমেদ গত বছর বলেছেন, “৪৯-এর ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করে মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মহত্তর স্বাধীনতার বীজ রোপণ করেন শেখ মুজিব” 

সূত্রঃ যুগান্তর, ১৫ আগস্ট ২০১৯

শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই বলেছেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ভাষা-আন্দোলনেরই সুদুর প্রসারী ফলশ্রুতি”

সূত্রঃ দৈনিক সংবাদ, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫

স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে শেখ মুজিব বেতার ভাষণে বলেছিলেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন কেবল ভাষার জন্য আন্দোলন ছিল না, বরঞ্চ  তা ছিল সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আর মানুষের মতো বাঁচার অধিকারের সংগ্রাম। সেদিন থেকেই শুরু হয়েছিল চরম সংগ্রামের প্রস্তুতি। এই আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের মানুষের স্বাধিকারের আন্দোলন, স্বাধীনতার আন্দোলন।’

সূত্রঃ দৈনিক বাংলা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২

আওয়ামী স্তাবকেরা অবশ্য আরো আগিয়ে বলেন, শেখ মুজিব কোলকাতায় থাকাকালেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন। দেখুন,

“১৯৪৫-৪৬ শিক্ষাবর্ষে তৎকালীন ইসলামিয়া বর্তমানে মাওলানা আজাদ কলেজে পড়াশোনা করার সময় বেকার হোস্টেলেই থাকতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার জন্য বরাদ্দ ছিল তিনতলার ২৪ নম্বর কক্ষটি। মনে করা হয়, বঙ্গবন্ধু দু'বছর এই কক্ষ থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন। যা তিনি ১৯৭১ সালে বাস্তবায়ন করেন।”

সূত্রঃ সময় নিউজ টিভি ১৭ মার্চ ২০২০

ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের রুশপন্থী ও চিনপন্থী উভয় গ্রুপের ১৯৬৯ এর ২৫ আগস্টের যৌথবিবৃতি যদি তাদের সৎ রাজনৈতিক অবস্থান হয় তাহলে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার সংগ্রাম নিয়ে ১৯৭১ এর পরে সকল নির্মিত ইতিহাস মিথ্যা। এখন একটা প্রশ্ন সঙ্গত কারণেই সামনে চলে আসে যে ১৯৬৯ এর আগষ্ট মাসে যারা পাকিস্তান রাষ্ট্রের অখণ্ডতা রক্ষায় পেরেশান ছিলেন তারা কেন তার ঠিক এক থেকে দেড় বছরের মাথায় পাকিস্তান রাষ্ট্র ভেঙে বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো? তাহলে এটা তো স্বীকার করতেই হবে, ১৯৫২ থেকে স্বাধীনতার বীজ বপন বা স্বপ্ন দেখার কথা মিথ্যা।

The Awami League and Communist party activists in Bangladesh abuse Jamaat-e-Islami (JeI) by calling its members as supporters of Paskistan. JeI does not deny that they were against the birth of Bangladesh in 1971 and tried their best to stall the disintegration of Pakistan. But, this is also the fact that JeI had resisted the creation of Pakistan by breaking up India. However, after Pakistan was born, JeI remained loyal to the country.       

Why will you not abuse Awami League, CPB and other Leftist parties and call them pro-Pakistan if JeI is a pro-Pakistan group in your view? I guess, my argument sounds strange to many. Let’s take a look at history 

On August 25, 1969, Chhatro League and Chhatro Union issued a newspaper statement in which they condemned JeI for taking a stand against Pakistan. That statement was published in Dainik Ittefaq, a Bangla language newspaper. It’s interesting that they call JeI leaders Pakistani spies.

Look what they wrote then.

“Tofayel Ahmed, president of East Pakistan Chhatroleague and five student leaders from different student organisations have charged that Jamaat e Islami is involved in anti-Pakistan activities. In a joint statement last Saturday the students said, Jamaat e Islami continues to be against the existence of Pakistan,” the statement said.

The other five student leaders who issued the statement are East Pakistan Chhatroleague general secretary A S M Abdur Rob, East Pakistan Student Union (Matia Group) president Shamsuddoha, EPSU (Matia Group) general secretary Nurul Islam, East Pakistan Student Union (Menon Group) president Jamal Haidar and EPSU (Menon Group) secretary Mahbubullah.”

This statement was published six months after the mass uprising of 1969 had met with a successful end and Ayub Khan had resigned. Can Awami League and Communist leaders justify why they called JeI an anti-Pakistan group before? Can they also explain why at a later stage they began calling JeI a pro-Pakistan organisation?

Awami League and Communist leaders and supporters say that the freedom movement in East Pakistan started with the Language Movement in 1948.   

Let’s see what Awami League leader Tofayel Ahmed, who was in support of united Pakistan in 1969, said last year.

Tofayel Ahmed said: “Sheikh Mujib sowed the seed of greater freedom movement by founding Awami League on June 23, 1949 and launching great Language Movement.”

(Jugantor, 15 AUG 2019)     

In 1975, Shiekh Mujib said: “The Language Movement in the long run led to the winning of Bangladesh’s independence and sovereignty.”

(Dainik Songbad, 21 FEB 1975)  

After returning to Bangladesh, following the country’s independence, Sheikh Mujib said in a radio speech: “The Language Movement of 1952 was not just a movement for the language. It was also a struggle for cultural rights and that to live as human beings. That was the beginning of the preparation for the final struggle. For the people of Bangladesh that was a movement for their rights, and also a movement for independence.”   

(Dainik Bangla, 15 FEB 1972)     

However, Awami sycophants say, Sheikh Mujib dreamt of the independence of Bangladesh.

“In the academic year of 1945-46, Bangabondhu Sheikh Mujibur Rahman used to stay at Baker Hostel, while he was a student of Islamia College, which is now known as Maulana Azad College. Room No 24, on the second floor, was allotted to him. It is believed, he started dreaming of the independence of Bangladesh, while he stayed in that room. In 1971, he materialised his dream.”

(Samoy News TV, 17 MAR 2020)   

If the 1969 joint statement of Chhatroleague, pro-Russian EPSU and pro-Chinese EPSU came from an honest political standpoint, whatever they wrote as the history of the Liberation War and the freedom struggle post-1971 is completely untrue. 

Now this is a relevant question, why those who were staunch supporters of a united Pakistan in 1969, moved in the opposite direction and took part in the Liberation War. We all have to accept, the claim that the seeds of independence of Bangladesh were sown in 1952 is indeed bogus.

অপরাধ প্রমাণিত হলে তার মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদসহ বহুমাত্রিক জালিয়াতিতে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও রিজেন্ট গ্রুপের...

করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদসহ বহুমাত্রিক জালিয়াতিতে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম অপরাধ প্রমাণিত হলে তার মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।



তিনি বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে জাল মুদ্রার একটি মামলা করেছে র‌্যাব। এটি প্রমাণ করতে পারলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন বা ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে তার। এছাড়া অনকেগুলো প্রতারনার মামলা রয়েছে। সেখানে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজা হতে পারে সাহেদের।

খুরশিদ আলম খান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের যে চুক্তি হয়েছে তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য দুদক টিম গঠন করেছে। চুক্তি অবৈধভাবে হয়ে থাকলে জড়িতদেরকে খোঁজে বের করা হবে। আর এই চুক্তির ফলে সরকারের কোন টাকা ক্ষতি হয়েছে কি না সেটা দেখা হবে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি এবং আরও উর্ধ্বতনদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর কোন কিছু উদ্ঘাটন হলে সবার বিরুদ্ধে অপরাধের ধরন অনুযায়ী মামলা হবে।

তিনি আরও বলেন, শাহেদের অবৈধ সম্পদের উৎস সম্পর্কে জানতে পৃথক অনুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়েছে। উৎস যদি জ্ঞাত আয় বহির্ভুত হয় বা উৎসের সঙ্গে আয়ের মিল না থাকলে মামলা হবে। সেখানে কোন মানিলন্ডারিং এবং কাউকে ঘুষ দেয়ার প্রমাণ পেলে যাকে দিয়েছে তাকেসহ মামলা হবে।

সূত্র : আস

COVID-19 নিয়ন্ত্রণে অনিয়মের ব্যাপারে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ান '"চাই সঠিক সিদ্ধান্ত - শুদ্ধ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা "

COVID-19 নিয়ন্ত্রণে অনিয়মের ব্যাপারে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ান কিনা বলতে পারবো না, কিন্তু আমার নিজের কাজের সূত্রে যতগুলো দেশের কথা জানি তার মধ্যে আমাদের স্থান যে সবার উপরে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই | শুধু অনিয়ম হলেও কথা ছিল না | কঠোরতা দিয়ে সেটাকে নিয়মের মধ্যে হয়তো আনা যেত | কিন্তু, পা থেকে মাথা পর্যন্ত যদি থাকে অদক্ষ, বাটপার, চোর, আর নীতি-বৰ্জিতদের আধিক্য তাহলে এতো অল্প সময়ের মধ্যে তার সমাধান স্বয়ং ফেরেশতা এসেও করতে পারার কথা নয় |

চিকৎসার কথা নাহয় নাইবা বললাম | আম্মাসহ অনেক আত্মীয় বন্ধুদের হারানো আর তাদের হাসপাতালে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকেই বোঝা যায় সাধারণ মানুষ কি দুরাবস্থায় আছে|

এখন আসি COVID-19 শনাক্তের প্রসঙ্গে | আমাকে কি দ্বিতীয় কোনো দেশের নাম বলবেন যেখানে সাধারণ নাগরিকদের টাকার বিনিময়ে COVID-19 টেস্ট করতে হয়? দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে খবর নিন| কোথাও COVID-19 টেস্ট করতে গেলো নাগরিকদের টাকা লাগে? পূর্ব এশিয়ার গরিব দেশ যেমন লাওস, ক্যাম্বোডিয়ার দিকে তাকান | কোথাও একজন নাগরিকের COVID-19 টেস্ট করতে টাকার প্রয়োজন হয় না - দাতা গোষ্ঠী এবং সরকার বহন করে | অবশ্য, বিদেশিদের লাগে| টাকা যেহেতু লাগে না, টেস্ট নিয়ে বাণিজ্য করারও কোনো সুযোগ নাই | জনস্বাস্থ্যের গুরুত্বের কথা বিনেচনে এনে এবং টাকা-পয়সার জটিলতা এড়াতে প্রায় সব দেশগুলোতে শুধুমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানকেই টেস্ট করা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে |

কিন্তু, বাংলাদেশ? কথায় কথায় আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বলি, COVID-19 এর মধ্যেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির উর্ধগমনের স্বপ্ন দেখি | কিন্তু, নাগরিকদের প্রয়োজনে COVID-19 টেস্ট বিনামূল্যে করতে পারি না? এই সেবাটি বিনামূল্যে দেওয়ার ক্ষমতা কি আসলেই আমাদের ছিল না ? নাকি কিছু বাটপার, চোর, দুর্নীতিবাজদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই COVID-19 টেস্ট এর উপর মূল্য আরোপ করা হয়েছিল? আমারতো মনে হয় মূল্য আরোপের ব্যাপারটি ছিল একেবারেই পরিকল্পিত | আশা করবো মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নিজেই বিষয়টিকে খতিয়ে দেখবেন এবং দেশের মানুষদের সাথে যারা বিস্বাসঘাতকতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিবেন | যে অব্যবস্থা শাহেদ-সাব্রিনাদের তৈরী হতে অনুপ্রাণিত করেছে সেই অবাবস্থ্য তৈরির পেছনে যারা আছে তাদের অবশই চিহ্নিত করতে হবে এবং আইনের আওতায় আনতে হবে |

দুর্নীতির কথা বাদ দিলাম | ভেবে দেখুন, মূল্য আরোপের কারণে যদি একজন COVID-19 রোগী টেস্ট না করায়, এবং রোগ নিয়ে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ায় তাহলে সেটা জনস্বাস্থ্যের জন্য কতটা হুমকি? একজনের মাধ্যমে কতজন সুস্থ ব্যক্তি সংক্রামিত হবে? অন্য কোনো সাধারণ রোগ হলে কথা ছিল কিন্তু আমরা যুদ্ধ করছি COVID-19 এর মতো একটি অতিমাত্রায় সংক্রামক মরণ ব্যাধির সাথে |

জন স্বাস্থ্যের এই গুরুত্বের কথা বিবেচনায় এনেই অন্য সব দেশ সকল নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে COVID-19 টেস্ট করার ব্যবস্থা করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে | আর আমাদের দেশ করলো উল্টোটি | কেন? যাতে করে COVID-19 নিয়ে কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বাণিজ্য করতে পারে - নাগরিকদের ঠকাতে পারে, বিদেশের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পারে |

আশা করবো অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ সরকার নাগরিকদের প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পর্যাপ্ত সংখক COVID-19 টেস্টের ব্যবস্থা করবেন, এবং যাদের ইচ্ছাকৃত ভুল সিদ্বান্তের কারণে টেস্ট নিয়ে দুর্নীতি ও বাটপারি বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তাদের বিচারের ব্যবস্থা করবেন |

ব্যবস্থা শুদ্ধ হলে অধিকাংশ ব্যক্তিই শুদ্ধ হতে বাধ্য | তা নাহলে এক শাহেদ-সাব্রিনার শূন্য স্থান শতজনে পূরণ করবে |

What will be the diet routine of pregnant women at this time in Corona?

Foods to eat during pregnancy: 

★★Protein rich foods

Eat protein rich foods like lean meats, chicken, fish, eggs, pulses (peas, lentils). Try to eat fish 2 days a week or more. You can eat oily fish or marine fish 1 day a week. Non-vegetarian foods help the fetus to form new tissues.

To meet the daily requirement of meat, 2 to 3 pieces of fish, 3 to 4 pieces of meat and at least one egg should be eaten. In addition, a glass of warm milk should be drunk every day as a rule. A pregnant mother needs 1, 9 and 31 grams of extra protein per day in the first, second and third trimester, respectively. However, be careful not to eat raw or semi-cooked meat and eggs. It should be boiled or fried well. And milk should be boiled well.

★★Calcium

The mother's body needs calcium the most during pregnancy In the last three months of pregnancy, the baby needs a lot of calcium to build bones and teeth Although the demand for calcium is relatively higher than normal from the beginning of pregnancy, the demand is highest in the last 3 months. A pregnant mother needs to take 1000 mg daily and especially 1200 mg of calcium rich food every day for the last 3 months. Milk, dairy products, fish, nuts, oranges, dried fruits, green leafy vegetables, cauliflower and oil seeds are rich in calcium.

★★Iron

Most of the pregnant women in our country suffer from anemia During pregnancy, the demand for blood in the mother's body doubles Iron helps in the production of hemoglobin and energy in the body, enhances the immunity of the fetus and develops the nervous system. Pregnant mothers need to eat 26 mg of iron rich food every day. If you do not get enough iron during this time, anemia can occur So to prevent anemia, the mother should eat iron-rich foods Cow's or goat's liver, baby chicken, eggs, fish, bananas, spinach, spinach all have a lot of iron in them.

★★Vitamin-A

Vitamin A is required for the formation of bones and internal organs Vitamin A is needed for every organ of the fetus to grow, for the immune system to function effectively, for the eyesight to function properly and for overall growth. As the fetus receives all the nutrients from the mother, the need for vitamin A in the pregnant mother's body needs to be met. A pregnant mother should eat 600 mg of vitamin A rich food every day. In that case, the list of food should include chicken liver, eggs, carrots, mangoes, dark orange and yellow fruits and dark green vegetables.

★★Vitamins B-1, B-2 and niacin:

Of the 6 vitamins in the vitamin-B family, the demand for vitamin B-1 or thiamine, B-2 or riboflavin and B-3 or niacin increases during pregnancy. B-vitamins keep the digestive system running. Helps reduce fatigue. As well as reducing the dryness of the skin keeps it fresh. During pregnancy, due to hormonal changes in the skin of the abdomen, waist, and neck, the skin of the abdomen becomes swollen and tense, so B-vitamins play an important role in skin care during this time. Red meat, liver, eggs, bananas, kidneys, beans, spinach, almonds and milk are rich in vitamin B.

★★Vitamin-C

With the help of vitamin C, the body can easily absorb iron from vegetables, reduce the chances of anemia and increase immunity. For this, doctors or nutritionists recommend eating lemon, orange, banana or mango immediately after eating iron-rich foods. Vitamin-C plays an important role in the emotional growth of the fetus. Vitamin-C is the driving force behind folic acid. The fetus needs collagen proteins to build muscle and bone. Vitamin-C also helps in making collagen. A pregnant mother should eat 75 mg of vitamin C-rich food a day. Foods rich in vitamin C such as mango, guava, orange, lemon, lime, green leafy vegetables, tomatoes and potatoes should be eaten. Remember that if you cook for a long time, the vitamin is lost

★★Vitamin E

Vitamin E helps in blood circulation Vitamin E is found in apples, nuts, carrots, cabbage, eggs, olive oil and sunflower seeds.

★★Zinc

The role of zinc and folic acid in the first trimester of pregnancy is immense. Zinc prevents miscarriage and increases the weight of the baby Zinc activates a variety of functions in every part of the body and plays a role in tissue and cell formation. Zinc is important for the immune system and growth of the unborn baby.According to the WHO, zinc-rich foods should be taken at 11 mg for the first 3 months of pregnancy, 14 mg for the second 3 months and 20 mg for the last 3 months. This zinc is found in animal proteins In addition, almonds, sweet pumpkin seeds, and wheat are high in zinc which can meet your needs during pregnancy.

★★Iodine

Iodine deficiency during pregnancy hinders the development of the baby's intelligence from the time of conception to 3 months of age. Iodine deficiency also increases the risk of fetal death. It also keeps the thyroid healthy. That's why the WHO recommends eating about 200 milligrams of iodized food every day during pregnancy. Iodized foods include iodized salt, sea fish, cheese, sour yogurt, cow's milk, etc.

★★Vitamin tablets

The body needs extra vitamins during pregnancy If the need for this extra vitamin cannot be met through food, you must take vitamin tablets as advised by your doctor.

★★Dairy foods

Milk, cheese, yogurt, etc. are excellent sources of calcium. It should be noted that the amount of sugar and fat is low. Fatty foods help build baby's brain cells. Many people have iodine deficiency in their body. Iodine is a mineral that is essential for the formation of the baby's brain. Dairy foods and seafood are excellent sources of iodine.

★★Fruits and vegetables

Try to eat fruits and vegetables 5 times a day. Eat more vegetables than fruits. You can also drink juice and smoothies. However, their sugar can increase blood sugar levels and can also damage teeth. So it is better to drink these in limited quantities. Eating fresh fruits and vegetables is healthier. If there is a problem of constipation during pregnancy, then it is very difficult! Because, there is a risk of miscarriage. So it is important to eat fiber-rich foods at this time. Fruits and vegetables are high in fiber. Apart from that, fruits and vegetables also contain vitamins and various natural minerals.

★★Pulses

Pulses contain high protein. So you have to eat different types of pulses, ghu-gani, raw or boiled gram. You can eat about 2 bowls of pulses throughout the day.

★★Starchy foods

Include starchy foods like potatoes, red rice, bread, pasta etc. in your daily diet. Carbohydrates help provide energy to the body.

★★Foods that mothers should not eat during pregnancy:

★★Unpasteurized milk

Unpasteurized milk or raw milk contains bacteria called Listeria. So you can't drink boiled milk without doing it well. Foods made with unpasteurized milk such as soft cheese should be avoided.

★★Raw eggs

Eggs are a nutritious food. Many people have a habit of eating raw eggs. But you should refrain from eating raw eggs during pregnancy. Because raw eggs contain bacteria called Salmonella. So eggs cannot be eaten without boiling well.

★★Caffeine

Although coffee is effective in relieving fatigue, its amount should be reduced during pregnancy. Tea, coffee, etc. contain caffeine. It is not right to take more than 200 grams of caffeine daily. Excess caffeine intake results in low birth weight babies. Incidents like miscarriage can also happen.

★Marine fish

Marine fish are beneficial for health. But playing too much damages the nervous system of the fetus. Because marine fish contain mercury. Raw or semi-ripe papaya: It is dangerous for pregnant women to eat raw or semi-ripe papaya. This can lead to miscarriages.

★★★Considering the physical condition, weight, etc., good diet suggestions must be known from the doctor.

★What to eat in the morning

Eat a glass of water first thing after waking up. Then you can eat a handful of dry fruit. But a handful means but a handful, not more than that. If you don't want to chew anything, you can have a glass of plain cow's milk (without sugar) or almond milk or apple juice. Try to eat this food by seven in the morning.

★★In the morning -

Many pregnant women feel nauseous in the morning and do not want to eat. In that case you can eat light tea (green tea) and biscuits without eating heavy food. After a while you can eat 2 loaves of bread and vegetables. It is better to boil an egg and eat it. You can eat polao or salty semolina with a bowl of fruit, but in this case it is better to play without nuts. It is not good to eat one meal every day, so one day you can eat parota instead of chindre or semolina, one day you can eat sandwich or oats. But whatever you eat, take care not to have a lot of oil. By nine o'clock in the morning.

★★What to eat in the middle of the morning

You can eat a bowl of soup of your choice by 11 o'clock. Try to make soup at home instead of eating packet soup. You can boil together vegetables of your choice, such as spinach, beets, carrots, tomatoes, etc. and eat hot soup with a little butter with pepper. If you want, you can also give it with chicken.

★★At noon

At noon with 1 bowl of rice fish or meat, vegetable curry, vegetables, pulses and fresh fruit and vegetable salad. You can eat yogurt at the end of the meal. If you like to eat rice, then eat rice at noon. But keep up with fish, plenty of vegetables and sour yogurt. Instead of worrying about gaining weight at this time, focus on healthy foods. Many people cannot eat fish during pregnancy, they can eat eggs or chicken at noon if they want. If you don't like eating rice, you can eat bread. If you want to eat a little different food, then you can also eat grilled chicken and salad. Eat more pulses at this time. Lunch is between one and two in the afternoon.

★★In the afternoon

You can eat any healthy homemade snack or cake or boiled nuts or peas without eating fried food. It is better not to eat fruits in the evening. You can have a handful of dry fruits and green tea or any health drink. Eat between five and six in the evening.

★★At night

Dinner will be like lunch. However, it is better not to eat vegetables at night. You can eat more vegetable curry. Before going to sleep, do not forget to drink 1 glass of noni milk. If you want, you can also eat khichuri from time to time. However, if you eat heavy meals at noon, try to eat a little light at night and if possible, have dinner between nine and ten at night, it will help digestion.

★★★Some important tips:

Hunger is more prevalent during pregnancy because at this time the diet is for two, not one. The health of the baby depends on what the mother is eating. So it is important to follow some more useful tips at this time ...

1. You can eat whatever you want, but remember that one pregnancy is one-of-a-kind. Just because a certain food suits someone does not mean that it is healthy for your body. Whatever you eat, eat only with the advice of a doctor.


2. If you feel uncomfortable after eating a certain food, if you see a rash or pain in any part of the body, then please do not eat that food anymore. You may have eaten the food before but there was no problem then, but during pregnancy there are different hormones in the body so many changes can occur.


3. Eat a little but dry fruit every day throughout the day.


4. Don't eat too much salt in your diet, as this can lead to dehydration and increased levels of salt, which can lead to swollen feet. Do not eat raw salt. It is better to reduce sugar as much as possible. Many pregnant women are at increased risk of insulin levels during this time, and excess sugar can lead to diabetes later in life.


5. Eat ghee and butter during pregnancy. If you gain a little weight, there is no harm. You can lose weight effortlessly after delivery, but it is difficult if the fetus is not getting nutrition. If you are overweight, you should eat ghee or butter only with the advice of a doctor.


6. Avoid outside food as much as you can, you don't know where and how it is being cooked outside, what oil or spices are being used. There may be a desire to eat outside, but sometimes the desire needs to be suppressed. Eat home cooked. If you have to go out, try to take food from home. Forget ‘ready to eat’ or ‘processed’ food but don’t eat at this time.


7. Wash both dishes and hands thoroughly before cooking and eating. Usually gets hungry occasionally during pregnancy, but may not be the same for everyone. Even if you are not hungry, eat something healthy at least every two hours. Many people have a tendency to vomit during pregnancy, but they should not keep their stomach empty at all.

8. Eat six to seven small meals throughout the day. This will not cause flatulence or bloating.

9. You can go out to eat from time to time, but instead of eating street food, eat and drink in a clean place.

10. If you want to take any supplement, then take it only with the advice of a doctor. There are many supplements on the market that claim to help you stay healthy during pregnancy, but not all of them are good for everyone, so it is best to talk to your doctor once.

11. Avoid grapes in pregnancy. Whether it is green grapes or black. Altogether, wine is very harmful in pregnancy, because it contains resveratrol, it is harmful for expectant mothers. In addition, during pregnancy, black grape peel or the upper part will be difficult to digest.

12. It is very healthy to eat fruits during pregnancy, but not all fruits should be eaten. It is better not to eat pineapple, papaya, apple, tamarind, grape, etc., as it can lead to miscarriage. In addition to these fruits, there are other foods that should be avoided during pregnancy such as coffee, wine, raw eggs, processed foods such as sausage, salami, etc.

13 / It is necessary to pay attention to the fact that there is no dehydration in the body. Drink as much water as possible throughout the day.

14. It is very normal to get hungry while pregnant. There is no reason to worry about this. However, if you get hungry again shortly after eating, then drink water without eating any other solid food at that time. If you have to go out during pregnancy, keep it with adequate amounts of dry food. If you are hungry, eat it without holding it

Compilation and Refinement

Kazi Jannatul Mardia
B.sc in Nutrition and food Engineering (DIU)
Student from
Sakariya University(TÖMER)Turkey.

 






মক্কায় জিয়াউর রহমানের নিম গাছ লাগানোর সেই ইতিহাস..

১৯৭৭ সালে বাদশাহ ফাহদের আমন্ত্রণে সৌদি আরব যান বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং উপহার হিসেবে সাথে নিয়ে যান বেশ কিছু নিম গাছের চারা। বাদশাহকে উপহার দেয়ার সময় বলেন- “গরিব মানুষের দেশের গরিব রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে আপনার জন্য এই সামান্য উপহার।” বাদশাহ্ ফাহদ বহু দেশ থেকে বহু মূল্যবান উপহার তৎকালীন সময় থেকে এখন পর্যন্ত পেয়ে আসছেন; কিন্তু এমন মূল্যবান উপহার তিনি পাননি। আবেগে আপ্লুত বাদশাহ জড়িয়ে ধরেন রাষ্ট্রপতি জিয়াকে। তিনি বলেন, আজ থেকে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ পরস্পর অকৃতিম বন্ধু।
video >

করোনার এই সময়ে গর্ভবতীদের খাবার রুটিন কেমন হবে |||

প্রেগন্যান্ট অবস্থায় যে খাবারগুলো খাওয়া উচিৎ :
    
★★প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

চর্বিহীন মাংস, মুরগী, মাছ, ডিম, ডাল (মটরশুঁটি, মসূর ডাল) ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। সপ্তাহে ২ দিন বা তারচেয়েও বেশি মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। তৈলাক্ত মাছ বা সামুদ্রিক মাছ সপ্তাহে ১ দিন খেতে পারেন। আমিষ জাতীয় খাবার গর্ভের শিশুর শরীরের নতুন টিস্যু গঠনের জন্য সাহায্য করে।প্রতিদিনের আমিষের অভাব পূরণে ২ থেকে ৩ টুকরো মাছ, ৩ থেকে ৪ টুকরো মাংস ও কমপক্ষে একটি ডিম খেতে হবে। এছাড়া নিয়ম করে প্রতিদিন একগ্লাস উষ্ণ গরম দুধ পান করতে হবে।একজন গর্ভবতী মায়ের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় trimester-এ প্রতিদিন যথাক্রমে ১, ৯ ও ৩১ গ্রাম অতিরিক্ত প্রোটিন প্রয়োজন হয়।তবে খেয়াল রাখতে হবে কাঁচা বা আধা সিদ্ধ মাংস খাওয়া যাবে না এবং ডিম ভাল করে সিদ্ধ করে বা ভেজে খেতে হবে।আর দুধ ভাল মতো ফুটিয়ে পান করা উচিত ।

★★ক্যালসিয়াম


গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি৷ গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠনের জন্য অনেক ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়৷ যদিও গর্ভাবস্থার প্রথম থেকেই স্বাভাবিক চাহিদার তুলনায় তুলনামূলকভাবে ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেড়ে যায়, তবুও শেষের ৩ মাস চাহিদাটা সবচেয়ে বেশি থাকে।একজন গর্ভবতী মায়ের দিনে ১০০০ মিলিগ্রাম এবং বিশেষ করে শেষ ৩ মাসের প্রতিদিন ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। দুধ, দুগ্ধজাত দ্রব্য, মাছ, বাদাম, কমলালেবু, শুকনো ফল, সবুজ পাতাসহ শাক-সবজি, ফুলকপি ও তৈলবীজ খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে ৷

★★আয়রন


আমাদের দেশের বেশির ভাগ গর্ভবতী মহিলাই রক্তাল্পতায় ভুগে থাকেন৷ গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে রক্তের চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যায়৷ আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিন ও এনার্জি তৈরিতে সাহায্য করে, গর্ভস্থ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্নায়ুতন্ত্র বিকাশ করে।গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন ২৭ মিলিগ্রাম আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার।এই সময় যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন গ্রহণ করা না যায় তাহলে এনেমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে৷ তাই রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধ করার জন্য মাকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে৷ গরু কিংবা খাসির কলিজা, বাচ্চা মুরগি, ডিম, মাছ, কলা, কচুশাক, পালং শাক এ সবের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে।

★★ভিটামিন-এ

হাড় ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহের গঠনের জন্য ভিটামিন এ প্রয়োজন৷ গর্ভস্থ শিশুর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বেড়ে ওঠা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কার্যকর থাকা, দৃষ্টিশক্তি সঠিকভাবে কাজ করা এবং সার্বিকভাবে বেড়ে ওঠায় ‘ভিটামিন এ’ প্রয়োজন। গর্ভে থাকা শিশু যেহেতু সব পুষ্টি মায়ের মাধ্যমেই পায়, তাই গর্ভবতী মায়ের শরীরে ভিটামিন এ-এর এই চাহিদা পূরণ হওয়া দরকার। একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন ৮০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে খাবারের তালিকায় থাকা চাই মুরগির কলিজা, ডিম, গাজর, আম, গাঢ় কমলা ও হলুদ রঙের ফল এবং গাঢ় সবুজ রঙের শাক-সবজি।

★★ভিটামিন বি-১, বি-২ ও নায়াসিন:

ভিটামিন-বি পরিবারভুক্ত ৬টি ভিটামিনের মধ্যে গর্ভাবস্থায় চাহিদা বেড়ে যায় ভিটামিন বি-১ বা থায়ামিন, বি-২ বা রিবোফ্লাবিন ও বি-৩ বা নায়াসিনের। বি-ভিটামিন ডায়জেস্টিভ সিস্টেমকে চালু রাখে। ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চামড়ার শুষ্কভাব কমিয়ে সতেজ রাখে।গর্ভাবস্থায় যেহেতু হরমোনের পরিবর্তনের কারণে পেট, কোমর, গলা-এসব জায়গার চামড়ার রং পরিবর্তন হয়, পেটের চামড়া স্ফিত হওয়ায় টান লাগে, তাই বি-ভিটামিন এই সময় চামড়ার দেখভালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ‘রেড মিট’, কলিজা, ডিম, কলা, কিডনি, বিনস, পালংশাক, কাঠবাদাম ও দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি পাওয়া যায়।

★★ভিটামিন-সি

ভিটামিন সি এর সাহায্যে শরীর সহজেই শাকসবজি থেকে আয়রন শোষণ করে নিতে পারে, রক্তশূন্যতার সম্ভাবনা কমায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।এ জন্য ডাক্তার বা পুষ্টিবিদেরা আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরপরই লেবু, কমলা, বাতাবিলেবু বা আমলকী খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভ্রূণের মানসিক বৃদ্ধিতে ভিটামিন-সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন-সি ফলিক অ্যাসিডকে কার্যকর করে তোলার চালিকাশক্তি।গর্ভের শিশুর মাংসপেশি ও হাড় গঠনের কোলাজেন প্রোটিনের প্রয়োজন। ভিটামিন-সি কোলাজেন তৈরিতেও সাহায্য করে।একজন গর্ভবতী মায়ের দিনে ৮৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন – আমলকী, পেয়ারা, কমলা লেবু, বাতাবি লেবু, সবুজ শাক-সবজি, টমেটো এবং আলু খেতে হবে৷ মনে রাখবেন বেশিক্ষণ রান্না করলে ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়৷

★★ভিটামিন-ই

ভিটামিন ই রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে৷ আপেল, বাদাম, গাজর, বাঁধাকপি, ডিম, অলিভ তেল ও সূর্যমুখি বীজে ভিটামিন ই পাওয়া যায়৷

★★জিংক

গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস জিংক এবং ফলিক এ্যাসিডের ভূমিকা অপরিসীম। জিংক গর্ভপাত প্রতিরোধ করে এবং শিশুর ওজন বাড়ায়৷ জিংক শরীরের প্রত্যেকটি অংশের বিভিন্ন ধরনের কার্যক্ষমতা সক্রিয় রাখে এবং টিস্যু ও কোষ গঠনে ভূমিকা রাখে। এমনকি গর্ভে থাকা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বেড়ে ওঠায় জিংক গুরুত্বপূর্ণ। WHO এর মতে, গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাস ১১ মিলিগ্রাম, দ্বিতীয় ৩ মাস ১৪ মিলিগ্রাম ও শেষের ৩ মাস ২০ মিলিগ্রাম করে জিংক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। এই জিংক পাওয়া যাবে প্রানিজ প্রোটিনে৷ তাছাড়াও চিনে বাদাম, মিষ্টি কুমড়ার বীজ, গম এসবে প্রচুর পরিমাণ জিন্ক থাকে যা আপনার গর্ভাবস্থায় চাহিদা পূরণে সক্ষম৷

★★আয়োডিন

গর্ভাবস্থায় আয়োডিনের অভাব হলে গর্ভে থাকা সময় থেকে শুরু করে জন্মের ৩ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর বুদ্ধির বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। এছাড়াও আয়োডিনের অভাবে গর্ভে থাকা শিশুর মৃত্যুর সম্ভাবনাও থাকে। এটি থাইরয়েডকেও সুস্থ রাখে। তাই গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম আয়োডিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে WHO। আয়োডিন যুক্ত খাবারের মাঝে আছে আয়োডিনযুক্ত লবণ, সামুদ্রিক মাছ, পনির, টক দই, গরুর দুধ ইত্যাদি।

★★ভিটামিন ট্যাবলেট

গর্ভাবস্থায় শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিনের প্রয়োজন হয়৷ এই অতিরিক্ত ভিটামিনের চাহিদা খাবারের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব না হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ট্যাবলেট গ্রহণ করতে হবে৷

★★দুগ্ধজাত খাবার

দুধ, পনির, দই ইত্যাদি খাবারগুলো ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস। এগুলোর চিনি ও ফ্যাটের পরিমাণ যেন কম থাকে সেটি খেয়াল করতে হবে। ফ্যাট জাতীয় খাবার শিশুর মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে। অনেক মানুষের শরীরেই আয়োডিনের ঘাটতি থাকে। আয়োডিন এমন একটি খনিজ উপাদান যা শিশুর মস্তিষ্কের গঠনের জন্য অপরিহার্য। দুগ্ধজাত খাবার ও সামুদ্রিক খাবার আয়োডিনের চমৎকার উৎস।

★★ফল ও শাকসবজি

দিনে ৫ বার ফল ও সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফলের চেয়ে শাকসবজি বেশি খান। জুস ও স্মুদি ও পান করতে পারেন। তবে এগুলোর সুগার ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি করতে পারে এবং দাঁতেরও ক্ষতি করতে পারে। তাই এগুলো সীমিত পরিমাণে পান করাই ভালো। তাজা ফল ও সবজি খাওয়াই বেশি স্বাস্থ্যকর।গর্ভাবস্থায় যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়, তা হলে খুব মুশকিল! কারণ, তাতে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। কাজেই এসময়ে ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়াটাও জরুরি। ফল ও শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তা ছাড়া ভিটামিন ও নানা প্রাকৃতিক খনিজও রয়েছে ফল এবং সবজিতে।

★★ডাল (Daal)

ডালে রয়েছে হাই প্রোটিন। কাজেই নানা ধরনের ডাল, ঘুগনি, কাঁচা বা সেদ্ধ করা ছোলা, এগুলো খেতেই হবে। সারাদিনে মোটামুটি 2 বাটি মতো ডাল আপনি খেতে পারেন।

★★স্টার্চ জাতীয় খাবার

আলু, লাল চালের ভাত, রুটি, পাস্তা ইত্যাদি স্টার্চ জাতীয় খাবার আপনার প্রাত্যহিক খাদ্যতালিকায় রাখুন। শর্করা জাতীয় খাবার শরীরে এনার্জি প্রদানে সাহায্য করে।

প্রেগন্যান্ট অবস্থায় যে খাবারগুলো মায়েদের খাওয়া উচিৎ না :

★★অপাস্তুরিত দুধ

অপাস্তুরিত দুধ বা কাঁচা দুধে লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই ভালো করে না ফুটিয়ে দুধ পান করা যাবেনা। অপাস্তুরিত দুধ দিয়ে তৈরি খাবার যেমন- নরম পনির খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

★★কাঁচা ডিম

ডিম পুষ্টিকর একটি খাবার। অনেকেরই কাঁচা ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কাঁচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ কাঁচা ডিমে সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ না করে খাওয়া যাবেনা।

★★ক্যাফেইন

কফি ক্লান্তি দূর করার জন্য কার্যকর হলেও গর্ভাবস্থায় এর পরিমাণ কম করতে হবে। চা, কফি ইত্যাদিতে ক্যাফেইন থাকে। দৈনিক ২০০ গ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে কম ওজনের শিশু জন্ম গ্রহণ করে। মিসক্যারেজের মত ঘটনাও ঘটতে পারে।

★★সামুদ্রিক মাছ

সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু অধিক পরিমাণে খেলে গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়। কারণ সামুদ্রিক মাছে পারদ জাতীয় পদার্থ থাকে।
কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে :
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে খাওয়া বিপদজনক। এতে গর্ভপাতের মত ঘটনা ঘটতে পারে।
★★★শারীরিক অবস্থা, ওজন ইত্যাদি বিবেচনা করে ভাল ডায়েট সাজেশন অবশ্যই ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেবেন।
★ভোরবেলা কী খাবেনঃ

ঘুম থেকে উঠেই সবচেয়ে আগে এক গ্লাস pani খান। তারপর একমুঠো ড্রাই ফ্রুট খেতে পারেন। তবে একমুঠো মানে কিন্তু একমুঠোই, তার বেশি নয়। যদি চিবিয়ে কিছু খেতে ইচ্ছে না করে তা হলে এক গ্লাস প্লেন গরুর দুধ (চিনি ছাড়া) বা আমন্ড মিল্ক বা আপেলের রস খেতে পারেন। এই খাবারটি চেষ্টা করুন সকাল সাতটার মধ্যে খেয়ে নিতে।

★★সকালে –

সকালে অনেক গর্ভবতী নারীরই বমি বমি ভাব হয় এবং খেতে ইচ্ছে করেনা। সেক্ষেত্রে ভারী খাবার না খেয়ে হালকা চা (গ্রিনটি)ও বিস্কিট খেয়ে নিতে পারেন। এর বেশ খানিকটা পরেই ২ টি রুটি ও সবজি খেতে পারেন। সাথে একটি ডিম সিদ্ধ করে খাওয়া ভালো।এক বাটি ফলের সঙ্গে এক বাটি চিঁড়ের পোলাও বা নোনতা সুজি খেতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে বাদাম না দিয়ে খেলে ভাল। প্রতিদিন এক খাবার খেতে তো ভাল লাগে না, কাজেই চিঁড়ে বা সুজির বদলে কোনদিন পরোটা খেতে পারেন, কোনদিন স্যান্ডউইচ বা ওটস-ও খেতে পারেন। তবে যা-ই খান, খেয়াল রাখবেন একগাদা তেল যেন না থাকে। সকাল ন’টার মধ্যে।

★★মাঝ সকালে কী খাবেনঃ

বেলা ১১টা নাগাদ আপনার পছন্দমতো এক বাটি সুপ খেতে পারেন। প্যাকেটের সুপ না খেয়ে বরং চেষ্টা করুন বাড়িতে সুপ তৈরি করতে। পছন্দমতো সবজি, যেমন পালং শাক, বিট, গাজর, টোম্যাটো ইত্যাদি একসঙ্গে সেদ্ধ করে গোলমরিচের সঙ্গে সামান্য মাখন দিয়ে গরম-গরম সুপ খেতে পারেন। চাইলে কখনও চিকেনও দিয়ে দিতে পারেন।

★★দুপুরে

দুপুরে ১ বাটি ভাতের সাথে মাছ বা মাংস, সবজির তরকারী, শাক, ডাল এবং তাজা ফল ও সবজির সালাড। খাওয়ার শেষে খেতে পারেন দই।আপনি যদি ভাত খেতে পছন্দ করেন, তা হলে দুপুরে ভাতই খান। তবে সঙ্গে রাখুন মাছ, প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং টক দই। এই সময়ে ওজন বাড়ার দিকে চিন্তা না করে বরং হেলদি খাবারের দিকে মন দিন। অনেকেই প্রেগন্যান্সিতে মাছ খেতে পারেন না, তাঁরা চাইলে ডিম বা চিকেন খেতে পারেন দুপুরে। যদি আপনার ভাত খেতে ভাল না লাগে সেক্ষেত্রে রুটি খেতে পারেন। যদি একটু অন্যরকম খাবার খেতে ইচ্ছে করে, তা হলে গ্রিলড চিকেন ও স্যালাডও খেতে পারেন। এই সময়ে ডাল খাবেন বেশি করে। লাঞ্চটা বেলা একটা থেকে দুটোর মধ্যে।

★★বিকালে

ভাজা-পোড়া খাবার না খেয়ে ঘরে তৈরি কোন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স বা কেক বা বাদাম বা মটরশুঁটি সিদ্ধ খেতে পারেন।সন্ধের দিকে ফল না খাওয়াই ভাল। এক মুঠো ড্রাই ফ্রুট ও সঙ্গে গ্রিন টি বা যে-কোনও হেলথ ড্রিঙ্ক খেতে পারেন। পাঁচটা থেকে সন্ধে ছ’টার মধ্যে খাবেন।

★★রাতে

রাতের খাবার দুপুরের মতোই হবে। তবে শাক রাতে না খাওয়াই ভালো। বেশি করে সবজির তরকারী খেতে পারেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১ গ্লাস ননী মুক্ত দুধ পান করতে ভুলবেন না।মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করলে খিচুড়িও খেতে পারেন। তবে দুপুরে যদি ভারী খাবার খেয়ে থাকেন, রাতে একটু হালকা খাওয়ার চেষ্টা করুন আর সম্ভব হলে রাত ন’টা থেকে দশটার মধ্যে ডিনার সারুন, এতে হজমে সুবিধে হবে।

★★★কিছু জরুরি টিপস:

গর্ভাবস্থায় খিদে বেশি পায় কারণ এই সময়ে একজনের না, দু’জনের জন্য আহার করা হয়। মা কী খাচ্ছেন, তার উপর শিশুর স্বাস্থ্য নির্ভর করে। কাজেই এই সময়ে আরও বেশ কিছু দরকারি টিপস মেনে চলা জরুরি...

১। আপনি যা ইচ্ছে, তাই খেতে পারেন ঠিকই, তবে এক একটি প্রেগন্যান্সি এক-একরকমের হয়, একথা মনে রাখবেন। কোনও একটি নির্দিষ্ট খাবার একজনের সুট করছে মানে এই নয় যে, তা আপনার শরীরের জন্যও স্বাস্থ্যকর। যাই খান, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খাবেন।

২। কোনও নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পর যদি অস্বস্তি হয়, যদি দেখেন শরীরের কোথাও র্যাশ বেরিয়েছে বা ব্যথা হচ্ছে, তা হলে দয়া করে সেই খাবারটি আর খাবেন না। হতে পারে হয়তো খাবারটি এর আগেও আপনি খেয়েছেন কিন্তু তখন কোনও সমস্যা হয়নি, তবে গর্ভাবস্থায় শরীরে নানা হরমোনের তারতম্য হয় ফলে অনেক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।

৩। প্রতিদিন সামান্য হলেও কিন্তু ড্রাই ফ্রুট খাবেন সারা দিনে।

৪। খাবারে অতিরিক্ত লবণ খাবেন না, এই সময়ে শরীরে জলীয়ভাব বেড়ে যেতে পারে এবং লবণ থেকে তার মাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, ফলে পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখে দিতে পারে। কাঁচা লবণ তো খাবেনই না। চিনি খাওয়াও যতটা সম্ভব কমিয়ে দিলে ভাল। অনেক গর্ভবতী মহিলার শরীরে এই সময়ে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং অতিরিক্ত চিনি থেকে পরবর্তীকালে মধুমেহ বা ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

৫। গর্ভাবস্থায় ঘি এবং মাখন খান। যদি একটু ওজন বাড়ে, তাতে ক্ষতি নেই। ডেলিভারির পর অনায়াসে ওজন কমাতে পারবেন, কিন্তু গর্ভে থাকা শিশু যদি পুষ্টি না পায় তা হলে মুশকিল। যদি স্বাভাবিকের তুলনায় আপনার ওজন বেশির দিকে হয় সেক্ষেত্রে অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ঘি বা মাখন খাওয়া উচিত।

৬। বাইরের খাবার যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন, বাইরে কোথায় কীভাবে রান্না হচ্ছে, কেমন তেল বা মশলা ব্যবহার করা হচ্ছে কিছুই আপনি জানেন না। ইচ্ছে হতে পারে বাইরের চটপটি খাবার খাওয়ার, কিন্তু মাঝে-মাঝে ইচ্ছে দমন করা প্রয়োজন। বাড়ির রান্না খান। যদি আপনাকে বাইরে যেতে হয়, তা হলে বাড়ি থেকেই খাবার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ‘রেডি টু ইট’ বা ‘প্রসেসড’ খাবার ভুলেও কিন্তু এই সময়ে খাবেন না।

৭। রান্না করার আগে এবং খাবার খাওয়ার আগে খুব ভাল করে বাসন ও হাত দুটোই ধুয়ে নিন। সাধারণত প্রেগন্যান্সিতে মাঝে-মাঝেই খিদে পায়, তবে সকলের ক্ষেত্রে একরকম নাও হতে পারে। যদি খিদে নাও পায় তাও অন্তত দু’ঘণ্টা অন্তর-অন্তর কিছু না কিছু হেলদি খাবার খেতে থাকুন। অনেকেরই গর্ভাবস্থায় বমি করার প্রবণতা থাকে, তাঁদের কিন্তু একদমই পেট খালি রাখা উচিত নয়।

৮। সারাদিনে অল্প-অল্প করে ছয় থেকে সাত বার খান। এতে পেট ফাঁপা বা ব্লোটিংয়ের সমস্যা হবে না।

৯। মাঝে-মধ্যে বাইরে খেতে যেতেই পারেন, তবে রাস্তার খাবার না খেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায় খাওয়া-দাওয়া করুন।

১০। আপনি যদি কোনও সাপ্লিমেন্ট খেতে চান, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খান। বাজারে অনেক সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায় যা প্রেগন্যান্সিতে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে বলে দাবি জানায়, তবে সব যে সকলের জন্য ভাল তা তো নয়, কাজেই চিকিৎসকের সঙ্গে একবার কথা বলে নেওয়াটা ভাল।

১১।প্রেগন্যান্সিতে আঙুরটা এড়িয়ে চলুন। সে সবুজ আঙুর হোক বা কালো। মোট কথা, ওয়াইন প্রেগন্যান্সিতে খুবই ক্ষতিকর, কারণ এর মধ্যে রয়েছে রেসভিরাট্রল, এটা হবু মা-দের জন্য হানিকরক। তা ছাড়াও গর্ভাবস্থায় কালো আঙুরের খোসা বা উপরের অংশটা হজম করতে সমস্যা হবে।

১২। গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়া অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, তবে সব ফল কিন্তু খাওয়া চলবে না। আনারস, পেঁপে, আপেল, তেঁতুল, আঙুর ইত্যাদি না খাওয়াই ভাল, কারণ এতে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই ফলগুলো বাদেও আরও কিছু খাবার রয়েছে যা প্রেগন্যান্ট থাকাকালীন এড়িয়ে যাওয়া উচিত যেমন: কফি, ওয়াইন, কাঁচা ডিম, প্রসেস করা খাবার যেমন :সসেজ, সালামি ইত্যাদি।

১৩/শরীরে যেন পানি ঘাটতি না হয়, সেই বিষয়েও নজর দেওয়া দরকার। সারাদিনে যতটা বেশি সম্ভব পানি পান করুন।

১৪। প্রেগন্যান্ট থাকাকালীন খিদে পাওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এই নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। তবে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যদি আবার খিদে পায়, তা হলে সে সময়ে অন্য কোনও সলিড ফুড না খেয়ে পানি খান। গর্ভাবস্থায় যদি আপনাকে বাইরে বেরতে হয়, তা হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার সঙ্গে রাখুন। খিদে পেলে তা চেপে না রেখে খেয়ে নিন

Compilation and Refinement
Kazi Jannatul Mardia
B.sc in Nutrition and food Engineering (DIU)
Student from
Sakariya University(TÖMER)Turkey.